পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন
প্রিয় পাঠক পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন। পালং শাক একটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আজকের এ পোস্ট থেকে জানবেন পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা। পালং শাক খাওয়ার নিয়ম। পালং শাক জুস করে খেলে ভিটামিন মিনারেলস ও এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীর গ্রহণ করে।
এছাড়া আর রান্নার মাধ্যমেও খাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতের সময় মাছ দিয়ে পালং শাক ঝোল খেতে অনেক মজা। তাই আসুন পালং শাক সম্পর্কে জানতে এ পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
ভূমিকা
পালং শাক শীতকালীন সবজি। শীতকালে অনেক ভালো হয়। পালং শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও পালং শাকে ফাইবার ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের মিনারেল বিদ্যমান। পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন।
আর ও পড়ুনঃ গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়
পালং শাক জুস করে খেলে জুসের নিউটিন এবংজিয়াজ্যানথিনের মত উপাদান আছে যা ত্বককে নরম করে চক্ষু যুগলকে স্বাস্থ্যবান করে এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। তাছাড়া পালং শাক ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে। তাই আসুন পালং শাক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন
বিশেষজ্ঞগণ পালং শাকের উপকারিতা নিয়ে অত্যাধিক ব্যস্ত। তাদের মধ্যে এমন কোন উপকারই নাই যেটা পালং শাকের মধ্যে নাই। পালং শাকে ভিটামিন খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার পরিপূর্ণ। পালং শাকের জুস খেতে অনেক মনোরম। পালং শাকের জুস এর উপকারিতা জানুন। পালং শাকের জুস খেলে শারীরিক যে উন্নতি ঘটে তার বিবরণ দেওয়া হল।
চোখের স্বাস্থ্য ব্যাপারেঃ নিয়মিত পালং শাক খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পালং শাকের নিউটিন ও জিয়াজ্যানথিনের উপাদান রয়েছে। এছাড়া পালং শাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ রয়েছে। উপরোক্ত উপাদানের কারণে নিয়মিত পালং শাক খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ পালং শাকে অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। যাহা কোষের ভিতরে ক্যান্সারের আক্রান্তের জীবাণু প্রতিরোধ করে। যার কারনে নিয়মিত পালং শাক খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণঃ পালং শাকের জুসে পর্যাপ্ত পরিমাণ নাইট্রেট আছে যার রক্ত নালিকে প্রসারিত করে। রক্ত চলাচলে কোন বাধা হয় না। এছাড়া পালং শাকের জুসে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম আছে। যা রক্ত নালিকে প্রসারিত করে। যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ থাকে না।
পালং শাকের জুসে ফায়বার রয়েছেঃ পালং শাকের জুসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফায়বার রয়েছে। যা পাকস্থলীতে খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণে পাইলস হয়। আর কোষ্ঠকাঠিন্য না থাকার কারণে পাইলস থাকে না।
ক্রনিক ডিজিজ নিরাময়েঃ বিপাকের ফলে শরীরে কিছু ফ্রি রেডিকেল উৎপন্ন হয়। পালং শাকের জুস খাওয়ার ফলে পালং শাকে থাকে আন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের ভিতর থেকে টক্সিন বাহির করে দেয়। যার কারণে দেহে ক্রনিক ডিজিজ থাকে না। তাই আসুন আমরা এই প্রাকৃতিক পানীয়টা খেয়ে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গুলো বৃদ্ধি করি।
পালং শাকে কি এলার্জি আছে
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নিয়ে পালংশাকে এলার্জি আছে কিনা। আসলে একেক খাদ্যে এক এক জনের জন্য এলার্জি হয়। পালং শাকে তেমন কোন এলার্জি নাই। এরপরেও পালং শাক খেলে অনেকের এলার্জি হয়। তবে অনেকের পালং শাক খেলে পালং শাকের প্রোটিনের কারণে এলার্জি হয়।
আর ও পড়ুনঃ জেনে নিন রূপচর্চায় তুলসী পাতার উপকারিতা
পালং শাকের প্রোটিনের জন্য যে এলার্জি হয় যারা পালং শাক খান তাদের নাকের নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার মতো হয় গলা ও ফুসফুসের আবরণের সংস্পর্শে আসে তখন অ্যালার্জি সমস্যা শুরু হয় চোখ চুলকায় শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। এছাড়া শরীরের ত্বকে লাল ফোলা ভাব তৈরি হয়।আপনি যদি পালং শাকে অ্যালার্জি মনে করেন।
তাহলে আপাতত এরপরে এলার্জি ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তবে পালং শাক এর এলার্জি সবার হয় না। যাদের এলার্জি হয় না তারা নিয়মিত পালং শাক খেতে পারেন। পালং শাক খেলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে শরীরের বহু উপকার হয়। এইজন্য এলার্জি সমস্যা না থাকলে নিয়মিত পালং শাক খাওয়া প্রয়োজন।
পালং শাকের অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আজকের বিষয়ে পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন। পালং শাক অত্যন্ত পুষ্টিকারী সবজি। এতে ভিটামিন খনিজ ও প্রোটিনে পরিপূর্ণ। এরপরেও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। সেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন।
কিডনিতে পাথরের সমস্যাঃ পালং শাকের পর্যাপ্ত অক্সালিত রয়েছে যা ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পালং শাকের অক্সালের থাকার জন্য বেশি পালং শাক খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাই যাদের কিডনির পাথরের প্রবণতা আছে তাদের জন্য পালং শাক এড়িয়ে যাওয়া অথবা খুব কম পরিমাণে খাওয়া দরকার।
কীটনাশক সমস্যাঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় যার ফলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কীটনাশক প্রভাব কমাতে জৈব পালং শাক উৎপন্ন করার প্রয়োজন।
এলার্জির সমস্যাঃ পালং শাক খাওয়ার জন্য অনেকেরই এলার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে চুলকানি শ্বাসকষ্টের মত লক্ষণ গুলি। যাদের পালং শাক খেলে এলার্জি হতে পারে তাদের জন্য না খাওয়া অথবা কম পরিমাণ খাওয়াই ভালো।
পর্যাপ্ত পিউরিন বিদ্যমানঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত পিউরিন আছে যা ইউরিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হতে পারে। এই জন্য যাদের ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি তাদের জন্য পালং শাক না খাওয়া ভালো।
গয়ট্রোজেনের উপস্থিতিঃ পালং শাকে গয়ট্রোজেন উপাদান থাকায় থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা নষ্ট করে। এই জন্য থাইরয়েড গ্রন্থী সংক্রান্ত অসুস্থ রোগীদের পালং শাক না খাওয়া ভালো।
নাইট্রেট উপাদানঃ পালং শাকে নাইট্রেট এর পরিমাণ অনেক বেশি। নাইট্রেট গুলোর নাইট্রাইড এর রূপান্তরিত হয়ে শরীরের টক্সিন তৈরি করে। রান্না করার ফলে কিছু নাইট্রেট কমে।
পালং শাকের উপকারিতা অনেক। তারপরেও ক্ষতিকর দিক আছে। পালং শাকে ক্ষতিকর দিক থাকার জন্য ক্ষতির দিকগুলো বিশ্লেষণ করে পালং শাক খাওয়া প্রয়োজন। তবে সবার জন্য পালং শাক পরিহার করা ঠিক না।
পালং শাকের উপকারিতা
পালং শাক অত্যধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ। পালং শাক খাওয়ার কারণে দেহ প্রচুর পুষ্টি উপাদান পায়। বিশেষ করে পালংশাকে ভিটামিন খনিজ পদার্থ প্রোটিন ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। আজকের বিষয় পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন। সুপ্রিয় পাঠকগণ আসুন জেনে নিই পালং শাক এর উপকারিতা।
ইউমিনিটি বৃদ্ধি করেঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। পালং শাক খাওয়ার ফলে শরীরের ভিটামিন সি এর উপস্থিতির জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। যারা প্রায় অসুস্থ থাকেন তাদের জন্য পালং শাক খাওয়া প্রয়োজন।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখেঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ লুটেইন এবং ডিক্সনথিন দুটি এন্টি অক্সিডেন্ট থাকায় চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। এছাড়া পালং শাকের ভিটামিন এ থাকায় চোখের সানি ও অন্যান্য সমস্যা দূর করে।
হৃদরোগের ঝুকি কমায়ঃ পালং শাকে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ও ফোলেন বিদ্যমান। যেগুলো উপাদান হাটকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে। পটাশিয়াম রক্তনালীকে প্রশস্ত করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে। যার কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়।
হাড় ও পেসি ভালো রাখেঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে। নিয়মিত পালং শাক খেলে ক্যালসিয়াম উপস্থিত থাকার জন্য হাড় ও পেসি মজবুত করে। জয়েন্ট এর ব্যথাগুলো কমে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্ল্যাভোনয়েড,ক্যারোটিনয়েড ও ক্লোরোফিল সহ ক্যান্সার প্রতিরোধী অনেক উপাদান রয়েছে। যাহা শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করে। শরিরের টিউমার হতে দেয় না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। পালং শাকে কার্বোহাইড্রেট কম অপরপক্ষে ফাইবার ও পটাশিয়াম এর পরিমাণ বেশি। পালং শাকের পটাশিয়াম রক্তনালিকাগুলো প্রশস্ত করে রক্ত চলাচলের সুযোগ করে দেয়। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো থাকেঃ পালং শাকের প্রচুর ফাইবার থাকার জন্য হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পাকস্থলীতে উপকার ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্যতা থাকেনা। হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।
ত্বকের স্বাস্থ্যে পালং শাকঃ পালং শাক ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। নিয়মিত পালং শাক খেলে পালং শাকের উপস্থিত ভিটামিন এ ত্বকের গভীরে পৌছে ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে ও নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারনে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। এছাড়া ভিটামিন এ সুর্যের বেগুনি রশ্মি হতে ত্বককে রক্ষা করে।
মেধাবিকাশে পালং শাকঃ পালং শাকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও ফোলেট বিদ্যমান। যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করে ও মেধা বিকাশের সহায়তা করে। তাই নিয়মিত পালং শাক খেলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
গর্ভবতীদের জন্য পালং শাকঃ সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের আয়রনের অনেক অভাব হয়। আয়রনের অভাবে শিশুর অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশু প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার কারণে পালং শাকের পর্যাপ্ত আয়রন থাকায় গর্ভবতী মহিলাদের এ সমস্যা দূর হয়।
যাহার কারণে গর্ভবতী মায়েদের প্রথম তিন মাস নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে পালং শাক খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকায় গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত পালং শাক খেলে মা ও শিশুর হাড় ও পেশি সুস্থ থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যা বেশি হয়।
যার কারণে পালং শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যায়। পালং শাকে ওমেগা৩-ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে গর্ভবতী মা ও শিশুর স্নায়ুতন্ত্র সমস্যা সমাধান হয়। পালং শাক প্রটিন সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় পালং শাক খেলে বাচ্চা ও মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। তাই আসুন আমরা নিয়মিত পালং সাক খেয়ে শারীরিক উপকারে অংশগ্রহণ করি।
পালং শাক খাওয়ার নিয়ম
পালং শাক এমন একটি সবজি যা বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় খাবার পালং শাকের ঝোল অথবা পালং শাক ভেজে খাওয়া। তারপরেও পালং শাক যেভাবে খাওয়া যায় তাহা বর্ণনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
স্মুদিতে পালং শাকঃ স্মুদিতে পালং শাক যোগ করার কারণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা অন্যান্য উৎপাদনের সাথে মিলিত হয়ে সাধের খুব একটা কম বেশি হয় না।
সালাদে ব্যবহারঃ সালাদে ব্যবহারের কারণে সালাদের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। খাবার হিসেবে অন্যান্য শাকসবজি ফল ও বাদামের সাথে মিলিত করে খাওয়া যেতে পারে।
অমলেট তৈরিতেঃ অমলেট তৈরিতে পালং শাক ব্যবহার করা যায়। সে ক্ষেত্রে পালং শাক ভাজুন ও পালং শাকের মধ্যে ডিম ঢেলে দিয়ে ওমলেট করুন। পুষ্টি সমৃদ্ধ অম্লেট তৈরি হয়ে যাবে।
সুপ তৈরিতেঃ সুপ তৈরিতে পালং শাক যোগ করলে সুপের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। তাই সুপ তৈরি করার জন্য পালং শাক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
স্যান্ডউইসে ব্যবহারঃ স্যান্ডউইচ এর মোড়কে লেটুস এর পরিবর্তে পালংশাক ব্যবহার করতে পারেন। স্যান্ডউইস খেতে মজা পাবেন।
পাস্তা খাবারেরঃ পাস্তা খাবারে পালং শাক যোগ করলে পাস্তার পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। তাই পাস্তা তৈরিতে পালংশাক ব্যবহার করুন।
খিচুড়ি তৈরিতেঃ খিচুড়ি তৈরিতে পালং শাক ব্যবহার করলে খিচুড়ির পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও খিচুড়ি খেতে অনেক মজাকর হয়। তাই খিচুড়ি করলে পালং শাক ব্যবহার করা ভালো।
জুস হিসেবে পালং শাকঃ পালং শাক জুস করে খাওয়া যায়। পালং শাক জুস করে খেলে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। বিশেষ করে পালংশাকে বিদ্যমান ভিটামিন খনিজ পদার্থ প্রোটিন ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলো শরীরে বৃদ্ধি করে। আজকের পোস্ট পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন।
পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে
পালং শাক অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ। পালং শাকে ভিটামিন খনিজ পদার্থ প্রোটিন বিদ্যমান। সাধারণত ভিটামিন এর মধ্যে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন ই ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণ বিদ্যমান। এছাড়াও পালং শাকের প্রচুর আয়রন আছে।
যার কারনে পালং শাক খেলে শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। এছাড়াও পালং শাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন রয়েছে। যাহার কারণে নিয়মিত পালং শাক খেলে আমাদের ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ হয় ও খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ হয়।
নিয়মিত পালং শাক খেলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। যার কারণে পালং শাককে সুপার সবজি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আসুন আমরা নিয়মিত পালং শাক খাবারের তালিকায় রেখে খাবারের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করি।
লেখকের মন্তব্যঃ
সুপ্রিয় পাঠকগণ পালং শাকের জুসের উপকারিতা জানুন। নিজে জুস তৈরি করে খান এবং অন্যজনকে জুস খাওয়ার পরামর্শ দিন। এছাড়া পালং শাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন মিনারেল ও প্রোটিন বিদ্যমান। যার কারনে আমাদের খাবার তালিকায় নিয়মিত পালং শাক রাখি। এছাড়াও বাড়ির পাশে পতিত জমিতে কিছু পালং শাক চাষ করে পালং শাকের চাহিদা পূরন করি।
বাসায় কীটনাশকবিহীন পালংশাক চাষ করলে আমরা স্বাচ্ছন্দে খেতে পারব। পালংশাক ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের এই পোস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করি এখান থেকে পালং শাক সংক্রান্ত সবকিছু জানতে পারবেন। আপনাদের ভালো লাগলে নিজেকে সার্থক মনে করব। ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url