বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায়

সুপ্রিয় পাঠকগন বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আজকে আরো আলোচনা করা হবে আপেল খাওয়ার উপকারিতা। ফ্রিজে আপেল রাখলে কি হয়। আপেল খাওয়ার নিয়ম কি। আপেলের পুষ্টি উপাদান। এগুলো বিষয় ভালোভাবে জানা প্রয়োজন।
আপেল খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে বহু পুষ্টি উপাদানের অভাব পূরণ হয়। আপেল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আপেল অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল। সবাই আপেল খেতে খুব পছন্দ করে। আপেলের উৎপত্তি মধ্য এশিয়া। এশিয়া ও ইউরোপে পর্যাপ্ত আপেল চাষ হয়। বিশ্বের প্রায় ৭৫০০ প্রজাতির বেশি আপেলের জাত রয়েছে। আপেল সাধারণত দেখতে ডিম্বাশয় এর মত এবং মিষ্টি ফল।
আপেলে অত্যন্ত পুষ্টি উপাদান আছে যার কারণে আপেল খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে প্রচুর পুষ্টির অভাব পুরনো হয়। এছাড়াও আপেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আজকের বিষয় বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায় ।

বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায়

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা হয়তো জানতে চান দীর্ঘদিন আপেল কিভাবে তাজা রেখে খাওয়া যেতে পারে। বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আমাদের সবার জন্যই নিয়মিত ফল খাওয়া প্রয়োজন।ফলের মধ্যে আপেল অন্যতম। আপেলে ভিটামিন মিনারেলস সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। 

এছাড়াও ভিটামিন সি এর উৎস আপেল। যার কারণে নিয়মিত আপেল খাওয়া প্রয়োজন। আপেল সংরক্ষণ পদ্ধতি। 

*সাধারণত নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় আপেল দীর্ঘদিন তাজা থাকে। এইজন্য ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ফ্রিজে আপেল সংরক্ষণ করা যায়।

*আপেল গুলো ভালো রাখতে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ আদ্রতা থাকা প্রয়োজন। ৮০ থেকে ৯০ ভাগ আদ্রতায় আপেল গুলো দীর্ঘদিন তাজা অবস্থায় থাকে। যার কারনে লক্ষ্য রাখতে হবে আপেল রাখার ক্ষেত্রে আদ্রতা যেন কমবেশি না হয়।

*আপেলে সূর্যালোক পড়লে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে আপেল সংরক্ষণের জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে সুর্যালোক আপেলে না পড়ে। অন্ধকারে আপেল রাখলে দীর্ঘদিন তাজা রাখা যায়।

*আপেল ভালো থাকার জন্য বায়ু চলাচল থাকা প্রয়োজন। যার কারণে আপেলগুলো একটি উপরে আরেকটি করে রাখা যাবে না। আপেল সর্বদাই এক স্তর হিসেবে রাখতে হবে।

*কাঁচা আপেল এবং পাকা আপেল একসঙ্গে রাখা যাবে না। তাহলে পাকা আপেলের সংস্পর্শে কাঁচা আপেল এসে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। পাকা আপেলের চাইতে কাঁচা আপেল বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায়।

*আপেল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন দাগ যুক্ত অথবা নরম আপেল যেন না হয়। দাগ যুক্ত ও নরম আপেল গুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।

*আপেল সংরক্ষণের সময় ধুয়া যাবেনা। তবে আপেল খাওয়ার সময় অবশ্যই ধুয়ে খেতে হবে। আপেলের পর্যাপ্ত পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ থাকে যার কারণে না ধুয়ে আপেল খেলে ক্ষতি হতে পারে।

*আপেল সংরক্ষণের সময় কোন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত করা যাবে না। হয়তো আপেলগুলো পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে স্প্রে করার প্রয়োজন হয়। তবে কোন মুহূর্তেই পোকামাকড়ের জন্য স্প্রে করা যাবে না।

*আপেল গুলো সংরক্ষণের সময় প্লাস্টিকের ব্যাগে সংরক্ষণ করা যাবে না। প্লাস্টিকের ব্যাগে আপেল সংরক্ষণ করলে আদ্রতা ঠিক থাকে না।

*আপেল সংরক্ষণের জন্য কাগজের ব্যাগে আপেল রাখার প্রয়োজন। এছাড়াও ফ্রিজে আপেল রাখার সময় কাঠের বাক্স অথবা পটে আপেল রাখা যেতে পারে। তাহলে আপেলের আদ্রতা ঠিক থাকবে।

*আপেল ফ্রিজে রাখার সময় ভেজা টিস্যু দিয়ে আপেল ভালো করে মুড়িয়ে পলিথিনের ব্যাগের ভিতর রাখুন। তবে ব্যাগ টি ছোট ছোট ছিদ্র করে দিবেন।

*একটি ঝুরিতে আপেল রেখে ঠান্ডা এবং অন্ধকার যায়গায় কিছুদিন রেখে খাওয়া যায়।

প্রিয় পাঠকগণ আসুন উপরের নিয়ম পালন করে দীর্ঘদিন রেখে আপেলের মতো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল ব্যবহার করতে পারি। এছাড়াও অন্ধকার জায়গায় ঝুরিতে রেখেও অনেক দিন আপেল ভালো রাখা যায়।

আপেল খাওয়ার উপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠকগণ আমাদের দেশে প্রথম সারির ফল গুলোর মধ্যে আপেল একটি। আপেল অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল। যাহার কারণে আপেল খাওয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা দূর করতে পারি। আজকের বিষয় বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায় । আসুন আপেলের উপকারিতা গুলো জেনে নিই।

আপেল স্থুলতা কমায়ঃ সকালে নাস্তার সঙ্গে আপেল রাখলে আপেল খাওয়ার কারণে ওজন কমে। আপেলে পানি ও পর্যাপ্ত আস রয়েছে। যার কারনে আপেল খেলে দীর্ঘক্ষন ধরে পেট ভরা থাকে এবং খাবারে চাহিদা কম হয়। এইজন্য খাওয়ার পূর্বে দু চারটি ফালি আপেল খেয়ে নিন।

আপেল স্নায়ু শক্তি ভালো রাখেঃ নিয়মিত আপেল খাওয়ার কারণে শরীরের স্নায়ু গুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোয়েরসেটিন এর মাঝে নিউরোপ্রটেক্টিভ প্রভাব পাওয়া গেছে। যার কারনে নিয়মিত আপেল খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোর কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়।

ইউমিনিটি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত আপেল খাওয়ার মাধ্যমে ইউমিনিটি শক্তি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোয়ের সেটিন আছে যা শরীরের প্রদাহ দূর করে। আপেল পরিষ্কার করে ধুয়ে খোসা সহ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত আপেল খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। আপেলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় প্রায় ২০ ভাগ। এছাড়াও শরীরের খারাপ কলেস্টেরল কমাতে আপেল ভালো ভূমিকা রাখে।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ নিয়মিত আপেল খেলে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। আপেলের পেকটিন রয়েছে যা প্রবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ রয়েছে যা হজম শক্তির বৃদ্ধি করে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে।

ক্যান্সারে ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত আপেল খাওয়ার কারণে ক্যান্সারের জীবাণুর দেহে বাসা বাধতে পারেনা। ফুসফুসের ক্যান্সার বিষয়ে গবেষণায় একাধিকবার বলা হয়েছে নিয়মিত আপেল খেলে ফুসফুসের ক্যান্সার হয় না। আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইটো কেমিক্যাল, ও আস থাকে যা কোষের ক্ষয় রোধ করে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ প্রতি সপ্তাহে কয়েকটি আপেল খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া প্রতিদিন আপেল খাওয়ার ফলে ১৮ ভাগ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় বলে গবেষকেরা মতামত দিয়েছেন।

এলার্জি থেকে সুরক্ষাঃ আপেল খেলে এলার্জি থেকে বাঁচা যায়। এছাড়াও এর ফলে এলার্জি আছে কিনা জানতে হলে আপেল খাওয়ার পরে লক্ষ্য রাখতে হবে শরীরের কোথাও চুলকায় অথবা কোথাও ফুলে উঠেছে কিনা।

যদি আপেল খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সাধারণত আপিল খাওয়ার মাধ্যমে অ্যালার্জি হয় না।

হাঁপানি নিরাময়ঃ নিয়মিত আপিল খাওয়ার মাধ্যমে হাঁপানি নিরাময় হয়। এডভান্সেস ইন নিউট্রিশন প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় প্রায় ৬৮ হাজার নারীদেরকে নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে। যারা প্রতিদিন একটি করে আপেল খেয়েছেন তাদের হাঁপানি তীব্রতা সবচাইতে বেশি কমে গিয়েছে। এছাড়া যারা এক টুকরো করে আপেল খেয়েছেন তাদের হাঁপানি তীব্রতা ১০ ভাগ কমেছে।

আপেল খাওয়াই দাঁত সাদা করেঃ নিয়মিত আপেল খেলে দাঁতের হলুদ ভাব দূর হয়ে দাঁত সাদা হয়। আপেলে অম্ল গুন আছে যার কারণে দাঁতের হলুদ ভাব দূর হয়। এছাড়াও আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে যা দাঁত ও মাড়িকে সুরক্ষা দেয়।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ আপেল ভিটামিন সি জাতীয় ফল। যার কারণে আপেল খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক ভালো থাকে। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে আপেলে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বকের মৃত কোষগুলো অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারণে ত্বক মোলায়েম ও উজ্জ্বল হয়। ত্বক থেকে ব্রণ ও কালো দাগ দূর হয়।

এই জন্য আসুন আমরা নিয়মিত আপেল খাওয়ার চেষ্টা করি। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে শরীর স্বাস্থ্যবান রাখি।

আপেল ফ্রিজে রাখলে কি হয়

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ নিয়মিত আপেল খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও আপেল হৃদরোগের ঝুঁকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। যার কারণে আমাদের জানা প্রয়োজন ফ্রিজে আপেল রাখলে কি হয়।
*ফ্রিজে আপেল রাখলে ঠান্ডা তাপমাত্রার জন্য আপেলের প্রচলন প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয়। যার কারনে দীর্ঘদিন আপেল ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায়।
*আপেল ফ্রিজে রাখলে কীট পতঙ্গের আক্রমণ হয় না। যার কারণে ফ্রিজে আপেল রাখার ফলে কীটপতঙ্গমুক্ত আপেল খাওয়া যায়।
*আপেল ফ্রিজে রাখলে আপেল গুলো তাজা থাকে যার কারণে আপেল খাওয়া অনেক ভালো লাগে।আপেল ফ্রিজে রাখার কারণে কিছু সমস্যা হতে পারে।
*ফ্রিজে আপেল রাখলে উপস্থিত ভিটামিন সি সহ অন্যান্য উপাদানের পরিমাণ কম কমে যেতে পারে।
*ফ্রিজে আপেল রেখে খেলে আপেলের স্বাদ ও গন্ধ দুইটি কমে যায়।
*ফ্রিজে আপেল রাখলে আপেল গুলো নরম হয়ে যায় যার কারণে খেতে খুব ভালো লাগে না।
*আপেল ফ্রিজে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন সপ্তাহ রাখা যায়। তবে এক থেকে দুই সপ্তাহ রাখলে আপেলের মান ভালো থাকে।

ফ্রিজ থেকে আপেল বাহির করে ভালো করে ধুয়ে খোসা সহ আপেল খেয়ে নিবেন। আজকের আর্টিকেল টি বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আপেল খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠকগন আপেল খাওয়ার নিয়ম আমাদের জানা প্রয়োজন। কারণ আপেল অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টির গুণসম্পন্ন ফল। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন এক থেকে দুইটি আপেল খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে আপেল খাওয়া প্রয়োজন।

সকালে নাস্তার সঙ্গে অথবা দুপুরে খাবার সঙ্গে অথবা বিকালে নাস্তার সঙ্গে অথবা রাতেও খাবার সঙ্গে আপেল খেতে পারেন।যারা ওজন কমাতে চান প্রতিবারে খাবারের পূর্বে দু'চারটি ফাইল আপেল খেতে পারেন তাহলে খুধা কমে যাবে। আপেল সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে চিবিয়ে খাওয়ার সময় খোসা সহ খেয়ে নিবেন।

এছাড়াও সালাদ স্মুদি জ্যাম বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও আপেল খেতে পারেন।তবে আপেল খাওয়ার সময় আপেলের বীজ খাবেন না। আপেলের বীজে সায়ানাইড থাকে। যার কারণে আপেলের বিজ খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।

খোসাসহ আপেল খাওয়ার সময় ভালো করে আপেল ধুয়ে নিবেন। আজকের কনটেন্ট এর বিষয় বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায় ।

আপেল খেলে কি গ্যাস হয়

আপেল খাওয়ার ফলে গ্যাস অথবা বদহজম এর মত কোন সমস্যা হয় না। আপেলে যেহেতু পর্যাপ্ত ফায়বার রয়েছে তাই আপেল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় ও গ্যাসের পরিমাণ কমে যায়। তবে কাঁচা আপেলের চাইতে সিদ্ধ করে আপেল খেলে হজমের ক্ষেত্রে আরো ভালো।
সিদ্দ আপেল খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস থাকলে তা দূর করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতা আছে তারা আপেল খেতে পারেন। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতার অনেক উপকার হয়। সাধারণত পেটে পীড়া বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের জন্য প্রবায়োটিক খাওয়া হয়।

প্রোবায়োটিক গুলো পাকস্থলীর খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আপেলে পর্যাপ্ত প্যাকটিন রয়েছে। তাই আপেল প্রবায়োটিক এর ভূমিকা পালন করে। যার মাধ্যমে আপেল খেলে শরীরে প্রোবায়োটিকের কাজ করে। অতএব বলা যায় আপেল খেলে গ্যাস হয় না।

আপেলের পুষ্টি উপাদান

আপেল পর্যাপ্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। এছাড়াও আপেল সবাই খেতে ভালোবাসে। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে বহু পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়। আপেলের পুষ্টি উপাদান গুলো ছকের মাধ্যমে বর্ণনা করা হলো।

      উপাদানের নাম

      পরিমান

    উপাদানের নাম

      পরিমান

  খাদ্যশক্তি

  =৫২ কিলোক্যালরি

  ফোলেট

  =৩ আইইউ

  শর্করা

  =১৩.৮১ গ্রাম

  ভিটামিন সি 

  =৪.৬ মিলিগ্রাম

  আঁশ

  =২.৪ গ্রাম

  ভিটামিন ই

  =০.১৮ মিলিগ্রাম

  চর্বি

  =০.১৭ গ্রাম

  ভিটামিন কে

  =২.২ আইইউ

  আমিষ

  =০.২৬ গ্রাম

  ক্যালসিয়াম

  =৬  মিলিগ্রাম

  জলীয় অংশ

  =৮৫.৫৬ গ্রাম

  আয়রন

  =০.১২ মিলিগ্রাম

  ভিটামিন এ

  =৩ আইইউ

  ম্যাগনেসিয়াম

  =৫ মিলিগ্রাম

  বিটা ক্যারোটিন

  =২৭ আইইউ

  ম্যাংগানিজ

  =০.০৩৫ মিলিগ্রাম

  লুটেইন

  =২৯ আইইউ

  ফসফরাস

  =১১  মিলিগ্রাম

  থায়ামিন

  =০.০১৭ মিলিগ্রাম

  পটাশিয়াম

  =১০৭ মিলিগ্রাম

  রিবোফ্লেভিন

  =০.০২৬ মিলিগ্রাম

  সোডিয়াম

  =১ মিলিগ্রাম

  নিয়াসিন 

  =০.০৯১ মিলিগ্রাম

  জিংক

  =০.০৪ মিলিগ্রাম

  প্যানটোথেনিক অ্যাসিড

  =০.০৬১ মিলিগ্রাম

  ফ্লোরাইড

  =৩.৩ আইইউ

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগন বেশীদিন ধরে আপেল ভাল রাখার ১২টি উপায় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হয়েছে। আপেল মিষ্টি জাতীয় জনপ্রিয় ফল। এছাড়াও আপেল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া আছে। আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

এগুলো বিষয়ে ভালো করে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করি উপকৃত হবেন ও ভালো লাগবে। আপনাদের ভালো লাগলে নিজেকে সার্থক মনে করব। বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url