কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি

সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি সম্পর্ক লিখতে বসলাম। এ ছাড়া আরো থাকছে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবারগুলো। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করার জন্য ব্যায়াম। কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণ ও কোষ্ঠকাঠিন্যতার লক্ষণ সমূহ।
দুধ খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। এগুলো বিষয়ে জানার জন্য আমাদের এই কনটেন্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। তাহলে এগুলো বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠকগণ কোষ্ঠকাঠিন্যতা অত্যাধিক কষ্টকর একটি সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের মতো কষ্টকর রোগ তৈরি হয়। সাধারণত কোন খাবার খেলে যা হজম হয় না অথবা যেগুলো খাবারে আশের পরিমাণ কম সেগুলো খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ পায়খানা আটকে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
মলাশয়ে দীর্ঘ সময় পায়খানা থাকলে সেখান থেকে রস শোষিত হয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। আর এই শুষ্ক হওয়ার জন্য উক্ত পায়খানা বাহির হতে লাগলে মলাশয় ও কোলন ফেটে যায়। যার কারনে অনেক কষ্ট হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি এ ব্যাপারে জানা প্রয়োজন। যার কারণে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে মুক্তি পেতে পারি।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি

প্রিয় পাঠকগণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি সম্পর্কে হয়তো জানতে ইচ্ছা পোষণ করছেন। বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যতা একটি কষ্টকর রোগ। সাধারণত আমরা মনে করি ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।

যার মাধ্যমে অনেকে ওষুধ খেয়ে থাকি। খাদ্য অভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করা সম্ভব। আসুন সেগুলো বেশ ভালো করে জেনে নিই।

পর্যাপ্ত শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করার জন্য আশ জাতীয় খাদ্যের বিকল্প নাই। আঁশ জাতীয় খাদ্য খেলে ভালো হজম হয় যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না। সাধারণত শাকসবজি জাতীয় খাবার আশের প্রধান উৎস।

লাউ পেঁপে চাল কুমড়া মিষ্টি কুমড়ার ঝিঙ্গা ঢেঁড়স ইত্যাদি সবজি খাওয়ার মাধ্যমে মল নরম হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

নিয়মিত ফল খাওয়ার মাধ্যমেঃ কলা আপেল নাশপাতি ইত্যাদি ফলে পর্যাপ্ত আশ রয়েছে। তাই আশ জাতীয় খাবার খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। মল নরম হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না।

নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমেঃ ইসবগুলের ভুষি মল নরম করার জন্য ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত সকাল বিকাল এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ ইসুবগুলের ভুসি মিশ্রিত করে খেয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও এক গ্লাস দুধে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশ্রিত করে খেতে পারেন। মল নরম হবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

পর্যাপ্ত পানি খাবেনঃ পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। পানি খাওয়ার ফলে পরিপাক তন্ত্রে বজ্র পদার্থগুলোতে পানির পরিমান বেড়ে যায়। যার কারণে মলেও পানি পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।

কলমি শাক খাওয়াঃ কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। নিয়মিত কলমি শাক খাওয়ার ফলে মল নরম হয়।

মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ উদ্যেগ থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা হয়। যার কারণে খুব তাড়াতাড়ি মানসিক চাপ কমাতে হবে। মানসিক চাপ দূর না করতে পারলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

পায়খানা চেপে রাখা যাবে নাঃ পায়খানার বেগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে পায়খানা করতে হবে। পায়খানা চেপে রাখলে কোলনের মধ্যে পায়খানা থেকে পানি শুষিত হয়। যার কারণে পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যতা তৈরি হয়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার

আজকের আর্টিকেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি। এছাড়াও খাদ্যে আশের পরিমাণ লক্ষ্য করে খেতে হবে। আঁশ জাতীয় খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করা সম্ভব। তাই আসুন আমাদের খাবার তালিকায় আশ জাতীয় খাবার সংযোগ করি।কোষ্ঠকাঠিন্য কোন রোগ থেকে যদি না হয় তাহলে নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করা যায়। 
পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমেঃ পেয়ারা প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল। প্রচুর পরিমাণ ল্যাক্সেটিভ উপাদান আছে যা মল নিঃসরণের জন্য রেচক হিসেবে কাজ করে। টাটকা পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।

খেজুর খাওয়াঃ প্রতিদিন সকালে পাঁচ ছয়টি খেজুর অল্প পরিমাণ ঘি ও কালো মরিচের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে সাথে কুসুম কুসুম গরম পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন খেলে হজম প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

মাসকলাইয়ের ডালঃ নিয়মিত মাসকালাইয়ের ডাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়াও মাসকালাইয়ের ডাল ভেজে গুঁড়ো করে ঘোলের সঙ্গে খেলেও উপকার মিলে।

পান পাতাঃ পান পাতার রস হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। সাধারণত খাওয়ার পরে পান পাতার রস খেতে হবে।

ধনে পাতা খাওয়ার মাধ্যমেঃ ধনে পাতায় পর্যাপ্ত ফায়বার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারনে নিয়মিত কাচা ধনিয়া পাতা খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলির স্বাস্থ্য ভাল থাকে ও হজম পক্রিয়া ভাল হয়। যার কারনে কাচা ধনিয়া পাতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

তেজপাতা ব্যবহারঃ খাবারের তরকারির সঙ্গে তেজপাতা ব্যবহার করলে হজম সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও তেজপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে নিয়ম তেজপাতা সহযোগে চা তৈরি করতে হবে। তেজপাতা চা খেলে হজম প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

লাউ ও লাউ পাতাঃ লাউ ও লাউ পাতা খাওয়ার মাধ্যমে ইহার শরীরের রেচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লাউপাতা চাটনি করে খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়। এছাড়া লাউ সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লাউ ও লাউ পাতা খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম

কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় কি বিষয় জানার প্রয়োজন। এছাড়া কিছু ব্যায়াম এর মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করা যায়। ব্যায়াম করলে শরীরের শিরা উপশিরা পর্যন্ত রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির কারণে শরীরে ক্লান্তি অবসাদ ও উদ্বেগ দূর হয়ে যায়। হজম প্রক্রিয়া ভাল হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়ে যায়। ব্যায়ামগুলো হল।

বজ্রাসনঃ পেটের রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রে এই ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ব্যায়ামের কারণে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এক্ষেত্রে উপুর হয়ে শুয়ে পড়তে হবে।

শোয়া অবস্থায় দুই হাতের উপর ভর রেখে বক্ষ ও মাথা উঠাতে হবে। মাজা ও পা মাটির সঙ্গেই থাকবে। এভাবে যতদূর পারা যায় মাথা এবং বুক পিছনে হালিয়ে রাখতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রতিবারে তিন চারবার করতে পারেন।

পবনমুক্তাসনঃ রোজ সকালে কিছুক্ষণ এই ব্যায়াম করলে পেটে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। অতঃপর আস্তে আস্তে দুই পায়ের হাঁটু উপরে নিয়ে আসতে হবে।

দুই পায়ের হাঁটুর সঙ্গে কপাল মিলাতে হবে। এভাবে এক থেকে পাঁচ মিনিট থাকতে হবে। প্রতিদিন এই ব্যায়াম করলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হবে।

পেটে ম্যাসেজঃ প্রতিদিন কিছু সময় উপর পেট ও তলপেট আস্তে আস্তে মেসেজ করতে হবে। মেসেজের কারণে পেটের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। ভালো হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়ে যায়।

হাটাহাটিঃ প্রতিদিন নিয়ম মেনে সকালে ৩০ মিনিট করে হাঁটলে শরীরের সকল অঙ্গাণুগুলো সুস্থ থাকে। শরীর পর্যাপ্ত সকালের বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণ করে। যার কারণে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।

আসুন হাঁটাহাঁটি ও কিছু ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের অঙ্গাণুগুলো সুস্থ রাখি। হজম প্রক্রিয়া ভাল রেখে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করি।

কোষ্ঠকাঠিন্যতার লক্ষণ কি

সাধারণত প্রতি সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হলে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্যতা বলব। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যতার কিছু লক্ষণ আছে যা আলোচনা করা হলো।
*পায়খানা অনেক শক্ত এবং শক্ত চাকার মত হবে।
*পায়খানার আকৃতি স্বাভাবিক এর চাইতে অনেক বড় হয়।
*পায়খানা করতে পর্যাপ্ত কষ্ট হয়।
*পায়খানা করার পরেও মনে হয় না পেট পরিষ্কার হয়ে গেছে।
*পেট ব্যথা পেট ফাঁপা বমি বমি ভাব এবং পেটে পর্যাপ্ত গ্যাস হয়।
*কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণে পায়খানায় রক্ত যেতে পারে।
*কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণে মলাশয় ও কোলনে যন্ত্রণা হতে পারে।
*শরীর দুর্বল এবং কোন কাজে মন বসে না।
*অন্ত্রে প্রদাহ হতে পারে।
*অন্ত্র ফুলে যেতে পারে।
*পাইলস ও ফিসার এর মত সমস্যা হতে পারে।

এগুলো লক্ষণ হলে বুঝতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সঙ্গে সঙ্গে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা থেকে বাঁচা যায়। আজকের বিষয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি।

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণ

*সাধারণত ব্যবহারিক জীবনে কিছু অনিয়মের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা হয়।
*ফাইবারে যুক্ত খাবার না খাওয়া।
*পানি কম খাওয়া।
*অলস জীবনযাপন।
*পায়খানা চেপে রাখা।
*মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা।
*ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
*প্রোটিন যুক্ত লাল মাংস খাওয়া।

ফাইবারযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ ফাইবার জাতীয় খাবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতাব বৃদ্ধি পায়। ফাইবারের অভাবে হজম প্রক্রিয়া খারাপ হয় এছাড়া মলে পানির পরিমাণ কম থাকে মল শক্ত হয়। যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

পানি কম খাওয়াঃ পানির পরিমাণ কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা শুরু হয়। পর্যাপ্ত পানি না খেলে পাকস্থলী হতে বর্জ্য পদার্থ শক্ত হয়। এছাড়া পানির অভাবে বৃহদন্ত ও ক্ষুদ্রান্তে মল যাতায়াত করার সময় ভালোভাবে যেতে পারে না। মলে পানির পরিমাণ কম হওয়ার কারণে অনেক শক্ত হয়। শক্ত মলের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য তা হয়।

অলস জীবন যাপনঃ অলস ভাবে কাটালে অথবা দিন রাতের বেশিরভাগ সময় শুয়ে বসে কাটালে শরীরে হজম প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও মল অনেক শক্ত হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়।

পায়খানা চেপে রাখাঃ পায়খানার বেগ হওয়ার পরে পায়খানা চেপে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা হয়। পায়খানা চেপে রাখার কারণে মলাশয় এর পায়খানা থেকে পানি শোষিত হয়। যার কারনে মালগুলো অনেক শক্ত হয়। আর শক্ত মল হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা হয়।

মানসিক চাপ ও বিষন্নতাঃ যারা মানসিক চাপ উদ্বিগ্ন বিষন্নতায় ভোগেন তাদের শরীরে শরীরবৃত্তীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটে। যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দেখা দিতে পারে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ ওষুধ আছে যা খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা তৈরি হয়। যেমন আইবু প্রোফেন, আয়রন ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট, কেমো থেরাপিতে ব্যবহৃত ওষুধ।
এই ওষুধগুলি ব্যবহারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রোটিন যুক্ত লাল মাংস খাওয়াঃ সাধারনত লাল মাংস যেমন গরু খাশি মহিস ইত্যাদি মাংস বেশী খেলে পায়খানা কসা হয়। যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

দুধ খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়

দুধ খেলে কোষ্ট কাঠিন্যতা দূর হয়। সেই ক্ষেত্রে পাতলা দুধের চাইতে ঘন গাড়ো দুধ হতে হবে। কুসুম কুসুম ঘন গাড়ো দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এ ছাড়াও দুধ দিয়ে খাবার তৈরির মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। নিয়ম হলো এক গ্লাস দুধে দুই তিন কোয়া রসুন মিশ্রিত করতে হবে।

রসুন সহ দুধ ভালো করে ফোটাতে হবে। অতঃপর আধা চামচ হলুদ দিতে হবে। সকল মিশ্রণ কুসুম কুসুম গরম হলে খেয়ে নিতে হবে। এভাবে খেলে পাকস্থলীর হজমশক্তি বৃদ্ধি হবে। হজম প্রক্রিয়ার তাড়াতাড়ি হবে। মল নরম হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতার দূর হবে।

এছাড়াও এক গ্লাস গরম দুধে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি দুই চামচ তোকমা দানা মিশ্রিত করতে হবে। এই মিশ্রন কুসুম কুসুম গরম হলে খেয়ে নিতে হবে। তাহলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হবে এবং মল নরম হবে।

যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং পেট ক্লিয়ার হবে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রাতে শোয়ার সময় কুসুম কুসুম ঘন গরম দুধে কিছু পরিমাণ ঘি মিশিয়ে খেলে হজম ত্বরান্বিত হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা ভালো হয়। এছাড়াও পেট ক্লিয়ার হয়।

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগণ কোষ্টকাঠিন্য হলে আমাদের মানসিক অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়। পেট ক্লিয়ার না হওয়ার জন্য হজমসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি। কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণ ব্যায়াম এর মাধ্যমে কোষ্ঠকঠিন্যতা ভাল করা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যতার লক্ষণ ও কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণ।

দুধ খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এগুলো বিষয় এই কনটেন্টটিতে গুগল ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে লেখা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে এই কনটেন্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আশা করি আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। কনটেন্টি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url