কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায়

সুপ্রিয় পাঠকগন কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। এছাড়া আরো লেখা হবে চুলের আগা ফাটার রোধ করার ঘরোয়া উপায়। ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়।
চুলের বৃদ্ধি ও চুলের আগা ফাটা দূর করা সহ চুলের যাবতীয় স্বাস্থ্য রক্ষায় আজকের এই আর্টিকেলে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলের বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায়। চুল মানব জীবনের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। চুল নারী পুরুষ উভয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নারী-পুরুষ উভয়েরে চুল না থাকলে সৌন্দর্য অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে চুলের পর্যাপ্ত যত্ন করা প্রয়োজন।
আমরা বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে চুলের যত্ন গ্রহণ করি যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যার কারণে আমরা ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন মাস্ক তৈরি করে চুলের যত্ন গ্রহণ করতে পারি। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল দ্বারা চুলের যত্ন গ্রহণ করা যায়। চুলের যত্ন গ্রহণ ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

চুলের আগা ফাটা রোধ করার ঘরোয়া উপায়

চুলের আগা ফাটা সমস্যা হলে সাধারণত সবাই চুল কেটে ফেলে। প্রকৃতপক্ষে চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর করা প্রয়োজন। চুলের আগা ফাটার কারণে চুল ভেঙ্গে যায় এবং চুল বড় হতে পারে না। সাধারণত অযত্ন অনিয়ম এবং ধুলাবালির কারণে চুল আস্তে আস্তে তার আদ্রতা হারিয়ে ফেলে।

এছাড়াও পুষ্টির অভাবে চুল নিস্তেজ হয়ে যায়। যার কারণে চুলের আগা ফাটা সমস্যা হয়। আজকের আর্টিকেল কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায়। চুলের আগাফাটা রোধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করা হলো।

ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহারঃ চুলের ফাটা রোধে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করার নিয়ম। একটি পাত্রে একটি ডিম ফাটিয়ে নিতে হবে। অতঃপর উক্ত ডিমের সঙ্গে দুই চামচ অলিভ অয়েল ও দুই চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিতে হবে।

এই মাস্ক চুলে খুব ভালো করে লাগাতে হবে। মাস্ক লাগানোর ২৫ থেকে ৩৫ মিনিট পরে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে এভাবে একদিন ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের আগা ফাটা সমস্যা থাকবে না।

তেল ব্যবহার করুনঃ চুলের যত্নে অনেকে তেলের গুরুত্ব দেন না। প্রকৃতপক্ষে নিয়মিত তেল ব্যবহারের কারণে চুল কমল এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করা প্রয়োজন।

এছাড়াও নিয়মিত তেল ব্যবহারের কারণে চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে এবং চুল পড়া রোধ হয়। একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ নারিকেল তেল নিয়ে কুসুম কুসুম গরম করে নিতে হবে। এই তেল আঙ্গুলের সাহায্যে চুল ও স্ক্যাল্পে ভালো করে মালিশ করতে হবে। এক ঘন্টা রেখে মাথা ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর হয়। এছাড়াও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের আগা ফাটা দূর হয়। অ্যালোভেরা জেলে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন এ ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি রয়েছে।

অ্যালোভেরার ভিটামিন সি স্কাল্পের মৃত কোষ কে অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারণে স্ক্যাল্প মসৃন ও কমল হয়। অ্যালোভেরা জেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টি মাইক্রোবায়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে।

অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে মাথার চুল ও স্ক্যাল্পে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করলে চুলের আগা ফাটা রোধ হয়।

চুলে মধু ব্যবহারঃ মধু ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মধু ব্যবহার করার ফলে চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর হয়। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো মধু, টক দই, ও অলিভ অয়েল, একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করতে হবে। এই মাস্ক চুলে ও স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগাতে হবে।

এক ঘন্টা পরে মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মাস্ক ব্যবহার করার ফলে চুলের আগা ফাটা দূর হবে। এছাড়াও চুলের ফলিকলগুলো মজবুত, সিল্কি ও উজ্জল হবে।

কলা ব্যবহারঃ কলা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার হয়। এই ক্ষেত্রে নিয়ম কলা ভালো করে পেস্ট করে চুলে ও স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগাতে হবে।

এছাড়াও কলা, মধু ও টক দই, একসঙ্গে মিশ্রিত করে মাস্ক তৈরি করতে হবে। এই মাস্ক চুলে লাগানোর পরে এক ঘন্টা রেখে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুলের আগা ফাটা দূর হবে।

মরোক্কান অয়েল ব্যবহারঃ মরোক্কান অয়েলে ভিটামিন ই ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড ও ওমেগা৬ ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো করে। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে গোসল করার পরে ভেজা চুলে মরোক্কান অয়েল ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করার ফলে চুলের আগা ফাটা সমস্যা থাকে না।

আরগান তেল ব্যবহারঃ আরগান তেল লিকুইড গোল্ড নামে পরিচিত। আরগান বিজ থেকে আর গান তেল তৈরি করা হয় যা মরক্কোতে বেশি উৎপন্ন হয়। এই তেলে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর হয়।

নিয়ম হল গোসলের পরে চুল ভালো করে পানি ঝরিয়ে ভেজা চুলে আরগান তেল ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের ফলে চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর হয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায়

ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবে চুলের আগা ফাটা সমস্যা তৈরি হয়। চুলকে স্বাস্থ্যজ্জল শিল্কি রাখতে ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাব পূরণ করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায়।
ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ শরিরের যাবতীয় কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও চুলের স্বাস্থ্যে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এ ত্বকের গ্রন্থি গুলোকে তৈলাক্ত করে এবং মাথার ত্বককে আদ্র রাখে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষের ফ্রি রেডিকেল এর বিরুদ্ধে কাজ করে। যার কারণে চুল চিটচিটে ভাব, ও চুলের আগা ফাটা দূর হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়।

ভিটামিন বিঃ ভিটামিন বি চুল পড়া কমানো এবং চুলের বৃদ্ধি করে এবং চুলের আগা ফাটা দূর করে। ভিটামিন বি পানিতে জাহাজ রোগ নিয়ো প্রাকৃতিকভাবে চুলের ফলিকল বৃদ্ধি করে চুল পড়া ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে।

ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যাহা চুলের যাবতীয় কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করে। ভিটামিন ই এর অভাবে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়। যার কারণে চুলের আগা ফেটে যায়। চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করার জন্য ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

ভিটামিন ই এর ঘাটতি বেশি হলে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করা যায়। একটি জরিপে দেখা গেছে যাহারা নিয়মিত ভিটামিন ই খান তাদের চুলের বৃদ্ধি অন্যান্যদের চাইতে ৩৪.৫ ভাগ বেশি।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি অত্যন্ত শক্তিশালী আন্টিঅক্সিডেন্ট যাহা কোষ কে ফ্রি রেডিকেল থেকে মুক্ত রাখে। ভিটামিন সি চুল পড়া কমায় এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধি করে ও চুলের খসখসে অবস্থা দূর করে চুলের আগা ফাটা রোধ করে।

ভিটামিন সি এর অভাব থাকলে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন পেয়ারা, আমলকি, স্ট্রবেরি, লেবু ও সবুজ শাক সবজি খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন সি এর অভাব দূর করা যায়। বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি এর অভাব থাকলে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন সি এর অভাব দূর করা যায়।

এককথায় আমরা বলতে পারি ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি, এর অভাবে চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয় এবং চুলের আগা ফাটে। যার কারণে এগুলো ভিটামিনের অভাব পূরণ করা প্রয়োজন।

ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম

আমরা বিভিন্ন রকম প্রসাধনীর সাহায্যে চুলের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে অনেক ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এক্ষেত্রে আমরা চুলের যত্নে ভাতেরমাড় ব্যবহার করতে পারি। ভাতের মাড় ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের বিভিন্ন রকম উপকারিতা পাওয়া যায়।
এছাড়াও ভাতের মাড় ব্যবহারের ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না এবং সহজে বিনা খরচে ভাতের মাড় পেতে পারি। ভাত রান্নার সময় একটু পানি বেশি দিয়ে ভাত হয়ে গেলে মাড় গলিয়ে নিতে হবে। এই ভাতেরমাড় আমরা দুইভাবে মাথায় ব্যবহার করতে পারি।

আমরা মাথায় স্প্রের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারি অথবা মাথায় ঢেলে দিয়ে ব্যবহার করতে পারি। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হল প্রথমে মাথার চুল শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপরে মাথায় ভাতের মাড় ব্যবহার করে চিরুনি অথবা হাতের দ্বারা ভালো করে মাথা মেসেজ করতে হবে।

এরপরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ৩০ মিনিট পরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথার চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভাতের মাড়ে ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই রয়েছে। ভাতের মাড় ব্যবহার করার ফলে আমরা নিম্ন বর্ণিত উপকার পেতে পারি।

*ভাতের মাড়ে থাকা স্টারচ ও এমাইনো এসিড চুল নরম এবং আগা ফাটা রোধ করে।
*ভাতের মাড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই রয়েছে যার কারণে ভাতের মাড় ব্যবহার করার ফলে চুল উজ্জ্বল ও চকচকে করে।
*ভাতের মাড়ে অ্যামাইনো এসিড ও স্টারচ থাকার কারণে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুল সহজে ভেঙ্গে যায় না।

অনেক সময় প্রসাধনী ব্যবহার করার কারণে মাথায় জ্বালাপোড়া তৈরি হতে পারে সে ক্ষেত্রে ভাতের মাড় ব্যবহার করার ফলে মাথা ঠান্ডা থাকে, মাথার ত্বক ভালো থাকে, এছাড়াও মাথার চুলের আগা-ফাটা সমস্যা থাকে না।

এইজন্য আমরা এই সহজ প্রাপ্য ভাতের মাড় প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে এক অথবা দুই দিন ব্যবহার করে আমাদের চুলগুলো সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়

আজকে আমাদের কনটেন্ট এর বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায়। নারী-পুরুষ উভয়ের সৌন্দর্যের প্রতীক চুল। চুল ঘন এবং সুন্দর না থাকলে মানুষের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।চুলকে লম্বা ও বড় করতে আমরা বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে গেছি। 

বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আরো সমস্যায় পড়ে যেতে হয়। যার কারণে ভিটামিন ই এর সাহায্যে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে চুল লম্বা করা যায়।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশ্রিত করে চুলে ব্যবহার করলে চুল ঘন উজ্জ্বল মজবুত ও লম্বা হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো একটি পাত্রে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে জেল বাহির করে নিতে হবে।

উক্ত জেলের সঙ্গে সমপরিমাণ নারিকেলের তেল দিয়ে দিতে হবে। উক্ত তেল মিশ্রিত করে চুলের গোড়া থেকে সমস্ত চুল ভালো করে মেসেজ করতে হবে। ২-৩ ঘণ্টা পরে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে চুল মজবুত লম্বা হবে এবং আগা ফাটা সমস্যা থাকবে না।

দই ও ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ খুব দ্রুত চুল মজবুত ও চুলের বৃদ্ধি করতে চাইলে দই ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যায়। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো এক কাপ দই নিতে হবে। উক্ত দইয়ে এক চামচ মধু এবং দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।

উক্ত পেস্ট চুল ও মাথায় ভালো করে মেসেজ করে লাগিয়ে ফেলতে হবে। চুলে পেস্ট লাগানোর এক ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ব্যবহারের ফলে চুল মজবুত লম্বা হবে এবং চুলে খুশকি থাকবে না। চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ভিটামিন ই ও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ ভিটামিন ই ও অ্যালোভেরা জেল মিশ্রিত করে চুলে ব্যবহারের ফলে চুল মজবুত ঘন ও লম্বা হয়। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ এলোভেরা জেল নিয়ে তিন-চারটি ক্যাপসুল এর জেল মিশ্রিত করতে হবে।

উক্ত মিশ্রন টি চুল ও চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে দুই তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষার পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করলে চুল ঘন মজবুত লম্বা হবে এবং চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর হবে।

ভিটামিন ই ও জোজোবা ওয়েলঃ ভিটামিন ই ও জোজোবা ওয়েল এর মাধ্যমে চুল লম্বা ও মজবুত করা যায়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো একটি পাত্রে একটি ডিম ফাটিয়ে নিতে হবে।

উক্ত পাত্রে এক চামচ জোজোবা অয়েল ও একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশ্রিত করে মাস্ক তৈরি করতে হবে। উক্ত মাস্ক চুলে ভালো করে মেসেজ করে লাগাতে হবে। এক ঘন্টা পরে চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে একবার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

এইভাবে ভিটামিন এ ব্যবহার করার ফলে আমাদের চুলের সৌন্দর্য ফিরে আসে। এছাড়াও চুল মজবুত লম্বা এবং কালো হয়। চুলের আগা ফাটা মত সমস্যা থাকে না।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ কোন ভিটামিনের অভাবে চুলের আগা ফেটে যায় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। চুলের যত্ন ব্যাপারে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল দ্বারা চুলের বিভিন্ন রকম যত্ন করা যায়।

চুলের যত্ন ব্যাপারে গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য জানতে ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেল থেকে অনেক তথ্য জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url