পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক বৃন্দ পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। বিভিন্ন রোগের কারণে পা ফুলে যেতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় এই রোগ কে লেগ ইডিমা বলা হয়।
লেগ ইডিমা রোগের কারণে পায়ের পাতা, পায়ের গোড়ালি, ও পায়ের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে ফুলে যেতে পারে। পায়ের ফোলার প্রতিকার ব্যাপারে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেল পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়। রক্তর নালিকা থেকে তরল পদার্থের টিস্যুতে সরিয়ে পড়লে চামড়া সহ।পা ফুলে যায়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে অথবা বসে থাকলে পায়ে পানি জমা হয়ে পা ফুলে যায়। অলস ভাবে সময় কাটালে ও নিয়মিত ব্যায়াম না করলে পা ফুলে ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর ও পড়ুনঃ পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন
অনেকে স্থূলতা সমস্যায় থাকেন তাদের পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। পায়ের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্ত সঞ্চালন হতে না পারায় পা ফুলে যেতে পারে। যার কারণে পা ফোলা সমস্যা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার ব্যাপারে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পা ফোলা রোগের কারন
আজকের আর্টিকেল পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়। পা ফুলে যাওয়া সমস্যা অনেকেরই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। কারো একটা ফুলে যায় আবার কারো দুই পা ফুলে যায়। অনেকের সব সময় পা ফোলা থাকে। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণ করলে পায়ে পানি জমে পা ফুলে যেতে পারে।
আর ও পড়ুনঃ গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়
যাদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বেশি তাদের পা বেশি পরিমাণ ফোলে।অনেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকে কাজ করেন। অনেকে অফিসের কাজে দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকেন যার কারণে পায়ে পানি জমা হয়ে পা ফুলে যেতে পারে। ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাওয়ার ফলে অথবা বিভিন্ন ওষুধের সাইড ইফেক্টের কারণে পা ফোলে যেতে পারে।
এছাড়াও পা ফোলা বিভিন্ন রোগের কারন হতে পারে। পা ফোলা বিভিন্ন রোগের কারন হতে পারে যা আলোচনা করা হলো। হৃদরোগের কারনঃ হৃদযন্ত্র পাম্পের সাহায্যে সমস্ত শরীর রক্ত সঞ্চালন করে। কোন কারণে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট ফেইলর হয়। অনেকের জন্মগত হৃদরোগ থাকে।
এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন এর সমস্যা ভাল্ব এর সমস্যা ও রক্তনালী এর সমস্যার কারণে হৃদ রোগ হতে পারে। রোগ হওয়ার লক্ষণ হিসেবে অনেকেরই পা ফোলে যেতে পারে। সাধারণত হৃদ রোগের কারণে হাটা ও চলাফেরা করতে লাগলে শ্বাসকষ্ট হয় এ অবস্থায় পা ফোলে যেতে পারে।
এছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টের কারণে ফুসফুসে পানি জমে এবং সেই পানি আস্তে আস্তে পায়ে জমে পা ফোলে যেতে পারে।
কিডনি রোগের কারনে পা ফোলে যায়ঃ আমাদের দেহের ছাঁকনি হিসেবে কিডনি কাজ করে। কিডনির কার্যকারিতার কারণে রক্তের দূষিত পদার্থ বাহির করে রক্তকে বিশুদ্ধ করে। এছাড়া শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য কিডনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে দেহের পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না।
যার কারনে মুখ ফুলে যায় এবং আস্তে আস্তে পা ফোলে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির সক্ষমতা কমে যেয়ে পা ফোলার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। যার কারণে পা ফোলে যেতে লাগলে কিডনির পরীক্ষা করা যেতে পারে।
রক্তনালীর সমস্যার কারন পা ফোলাঃ রক্তনালীর মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন হয়। চিত্রের রক্তনালীর কোন সমস্যা থাকলে অথবা কোন রক্তরানীতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত বাধা প্রাপ্ত হলে সে সেই জায়গায় ফুলে যায়। এক্ষেত্রে পায়ের রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে পা ফোলে যেতে পারে।
অনেক সময় পায়ের বড় শিরায় রক্ত জমাট বাঁধলে পা ফুলে যেতে পারে। এ অবস্থায় পা ফুলে গেলে সাধারণত শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা হতে পারে।
যকৃত রোগের কারন পা ফুলে যাওয়াঃ সাধারণত যকৃতের কোনো সমস্যা বা লিভার সিরোসিস হলে প্রথম পেটে পানি জমা হয় এবং আস্তে আস্তে পা ফুলে যায়। যকৃত রোগের কারণে পা ফুলে গেলে খাবারে অরুচি, হলুদ প্রস্রাব, ও রক্ত বমীর মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়।
হরমোনের সমস্যার কারন পা ফোলেঃ সাধারণত থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে পায়ে পানি জমে পা ফুলে যেতে পারে। হরমোনের সমস্যার কারণে পা ফোলে গেলে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব, ক্লান্তি, ওজনের বৃদ্ধি, মাসিকের রক্ত বেশি যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও থাইরয়েড হরমোন এর অভাবে পাপ ফুলে গেলে পা খসখুসে মনে হয়।
গর্ভাবস্থায় পা ফোলেঃ গর্ভাবস্থায় শেষের চার মাস পায়ে পানি জমে পা ফুলে যেতে পারে। এ সময় নিয়মিত রক্তচাপ মাপা, প্রস্রাব পরীক্ষা করা, প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় জটিলতা থেকে দূরে থাকতে পা ফোলা লক্ষণ প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
ফাইলেরিয়া আক্রান্তের কারনেঃ শরীরে এক ধরনের কৃমির আক্রমণের কারণে ফাইলেরিয়া রোগ হয়। ফাইলিয়া ফাইলেরিয়া রোগের প্রধান লক্ষণ সমস্ত পা ফুলে যাওয়া। ফাইলেরিয়া রোগের কারণে পা ফুলে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আজকের আর্টিকেল পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়। যেকোনো বয়সে, যেকোনো সময়, পা ফোলে যেতে পারে। পা ফুলে গেলে খুব তাড়াতাড়ি পায়ের চিকিৎসা করা প্রয়োজন। বিভিন্ন অসুস্থতার লক্ষণ পা ফুলে যেতে পারে। যার কারনে পা ফোলে গেলে অবহেলা করা যাবে না। পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ জেনে নিন রূপচর্চায় তুলসী পাতার উপকারিতা
ঠান্ডা ও গরম পানির থেরাপিঃ ঠান্ডা পানি ও গরম পানির থেরাপি ব্যবহারের মাধ্যমে পা ফোলা কমানো যায়। এক্ষেত্রে এক গামলা ঠান্ডা পানি ও অপর গামলায় গরম পানি নিতে হবে। গরম পানি পায়ের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ঠান্ডা পানি পায়ের ফোলা কমিয়ে দেয়। প্রথমে গরম পানিতে পা চুবিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট রাখতে হবে।
এরপর পা দুটি পুনরায় ঠান্ডা পানিতে এক থেকে দুই মিনিট রাখতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২০ থেকে ২৫ মিনিট থেরাপি দিতে হবে। দিনে চার থেকে পাঁচবার করা যায়। এভাবে গরম ও ঠান্ডা পানির থেরাপি ব্যবহারের মাধ্যমে পায়ের ফোলা কমানো যায়।
পায়ে মালিশ করাঃ পায়ে মালিশ করার মাধ্যমে পা ফোলা কমানো যায়। পায়ের ফোলা জায়গায় মালিশ করার মাধ্যমে পায়ের কঠিন মাংস পেশী ঢিলা ও শিথিল হওয়ার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হবে যার কারণে পা ফোলা দূর হবে। এছাড়াও মালিশের মাধ্যমে অতিরিক্ত তরল নিষ্কাশন কমিয়ে ফোলা কমায়।
এক্ষেত্রে সরিষার তেল অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল গরম করে আক্রান্ত স্থানে মালিশ করতে হবে। পায়ের পাতা নিচে থেকে উপরের দিকে উঠিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করুন। এভাবে দিনে কয়েকবার, গোসলের সময়, ও গোসলের পরে মালিশ করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
পা উত্তোলন করাঃ যেহেতু উপর থেকে পায়ে পানি জমা হয়ে পা ফুলে যায় সেই জন্য পা একটু উপরে রাখা যায়। এক্ষেত্রে পা দুটি এমন উচ্চতা রাখুন যাতে হার্ট থেকে পা উপরে থাকে। যার ফলে পা থেকে পানি নিষ্কাশন হয়ে পা ফোলা কমে যাবে। এ প্রক্রিয়ায় দিনে ৫ থেকে ৬ বার উপরে রাখুন এক ঘণ্টা করে।
লেবু পানি খাওয়াঃ লেবু পানি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল ও দূষিত পদার্থ বাহির হয়ে যায় যার কারণে পা ফোলা কমে যায়। নিয়মিত লেবু পানি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর হাইড্রেট থাকে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এক কাপ গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস, সামান্য মধু মিশিয়ে এই পানি প্রতিদিন পান করা যেতে পারে।
টি ট্রি ওয়েল ব্যবহারঃ টি ট্রি ওয়ে ল মেসেজ করার মাধ্যমে পা ফোলা নিরাময় হয়। নিয়মিত টি ট্রি ওয়েল পায়ের ফোলা জায়গায় ভালো করে মেসেজ করতে হবে। পায়ের খোলায় এভাবে মেসেজ করার মাধ্যমে পা ফোলা দূর করা যায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পা ফোলা দূর হয়। তবে অতিরিক্ত লবণ যত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে পা ফোলার সমস্যা বৃদ্ধি হয়। বেশি বেশি শাকসবজি ও আয়োডিন জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার মাধ্যমে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও শরীর হাইড্রেট থাকে। যার কারণে পা ফোলা কমে যায়।
দেহের ওজন কমানোঃ দেহের ওজন বেশি হলে পায়ে রস নেমে পা ফুলে যেতে পারে। যার কারণে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণে কিডনিতে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে যার কারণে পা ফোলা সমস্যা হতে পারে। শরীরে ওজন বেশি থাকলে বিভিন্ন রকম ডায়েট ও নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন কমিয়ে ফেলা প্রয়োজন।
পা ফোলা কমানোর ব্যায়াম
আজকের আর্টিকেল পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়। পা ফোলা কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের ওজন কমে ও পায়ের ফোলা কমে। এক্ষেত্রে প্রথমে দেওয়ালের দিকে পা তুলে শুয়ে পড়তে হবে। এরপরে পা দুটি আস্তে আস্তে দেওয়ালের সোজা সমান্তরাল ভাবে রাখতে হবে।
এ অবস্থায় পা রেখে এক মিনিট অপেক্ষা করে পা নামিয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। এই ব্যায়ামটি পরপর পাঁচবার করতে হবে। এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। এছাড়া পা দুটি মধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীদের রাখার কারণে পা থেকে বিপরীত দিকে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি হয়। এছাড়া পায়ের রক্ত জমাট বাঁধলে রক্ত জমাট বাধা সমস্যা দূর হয়।
মধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে পা রাখলে পায়ের অতিরিক্ত তরল জমা হতে পারে না। যার কারণে পায়ের ফোলা কমে। কোমর ব্যথা থাকলে এই ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমর ব্যথা দূর হয়।
নিয়মিত যোগব্যায়াম করা যায়। যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের ওজন কমে ও পায়ের তরল জমা হওয়ার পরিমাণ কমে। যার কারণে পায়ের ফোলা কমে যায়।
নিয়মিত হাটাহাটি ও সাঁতার কাটা যায়। হাটাহাটি ও সাঁতার কাটার মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। সে সঙ্গে পায়ের পাতায় অতিরিক্ত তরল জমা হতে পারেনা। যার কারণে পা ফোলা কমে যেয়ে পায়ের ব্যথা কমে যায়।
অতিরিক্ত দাড়িয়ে অথবা বসে থাকা রোধ করতে হবে। অতিরিক্ত দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে একটু করে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। অতিরিক্ত বসে থাকা অথবা দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যে হাটাহাটি করলে পায়ে অতিরিক্ত তরল জমা হতে পারে না যার কারণে পা ফোলা কমে যায়।
লেখক এর মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হল। পা ফোলা সমস্যা অনেক মারাত্মক। যার কারণে পা ফোলে গেলে খুব তাড়াতাড়ি পা ফোলা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া পা ফোলা কারণ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে। এছাড়া পা ফোলা যেন সমস্যা না থাকে সে ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।
আজকের আর্টিকেলে পা ফোলা কমানোর বিভিন্ন উপায় আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল গুগুলসহ বিভিন্ন সাময়িক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url