অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে । যার কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। নিয়ম ও ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের ফলে মানব সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
যার কারনে সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শক্রমে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা প্রয়োজন। এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে। আমাদের মারাত্মক রোগ গুলো এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা প্রয়োজন। এন্টিবায়োটিক সাধারণত দেহের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া উভয় ধ্বংস করে।
এইজন্য আমরা অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহারের পরিবর্তে প্রবায়োটিক অথবা প্রিবায়োটিক গ্রহণ করতে পারি। যার দ্বারা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করে। এছাড়াও প্রবায়োটিক ও প্রিপারোটিক জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করা যায়।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে

অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই ওষুধ মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর শরীরে প্রয়োগ করলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার রোধের মাধ্যমে রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত এন্টিবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

মানুষ অসুস্থ হলে কি ধরনের অসুস্থতা তার উপর নির্ভর করে ডাক্তারগণ বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক প্রদান করেন। শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত কোন রোগ হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট নিয়ম এবং নির্দিষ্ট সময় এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা প্রয়োজন। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে ।

তাই নিয়ম ও ডোজ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করলে ব্যাকটেরিয়া গুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয় না। যার কারণে উক্ত ব্যাকটেরিয়া গুলো পুনরায় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এরপরে এগুলো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের মাধ্যমে আর রোগ জীবাণুপ প্রতিরোধ করা যায় না।

এন্টিবায়োটিক বায়োটিক প্রয়োগ করার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করার প্রক্রিয়া নষ্ট করা হল এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ গবেষণায় যে কথা উঠে এসেছে তা হল এন্টিবায়োটিকের ভুল চিকিৎসা ও অসচেতনতার কারণে এই ওষুধের কার্যকারিতা আশঙ্কাহ হারে কমে যাচ্ছে।

যার ফলে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের দেশে ডাক্তারের পরামর্শবিহীন এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ না করার কারণে বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসকগণ মেডিকেলে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে অনেক ব্যক্তি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স এর মধ্যে পড়েছে।

যার কারনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ১৯২৮ সালে পেনিসিলিন আবিষ্কারের পর থেকে এন্টিবায়োটিক এর চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করা হয়। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বলতেছেন যে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও রোগ নিরাময় ক্ষমতা হারাচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

এছাড়াও নিয়মতান্ত্রিক ও নির্দিষ্ট সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের না করার কারণে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই সর্দি-কাশি হাঁচি ও জ্বরের মত রোগের কারণেই বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে। বাংলাদেশে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ বিক্রির কোন নীতিমালা নাই।

যার কারণে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের দোকানগুলোতে হর হামেশা এন্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। যে কোন অসুস্থতার কারণে মনগড়া বিভিন্ন রকম এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে আস্তে আস্তে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও বর্তমানে মাছ হাঁস-মুরগি গরু ছাগলসহ বিভিন্ন পোশাক প্রাণীদের কে ওজন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এ অবস্থায় এগুলো প্রাণীদের দ্বারা উৎপাদিত খাদ্য গুলো খাওয়ার কারণে মানুষের দেহে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে।

চিকিৎসকন বলেছেন নিম্ন আয়ের বহু মানুষ ডাক্তারের শরণাপন্ন না হয়ে বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ ক্রয় করে থাকেন। তার কারণে বর্তমান এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করার পরেও রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে যথেষ্ট কাজ করছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এভাবে এন্টিবায়োটিক ওষুধের অপব্যবহারের কারণে পৃথিবীতে বহু প্রাণহানি হতে পারে।

তার কারণে অতি শীঘ্রই এন্টিবায়োটিকের নিয়ম তান্ত্রিক ব্যবহার এবং ডোজ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। ওষুধের দোকানগুলোতে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন। মানবদেহে প্রায় চল্লিশ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এগুলো মধ্যে উপকারী ও ক্ষতিকর উভয় ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।

বাউটি ক ওষুধ দ্বারা চিকিৎসার মাধ্যমে উপকারী এবং অপকারী উভয়ই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। এছাড়াও রোগ জীবাণু দূর করতে সাধারণ চিকিৎসার প্রতি গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। প্রাকৃতিক ভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক রোগ জীবাণু হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

যদি প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর প্রতিহত করে সুস্থ থাকতে পারা যায় তাহলে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হতে মুক্ত হতে পারব। ছাড়াও এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। বিভিন্ন শাকসবজিতে কীটনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন রকম প্রাণীদের এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়াও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীদের ভালো মানের প্রবায়োটিক ও প্রি বায়োটিক ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক ব্যবহারের মাধ্যমে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সহ বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করা যায়।

এছাড়াও প্রবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করা যায়। তাই আসুন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মনে করে আমরা সবাই এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রতি যত্নশীল হই।

এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

আজকের আর্টিকেল অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে । আমাদের আশেপাশে বহু ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রাম সংক্রমণের সমস্যা থাকে। যার কারণে চলাফেরার সময় একটু সতর্কতা অর্জন করা প্রয়োজন। এরপরেও অসুস্থ হলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য এন্টিবায়োটিক খেতে হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার নিয়ম আলোচনা করা হলো। যেকোনো জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক না খাওয়া ভালো। এছাড়াও চিকিৎসককে প্রথমে এন্টিবায়োটিক ওষুধের পরামর্শ না দেওয়ার কথা বলাই ভালো। সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমেই জ্বর জাতীয় সংক্রমণ থেকে সুষ্ঠু হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটি ক অনেক সংবেদনশীল হয়ে থাকে।

বায়োটিক যেমন পান রক্ষাকারী অপরপক্ষে এন্টিবায়োটিক প্রাণের ক্ষতিকারী। যার কারণে ত্বকের সমস্যার চুলকানি শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের স্বর্ণপাপন্ন হতে হবে। প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শবিহীন এন্টিবায়োটিক না খাওয়া ভালো। অন্তঃসত্তা রোগীদের জন্য অনেক এন্টিবায়োটিক ক্ষতি করতে পারে।

যার কারণে অন্তঃসত্তাদের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর সময় ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।অনেক ওষুধের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিয়া করতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ এর ওষুধের সঙ্গে এন্টিবায়োটিক খেলে খারাপ প্রভাব পড়ে। জন্য এগুলো ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

অসুস্থ হলে কি ধরনের এন্টিবায়োটিক খেতে হবে এবং কতদিন তা খেতে হবে সেগুলো ব্যাপারে ডাক্তারের অভিজ্ঞতা বেশি। এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ও নিয়ম পালন করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এন্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় ডাক্তারগণ আধঘন্টা অথবা ৬ ঘন্টা এভাবে বলেন। মাঝখানে কোন ডোজ এন্টিবায়োটিক খাওয়া না হলে পরবর্তী ডোজ ডবল খাওয়া যাবেনা।

এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া শেষ না হতে যদি সুস্থ হয়ে যাওয়া হয় তারপরেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খাওয়া প্রয়োজন। এন্টিবায়োটিক্যাল ডোজমিন্টন না করলে উক্ত অসুস্থতা পুনরায় ফিরে আসতে পারে। কোন লোক গলা ব্যথা বা অন্যান্য সমস্যার কারণে যদি কোন এন্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন আপনিও উক্ত এন্টিবায়োটিক খাবেন না।

আপনার অসুস্থতার কারণে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে এন্টিবায়োটিক খাবেন। সাধারণত শিশুর ওজন অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক নির্ধারণ হয়। ছাড়াও শিশুদের অসুস্থতার কারণ নির্দিষ্ট সময় হতে পারে। যার কারনে শিশুদেরকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর সময় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

এছাড়াও শিশুদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ বা সাসপেনশন ব্যবহার খোলার পরে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করবেন না। চিকিৎসকের কাছ থেকে এন্টিবায়োটিকের পার্শপ্রতিক্রিয়া জেনে নিবেন। এছাড়াও এন্টিবায়োটিক খেলে আপনার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে সেটি চিকিৎসককে অবশ্যই জানাবেন।

কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে বেশি পানি পান করতে হয় এক্ষেত্রে পানির পরিবর্তে অন্য কিছু পান করা যাবে না। কিছু এন্টিবায়োটিক আছে যা কিডনি ও যকৃতের ক্ষতি করে। জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

অ্যান্টিবায়োটিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আজকের আর্টিকেল অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে । ব্যাকটেরিয়ার নাম শুনলে আমরা ভয়ে আতকে উঠি। অথচ আমাদের দেহের প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এগুলো ব্যাকটেরিয়ার উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া উভয় রয়েছে।

এক্ষেত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। যদি ক্ষতি করে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বেড়ে যায় তাহলে শরীরে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর পরিমাণ। এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে চিকিৎসা করে ব্যাকটেরিয়া গুলো পুরোপুরি ধ্বংস করা যায়। এন্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো আলোচনা করা হলো।

*অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে কিন্তু খারাপ অথবা ভালো কোন ব্যাকটেরিয়া বুঝতে পারে না।
*এন্টিবায়োটিক খাওয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সাথে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়।
*শরীরে ভালো ও খারাপ উভয় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হওয়ার কারণে শরীরের ভারসাম্য হারায়।
*এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে শরীরের ভারসাম্য হারানোর জন্য ডায়রিয়া ও ছত্রাক এর সংক্রমণ বেড়ে যায়।
*উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হওয়ার কারণে খাবারগুলো হজম কম হয় যার কারণে বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক তৈরি হয়।
*এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা ক্ষুধামন্দা মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
*অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
*অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে থাকে এবং সহজে বিভিন্ন রোগের প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এন্টিবায়োটিক কতদিন খাওয়া যায়

পেনিসিলির আবিষ্কারের পর গত ৯০ বছরে একশটির ও বেশি এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করা হয়েছে। আর চিকিৎসা ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসতেছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ রোগ নিরাময়ে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার যাদুকরি ভূমিকা পালন করেছে। এন্টিবায়োটি কতদিন খাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো
এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। বয়স ও রোগাক্রান্তের ধরন অনুযায়ী পাঁচ দিন সাত দিন দশ দিন ১২ দিন এবং সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে ডাক্তারগণ পরামর্শ দেন। দিনে কতটি ওষুধ খাবেন বা কত ঘন্টা পর পর খাবেন তাও ডাক্তারগণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ওষুধ বিজ্ঞানীদের মতে নির্দিষ্ট ডোজ ও মাত্রা অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

নির্দিষ্ট রোজ ও মাত্রার অধিক সময় ওষুধ খেলে সেটি বিষে রূপান্তরিত হয়। এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো কৃত্রিমভাবে ল্যাবে তৈরি করা হয়। তৈরির সময় ওষুধগুলো কতদিন খাওয়া যাবে এবং মাত্রা কি তা নির্ধারণ করা হয়। ওষুধ তৈরির সময় ডোজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সময় ও সর্বোচ্চ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওষুধ তৈরির পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় কত দিন খেলে ব্যাকটেরিয়া পুরোপুরি মরে যায়।

তার উপর ভিত্তি করে রোজ নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত স্বাভাবিক ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের দোষ পাঁচ দিন অথবা সাত দিন হয়ে থাকে। এন্টিবায়োটিকের যে ডোজ নির্ধারণ করা হয় তার চাইতে বেশি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে কিডনি ও যকৃতের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এইজন্য সর্বদা এন্টিবায়োটিক গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতনতা থাকা প্রয়োজন।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখায় হল। এন্টিবায়োটিক ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা করা আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস জাতীয় জীবাণু প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিক ওষুধের চিকিৎসায় খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।

এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলো ব্যাপারে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে এবং উপকৃত হবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url