ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু হল। আজকের আর্টিকেলে ফুসফুস পরিষ্কার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ফুসফুস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়। আমরা ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করি। সাধারণত ধূমপান ও বাহিরের ধূলিকণা সহ বিভিন্ন প্রতিরোধের কারণে ফুসফুসের অনেক ক্ষতি হয়। যার কারণে দূষিত বায়ুর মধ্যে একটু সচেতনভাবে আমাদের থাকা প্রয়োজন।
বিশেষ করে ধূলিকণার মধ্যে যেতে লাগলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। এছাড়া ধূমপান পুরোপুরি ভাবে বাদ দেওয়া প্রয়োজন। সাধারণত সর্দি কাশি ও ব্রংকাইটিস থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এইজন্য সর্দি-কাশি ব্রংকাইটিস এর মত কোন সমস্যা হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়

ধূমপান ও ধুলাবালির মধ্যে চলাফেরার কারণে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফুসফুস দূষিত হওয়ার কারণে সর্দি কাশি হাঁপানি ক্রনিক ডিজিজ এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো।

বাষ্প থেরাপীর মাধ্যমেঃ ফুসফুসের স্লেমা নিষ্কাশনের জন্য বাস্পথেরাপি একটি ভাল পন্থা। ফুসফুসের সমস্যা, অতিরিক্ত ঠান্ডা, বা শুষ্ক বাতাসের কারণে ফুসফুসের শ্লেমা ঝিল্লি শুকিয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। বাষ্প থেরাপীর মাধ্যমে এই শুষ্ক ঝিল্লি নরম করে অপসারণ করে ফুসফুস পরিষ্কার করে।

কাশির মাধ্যমেঃ কাশির মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার করে। ফুসফুসে প্রাকৃতিকভাবে শ্লেমা আটকে থাকলে এবং ফুসফুস থেকে টক্সিন গুলো বাহির করতে কাশি উল্লেখযোগ্য পন্থা। এইজন্য নিয়ন্ত্রিত কাশি হওয়ার মাধ্যমে ফুসফুসের অতিরিক্ত শ্লেমাগুলো নরম করে দেয় এবং তা শ্বাসনালী দিয়ে বাহির করে ফেলতে পারে।

নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করাঃ নিঃশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার করা যায়। ব্যায়াম এক্ষেত্রে নিয়ম হলো আপনাকে সোজা হয়ে শুয়ে কোমরের নিচে বালিস দিতে হবে যাতে কোমর থেকে বুক একটু নিচে হয়। এরপরে নাক দিয়ে আস্তে আস্তে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়তে হবে। এক্ষেত্রে শ্বাস ছাড়ার দ্বিগুণ সময় ধরে শ্বাস নিতে হবে।

ব্যায়াম এর মাধ্যমেঃ নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। এছাড়াও ব্যায়াম এর মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় যার কারণে স্ট্রোক হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ এর মত সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। ব্যায়াম করার মাধ্যমে শ্বাস ও প্রশ্বাসের পরিমাণ বেড়ে যায় যার মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার হয়।

নিয়মিত কালোজিরা খাওয়াঃ ফুসফুস ভালো রাখতে এবং পরিষ্কার করতে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। কালোজিরায় পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শ্বাসনালীর প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ কালোজিরা মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত গ্রিন টি খাওয়াঃ গ্রিন টিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারনে নিয়মিত গ্রিন টি খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার হয়। এছাড়াও গ্রিন টি ফুসফুসের টিস্যুকে ধোঁয়া ইনহেলেশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

প্রদাহ বিরোধী খাবার খাওয়াঃ শ্বাসনালীতে কোথাও প্রদাহ হলে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। এছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসে প্রদাহ হলে পরবর্তীতে ফুসফুসে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে প্রদাহ বিরোধী খাবার যেমন হলুদ, বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি, চেরি ফল, ব্লুবেরী, জলপাই, আখরোট, মটর শুটি, মসুর ডাল, আমলকি, ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের বিজ খাওয়াঃ কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তা, চিনা বাদাম, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই রয়েছে। এছাড়াও এগুলো বিজে খনিজ লবণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এগুলো বিজ খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে ফুসফুসের প্রদাহ দূর করে।

নিয়মিত মধু খাওয়াঃ মধুতে অ্যান্টি মাইক্রোবাল ও প্রদাহ নাশক ক্ষমতা রয়েছে। নিয়মিত মধু খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার হয়। এজন্য প্রতিদিন এক চামচ মধু খেতে পারেন। এছাড়া এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খেতে পারেন।

ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়াঃ ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে ফুসফুসের প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট হয়। সকালের সূর্যালোক থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়া মাছ মাংস ইত্যাদি খাবারের মাধ্যমে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

তুলসীর পাতাঃ তুলসীর পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ফুসফুস পরিষ্কার করার কাজে এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তুলসীর পাতা অনেক উপকারী। এসব ফুসফুসের ধূলিকণা শোষণ করে ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ অপসারণ করতে তুলসীর পাতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

এক গ্লাস পানিতে তুলসির পাতার রস অথবা তুলসীর পাতা সহ এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে খেতে পারেন।

রসুন খাওয়ার মাধ্যমেঃ ফুসফুস পরিষ্কার করতে রসুন অত্যন্ত ভালো ভূমিকা রাখে। রসুন এ রয়েছে প্রচুর সেলেনিয়াম ও এলিসিন। প্রাকৃতিক উপাদান সেলেনিয়াম ও এলিসিন শ্বাসনালী ও ফুসফুসের ভাইরাস জাতীয় সংক্রামনের হাত থেকে রক্ষা করে।

নিয়মিত হলুদ খাওয়াঃ হলুদে কারকিউমিন নামক আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফুসফুস কে দূষিত পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে। সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট হলে কাঁচা হলুদ মাখন অথবা ঘি এর সাথে মিশিয়ে খেলে নিরাময় হয়। এ ছাড়া নিয়মিত রসুন খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছে পর্যাপ্ত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ফুসফুস এর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এইজন্য ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ও পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখার প্রয়োজন।

ধূমপান বর্জন করুনঃ ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে ধূমপান বর্জন করা প্রয়োজন। ধূমপানের মাধ্যমে ফুসফুসের কার্বন ডাই অক্সাইড সহ অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ জমা হয়। যার কারণে আস্তে আস্তে ফুসফুস ক্যান্সারের মতো সমস্যা হয়। এইজন্য ফুসফুস ভালো রাখতে ধূমপান একেবারেই বর্জন করা প্রয়োজন।

ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করার উপায়

বিভিন্ন কারণে ফুসফুসে ইনফেকশন হতে পারে। ফুসফুসে ইনফেকশন হলে খুব তাড়াতাড়ি সুচিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেল ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়। ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করার উপায় আলোচনা করা হলো।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করাঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার মাধ্যমে ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করা যায়। ফুসফুসের ইনফেকশন হলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করার কারণে ফুসফুসের শ্লেমা সহ কফ থাকলে তা সিক্ত হয়ে অপসারিত হয়।

বিশ্রাম নেওয়াঃ ফুসফুসে ইনফেকশন হলে পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। ফুসফুসের ইনফেকশন হলে শারীরিক পরিশ্রম থেকে দূরে থাকতে হবে। এজন্য ফুসফুসে ইনফেকশন হলে বাসায় বসে থেকে পূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ করবেন।

সব সময় মুখে মাক্স পরাঃ সাধারণত ধুলাবালি অথবা বিভিন্ন ধুয়ার কারণে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়। যার কারণে বাহিরে যাওয়ার সময় মুখে মাস্ক পড়া প্রয়োজন। মুখে মাস্ক পরা থাকলে ধুলাবালি বা ধোয়া ফুসফুসে যেতে পারে না।

ধূমপান বন্ধ করাঃ ধূমপান বাদ দিতে হবে। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে কার্বনডাই-অক্সাইড সহ অন্যান্য উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে ফুসফুসে ইনফেকশন হতে পারে। ইনফেকশন রোধ করতে ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।

পিঠে ম্যাসাজ করাঃ ফুসফুসে জমে থাকা সিনেমা গুলো বাহির করতে পিঠে ভালো করে ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। প্রথমে সামনের দিকে ঝুকে পড়ে পিঠে ভালো করে ম্যাসাজ করলে ফুসফুসের শ্লেমাগুলো অপসারিত হয়।

মধু অথবা আদা দিয়ে গরম চা খাওয়াঃ আদাতে পর্যাপ্ত এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়া মধুতে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। যার কারনে আদা অথবা মধু দিয়ে চা খেলে ফুসফুসের ইনফেকশন দূর হয়।

হলুদ খাওয়াঃ হলুদ দিয়ে ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুসের ইনফেকশন দূর হয়। এক্ষেত্রে এক গ্লাস দুধে কাঁচা হলুদ বেটে অথবা গুড়া হলুদ মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে।

পুদিনা চাঃ ফুসফুসে ইনফেকশন গলা ব্যথা ও ফুসফুস থেকে শ্লেমা দূর করার জন্য চায়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে।

গোলমরিচ খাওয়াঃ গোলমরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফুসফুসের সংক্রমণ রোধ করে। এছাড়াও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গলা ব্যথা সর্দি কাশি রোধ করতে গোলমরিচ খাওয়া যেতে পারে।

আখরোটঃ আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণ যা ফুসফুসের সংক্রমণ রোধ করে। এইজন্য ফুসফুসের সংক্রামন দূর করতে নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন।

সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়া সবুজ শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন সি প্রদাহ দূর করে। এজন্য ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন

ফুসফুস পরিষ্কার করার খাবার

ফুসফুস পরিষ্কার করার জন্য অনেক রকম খাবার রয়েছে। এ সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার করা যায়। আজকের আর্টিকেল ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়। ফুসফুস পরিষ্কার করার খাবার সমূহ আলোচনা করা হলো।

আমলকি খাওয়াঃ গবেষণায় দেখা গেছে ধূলিকণা সহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ থেকে ফুসফুস পরিষ্কার করতে আমলকি অত্যাধিক উপকারী। আমলকিতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে সর্দি কাশিসহ ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখে।

টমেটো খাওয়াঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে টমেটোর জুড়ি নাই। টমেটোতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও টমেটোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফুসফুস পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তুলসির পাতাঃ ধুলাবালি থেকে ফুসফুস কে রক্ষা করতে তুলসী পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে তুলসী পাতার রস খেলে শরীরের শ্বাস যন্ত্রের দূষিত পদার্থগুলো বাহির হয়ে যায়।

লেবু জাতীয় ফল খাওয়াঃ কমলা লেবু, বাদামী লেবুতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি ফুসফুস থেকে যাবতীয় ক্ষতিকর উপাদান অপসারিত করে। এছাড়াও ভিটামিন সি প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এজন্য নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খেলে ফুসফুস পরিষ্কার থাকে।

গুড় খাওয়াঃ অ্যাজমা ব্রংকাইটিস সহ ফুসফুসের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে গুড় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে তিলের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে এগুলো সমস্যা দূর হয়।

সবুজ চা খাওয়াঃ দিনে দুইবার সবুজ চা বা গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টি শরীরের দূষিত পদার্থ গুলো বাহির করে। এছাড়া গ্রিনটিতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

ফুসফুস ভালো রাখার ব্যায়াম

ফুসফুসের ব্যায়াম এর মাধ্যমে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। ব্যায়াম এর মাধ্যমে ফুসফুসের ইনফেকশন এর হার কমে যায়। আজকের আর্টিকেল ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়। ফুসফুল ভালো রাখার ব্যায়াম সমূহ।
রিলাক্সিং ব্রিদিংঃ প্রথমে পিঠ সোজা করে আরামে বসে হুশ আওয়াজ করে মুখ থেকে ফুসফুসের সব বাতাস বাহির করে দিন। এবার চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে এক থেকে চার গননা পর্যন্ত গভীর শ্বাস নিন। এবার মুখের মধ্যে শ্বাস নিয়ে এক থেকে সাত পর্যন্ত গুণুন।

এইবার এক থেকে ৪ পর্যন্ত গুনতে গুনতে হুশ করে শ্বাস বাহির করে দিন। কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে এভাবে চারবার করুন। ব্যায়াম করার মাধ্যমে ফুসফুসের কার্যকারিতা বেড়ে যাবে।

শ্বাস গোনার ব্যায়ামঃ প্রথমে মেরুদন্ড সোজা করে বসে চোখ বন্ধ করে কয়েকবার গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কমে আসবে। প্রথমবারে প্রশ্বাস ছাড়ার সময় এক গুনবেন দ্বিতীয়বার প্রশ্বাস ছাড়ার সময় দুই গুনবেন এইভাবে বারবার প্রশ্বাস ছাড়ার সময় পাচ পর্যন্ত গুনবেন।

এই ব্যায়ামটি প্রতিদিন ১০ মিনিট করবেন। এই ব্যায়াম করার কারণে মস্তিষ্ক সজাগ হবে এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে।

বেলো ব্রিদিংঃ এই ব্যায়ামটি হল মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। সেকেন্ডে তিন থেকে চার বার এইভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শ্বাস নেওয়া এবং প্রসাস ছাড়ার সময় সমান হবে। ১৫ সেকেন্ডের বেশি না করাই ভালো। এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরে ক্লান্তি কমে যায় এবং ফুসফুস এর কার্যক্ষমতা বাড়ে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগন ফুসফুস পরিষ্কার করার ১৫টি ঘরোয়া উপায় বিষয় আজকের আর্টিকেল লেখা হল। বাহিরে ধুলাবালির মধ্যে যাওয়ার ফলে অনেক ধুলাবালি দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও ধূমপানের মাধ্যমে ফুসফুস অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে ধূমপান পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন।

ফুসফুস ভালো রাখার ব্যাপারে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url