ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায়

সুপ্রিয় পাঠকগন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায় এ বিষয়ে লিখতে শুরু করলাম। এছাড়া আরো আছে প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন ই দরকার। ই এর অভাবে কি হয়। ভিটামিন ই জাতীয় সবজি। ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি। ভিটামিন ই এর উপকারিতা।
এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের ত্বক চুল সহ শরীর গঠনে ভিটামিন ই অনেক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই আসুন এগুলো বিষয়ে জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

ভিটামিন ই আমাদের দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন। ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। যেমন ত্বকে ব্রণ ত্বক খসখসে ও ত্বক ঝুলে পড়া ত্বকে কালো কালো দাগ তৈরি হয়। ভিটামিন ই খাওয়া ও ব্যবহারের কারণে এগুলো সমস্যা হতে বাচা যায়। এছাড়াও ভিটামিন ই এর সাহায্যে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়াও ভিটামিন ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে। তাই ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ করার জন্য ভিটামিন ই জাতীয় খাবার ও সবজি খাওয়া প্রয়োজন। আজকের বিষয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায়।

প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন ই দরকার

মানবদেহের গঠনের জন্য ভিটামিন ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। যারা ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খেয়ে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করেন তাদের ক্যান্সার কার্ডিও ভাস্কুলার ও ডেমনেসিয়া জাতীয় সমস্যার কম হয়। মানবদেহ জন্য প্রতিদিন ভিটামিন ই প্রয়োজন ৩ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম এর মধ্যে।বয়স অনুযায়ী কি পরিমান ভিটামিন ই এর প্রয়োজন তা ছক আকারে বর্ননা করা হলোঃ

ক্রমিক নং

বয়স

ভিটামিন ই এর প্রয়োজন

      ১

    ৬মাস

    =৪মিলিগ্রাম

      ২

    ৭মাস -১২মাস

    =৫মিলিগ্রাম

      ৩

    ১বছর-৩বছর

    =৬মিলিগ্রাম

      ৪

    ৪বছর-৮বছর

    =৭মিলিগ্রাম

      ৫

    ৯বছর-১৩বছর

    =১১মিলিগ্রাম

      ৬

    ১৪বছর-১৪বছরেরবেশী বয়স

    =১৫মিলিগ্রাম

      ৭

    যে সকল মায়েরা বুকের দুধ খাওয়ান

    =১৯মিলিগ্রাম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি ফর্সা হওয়া যায়

প্রিয় পাঠকগণ আপনারা হয়তো জানতে চাচ্ছেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায়। হ্যাঁ ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে শরীরের ত্বক ফর্সা হয়। কারণ ভিটামিন ই ব্যবহারের ফলে ত্বকের গভীরে পৌঁছে মৃত কোষগুলো অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে।

যার কারনে ত্বক অত্যন্ত মোলায়েম স্বাস্থ্যজ্জ্বলও ফর্সা হয়। ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই এর ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।
ভিটামিন ই ও অ্যালোভেরা জেলঃ এক চামচ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল নিন সঙ্গে দুই চামচ এলোভেরা জেল মিশ্রিত করে নিন। প্রথমে মুখমণ্ডল হাত সহ ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন।

এর পরে উক্ত মিশ্রণগুলো সন্ধ্যায় মুখমণ্ডল হাত সহ ত্বকে ভালো করে পাঁচ মিনিট মেসেজ করুন। অতঃপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত কয়েকদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় হবে।

ভিটামিন ই ও পাকা পেঁপেঃ একটি পাত্রে ৪ টুকরা পাকা পেঁপে পেস্ট করে নিন। পেঁপের পেস্টটির মধ্যে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল দিয়ে মিশ্রণ করুন। মুখমণ্ডল হাত ও ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন। এই মিশ্রনটি মুখমন্ডল হাত ও ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ভালো করে লাগান। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক ফর্সা লাবণ্যময় হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও আমঃ তিন চামচ আমের পাল্গ দুই চামচ ওটস পাউডার এর সঙ্গে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশ্রণ করে নিন। মুখমণ্ডল হাত ও ত্বকের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

আপনার ত্বক থেকে ব্ল্যাকহেডস হোয়াইটহেডস ও মৃত কোষগুলো অপসারণ হবে। ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করবে। যার কারণে ত্বক সতেজ উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও গোলাপজলঃ একটি পাত্রে দুই চামচ গোলাপ জল এক চামচ গ্লিসারিন ও এক চামচ ভিটামিন ই তেল মিশ্রিত করুন। আপনার মুখ হাত ও ত্বকের বিভিন্ন অংশে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন। কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য ফিরে আসবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও দারুচিনিঃ এক চামচ দারুচিনির গুঁড়া সঙ্গে এক চামচ মধু ও এক চামচ ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল মিশ্রিত করে মিশ্রণ তৈরি করুন। আপনার মুখমন্ডল হাত ও ত্বকের বিভিন্ন অংশে ভালো করে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

এভাবে কয়েক দিন করলে মুখের ব্রণ দূর হয়ে যাবে। ঝুলি পড়া ত্বক টানটান হবে। এছাড়াও ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে। ত্বকের কোমলতা ফিরে আসবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মধু ও গ্রিনটি প্যাকঃ দুই প্যাক গ্রিন টি গুড়া করে নিন সঙ্গে এক চামচ মধু এক চামচ চালের আটা ও এক চামচ ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর তেল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। পাঁচ মিনিট ধরে আপনার মুখমণ্ডল হাত ও ত্বকে ভালো করে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট পর ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বক লাবণ্যময় এবং উজ্জ্বল হবে।

ভিটামিন ই ও মিল্ক পাউডারঃ দুই চামচ গুঁড়ো দুধ ও দুই চামচ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশ্রিত করে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ মুখমন্ডল হাত ও ত্বকের বিভিন্ন অংশে ভালো করে ব্যবহার করুন।২০ মিনিট পরে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ত্বক হাইড্রেড ও কোমল রাখবে। মুখমণ্ডল হাত ও ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে।

এভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দ্বারা মুখমণ্ডল হাত ও ত্বকের বিভিন্ন অংশ উজ্জ্বল ও ফর্সা করা যায়। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা যায়। আসুন আমরা এভাবে ব্যবহার করে নিজের ত্বককে সুরক্ষিত রাখি।

ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় তা আলোচনা করা হলো।

চুল পড়াঃ প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ভিটামিন ই জাতীয় খাবার থাকলে ত্বক ও চুল ভালো থাকে। ভিটামিন ই এর অভাবে চুল পড়ে যায় ও পাতলা হয়।

পেশি দুর্বলতাঃ বিভিন্ন রকম গবেষণায় বলা হয়েছে ভিটামিন ই এর অভাবে মায়োপ্যাথি হয়। সাধারণত পেশির দুর্বলতায় এই সমস্যা হয়।

ভারসাম্যহীনতাঃ ভিটামিন ই এর অভাবে স্নায়ু গুলোতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে যায়। তাই ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরের ভারসাম্য হীনতা তৈরি হয়।

ঝাপসা দেখাঃ অনেকে প্রায় ঝাপসা দেখেন। ভিটামিন ই এর অভাবে এমনটি হতে পারে। ই এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের সুরক্ষা দেয়। যার কারণে ভিটামিন ই এর অভাবে চোখে ঝাপসা দেখা সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়াও ভিটামিন ই এর অভাবে রক্তশূন্যতা হতে পারে।

তাই আসুন ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খেয়ে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করি। আজকের বিষয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারে কি ফর্সা হওয়া যায়।

ভিটামিন ই জাতীয় সবজি

ভিটামিন ই জাতীয় সবজি খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ করা যায়। ভিটামিন ই জাতীয় সবজিগুলো হলো নিম্নরূপ।

ক্যাপসিকামঃ ক্যাপসিকাম এ পর্যাপ্ত ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে ১.২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে।

শালগম শাকঃ শালগম ও শালগমশাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই হয়েছে। ১০০ গ্রাম শালগম থাকে ২.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে।

বিটশাকঃ বিট শাক ভিটামিন ই জাতীয় শাক। ১০০ গ্রামবিট শাকে ১.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই আছে।

ব্রকলিঃ ব্রকলিতে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে ১.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে।

সরিষা শাকঃ সরিষার শাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম সরিষা শাকে ১.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই আছে।

বাঁধাকপিঃ বাঁধাকপিতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই রয়েছে। একটি ছোট বাঁধাকপিতে ১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

পালং শাকঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম কাঁচা পালং শাকের ২.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। অপরপক্ষে ১০০ গ্রাম রান্না করা পালং শাকে ৩.৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। এছাড়াও নিম্নলিখিত সবজি ও ডালের ভিটামিন ই রয়েছে।

মাসকলাই ডালঃ ১০০ গ্রাম মাসকলাই ডালে ১.০৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই আছে।

মুগ ডালঃ ১০০ গ্রাম মুগডালে ১.০৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে।

সবুজ কচু শাকঃ ১০০ গ্রাম সবুজ কচুশাকে ২.০২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই আছে।

ছোলার ডালঃ ১০০ গ্রাম ছোলার ডালে ২.৮৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই আছে।

কালো কচু শাকঃ ১০০ গ্রাম কালো কচু সাকে ৩.৩৬ গ্রাম ভিটামিন ই আছে।

ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি

আমাদের দেহ গঠনের জন্য ভিটামিন ই অত্যন্ত প্রয়োজন। সাধারণত চুল ও ত্বকের গঠনে ভিটামিন ই অত্যন্ত বেশি ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ই এর উৎস গুলি বর্ণনা করা হলো।

সূর্যমুখী বিজঃ সূর্যমুখী বীজ ভিটামিন ই এর প্রধান উৎস। ছাড়াও সূর্যমুখী বীজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের অস্টিও অর্থেরাইটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগ হতে রক্ষা করে।

এছাড়াও আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে ও শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করে। ১০০ গ্রাম সূর্যমুখী বীজে ৩৬.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব

লালমরিচের গুঁড়াঃ লাল মরিচের গুড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম লালমরিচের গুড়ায় ২৯.৮৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। আমরা প্রতিদিন শাকসবজির সঙ্গে লাল মরিচে গুড়া খেয়ে থাকি। লাল মরিচ দারা তৈরিকৃত সবজি খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই পেয়ে থাকি।

অ্যাভোকাডোঃ অ্যাভোকাডো ভিটামিন ই এর উৎস। অ্যাভোকাডোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই ও পটাশিয়াম আছে যা হার্ট এটাক অথবা স্ট্রোক এর মত সমস্যা দূর করে। এছাড়াও আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টোরেল দূর করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপ হতে বাচায়। অ্যাভোকাডো খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হয়।

সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছঃ মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। মাছে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বিদ্যমান যা আমাদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যার কারণে মাছ খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হয়।

কাঠবাদামঃ কাঠবাদাম প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করে। প্রতিদিন এক মুষ্টি করে কাঠ বাদাম খেলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে হজম ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কাঠবাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই আছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে জানা যায় ২৮ গ্রাম কাঠবাদামে ৭.৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই আছে যা খেলে একজন মানুষের একদিনের ৫০ ভাগ ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। যার কারণে কাঠ বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হয়।

চিনা বাদামঃ চিনা বাদাম বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় অনেক উপকারী খাদ্য। এছাড়া চিনা বাদামে ক্যালোরি কম থাকায় স্থুলতা সমস্যায় চিনা বাদাম খাওয়া যায়। চিনা বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ই বিদ্যমান। ১০০ গ্রাম চিনাবাদামে ৬.৯৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। চিনা বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের হাড় ও পেশি শক্তিশালী করে।

পেস্তা বাদামঃ পেস্তা বাদামে ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম পেস্তা বাদামে ২৬.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। নিয়মিত পেস্তা বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

ভেষজঃ ভেষজ এর মধ্যে বেসিল ও অরিগানোতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম বেসিল ও অরিগানোতে ৭.৪৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। সাধারণত ইহা পাস্তা পিজা সালাত ও স্যান্ডউইচ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

জলপাইয়ের আচারঃ জলপাইয়ের আচারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। ১০০ গ্রাম জলপাইয়ের আচারে ৩.৮১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে। তাই জলপাইয়ের আচার খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হয়।

সয়াবিন তেলঃ ভিটামিন ই এর উৎস সয়াবিন তেল। সয়াবিন তেল দ্বারা রান্না খাবারের মাধ্যমে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই পেয়ে থাকি।

কিউই ফলঃ কিউই ফল আমাদের স্বাস্থ্য উপাদানে অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এই ফল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যার কারণে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিউই ফলে সেরোটোনিন উপাদান রয়েছে যা ঘুম বৃদ্ধি করে ও অনিদ্রা দূর করে। এই ফল কাঁচা খাওয়া যায় এবং দই এর সঙ্গে মিশ্রিত করে খাওয়া যায়।

তাই ভিটামিন ই জাতীয় এগুলো খাবার খেয়ে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ করা প্রয়োজন। আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ই অত্যন্ত আবশ্যকীয় ভিটামিন। আজকের বিষয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায়

ভিটামিন ই এর উপকারিতা

ভিটামিন ই আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন। ভিটামিন ই এর উপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হলো।
হাড় ও পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করেঃ ব্যায়াম অথবা শারীরিক পরিশ্রম করলে অথবা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেশি ও হাড়ের ক্ষয় হয়। ভিটামিন ই পেশি ক্ষয় ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

মানসিক চাপ কমায়ঃ মানব শরীরের ভিটামিন ই হল অত্যন্ত শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট। এন্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্টেস কমায় ভিটামিন ই।

ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধঃ ভিটামিন ই ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে রক্তের লিপিডের মাত্রা কম রাখে এবং ফ্যাটি লিভার হতে দূরে রাখে।

রক্তচাপ কমায়ঃ অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ই রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ভিটামিন ই রক্ত নালীকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ ভিটামিন ই হার্টের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন নিয়মিত করাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ত্বকের জন্য উপকারীঃ ভিটামিন ই ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খেলে ভিটামিনই ত্বকের গভীরে পৌছে মৃতকোষ অপসারণ করে ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারণে ত্বক মোলায়েম স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ও ফর্সা হয়।

চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ ভিটামিন ই নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই এর অভাবে চুল পড়ার সমস্যা হয়। এছাড়া চুল ও মাথার ত্বকে ভিটামিন ই পুষ্টি যোগায়।

এজমা সমস্যা দূরঃ ভিটামিন ই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার কারণে যাদের এজমা রয়েছে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খেলে অ্যাজমা সমস্যা নিরাময় হয়।এছাড়াও ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ শরীরকে অনেক চাঙ্গা রাখে।

এ কারনে প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন ই জাতীয় খাবার আমাদের গ্রহণ করা প্রয়োজন। আজকের বিষয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায়

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায় এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন ই দরকার। ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়। ভিটামিন ই জাতীয় সবজি। ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি ভিটামিন ই এর উপকারিতা।

এগুলো বিষয় জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করা যায় আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। কনটেন্ট গুলো ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url