জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা

জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। এছাড়াও আরো লেখা হবে চোখ উঠা কি ছোয়াচে। চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবেনা। চোখ ওঠার কারণ। চোখ ওঠার লক্ষণ।
চোখ ওঠার সমস্যায় যেসব খাবার উপকারী। বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের জানা প্রয়োজন। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলের বিষয় জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা। গ্রীষ্মকালে যখন বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকে তখন ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া এর আক্রান্তের কারণে চোখ উঠার সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়াও অনেকের এলার্জির কারণে চোখ উঠার সমস্যা তৈরি হয়।
চোখ ওঠার কারণে অনেক অস্বস্তি তৈরি হয়। তবে চোখ ওঠার পরে ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অধিকাংশই ভালো হয়ে যায়। দুই একটি চোখ উঠা ভালো না হলে চিকিৎসকগণের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও চোখ উঠলে ভালো যত্ন করলে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।

চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে

আজকের আর্টিকেলের বিষয় জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা। বসন্ত কালে তাপমাত্রা, বাতাসের আদ্রতা, ইত্যাদি পরিবর্তন হয়। এছাড়াও শুষ্ক বাতাসে পাতা ঝরা ও ফুলের রেনু ঝরা ইত্যাদি ঘটে। এই সময় চোখে কিছু এলার্জির গঠিত সমস্যা দেখা দেয়। এই ক্ষেত্রে চোখ লাল হয়। 

চোখের কোনায় পুজ তৈরি হয়। চোখের জ্বালা যন্ত্রণা করে। এই লক্ষণগুলিকে বলা হয় চোখ উঠা। এই রোগটি ভাইরাস জনিত। ভাইরাস এর আক্রান্তের কারণে চোখ উঠার সমস্যা হয়। ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এই রোগটি সংক্রামক রোগ। 

সাধারণত যেগুলো ব্যক্তিদের চোখ ওঠে তাদের রুমাল অথবা শোয়ার বালিশ এর দ্বারা অন্যদের সংক্রামণ হতে পারে। আমেরিকান একাডেমি অব অপথ্যালমোলজি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছেন জীবাণু আলোকরশ্মির সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছাতে পারেনা। এই রোগের ভাইরাস সর্দি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। 

আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল তোয়ালে বালিশ টিস্যু অন্যরা ব্যবহার করলে আক্রান্ত হতে পারে। কনজাংটিভাইটিস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগটি অত্যন্ত ছোয়াচে।

জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ ওঠার সমস্যা হলে থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়। এছাড়াও চোখ উঠার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয় যা ঘরোয়া উপায়ে ভালো করা যায়। জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা।

ভেজা কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কারঃ চোখ ওঠার কারণে চোখের দুই কোনায় বিভিন্ন প্রকার পুজ তৈরি হয় যার কারণে চোখ দিয়ে দেখতে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে কুসুম কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে আলতো করে চোখ পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তবে চোখ জোরে ঘোষা যাবে না।

ঠান্ডা সেক দেওয়াঃ চোখ ওঠার কারনে চোখের চারপাশে প্রদাহ তৈরি হয়। এছাড়াও চোখে প্রদাহের কারণে যন্ত্রনা হয় ও জ্বালাপোড়া ব্যথা তৈরি হয়। প্রদাহ ও ব্যথা কমানোর জন্য ঠান্ডা সেক দেওয়া প্রয়োজন।

ক্ষেত্রে নিয়ম হল তোয়ালে অথবা রুমাল ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রুমাল বা তোয়ালে থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে চোখের উপরে সেক দিতে হবে। তবে দুই চোখে দুটি রুমাল ব্যবহার করা দরকার।

চোখের ড্রপ ব্যবহার করাঃ চোখের স্বস্তি ফিরে আসতে ও চোখের জ্বালা পোড়া দূর করতে চোখের ড্রপ ব্যবহার করা যায়। চোখের জ্বালাপোড়া পানি পড়া ব্যথা ও কাটার অনুভূতির দূর করতে ওটিসি চোখের ড্রপ ব্যবহার করা যায়।

ব্যাথা উপশমকারি ওষুধঃ চোখ উঠা দূর করতে এবং চোখের ব্যথা দূর করতে ওটিসি ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। যেমন আইবুপ্রোফেন প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এলার্জির ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে গোলাপি চোখের লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি দেয়।

চশমা ব্যবহারঃ চশমা ব্যবহারের ফলে চোখের যন্ত্রনা কমে যায়। এইজন্য চোখ উঠলে নিয়মিত চশমা ব্যবহার করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কালো চশমা পরা প্রয়োজন। কালো চশমা পরার কারণে সূর্যের আলো সরাসরি চোখে লাগতে পারেনা তাই চোখের যন্ত্রণা কম হয়।

ব্ল্যাক টি ব্যাগ ব্যবহারঃ ব্ল্যাক টি বা কালো চায়ে থাকা ট্যানিন চোখের চুলকানি ও প্রদাহ কমায়। দুটি ব্ল্যাক টি ব্যাগ নিয়ে এক কাপ চা তৈরি করতে হবে। চা থেকে সরিয়ে ত্রিশ মিনিট ফ্রিজে ঠান্ডা করতে হবে। এরপরে ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের পাতার উপর ১০ মিনিট রাখতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে চার থেকে পাঁচ বার এ পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন।

এভাবে এগুলো প্রক্রিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে চোখ ওঠা দূর করা যায়। এছাড়াও ৭দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চোখ ওঠার সমস্যা দূর হয়।

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবেনা

চোখ ওঠা একটি পরিচিত রোগ। এই রোগকে ডাক্তারি ভাষায় কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। প্রিয় পাঠক আজকের বিষয় জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা। আসুন জেনে নিই চোখ উঠলে কি কি খাবার যায় খাওয়া যাবে না।

ইলিশ মাছঃ ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছের প্রায় ৩১০ গ্রাম ক্যালরি, ২২ গ্রাম প্রোটিন ১৯.৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ইলিশ মাছের তেলে পলি আনস্যাচুরেটেড ওমেগা থ্রি ফ্যাটিঅ্যাসিড ইপিএ ও ডি এইচ এ থাকে যাহা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, আর্থারাইটিস, সহ ব্রেন ডেভেলপমেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।

তবে যাদের ইলিশ মাছ খেলে এলার্জি হয় তাতে ইলিশ মাছ না খাওয়া ভালো। চোখ উঠলে ইলিশ মাছ খেলে চোখের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়।

চিংড়ি মাছঃ চিংড়ি মাছে ট্রপোমাইসিন নামক প্রোটিন আছে যা এলার্জি তৈরি করে। চিংড়ি খেলে যাদের এলার্জি হয় তাদের চিংড়ি খাওয়া বাদ দিতে হবে। চোখ উঠলে চিংড়ি মাছ খাওয়ার ফলে চোখের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়।

পুঁইশাকঃ পুঁইশাক একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি। তবে পুইশাকে পর্যাপ্ত এলার্জি রয়েছে। যাদের পুঁইশাক খেলে এলার্জি বৃদ্ধি হয় তাদের জন্য পুঁইশাক খাওয়া নিষেধ। চোখ উঠলে পুঁই শাক খাওয়ার ফলে চোখের সমস্যা আরো বৃদ্ধি হয়।

বেগুনঃ বেগুন খাওয়ার ফলে এলার্জি বৃদ্ধি হয়। যাদের বেগুন খেলে এলার্জি হয় তাদের বেগুন না খাওয়া ভালো। যাদের চোখ উঠে তাদের সবার জন্য বেগুন খাওয়া নিষেধ।বেগুন খাওয়ার ফলে চোখ ওঠার সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

মিষ্টিঃ মিষ্টি সুস্বাদু খাবার যা খেতে সবাই পছন্দ করে। তবে মিষ্টিতে প্রচুর পরিমাণ এলার্জি রয়েছে। যাদের মিষ্টি খেলে এলার্জি হয় তাদেরকে মিষ্টি না খাওয়া ভালো। চোখ ওঠার সমস্যা হলে মিষ্টি খাওয়ার ফলে চোখের সমস্যা আরও বৃদ্ধি হয়।

কদুঃ কদু অনেক সুস্বাধু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি। রাসূল (সাঃ) কুদু খেতে অনেক পছন্দ করতেন। কুদুতে পর্যাপ্ত এলার্জি রয়েছে। যাদের কদু খেলে এলার্জি হয় তাদের কদু না খাওয়া ভালো। যাদের চোখ ওঠে তাদের জন্য কদু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কদু খেলে চোখ উঠা সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়।

সিমঃ অনেকের সিম খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা বৃদ্ধি হয়। যার কারণে মাথাব্যথা বৃদ্ধি পায়। সিম খেলে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা হয় তাদের জন্য সিম খাওয়া যাবে না। চোখ ওঠার সমস্যা হলে সিম খাওয়ার ফলে চোখ উঠার সমস্যার বৃদ্ধি পায়।

মসুর ডালঃ মসুর ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণ এলার্জি রয়েছে। বাজারে যেগুলো ডাউল পাওয়া যায় এর মধ্যে সবচাইতে বেশি এলার্জি মসুর ডালে রয়েছে। যাদের মসুর ডাল খাওয়ার ফলে এলার্জি হয় তাদের মসুর ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। চোখ ওঠার সমস্যা হলে মসুর ডাল খাওয়ার ফলে চোখ ওঠার সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

মাংস জাতীয় খাবারঃ মাংসের মধ্যে সবচাইতে বেশি এলার্জি রয়েছে গরুর মাংস ও হাঁসের মাংসে। গরু ও হাঁসের মাংস খেলে যাদের অ্যালার্জি হয় তাদের গরু ও হাসের মাংস খাওয়া বাদ দেওয়া প্রয়োজন। এইজন্যে চোখ উঠলে গরু অথবা হাঁসের মাংস খেলে চোখ ওঠার সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

মাছ জাতীয় খাবারঃ সব রকম মাছে কমবেশি এলার্জি থাকে। যাদের মাছ খেলে এলার্জি হয় তাদের মাছ খাওয়া কমানো প্রয়োজন। যাদের চোখ ওঠে তাদের জন্য মাছ খাওয়া নিষেধ। মাছ খাওয়ার ফলে চোখ ওঠার সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়।

প্রিয় পাঠক এইজন্য যেগুলো খাবার খেলে এলার্জি হয় সেগুলো থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে চোখ ওঠা সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়।

চোখ উঠার কারন

গ্রীষ্মকালে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকে সেই সময়ের চোখ ওঠার সমস্যা বেশি হয়। বিশেষ করে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত করার কারণে চোখ উঠার সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়াও এলার্জির কারণে কিছু কিছু চোখ ওঠা সমস্যা তৈরি হয়।
সাধারণত যাদের চোখ উঠে তাদের বিছানা, বালিশ, রুমাল, তোয়ালে, ইত্যাদি অন্য সুস্থ ব্যক্তি ব্যবহারের ফলেও তাদের চোখ ওঠার সমস্যা তৈরি হয়। চোখ ওঠার একটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই আসুন যাদের চোখ উঠবে তাদের সঙ্গে একটু দূরত্ব রেখে চলি।

চোখ ওঠার লক্ষণ

চোখ ওঠার কারণে চোখের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া এর আক্রমণের কারণে চোখ ওঠার সমস্যা তৈরি হয়। চোখ উঠার সমস্যার বিভিন্ন লক্ষণ গুলো বর্ণনা করা হলো।

*চোখ লাল অথবা বাদামি রঙ্গের হয়। এক চোখ আক্রান্ত হওয়ার পরপর উভয় চোখ আক্রান্ত হয়।
*চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং চোখ খচখচ করে।
*চোখের পাতাগুলো ফুলে যায় এবং চোখের ব্যথা হয়।
*চোখ আলো সহ্য করতে পারে না এবং চোখের দুই কোনায় পুজ তৈরি হয়।
*চোখে যন্ত্রণা ও অত্যন্ত বেশি জ্বালাপোড়া হয়।
*ঘুম থেকে ওঠার পরে চোখের পাতা গুলো লেগে যায়।
*যাদের চোখের কর্নিয়ায় আক্রান্ত হয় তাদের চোখ ঝাপসা দেখে।

এগুলো লক্ষণ হলে বোঝা যাবে চোখ ওঠার সমস্যা তৈরি হয়েছে। সাধারণত ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চোখ ওঠা ভালো হয়ে যায়। ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে চোখ উঠা আরো তাড়াতাড়ি ভালো করা যায়।

চোখ ওঠা সমস্যায় যেসব খাবার উপকারী

সাধারণত ভাইরাসের কারণে চোখ ওঠার সমস্যা হয়। চোখ ওঠার সমস্যা হলে চোখে যন্ত্রণা জ্বালাপোড়া ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হয়। আজকের আর্টিকেলের বিষয় জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা। চোখ উঠলে কি কি খাবার খাওয়া উপকারীঃ
বিট লবণঃ চোখ ভালো রাখতে বিট লবণ ভালো কাজ করে। বিশেষজ্ঞগণ বলেন বিট লবণ খাওয়ার মাধ্যমে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। চোখ উঠলে যে কোন খাবারের সঙ্গে বিট লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত বিট লবণ খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

ত্রিফলাঃ তিনটি ফলের মিশ্রণকে ত্রিফলা বলা হয়। তিনটি ফল হল আমলকি হরীতকী ও বহেরা এর সংমিশ্রণ। চোখ ওঠা এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা ত্রিফলা দূর করে। এইজন্যেই চোখ ওঠা সমস্যা হলে ত্রিফলা খাওয়া যায়।

আমলকিঃ আমলকি ভিটামিন সি জাতীয় ফল। আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি হয়। আমলকি খেলে আমলকিতে উপস্থিত ভিটামিন সি দেহের প্রদাহ দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার কারণে আমলকি খেলে চোখ ওঠার মত ভাইরাস দূর হয়।

কিশমিশঃ কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পলিফেনন থাকে। নিয়মিত কিসমিস খেলে শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল দূর হয়। এছাড়াও নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে চোখের মাসল এর উন্নতি হয়। চোখ উঠলে নিয়মিত কিসমিস ভিজিয়ে সেই পানি খেলে উপকার হয়।

মধু ও ঘিঃ মধু ও ঘি খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক পাওয়া মুশকিল। মধু ও ঘি উভয়টি খাওয়া চোখের জন্য অনেক উপকারী। মধুতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেলস আছে যা চোখ ওঠার সমস্যা দূর করে। সেই সঙ্গে ঘি খেলে চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয়।

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে চোখ ওঠার সমস্যা দূর হয়। বাদাম অলিভ অয়েল এ পর্যাপ্ত ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

বিভিন্ন ধরনের ফলঃ বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ও মিনারেলস পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। এইজন্য বিভিন্ন প্রকার ফল যেমন বেদানা, আম, জাম, তরমুজ জাতীয় ফল. চেরি. কাঁচা ও পাকা পেঁপে, চোখের জন্য অনেক ভালো। চোখ উঠলে এই সকল ফল খাওয়া প্রয়োজন।

সবুজ শাকসবজিঃ শাকসবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে চোখ ওঠার সমস্যা দুর হয়। এছাড়াও চোখের বিভিন্ন অঙ্গাণু সুস্থ রাখে।

হিমালয় পিং সল্টঃ পিং সল্ট চোখের জন্য অনেক ভালো। হিমালয় পিং সলটে ৮০টির বেশি মাইক্রো মিনারেলস রয়েছে যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। যার কারণে চোখ উঠার সমস্যা হলে হিমালয় পিং সল্ট বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।

অতএব চোখ ওঠার সমস্যা হলে উপরোক্ত খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া চোখ উঠা দূর করতে উপরোক্ত খাবার গুলো খাওয়া প্রয়োজন।

লেখকের মন্তব্য

জেনে নিন চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলে চোখ ওঠার বিভিন্ন লক্ষণ ও কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলো জানা আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজন।

এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলে গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে এবং উপকৃত হলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url