আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত শুকানোর ঔষধের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় পুড়ে গেলে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা প্রয়োজন। পুড়ে যাওয়া সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেল আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়। পুড়া হলো ত্বক বা অন্যান্য টিস্যু তাপ, ঠান্ডা, তড়িৎ, রাসায়নিক, ঘর্ষণ দ্বারা তৈরি এক ধরনের আঘাত। তবে আগুনের সংস্পর্শে, গরম তেলের সংস্পর্শে, বা গরম পানি সংস্পর্শে এসে সবচেয়ে বেশি পুড়ে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে রান্নার সময় বিভিন্ন রকম দুর্ঘটনার কারণে তাদের হাত বা ত্বক অনেক বেশি পুড়ে।
আর ও পড়ুনঃ কাদাকনাথ মুরগি কোথায় পাওয়া যায়
আগুনে পুড়ে গেলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে পুড়ার ধরন ও বিভিন্ন লক্ষণের উপর নির্ভর করে। সাধারণত হালকা ত্বক পুড়লে বাসায় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা যায়। অপরপক্ষে দুর্ঘটনার কারণে আগুনে পুড়ে গভীর ক্ষত তৈরি, বা কণ্ঠনালী পুড়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়ার করনীয় সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
হাতে গরম ছ্যাকা লাগলে করণীয়
আজকের আর্টিকেল আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়। আগুন বা অন্য কোন গরম বস্তুুর সংস্পর্শে আসলে যে কোন দুর্ঘটনা হতে পারে। বিশেষ করে গরম পানির বাস্পো হাতের সংস্পর্শে আসলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মোটরসাইকেল চালানোর সময় সাইলেন্সারের ছ্যাকা লাগলে, বনভোজনে যাওয়ার পরে আনন্দঘন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
সেজন্য যাতে কোনরকম দুর্ঘটনা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ধীরস্থির ভাবে কাজ করতে হবে। জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শরমিন সুমি বলেন ত্বকের কোন অংশ বাষ্প বা গরম বস্তুুর ছ্যাকা লাগলে আক্রান্ত স্থানটি ৩০ মিনিট টিউবওয়েলের পানি প্রবাহ করতে হবে।
যদি টিউবওয়েলের পানি না পাওয়া যায় তাহলে বোতলের পানি দিয়ে ৩০ মিনিট পানি প্রবাহ করতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া গেলে একটি পাত্রে পানি রেখে দুর্ঘটনার স্থানটি ডুবিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিট ধরে। পরবর্তী সময় এক শতাংশ সিলভার সালফাডায়াজিন ক্রিম আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। এই ক্রিম ১২ ঘণ্টা পর পর আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।
সেক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে থেকে ক্রিম মুছে গেলে বা ধুয়ে গেলে পুনরায় সেখানে ক্রিম লাগিয়ে রাখতে হবে। ক্ষতস্থানে ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এভাবে আস্তে আস্তে আক্রান্ত আক্রান্ত স্থান সুস্থ হয়ে যাবে। তবে ছেকার স্থানটি গভীর হলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
যদি শ্বাসনালীতে ধোয়া ঢুকে, শ্বাসনালীর কোন অংশ পুড়ে যায়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় ক্ষতস্থান ফুলে যায় সে ক্ষেত্রে ফুলা জায়গাটি একটু উঁচু জায়গায় রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তি শিশু, বযয়োজ্যেষ্ঠ বা গর্ভবতী নারী হলে ছ্যাকার অবস্থা যাই হোক না কেন দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়
অনেক সময় রান্না করতে যেয়ে গরম কিছু ধরার ফলে বা আগুনের সংস্পর্শে আসলে পুড়ে যেয়ে ফোসকা পড়ে যেতে পারে। ফোসকা পড়ে যাওয়ার ফলে অত্যান্ত বেশি জ্বালা যন্ত্রণা করে। আগুনে পুড়ে যেয়ে ফোসকা পড়লে অনেক সময় ঘরোয়া কিছু চিকিৎসার মাধ্যমে জ্বালা যন্ত্রণা সারিয়ে তোলা যায়। আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় বিষয় আলোচনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ বাচ্চাদের গুড়া কৃমি দূর করার উপায়
টি ব্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমেঃ পুড়ার ক্ষত নিরাময় করতে টি ব্যাগ অত্যন্ত কার্যকর। চা পাতায় পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা খুব দ্রুত পুড়া ফোসকার স্থান জ্বালা-যন্ত্রণা দূর করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে টি ব্যাগ ভিজিয়ে পুড়ে যাওয়া ফোসকা ও ক্ষতস্থানের উপর রাখলে ক্ষতস্থানের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে।
মধু ব্যবহারের মাধ্যমেঃ আগুনে পুড়ে গেলে ফোসকা প্রতিরোধে বা ক্ষতস্থানে জ্বালা যন্ত্রণা দূর করতে মধু অত্যন্ত কার্যকর। ত্বকের কোন স্থানে গরম তেলের ছিটা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে মধু ব্যবহার করলে ফোসকা পড়া রোধ হয় এবং জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়। এইজন্য পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মধু ব্যবহার করা অত্যন্ত ভালো।
ভিনেগার ব্যবহারের মাধ্যমেঃ ভিনেগার পুড়া জায়গায় এন্টিসেপটিক এর মত কাজ করে। কোথাও পুড়ে ফোসকা পড়লে, বা ক্ষত হলে, ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশ্রিত করে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ফোসকা বা ক্ষতস্থানে ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ভিনেগার ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত জ্বালা যন্ত্রণা দূর হবে। এছাড়া ক্ষতস্থানের ঘা শুকাতে ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকর
রোদে ত্বক পুড়ে গেলে করণীয়
আজকের আর্টিকেল আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়। তাপদাহ হওয়ার সময় কাজের জন্য বাহিরে বের হলে শরীর তাপের সংস্পর্শে আসে। যার কারণে পর্যাপ্ত তাপদাহে বাহির হওয়ার সময় শরীরে জেল, ক্রিম, পাউডার, বা সানস্ক্রিন, ব্যবহার করে বাহির হওয়া দরকার।
এরপরেও পর্যাপ্ত তাপদাহে শরীর পুড়ে কালো হয়ে যায় ত্বকের লাবণ্যতা দূর হয়। শরীরের ত্বক পড়ে গেলে কিছু ঘরোয়া উপায় পুনরায় ত্বকের লাবণ্যতা ফিরে আনা যায়। রোদে ত্বক পুড়ে গেলে করণীয় ব্যাপারে আলোচনা করা হলো।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমেঃ অ্যালোভেরার পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট, আন্টি ব্যাকটেরিয়াল, উপাদান ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। ত্বকের পুড়া কালো দাগ দূর করতে এলোভেরা অত্যন্ত কার্যকর। এক্ষেত্রে নিয়ম হল অ্যালোভেরা দিয়ে আইসকিউব তৈরি করে নিয়মিত ত্বকের কালো জায়গায় ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে ত্বকের উজ্জ্বলতা য়েফিরে আসবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের মাধ্যমেঃ রোদের তাপে ত্বক পুড়ে গেলে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের মাধ্যমে পুনরায় ত্বকের লাবণ্যতা ফিরে আসে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর সঙ্গে কিছু পানি মিশ্রিত করে একটি তোয়ালে দিয়ে উক্ত পানি শরীরের কালো জায়গা গুলো ত্বকে ভালো করে মেসেজ করতে হবে।
এভাবে কিছুদিন মেসেজ করার ফলে ত্বকের লাবণ্যতা ফিরে আসবে। এছাড়া উক্ত পানি মিশ্রিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার শরীরের ত্বকের কালো জায়গায় স্প্রে করা যেতে পারে।
মধু ব্যবহারের মাধ্যমেঃ মধুতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পুড়ে যাওয়া ত্বক পুনর্নির্মাণে অত্যন্ত কার্যকর। ত্বকে মধু ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত কোষগুলো অপসারিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হল মুখ অথবা ত্বকের কালো জায়গাতে মধুর লাগাতে হবে।
এর পরে উক্ত জায়গাটি গজের কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের লাবণ্যতা ফিরে আসবে।
কালো চা ব্যবহারের মাধ্যমেঃ কালো চায় পর্যাপ্ত ট্যানিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য রক্ষা করে ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো ট্রি ব্যাগ পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করতে হবে। ঠান্ডা টি ব্যাগ শরীরের পোড়া কালো দাগের উপর চেপে ধরে লাগাতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের লাবণ্যতা ফিরে আসবে।
গোল আলুর রস ব্যবহারঃ গোল আলুতে পর্যাপ্ত অ্যামাইনো এসিড ও ব্লিচিং উপাদান রয়েছে। ত্বকে রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের কালো জায়গায় আলুর রস ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আলু পাতলা করে কেটে ত্বকের কালো জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়ে ত্বকের লাবণ্যতা ফিরে আসবে।
চালের আটা টমেটো ও চিনির ফেসপ্যাক ব্যবহারঃ টমেটোতে পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে। এই ক্ষেত্রে টমেটো আটা চিনি একত্রে মিলে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই ফেসপ্যাক রোদে পুড়া কালো ত্বকের উপর ব্যবহার করতে হবে। এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এছাড়া ত্বকের মরাকোষ অপসারিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি হবে।
চিনি গ্লিসারিন ও লেবুর ফেসপ্যাক ব্যবহারঃ এক টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে আধা চা চামচ গ্লিসারিন ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই ফেসপ্যাক ত্বকের কালো জায়গাগুলোতে ভালো করে স্ক্রাব করতে হবে।
এই ফেসপ্যাক ত্বকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহের দুই থেকে তিনবার ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং ত্বকের মরা কোষ অপসারিত হবে।
লেবুর খোসা ও দুধের ফেসপ্যাক ব্যবহারঃ পাতিলেবু বা কমলালেবুর খোসা ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের পুড়া কালো দাগ দূর করা যায়। এক্ষেত্রে লেবুর খোসা গুড়া করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ লেবুর খোসার গুড়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
এই পেস্ট ত্বকের কাল জায়গায় ব্যবহার করে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের মরা কোষ রিমুভ হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।
কলা লেবু ও দুধের ফেসপ্যাক ব্যবহারঃ একটি পাকা কলার অর্ধেক ভালো করে চটকিয়ে নিতে হবে। কলার সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ দুধ মিশ্রিত করে পেস্ট করতে হবে। এই পেষ্ট ত্বকের কালো দাগের জায়গাগুলোতে ব্যবহার করে 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বকের মৃত কোষ রিমুভ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
দই ও মধুর ফেস প্যাক ব্যবহারঃ এক টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণ ত্বকের পুড়া কালো জায়গায় ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। ত্বকে ভালো করে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ফেস প্যাক একদিন পরপর ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ রিমুভ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল ও মূলায়েম হয়।
শসা ও লেবুর ফেসপ্যাক ব্যবহারঃ অর্ধেক শসা ভালো করে ব্লেন্ড করে সেখানে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশ্রিত করতে হবে। এই মিশ্রণ ত্বকের রোদে পুড়া জায়গায় ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের মৃতকোষ রিমুভ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল ও মূলায়েম হবে।
হাতে গরম তেল পড়লে করণীয়
আজকের আর্টিকেল আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়। অনেক সময় রান্না করতে গেলে অসাবধানতা বশত হাতে গরম তেলের ছিটা পড়তে পারে। বিশেষ করে মাছ ভাজতে যেয়ে হাতে গরম তেল পড়তে পারে। হাতে গরম তেল পড়লে কিছু ঘরোয়া জিনিসপত্র ব্যবহারের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা যায়। হাতে গরম তেল পড়লে সারিয়ে তোলার উপায় আলোচনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ বাচ্চাদের মধু খাওয়ানোর ১৫টি উপকারীতা
বরফ ব্যবহারের মাধ্যমেঃ রান্নার সময় হাতে গরম তেল পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বরফ লাগাতে হবে। এছাড়া বরফ না পেলে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। বরফ বা ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পানি ব্যবহারের ফলে গরম তেল পড়া জায়গা ফোসকা অথবা লাল হয়ে ফোলা সমস্যা থেকে দূর হবে।
অ্যালোভেরা ব্যবহার করাঃ অ্যালোভেরায় পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। রাতে গরম তেল লাগলে সঙ্গে সঙ্গে এলোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে ত্বকে ফোসকা পড়া হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
মধু ব্যবহারঃ মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে ত্বকের পুড়া জায়গার জ্বালা যন্ত্রণা দূর করে। হাত বা শরীরের কোন জায়গায় গরম তেল লাগলে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় মধুর প্রলেপ দিতে হবে। মধু ব্যবহারের ফলে ফোসকা পড়া হতে রক্ষা করা যায়।
সরিষার তেল ব্যবহারঃ সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে গরম তেল ত্বকে পুড়লে ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়। এক্ষেত্রে রান্নার সময় হাত অথবা শরীরে কোন জায়গায় গরম তেল পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। সরিষার তেলের ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ত্বকে ফোসকা পড়া দূর হয়।
নারিকেলের তেলের ব্যবহারঃ নারিকেলের তেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্ট্রি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। ত্বক গঠনের নারকেলের তেল অত্যন্ত কার্যকর। রান্নার সময় হাত বা শরীরের কোন জায়গায় গরম তেল লাগলে সঙ্গে সঙ্গে নারকেলের তেলের ব্যবহারের ফলে ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়। এছাড়া ত্বকে ফোসকা পড়া দূর হয়।
টুথপেস্ট ব্যবহারঃ রান্নার সময় বা যেকোনো কারণে গরম তেল হাত অথবা শরীরে কোন জায়গায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। টুথপেস্ট ব্যবহারের ফলে জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয় ও ফোসকা পড়া দূর হয়।
চিনি ব্যবহারের মাধ্যমেঃ হাত অথবা শরীরে কোন জায়গায় গরম তেল পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ভালো করে মুছে চিনি লাগাতে হবে। চিনি লাগানোর ফলে ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়।
গোল আলুর রস ব্যবহারঃ হাতের অথবা শরীরের কোন জায়গায় গরম তেল পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আলুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া আলুর রসের বিপরীত আলু পেস্ট করে লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আলু ব্যবহারের ফলে গরম তেল লাগানোর জায়গা ফুসকা পড়া থেকে দূরে থাকে।
টি ব্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমেঃ শরীর অথবা হাতের কোন জায়গায় গরম তেলের ছ্যাকা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে টি ব্যাগ ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। টি ব্যাগে ট্যানিক অ্যাসিড গরম তেল পড়ার জায়গাতে ফোসকা দূর করবে। এছাড়া জ্বালা যন্ত্রণা খুব তাড়াতাড়ি দূর হবে।
হলুদ ব্যবহারের মাধ্যমেঃ হলুদ অত্যন্ত উপকারী মসলা যাতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। হাত বা শরীরের কোথাও গরম তেল পড়লে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে হলুদের গুড়া ব্যবহার করা যেতে পারে। হলুদের গুড়া ব্যবহারে করে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। হলুদ ব্যবহারের ফলে ত্বকের ফোস্কা পড়া হতে দূর হয়।
লেখক এর মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শেষ করলাম। আগুনে পুড়লে বা গরম তেলে পুড়লে ত্বকে অত্যন্ত জ্বালা যন্ত্রণা করে। এছাড়া আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে হালকা বা গভীর ক্ষত তৈরি হয়। এছাড়া আজকের আর্টিকেলে অত্যন্ত তাপদাহে কালো হয়ে পুড়ে গেলে আমাদের করণীয় বিষয় আলোচনা করা হলো।
আজকের আর্টিকেলে পুড়া সংক্রান্ত যাবতীয় দুর্ঘটনা হলে করণীয় বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল গুগল সহ বিভিন্ন সাময়িকী থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url