আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার
সুপ্রিয় পাঠকগণ আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। এছাড়াও আরো আলোচনা করা হবে আয়োডিনের অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়। আয়োডিনের অভাবজনিত রোগের লক্ষণ। আয়োডিনের অভাবে কি রোগ হয়।
আয়োডিন জাতীয় খাবার কি কি। কোন বয়সে কি পরিমান আয়োডিনের প্রয়োজন হয়। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আয়োডিন আমাদের দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। আয়োডিনের চাহিদা পূরণ করার মাধ্যমে আমরা সুস্থ ও সুন্দর জীবন পেতে পারি। অথচ আয়োডিনের অভাবে আমাদের জীবনে অনেক অসুস্থতায় নেমে আসে। গর্ভবতী মায়েদের আয়োডিনের অভাব হলে মৃত সন্তান প্রসব হয়।
আর ও পড়ুনঃপেঁয়াজ খাওয়ার ১৫টি সাস্থ্য উপকারিতা
গলগন্ড রোগের মত সমস্যা আয়োডিনের অভাবে হয়। এইজন্য আমরা প্রতিদিন আয়োডিন জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এগুলো রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। আজকেরে বিষয় আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার।
আয়োডিনের অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়
শিশুদের শরীরের পরিমাণ মত আয়োডিন প্রয়োজন। শিশুদের আয়োডিনের ঘাটতি হলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। আজকের বিষয় আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার। আয়োডিনের অভাবে শিশুদের কি কি রোগ হয় তা আলোচনা করা হল।
হাইপোথাইরয়ডিজমঃ শিশুদের আয়োডিনের অভাবে শরীরে পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হতে পারে না। যার কারণে শিশুরা হাইপোথাইরয়ডিজম রোগে ভোগেন। এই রোগের কারণে শরীরে সব সময় অলসভাব থাকে। ঠান্ডা সহ্য করার অক্ষমতা, অনিদ্রা, ত্বক শুষ্ক ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
গলগন্ডঃ শরীরে আয়োডিন ঘাটতি এর প্রাথমিক ও দৃশ্যমান লক্ষণ গলগন্ড রোগ হওয়া। অর্থাৎ আমাদের গলায় যে থাইরয়েড গ্রন্থি আছে সেটি ফুলে যায়। যার কারণে গলগন্ড রোগ হয়। আর আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হতে পারে না বলেই গলগন্ড রোগ হয়।
আয়োডিন এর অভাবের পরেও থাইরয়েড গ্রন্থি বহু চেষ্টা করে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করার চেষ্টা করে। থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়।
প্রজনন সমস্যাঃ গর্ভকালীন মায়েদের আয়োডিনের অভাব হলে গর্ভস্থ শিশু মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত স্বাভাবিক আয়োডিন এর চাহিদার চাইতে গর্ভাবস্থায় শতকরা ৫০ ভাগ বেশি আয়োডিনের প্রয়োজন হয়। গর্ভস্থ ভ্রুন ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহ পূর্ণ হলে তার নিজস্বভাবে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করতে হয়।
১৮ থেকে ২০ সপ্তাহ পুরন থেকে তিন বছর পর্যন্ত শিশু ও মায়ের আয়য়োডিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আয়োডিনের অভাব হলে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি সহ বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। আয়োডিনের অভাব বেশি দেখা দিলে গর্ভপাত ঘটতে পারে। এছাড়াও মৃত সন্তান প্রসব, ও অপরিণত শিশুর জন্ম হতে পারে।
সন্তান বেঁচে থাকলেও জন্মগত নানা সমস্যায় ভোগে। মায়ের আয়োডিনের অভাবের ফলে সন্তান হাবাগোবা হয়, ভালো কথা বলতে পারে না, বোবা হয়, কানে কম শুনে, শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ও বামন আকৃতি হয়।
শিশু মৃত্যুঃ আয়োডিন এর অভাবে শিশুরা অন্যান্য শিশুদের চাইতে অত্যাধিক রোগাক্রান্ত ও অপুষ্টি জনিত সমস্যায় ভোগেন। আয়োডিনের অভাবগ্রস্ত শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। যার কারণে এগুলো শিশুরা আস্তে আস্তে দুর্বলতায় ভোগেন এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েন।
এইজন্য নিয়মিত শিশুদেরকে আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। গর্ভবতী মায়েদেরকে নিয়মিত নিয়মমাফিক আয়োডিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করার দরকার। নিয়মিত আয়োডিনের অভাব পূরণ করলে শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে গড়ে উঠবে।
আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার
আয়োডিনের অভাবে আমাদের শরীরে অনেক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়। যার কারনে আমাদেরকে আয়োডিন জাতীয় খাবার খেয়ে আয়োডিনের অভাব দূর করা প্রয়োজন। আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার করার প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রক্রিয়া জাত খাবার গুলো এড়িয়ে চলুনঃ শরীরে আয়োডিনের অভাব থাকলে প্রক্রিয়াজতকৃত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারগুলো থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা প্রদান করে। সব ধরনের প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার বন্ধ করতে হবে।
বিশেষ করে যেগুলো খাবারের চিনি তেল ও লবনের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো অতি তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হবে। এগুলো খাবার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।
ক্রসিফেরি সবজি বাদ দিতে হবেঃ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ফুলকপি বাঁধাকপি ব্রকলি পালং শাক ইত্যাদি খাবার বাদ দিতে হবে। এগুলো শাকসবজিতে গয়ট্রোজেন থাকে যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়। এগুলো সবজি খাওয়ার ফলে হাইপারথাইরয়েডিজমকে আরো বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে ফুলকপি বাঁধাকপি ব্রকলি পালং শাক ইত্যাদি শাকসবজি না খাওয়াই ভালো।
সোয়া পণ্য এড়িয়ে চলুনঃ সোয়া জাতীয় সকল পণ্য খাওয়া বন্ধ করতে হবে কারণ এগুলো খাবার থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা প্রদান করে। এইজন্যে সয়াবিন, সয়ার দুধ টফুর মত খাবার কমিয়ে দেওয়া ভালো। যদি পারা যায় তাহলে এগুলো খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
ধূমপান বন্ধ করতে হবেঃ ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। ধূমপানের সময় নির্গত টক্সিন থাইরয়েড গ্রন্থিকে সংবেদনশীল করে। যার জন্য থাইরয়েড রোগের সমস্যা বেড়ে যায়।
মানসিক চাপ কমাতে হবেঃ থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দেওয়ার জন্য মানসিক চাপ অত্যাধিক ভূমিকা পালন করে। মানসিক চাপ থাকলে নিয়মিত ঘুম হয় না এছাড়াও সবসময়ই মানসিক দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় যা থাইরয়েড রোগকে বৃদ্ধির দিকে ধাবিত করে। যার কারণে নিয়মিত ব্যায়াম যথেষ্ট হাঁটা চলাফেরা ও বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
সাধারণত হালকা আয়োডিনের অভাবে কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার বেড়ে যায় তখন সেই অভাবের জন্য মারাত্মক রোগের আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে সেটা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে যার দ্বারা মৃত্যুর দিকে পর্যন্ত ধাবিত হতে হয়। তাই আয়োডিনের অভাব থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা পূরণ করে এগুলো রোগ থেকে বাঁচার প্রয়োজন।
আয়োডিনের অভাবজনিত রোগের লক্ষণ
আয়োডিনের অভাবজনিত ব্যাক্তিদের বিভিন্ন সমস্যা হয়। এছাড়াও আয়োডিনের অভাবে বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। তার কারণে মনে হয় সব সময় অসুস্থ হয়ে আছে। আয়োডিনের অভাবজনিত রোগের লক্ষণগুলো আলোচনা করা হলো।
*হাতের আঙ্গুলের নখ গুলো ভেঙ্গে যায় এবং তার সঙ্গে চুল পাতলা ও অমসৃণ মনে হয়।
*চোখ দেখতে ফোলা ভাব হয় এবং তার সঙ্গে চোখ সুস্ক ও বিবর্ণ ত্বক হয়।
*শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় বেশি ও সন্ধিতে ব্যথা হয় কথার গতিধীর ও শ্রবণশক্তি কমে যায়।
*থাইরয়েড, স্তন, প্রস্টেট ও অন্যান্য প্রজননতন্ত্রের সমস্যা হয় এছাড়াও স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
*থাইরয়েড গ্রন্থিতে হরমোন নিঃসরণ না হওয়ার কারণে গলায় ফোলা ভাব, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও ঢোক গিলতে সমস্যা হয়।
*হাইপোথাইরোডিজম, ওজনবৃদ্ধি, অবসাদ, শুষ্ক ত্বক, বিষন্নতা, চেহারা মলিন, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
*গর্ভাবস্থায় আয়োডিনের সমস্যা হলে গর্ভস্রাব, মৃত সন্তান প্রসব, অকাল সন্তান জন্মদান, শিশুর জন্মগত ত্রুটি, শিশু খাটো হওয়া, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
আয়োডিন এর অভাবে কি রোগ হয়
আয়োজনের অভাবের কারণে শরীরে বিভিন্ন রোগে বাসা বাধে। যার কারণে আমাদেরকে নিয়মিত আয়োডিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আজকের বিষয় আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার। অভাবে যেগুলো রোগ হয়ে থাকে তার বর্ণনা।
অবসন্নতা তৈরি হওয়াঃ শরীরে আয়োডিনের অভাব হলে অবসন্নতা তৈরি হয়। বারবার আয়োডিনের অভাব হলে এবং অবসন্নতা তৈরি হলে সেটা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় বাহির করতে হবে। আয়োডিনের অভাবে বারবার অবসন্নতা তৈরি হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ আয়োডিনের অভাবে দেহের সকল কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এছাড়া আয়োডিনের অভাবে হজমের সমস্যা হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা হয়। এই সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদী হলে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে।
থাইরয়েড বড় হয়ে যাওয়াঃ শরীরে আয়োডিন ঘাটতি এর প্রাথমিক ও দৃশ্যমান লক্ষণ গলগন্ড রোগ হওয়া। অর্থাৎ আমাদের গলায় যে থাইরয়েড গ্রন্থি আছে সেটি ফুলে যায়। যার কারণে গলগন্ড রোগ হয়।
আর আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হতে পারে না বলেই গলগন্ড রোগ হয়। আয়োডিন এর অভাবের পরেও থাইরয়েড গ্রন্থি বহু চেষ্টা করে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করার। থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়।
আবেগের ভারসাম্য থাকে নাঃ আয়োডিনের অভাব হলে আবেগের ভারসাম্য থাকেনা। মানসিক চাপ বিষন্নতা উদ্যোগ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও অনিদ্রা বেড়ে যায়। শরীর ও মন সবসময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়ঃ আয়রনের অভাবের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সব সময় রোগাক্রান্ত ও হতাশাগ্রস্থ দেখা যায়। এছাড়াও সর্দি-কাশি ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পায়।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে শরীর ও মন নিস্তেজ হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।
স্থূলতা বৃদ্ধি পায়ঃ আয়োডিনের অভাবের কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। ওজন কমানোর জন্য অনেক পরিশ্রম ব্যায়াম অথবা ডায়েট পালন করার পরেও ওজন বৃদ্ধি হয়। এইভাবে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার প্রক্রিয়া থাকলে ধারণা করতে হবে আয়োডিনের অভাব রয়েছে। সেজন্য শরীরে আয়োজনের পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
আয়োডিন জাতীয় খাবার কি কি
শরীর সুস্থ এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আয়োডিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত আয়োডিন জাতীয় খাবার খেলে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ হবে এবং সকল রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে। আয়োডিনযুক্ত খাবারগুলোর বর্ণনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ
ফল ও ফলের রসঃ থাইরয়েড থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ফল ও ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। সাধারণত ডায়েটে রাখতে হবে ডালিম, আপেল, কলা, কমলা, আঙ্গুর, তরমুজ, এর মত ফল। এছাড়াও এগুলো ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। এগুলো ফলে পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
দুগ্ধজাত খাবারঃ নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবার খেলে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হয়। এছাড়া দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ, ও ক্যালসিয়াম জাতীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এজন্য দুধ, ফুল ক্রিম, লো ফ্যাট দুধ, দই, মাখন, পনির, ক্রিম ইত্যাদি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
সামুদ্রিক খাবার খাওয়া প্রয়োজনঃ থাইরয়েড প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত সামুদ্রিক জাতীয় খাবার ডায়েটে রাখা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, ইলিশ, টোনা, ইত্যাদি মাছ খাওয়া যায় যাহাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য সামুদ্রিক শৈবাল খাওয়া যেতে পারে।
আয়রন ও কপার জাতীয় খাবারঃ থাইরয়েডজনিত সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আয়রন ও কপার জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূলে পর্যাপ্ত আয়রন ও কপার রয়েছে।পালং শাক, ফলমূল, ব্রকলি, সেলফিশ, লাল মাংস, কুমড়ো বীজ, বাদাম, কাজু, সূর্যমুখী বীজ, ইত্যাদি খেতে পারেন।
ডিম খাওয়াঃ ডিম আয়োডিনের একটি আদর্শ উৎস। একটি সিদ্ধ ডিমের ১২ মাইক্রগ্রাম আয়োডিন রয়েছে। নিয়মিত ডিম খেলে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হয়।
হিমালয় সল্টঃ হিমালয় সল্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়োডিন রয়েছে। সাধারণ আমাদের দেশীয় যে লবণ তার চাইতে অনেক বেশি হিমালয় সল্টে আয়োডিন রয়েছে। ২৫০ গ্রাম হিমালয় সল্টে ০.৫ গ্রাম আয়োডিন রয়েছে।
আলুঃ আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়োডিন রয়েছে। সিদ্ধ আলুতে আয়োডিন সহ শর্করাও থাকে। একটি মাঝারি ধরনের আলুতে ৬০ মাইক্রগ্রাম আয়োডিন রয়েছে।
পাউরুটিঃ নিয়মিত পাউরুটি খেয়ে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ করা যায়। ২ পিস মাঝারি পাউরুটিতে প্রায় ৪৫ মাইক্রগ্রাম আয়োডিন থাকে।
আয়োডিনের চাহিদা
আমাদের বিভিন্ন বয়সের লোকদের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ আয়োডিনের চাহিদা রয়েছে। বয়স অনুযায়ী আয়োজনের চাহিদা গুলো আলোচনা করা হলো।
লেখক এর মন্তব্য
আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে শুরু করলাম। আয়োডিনের অভাবে কি কি রোগ হয় সে বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে ভালো হবে বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতির জন্য কি কি সমস্যা হয় তাও আলোচনা করা হয়েছে।
আজকের এই বিষয়গুলো গুগল সহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। গুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিজিট করুন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url