জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো
সুপ্রিয় পাঠকগণ জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো এ বিষয়ে লিখতে বসলাম। আজকের আর্টিকেলে আরো রয়েছে মুখে গুড়ি গুড়ি ব্রণ দূর করার উপায়। বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার উপায়।
ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় গুলো। ঘামাচি কেন হয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আর্টিকেলে সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠকগণ আমাদের বিষয় জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। গ্রীষ্মের প্রখর তাপমাত্রা তার সঙ্গে পর্যাপ্ত গরম ও বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এরপরেও ঘামাচির মত সমস্যা যেন আরো বিব্রত করে ফেলেছে। মানুষের দেহে বাহিরের তাপমাত্রায় তাপের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ধর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম বাহির করে দেয়।
আরও পড়ুনঃকোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ
সাধারণত ত্বকে ময়লা জমলে অথবা টাইট জামাকাপড় পরার কারণে ঘামগুলো বাহিরে না বাহির হতে পারলে ত্বকের নিচে বিন্দু বিন্দু আকারে জমা হয়। এই বিন্দু বিন্দু জমাকৃত ঘাম হলো ঘামাচি। এই ঘামাচি সম্পর্কে জানতে এবং ঘামাচি দূর করার উপায় জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।
জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো
জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বাজারে যেগুলো ঘামাচি পাউডার রয়েছে তাদের ব্যাপারে জানা প্রয়োজন। বাজারে যেগুলো ঘামাচি পাউডার রয়েছে তার মধ্যে মিল্লাত ঘামাচি পাউডার অন্যতম। এই পাউডারের জনপ্রিয়তা অনেক। সাধারণত মিল্লাত ঘামাচি পাউডার এর মার্কেট অনেক ভালো।
মিল্লাত ঘামাচি পাউডার আপনি যদি কিনতে যান প্রতি পিসের দাম পড়বে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ টাকার মাধ্যমে এক পিস মিল্লাত ঘামাচি পাউডার পেয়ে যাবেন।
আইস্কুল ঘামাচি পাউডার জনপ্রিয় ঘামাচি পাউডারের মধ্যে আরেকটি। অন্যান্য ঘামাচি পাউডারের চাইতে এই পাউডার ব্যবহার করলে অনেক স্বস্তি মিলে। যার কারণে বাজারে এই পাউডারের পর্যাপ্ত চাহিদা। এই পাউডার মেন্থল সমৃদ্ধ।যার কারনে এই পাউডার ব্যবহার করলে শরীরে শীত অনুভব হয়। বাজারে এই পাউডারের দাম ৬০ টাকা।
বাজারে আরেকটি জনপ্রিয় ঘামাচি পাউডার তিব্বত ঘামাচি পাউডার। এই কোম্পানি অনেক পুরাতন এবং মানসম্মত। যার কারণে তিব্বত ঘামাচি পাউডার এর চাহিদা অনেক বেশি। এই ঘামাচি পাউডারের বাজার মূল্য প্রতি ১০০ গ্রাম প্যাকেটের পটের দাম ৫০ টাকা।
আরেকটি জনপ্রিয় ঘামাচি পাউডার হলো রিভাইভ ঘামাচি পাউডার। গুণগত মান অনেক উন্নত তাই আপনি চাইলে এই পাউডার কিনতে পারেন। এই পাউডারের জনপ্রিয়তাও অনেক। এই পাউডার বাজারে মূল্য ৭৫ টাকা।
বাজারে যত ঘামাচি পাউডার আছে তার মধ্যে উন্মুক্ত একটি ব্যান্ড হলো কিউট ঘামাচি পাউডার। এই পাউডার বাজারে অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি মনে করেন একটি কিউট পাউডার কিনে দেখতে পারেন। এই পাউডারের দাম ৫০ টাকা।
এছাড়াও আরো অনেক পাউডার রয়েছে। মোটামুটি প্রথম শ্রেণীর ঘামাচি পাউডারের তালিকাটি দেওয়া হল। এরপরেও আপনি বাজার যাচাই করে একটি পাউডার পছন্দ মতো ক্রয় করে নিবেন। আসলে প্রত্যেকের রুচি একই রকম নয়। তবে বাজারে পাউডার ক্রয় করার সময় দরদাম করে ক্রয় করবেন।
মুখে গুড়ি গুড়ি ব্রন দূর করার উপায়
আজকের বিষয় জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। মুখে গুড়ি গুড়ি ব্রণ অথবা কালো দাগ হলে ভেসজ উপায়ে সেটা দূর করা সম্ভব। সাধারণত ওষুধ অথবা ক্রিম এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া উপায়ে ভেসজ দিয়ে এগুলো দূর করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। আসুন জেনে নিই মুখে গুড়ি গুড়ি ব্রণ দূর করার উপায়।
আরও পড়ুনঃ ফ্যাটি লিভার দূর করার ঘরোয়া উপায়
চন্দনের মাধ্যমেঃ চন্দন দুধের সাথে মিশ্রিত করে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিটে রেখে দিয়ে পুনরায় ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এ ছাড়া ত্বক শুষ্ক হলে কাঁচা দুধের সঙ্গে চন্দন মাখিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ত্বক কমল, নরম ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে। আর ত্বক অত্যাধিক তেলতেলে হলে গোলাপ জলের সঙ্গে চন্দন পেস্ট করে ত্বকে ও মুখে লাগাতে পারেন।
নিম পাতার মাধ্যমেঃ নিয়মিত নিম পাতা খেলে শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়। টক্সিন এর কারণে সাধারণত ব্রণ হয়। এছাড়া নিমপাতা ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে। এই পেস্ট মুখমণ্ডল ও অন্যান্য ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। ৩০ মিনিট পরে মুখমণ্ডল ও অন্যান্য ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ব্রণ জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
বেলের শরবতঃ সাধারণত গ্রীষ্মের সময় অনেক কিছু পান করা হয় যার দ্বারা পেট গরম হয়। পেট গরম হওয়ার কারণে সাধারণত ব্রণ জাতীয় সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে নিয়মিত বেলের রস খেতে পারলে পেট ও শরীর অনেক ঠান্ডা হয়। যার কারনে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এলোভেরা ব্যবহারঃ অ্যালোভেরার জেল ত্বক রোদে পোড়ানোর হাত থেকে রক্ষা করে। অ্যালোভেরার পাতা কেটে নিয়ে এসে সেখান থেকে জেল সংগ্রহ করতে হবে। এই জেল মুখমণ্ডল ও অন্যান্য ত্বকে ব্যবহার করে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখে ব্রণ ও ফুসকুড়ি থাকবে না।
তুলসী পাতার সাহায্যেঃ তুলসীর পাতা পেস্ট করে নিতে হবে। পেস্টের সঙ্গে মধু আর বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহের তিনবার করতে হবে। কয়েকদিন করলেই ব্রণ অথবা ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও তুলসী পাতার গুড়া করতে হবে। তুলসী পাতা গুড়ার সাথে নিমপাতা বেটে নিতে হবে। এর সঙ্গে এক চামচ উটস এর গুড়া এক চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রর মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখে কোন ব্রনের দাগ অথবা ব্রণ থাকবে না।
পাতি লেবুর রস ব্যবহারঃ পাতি লেবু ভিটামিন সি এর ভান্ডার। একটি পাত্রে পাতি লেবুর রস নিতে হবে। অতঃপর তুলা দিয়ে সেই রস ব্রনের জায়গাগুলো ও ত্বকের সমস্যা হলে সে জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। ২০ মিনিট পরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।
নারিকেল এর তেলের ব্যবহারঃ ত্বকের যেকোনো সমস্যা মিটাতে নারিকেল তেলের জুড়ি নাই। ইহাতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ইনফ্লামিটারি উপাদান রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে রয়েছে। ব্রণ ও ফুসকুড়ির জায়গায় নারিকেল তেল মাখিয়ে সারারাত রাখুন। কয়েকদিনের মধ্যে দেখবেন আস্তে আস্তে ব্রণ ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
হলুদের ব্যবহারঃ হলুদ ভেসজ গুণ সম্পন্ন। যাতে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। ১ চামচ হলুদ নিয়ে এক চামচ পাতিলেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। এই পেস্ট ব্রনের জায়গায় অথবা ব্রণের কালো জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখমন্ডল ব্রণ মুক্ত এবং কালো দাগ মুক্ত হবে।
ক্যাস্টল অয়েলঃ ক্যাস্টল অয়েলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনএ ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ইহা ত্বকের গভীরে পৌছে মৃত কোষ অপসারণ করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে। মুখের ব্রনের জায়গায় ও যেখানে কালো দাগ হয়েছে সে জায়গায় ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে হবে। সারারাত রেখে সকালে হালকা কুসুম কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
টিট্রি ওয়েল এর মাধ্যমেঃ একটি পাত্রে পানি নিয়ে কয়েক ফোটা টিট্রি অয়েল মিশ্রিত করুন। অতঃপর তুলার সাহায্যে মুখমন্ডলের ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগে ব্যবহার করুন। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
তরমুজের মাধ্যমেঃ একটি পাত্রে তরমুজের রস নিন। এ রস ব্রনের জায়গায় মুখমন্ডল বা অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করুন। এভাবে কয়দিন ব্যবহার করলেই ব্রণ থাকবে না।
বাদামের মাধ্যমেঃ একটি পাত্রে বাদামের পেস্ট করে নিন এবং সমপরিমাণ বেসন নিয়ে মিশ্রিত করুন। এর সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুড়া নিয়ে কিছু পানি মিশ্রিত করে পেস্ট করুন। এই পেস্ট মুখে অথবা ত্বকের অন্যান্য জায়গায় লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ ও কালো দাগ থাকবে না। ত্বক মসৃণ ও স্বাস্থ্যউজ্জ্বল হবে।
আজকের বিষয় জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। উপরোক্ত নিয়ম পুরোপুরি পালন করতে পারলে ত্বক থেকে ব্রণ ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার উপায়
আজকের বিষয় জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। বাচ্চাদের ঘামাচি হলে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। বাচ্চারা সাধারণত কান্নাকাটি করে। ঘামাচি যন্ত্রণা শুরু হয়। আসুন জেনে নিই বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার উপায় গুলো।
*সূর্যের তাপ থেকে দূরে রাখুন। মাঝে মাঝে খালি গায়ে রাখুন। ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গোসল করান। মাঝে মাঝে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছে দিতে পারেন।
*সুতির ঢিলেঢালা কাপড় পরাবেন। ঘরে ফ্যান চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে রাখুন।
*চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন না। বাচ্চাদের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
*পর্যাপ্ত পানি ও ডাবের পানি খাওয়াবেন।
*ঘাড় বাহু বা অন্যান্য জায়গা বেশি ঘামলে মাঝে মাঝে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে পারেন।এভাবে যত্ন করলেই বাচ্চারা ঘামাচি হতে রক্ষা পাবে।
ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
আজকের বিষয় জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। গরমের সময় অধিকাংশ মানুষের ঘামাচির সমস্যা হয়। একদিকে তাপমাত্রা অন্যদিকে লোডশেডিং এর কারণে অত্যাধিক গরমের জন্য এই ঘামাচি। এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে দূর করতে পারি। জেনে নিই সে উপায়গুলো।
আরও পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় কি
বরফ ব্যবহারের মাধ্যমেঃ ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে বরফ নিয়ে গোটা শরীরে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কয়েকদিন করলে ঘামাচি ভালো হয়ে যাবে।
মুলতানি মাটিঃ মুলতানি মাটি ব্যবহারের ফলে ঘামাচি দূর হয়। এক্ষেত্রে পাঁচ চামচ মুলতানি মাটি ও তিন চামচ গোলাপ জল ও পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। এই পেস্ট ঘামাচির জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে। তিন ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েকদিন করলে শরীরে খামাচি থাকবেনা।
বেকিং সোডার মাধ্যমেঃ এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ভালো করে মিশ্রিত করতে হবে। অতঃপর এই পানি ঘামাচির জায়গা গুলোতে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কয়েকদিন করলে শরীরে ঘামাচি থাকবে না।
নিম পাতা ব্যবহারঃ ঘামাচি সহ ত্বকের যে কোন সমস্যায় নিম পাতার জুড়ি নাই। এক মুষ্টি নিমপাতা নিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। পেস্টগুলো ঘামাচির সব জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। এভাবে তিন থেকে চারবার করলে একদিনেই ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও এক মুষ্টি নিমপাতা দুই কাপ পানিতে বিশ মিনিট ফুটাতে হবে। অতঃপর এই পানি ঠান্ডা করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘামাচির জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে দিনে ৪-৫ বার করলেই একদিনেই ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
লেবুর রস ব্যবহারঃ লেবুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। প্রতিদিন তিন চার গ্লাস লেবু মিশ্রিত পানি খেলে ঘামাচি দূর হয়ে যায়।
এলোভেরা ব্যবহারঃ অ্যালোভেরা থেকে এলোভেরা জেল বাহির করে ঘামাচির জায়গাগুলোতে প্রলেপ দিতে হবে। শরীরে জেল শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। শরীর থেকে ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
চন্দন কাঠঃ চন্দন পাউডার গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টগুলো ঘামাচির জায়গাগুলোতে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি ঘামাচি ভালো হয়ে যাবে।
ফিটকিরি ব্যবহারঃ ফিটকিরি লোশনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। ফিটকিরির পানি ঘামাচির জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কয়েকবার ব্যবহার করলে ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
লাউ ব্যবহারঃ লাউ আগুনে ঝলসে রস বাহির করে নিতে হবে। কয়েকদিন এ রস খেলে ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
বেসন ব্যবহারঃ বেসনের মধ্যে কিছু পানি নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্ট শরীরের ঘামাচির জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
আলু ব্যবহারঃ কিছু আলু পেস্ট করে নিতে হবে। আলুর পেস্ট ঘামাচির জায়গাগুলোতে লাগিয়ে দিতে হবে। এভাবে দুএকদিন ব্যবহার করলে ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
তরমুজ ব্যবহারঃ গরমের সময় প্রতিদিন তরমুজ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে ঘামাচি দূর হয়। এছাড়া তরমুজের রস বাহির করে ঘামাচির জায়গাগুলোতে ব্যবহার করলে ঘামাচি দূর হয়।
আদা ব্যবহারঃ আদা গ্রেট করে গরম পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এই পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে ঘামাচির জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে।
শসা ব্যবহারঃ একটি পাত্রে শসার রস ও লেবুর রস মিশ্রিত করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘামাচির জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে। ঘামাচি ভালো হয়ে যাবে।
কাঁচা আমঃ কাঁচা আম খাওয়ার মাধ্যমে ঘামাচি ভালো হয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো দুটি আম সিদ্ধ করতে হবে। সিদ্ধ আম থেকে রস বাহির করে লবণ ও চিনি মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত এভাবে খেলে ঘামাচি দূর হয়ে যাবে। সুপ্রিয় পাঠকগন আজকের বিষয় ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। এছাড়া উপরোক্ত নিয়ম পালন করলে ঘামাচির মত সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে।
ঘামাচি কেন হয়
প্রিয় পাঠকগণ আপনারা হয়ত জানতে চাচ্ছেন ঘামাচি কেন হয়। প্রকৃতপক্ষে ঘামাচি কিন্তু ঘাম থেকে হয়। আগেকার লোকেরা বলতো ঘাম বসে ঘামাচি হয়। পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তাপগ্রাহক কোষ দ্বারা দেহে অত্যধিক তাপের অনুভূত হয়। এই অবস্থায় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ঘাম গ্রন্থী দেহ থেকে ঘাম বাহির করে দেয়।
এই ঘাম বাষ্পীভবনের সময় শরীর থেকে লিন তাপ নেয় যার কারনে শরীর শীতল হয়। অতিরিক্ত গরম ও আগ্রহকোষ আর্দ্রতা মুক্ত আবহাওয়াতে ঘরমগ্রন্থি থেকে ঘাম বাহির হয়। শরীরের কোন জায়গায় ময়লা অথবা টাইট জামাকাপড় পড়ার কারণে ঘর্মগ্রন্থী হইতে তৈরিকৃত ঘাম বাহির হতে পারে না।
এ অবস্থায় ঘামগুলো ত্বকের ভিতর বিন্দু বিন্দু আকারে জমা থাকে থাক। এই ঘামগুলো ঘামাচি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ইহাকে মিলিয়া রিয়া বলা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ঘাম জমে ধর্মগ্রন্থী ফেটে ঘাম যদি ত্বকের নিচে বাহির হয়ে আসে তখন জ্বালা করে তাহলে লাল ঘামাচি বাহির হয়।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠকগন আজকের বিষয় জেনে নিন ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। এছাড়াও আরো আলোচনা করা হয়েছে মুখে গুড়ি গুড়ি ব্রণ দূর করার উপায় গুলি। বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার উপায়। ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় ও ঘাসমাচি কেন হয়।
এগুলো বিষয় ভালোভাবে জানতে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url