বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ

প্রিয় পাঠক বৃন্দ বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ বিষয় আজকে আর্টিকেল লিখতে বসলাম। এছাড়াও আরো আলোচনা করা হবে গর্ভাবস্থায় বড়ই খাওয়ার উপকারিতা কি। গর্ভাবস্থায় কয়টি বড়ই খাওয়া যাবে।
টক বরই খাওয়ার উপকারিতা কি। বরই এর পুষ্টিগুণ। বরই পাতার উপকারিতা। এগুলো বিষয়ে ভালোভাবে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ। বরই দক্ষিণ এশিয়ার বহুল প্রচিলত কন্টকিত গাছ। বরই বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই চাষ হয়। বরই উৎপাদনের আদি নিবাস আফ্রিকা মহাদেশ।
বাংলাদেশ-ভারত আফগানিস্তান চীন মালয়েশিয়া অস্ট্রেলিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু দেশে প্রচুর বরই উৎপন্ন হয়। প্রতিটি বরই গাছ ৮০ থেকে ২০০ কেজি পর্যন্ত বরই উৎপন্ন হয়। বড়ই ফলে প্রোটিন শর্করা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এছাড়া বরই ফলে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা কি

গর্ভাবস্থায় বড়ই খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে। বরইতে ভিটামিন, মিনারেলস, বিদ্যমান। বরই খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় শরীরে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়। আজকের বিষয় বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ। গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা।

ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ বরই খাওয়ার ফলে ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।বরইতে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এই কারণে সর্দি কাশির মত সমস্যা দূর হয়ে যায়।

পেটে ব্যথা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন হওয়ার কারণে মাঝে মাঝে পেট ব্যথা করে। বড়ই খেলে সেই পেট ব্যথা ভাল হয়।

দুধকে বিশুদ্ধ করেঃ মায়ের দুধে অনেক সময় অনেক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। বরইতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুধের ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণ করে। এছাড়া দুধ কে বিশুদ্ধ করে যা সন্তানের জন্য অনেক উপকারী।

বমি ভাব দূরঃ গর্ভাবস্থায় মায়েদের বমির সমস্যা হয়। কিছু খেতে পারেনা। তাই দেখা গেছে গর্ভবতী মায়েরা টক বরই খেলে বমির পরিমাণ অনেক কমে যায়। যার কারণে নিয়ম মেনে পরিমান মত বরই খাওয়া প্রয়োজন।

বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ

বরই অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু ফল। বড়ই সাধারণত আমরা খেতে খুবই পছন্দ করি। এছাড়াও বড়ই খাওয়ার বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ বর্ণনা করা হলো।

ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ বরই খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বরইতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। নিয়মিত বড়ই খেলে ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কারনে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের প্রদাহ দূর করে। যার কারনে সর্দি-কাশি জ্বর ইত্যাদি হয় না।

হার্ট ভালো রাখেঃ নিয়মিত বড়ই খেলে হার্টেএর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও বরইতে পলিফেনোলস রয়েছে যা কার্ডিওভাসকুলার এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ নিয়মিত বরই খেলে বরইয়ে উপস্থিত ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালনকে বৃদ্ধি করে। পটাশিয়াম রক্তনালীকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়া ভিটামিন সি রক্তনালীর প্রদাহ কমায় যার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমেঃ বরই খেলে বরইয়ে উপস্থিত ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম এর কারনে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি হয়। ভিটামিন সি রক্তনালীর প্রদাহ কমানোর জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ক্যান্সার হতে রক্ষা করেঃ বরইতে রয়েছে ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ, ও লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। এজন্য বরই কে অ্যান্টিক্যানসার ফল বলা হয়।

যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ নিয়মিত বরই খেলে যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। বরইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যাহা যকৃতের প্রদাহ কমায় এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার কারণে যকৃতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয়।

হজমের সহায়তা করেঃ নিয়মিত বরই খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। বরইয়ে কিছু এনজাইম রয়েছে যাহা পরিপাকে সহায়তা করে। যার কারণে ভরা পেটেও বরই খেলে খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়।

মানসিক চাপ কমায়ঃ বরইয়ে কিছু উপাদান রয়েছে যাহা মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা অবসাদ এগুলো দূর করে। দেহ ও মনকে ভালো রাখার ক্ষমতা বরইতে আছে।

ব্রেইনকে সচল করেঃ বরই এর অত্যাধিক পরিমাণ পলিফেনন পদার্থ রয়েছে যা ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে দেহের কগনিটিভ ফাংশান এর উন্নতি করে।

বরই মুখের রুচি বৃদ্ধি করেঃ বরই এর আচার মুখরোচক খাবার। প্রতিদিন বরই এর আচার খাওয়ার ফলে মুখের রুচি বৃদ্ধি হয়। যার কারণে বিভিন্ন খাবারে স্বাদ পাওয়া যায়।

হাড় ও পেশির সুরক্ষা দেয়ঃ বরইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যাহা হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। জয়েন্টের ব্যথা ও পেসির ব্যথা দূর করে।

অনিদ্রা দূর করেঃ নিয়মিত বড়ই খাওয়ার ফলে ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। বরইয়ে কিছু উপাদান রয়েছে যা খাওয়ার ফলে ব্রেইনকে ঠান্ডা রাখে ফলে ভালো ঘুমা হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূরঃ নিয়মিত বরই খাওয়ার ফলে পেট পরিষ্কার হয়। এছাড়াও বরই যেহেতু ফাইবার জাতীয় খাদ্য তাই বরই খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গাণু ভালো রাখে। যার কারণে পায়খানা ক্লিয়ার হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা থাকে না।

কর্মসংস্থানঃ বরই বাগান তৈরি করার ফলে কিছু লোকের কর্মসংস্থান হয়। বরই গাছ লাগানো থেকে বরই উৎপন্ন করা পর্যন্ত বহু লোকের উক্ত বরই বাগানে কর্মসংস্থান হয়।

অর্থ উপার্জনঃ বরই বাগান থেকে বরই উৎপন্ন করে সেগুলো আচার, জ্যাম ও জেলি হিসেবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এগুলো প্রক্রিয়াজাত খাবার বিক্রয় করে বহু টাকা উপার্জন হয়। এছাড়াও এগুলো প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় কয়টি বরই খাওয়া যাবে

শুধু গর্ভাবস্থায় নয় যেকোনো সময় অতিরিক্ত বরই খাওয়া ঠিক নয়। বেশি বরই খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতার চাইতে ক্ষতিও হতে পারে। তবে বলা যেতে পারে প্রতিদিন ১০ টি বরই খাওয়া উচিত।
The Healing Cuisine নামক চীনের একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় ২০টি বরই টনিক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে গর্ভবতীরা ১৫০ গ্রাম তাজা বরই খেতে পারেন। তবে গর্ভাবস্থায় হোক অথবা যেকোনো সময় হোক সবার শরীর এক নয়।

এইজন্য শরীরের মানানসইভাবে যে কয়টি বরই খাওয়া যায় সেভাবে বরই খাওয়া যাবে। বেশি বরই খেলে পেট ব্যথার সহ বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বরই বেশি খেতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

টক বরই খাওয়ার উপকারিতা কি

আমাদের দেশের বড়ই ফল টক ও মিষ্টি উভয় আছে। টক বড়ই সাধারণত ভর্তা কাঁচা অথবা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। বরইয়ে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আজকের বিষয় বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ। টক বরই খাওয়ার উপকারিতা আলোচনা করা হলো।

*টক বড়ই খেলে হজম হজম বৃদ্ধি করে।
*বড়ই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা রুচি বৃদ্ধি করে।
*টক বড়ই যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।
*টক বড়ই ভিটামিন সি জাতীয় এই কারণে জ্বর সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে।
*টক বরইয়ে শর্করার পরিমাণ কম যার কারণে টক বড়ই খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
*টক বড়ই পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন আছে যা রক্তস্বল্পতা দূর করে।
*বরই এ পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপ হতে রক্ষা করে।
*টকবরইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করার নাই যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা খুব সহজে খেতে পারেন।
*ঠোঁটের ঘা ঠোটের চামড়া উঠে যাওয়া সমস্যা টক বড়ই খেলে দূর হয়।

বরই এর পুষ্টিগুন

১০০গ্রাম বরইয়ে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হলো।

                        উপাদানের নাম

                        পরিমান

  শক্তি

  =৫৮.৫ কিলো ক্যালরি

  আমিষ

  =০.৮ গ্রাম

  চর্বি

  =০.১০ গ্রাম

  কার্বহাইড্রেট

  =৭.০০ গ্রাম

  ফাইবার

  =১.৭ গ্রাম

  চিনি

  =৫.৪-১০.৫ গ্রাম

  স্নেহ পদার্থ 

  =০.০৭ গ্রাম

  থায়ামিন (বি১)

  =০’০২২ মিলিগ্রাম

  রিবোফ্লাভিন (বি২)

  =০.০২৯ মিলিগ্রাম

  নায়াসিন (বি৩)

  =০.৭৮ মিলিগ্রাম

  ক্যালসিয়াম

  =২৫.৬  মিলিগ্রাম

  পটাশিয়াম

  =১৯২ মিলিগ্রাম

  লৌহ

  =১.১ মিলিগ্রাম

  ফসফরাস

  =২৬.৮ মিলিগ্রাম

  পানি

  =৮১.৬-৮৩.৬ গ্রাম

বরই পাতার উপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকে বরই পাতায় বিভিন্ন চিকিৎসা করা হয়। বরই পাতায় বহু ওষুধি গুণ আছে। আজকের বিষয় বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ। বরই পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা বর্ণনা করা হলো।
রক্তপরিশোধনঃ বরই পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যাপোনিন,অ্যালকালয়েডও ট্রাইটারপেনয়েড আছে যাহা রক্ত পরিশুদ্ধ করে।

দুশ্চিন্তা দূর করেঃ বরই পাতা খাওয়ার মাধ্যমে হতাশা উদ্যগ ও দুশ্চিন্তা দূর হয়। মন সবসময় প্রফুল্ল থাকে। ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ বরই পাতায় ভিটামিন সি আয়রন ও পটাশিয়াম রয়েছে। পটাশিয়াম রক্তনালীকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ভিটামিন সি রক্তনালীর বিভিন্ন প্রদাহ দূর করে।

চর্মরোগ দূর করেঃ আমাদের পূর্বপুরুষেরা বরই পাতা দিয়ে চর্ম রোগের চিকিৎসা করে আসতেছেন। এক্ষেত্রে নিয়ম কিছু পরিমাণ বরই পাতা পেস্ট করে সেখান থেকে আধা কাপ বরই পাতার রস নিয়ে এক চামচ কালোজিরা গুড়া মিশ্রিত করুন। এই রস ৭ দিন ধরে খান। তাহলে সকল চর্মরোগ ভালো হয়ে যাবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ বরই পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি২ ফাইটোকেমিক্যাল ইত্যাদি রয়েছে। যার কারনে বরই পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। জ্বর কাশি সর্দি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে।

লিভারকে সুরক্ষা রাখেঃ বরই পাতায় পর্যাপ্ত এন্টি অক্সিডেন্ট আছে যা শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল এর হাত থেকে কোষকে রক্ষা করে। যার কারণে লিভারের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

হাড় ও পেশি মজবুত করেঃ বরই পাতায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন রয়েছে। যার কারনে হাড়ও পেশির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। হাড়ের জয়েন্ট ও পেসির ব্যথা কমায়।

চুল পড়া বন্ধ করেঃ কিছু পরিমাণ বরই পাতা সঙ্গে তুলসী পাতা ও আমলা একত্রে পেস্ট করতে হবে। এই পেস্ট চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েকদিন করলেই চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেঃ বরই পাতায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যাহা ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বকের মৃত কোষকে অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে।যার কারণে ত্বক নরম মোলায়েম এবং স্বাস্থ্যজ্জল হয়। ত্বকের ব্রণ দূর হয়ে যায়।

এছাড়াও কিছু বরই পাতা পেস্ট করে তার সঙ্গে মধু মিশ্রিত করতে হবে। অতঃপর এই পেস্ট রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ও ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। পরে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসবে এবং বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে।

আমাদের পার্শ্বে অবহেলায় পড়ে থাকা বরই পাতা ব্যবহার করে আমরা বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি। এছাড়াও বরই পাতা ব্যবহার করে চুলকানি ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে সুস্থ ভাবে জীবন গড়ি এটাই কামনা করি।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগণ বরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। বরই একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। এ ফলে প্রোটিন শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান। বরই ফলে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

বরই খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অভাব পূরণ হয়। বরই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেল টি ভিজিট করুন। আশা করি ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url