পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয়
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আনারস অত্যন্ত উপকারী পুষ্টি সম্পন্ন ফল যা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
এছাড়া আনারস খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। আজকের আর্টিকেল ব্যাপারে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেল পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয়। আনারস এক ধরনের রসালো ফল যার জন্মস্থান দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও জামালপুর সদর উপজেলায় পর্যাপ্ত আনারস উৎপন্ন হয়। ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে আনারস উৎপাদন ছিল ২৭৯ লক্ষ মেট্রিক টন।
আর ও পড়ুনঃ পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়
আনারস অত্যন্ত উপকারী ফল যা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আনোরসে পর্যাপ্ত ব্রোমেলাইন এনজাইম রয়েছে যা শরীর থেকে খারাপ পেশি অপসারণ করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। মেয়েদের পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। নিয়মিত আনারস খেলে মেয়েদের রক্তশূন্যতা দূর করে পেটের ব্যথা নিরাময় করে।
আনারস ফল মানুষের পেটে গিয়ে মাংস খেতে শুরু করে
আজকের আর্টিকেল পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয়। সুস্থভাবে চলাফেরার জন্য আমরা খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফল খেয়ে থাকি। শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ফল খাওয়া প্রয়োজন। আনারস এমন একটি ফল যা আমাদের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া আনারস সারা বছর চাষ হয় ও বাজারে সারা বছর পাওয়া যায়। আনারসের মূল আবাসস্থল দক্ষিণ আমেরিকা।
এই ফল খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি ও টক উভয়ই স্বাদের হয়। তবে এই ফল মাংস খায় এর উত্তর জেনে নিন। আনারসে পর্যাপ্ত এনজাইম রয়েছে যা শরীরের মাংস কে নরম করে। এর কারণে এই ফলকে মাংস খাওয়া ফল বলা হয়। আমরা আরো জেনে নিই এই ফলকে মাংস খাওয়া ফল বলা হয় কেন। এই ফলে কি কি পুষ্টির উপাদান রয়েছে।
এছাড়া এই ফল খাওয়ার কি কি উপকারিতা বিষয় রয়েছে। আনারসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বিভিন্ন রকম খনিজ উপাদান এন্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এছাড়াও আনারসে পর্যাপ্ত বিভিন্ন ধরনের এনজাইম রয়েছে যা শরীরের চমৎকার উপকার করে। আমরা অনেকেই এই ফলকে আমাদের দেশীয় ফল বলি কিন্তু এই ফল প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় ফল।
সেখানে শত শত বছর ধরে এই ফল চাষ করে আসতেছে। আনারসের ব্যাপারে একটি অজানা তথ্য হলো এই ফলকে মাংস খাওয়া ফল বলা হয়। আনারসে সাইট্রিক এসিড ও ম্যালিক এসিড রয়েছে। এই দুটি এসিড থাকার জন্য এই ফল খেতে লাগলে জিহ্বার অসারতা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া আনারসে ব্রোমেলাইন নামক এক ধরনের উপকারী এনজাইম রয়েছে।
এই এনজাইম টি গাছের কাণ্ড পাতা ও ফল সব জায়গাতেই থাকে। এছাড়া ব্রোমেলাইন এনজাইম এক ধরনের প্রোটিন যা অন্যান্য প্রোটিন ভেঙ্গে দিয়ে অ্যাসিডে রূপান্তরিত করে। যার কারণে আনারস খেলে শরীরের প্রোটিন দ্রুত ভেঙ্গে যায়। যার কারণেই এই ফলকে মানুষের মাংস খাওয়া ফল বলে।
প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ গ্রাম আনারস খেলে শরীর থাকা বিশেষ ধরনের প্রোটিন ভেঙ্গে খারাপ টিশুগুলো ধ্বংস ও অপসারিত হয়। অর্থাৎ নিয়মিত আনারস খেলে মানুষের শরীর থেকে খারাপ মাংস দূর হয়ে যায়। এছাড়া আনারস খাওয়ার ফলে শরীরের মেদ ও ভুড়ি উভয় কমে। এ ফল খাওয়ার ফলে শরীর অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুগঠিত হয়।
নিয়মিত আনারস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের ওজন কমে। এই ফলে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ও জিংক, থাকে। এই উপাদান গুলি শরীরের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যার কারণে ডায়েটে আনারস রাখললে বিভিন্ন শারীরিক উপকারিতা পাওয়া যায়।
আনারসের পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আনারস খাওয়ার ফলে শরীরের চর্বি কমে এবং চর্বিগুলো আস্তে আস্তে ভাঙতে সহায়তা করে ও বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে। শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল অপসারিত করে।
আনারস খাওয়ার ফলে শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান গুলো বাহির করে ডিটক্সিফাই হিসেবে কাজ করে। আনারসে পর্যাপ্ত ক্লোরিন রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন খারাপ টিশু ধ্বংস করে। যার কারনে বলা হয় আনারস মানুষের পেটে গিয়ে মাংস খেতে শুরু করে।
পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয়
পিরিয়ডের সময় মহিলাদের পেট ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্ত, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। অনেকের অত্যন্ত বেদনাদায়ক পেট ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা দূর করার জন্য বিভিন্ন রকম ওষুধ ও বিভিন্ন রকম পন্থা অবলম্বন করা হয়। তবে পিরিয়ডের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে আনারস অত্যান্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আর ও পড়ুনঃ পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়
আনারস কেবল সুস্বাদু ফল নয় বরং বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রদাহ দূর করেঃ ব্রোমেলাইন এনজাইমে ভরপুর আনারস খাওয়ার মাধ্যমে পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায়। পিরিয়ডের সমস্যা বিভিন্ন ব্যথা দূর করতে এই এনজাইম যুক্ত আনারস খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। ২০১৬ সালে বায়ো মেডিকেল রিপোর্টৈর একটি গবেষণা থেকে জানা যায়।
ব্রোমেলাইন এনজাইম প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন রকম পেট ব্যথা ও পেশির ব্যথা কমায়। যার কারণে পিরিয়ডের সময় আনারস খাওয়া যেতে পারে।
পর্যাপ্ত ভিটামিন সি সমৃদ্ধঃ আনারসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া আনারসের ভিটামিন সি থাকায় প্রদাহ বিরোধী কাজ করে যার কারণে পিরিয়ডের সময় আনারস ফল খেলে পেট ও পেশীর ব্যথা দূর হয়।
২০২২ সালে কিউরি আছে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা যায় ভিটামিন সি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি রক্তনালীর দেওয়াল কে শক্তিশালী করে এবং পিরিয়ডের ভারী রক্তপাত কমিয়ে বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
স্ট্রেস দূর করেঃ পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে স্ট্রেস দেখা যায়। সাধারণত হরমোন ওঠানামার কারণে এটি ঘটে। এক্ষেত্রে আনারস খাওয়ার মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আনারসে পর্যাপ্ত ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে যা খাওয়ার মাধ্যমে মন ও মেজাজ উন্নত করে।
আনারসে ট্রিপটোফেন নামক উপাদান রয়েছে যা সেরাটনিন হরমোন নিসৃত করে যার কারণে মানসিক দিক দিয়ে অনেক উন্নত হওয়া যায়।
পেট ফাঁপা দূর করেঃ পিরিয়ডের সময় পেট ফাঁপা, বদহজম, গ্যাস, ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়। আনারসে ব্রোমেলাইন এনজাইম থাকাই প্রদাহ বিরোধী কাজ করে যার কারণে পেট ফাঁপা, বদহজম, ও গ্যাসের, সমস্যা দূর হয়। এছাড়া আনারসে পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে।
আয়রন শোষণ করেঃ আনারসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। ২০২০ সালে গবেষণা পত্র অনুসারে দেখা গেছে ভিটামিন সি হল প্রাণীর টিস্যু ছাড়া একমাত্র খাদ্য তালিকা গত টিস্যু যার শরীরে আয়রন শোষণ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পিরিয়ডের সমস্যায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা হতে পারে।
এছাড়া পিরিয়ডের সময় রক্তপাত হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত আয়রনের ঘাটতি হয় যার কারণে শরীর দুর্বল ও ক্লান্তি দেখা যায়। এই সময় খাবারের তালিকায় নিয়মিত আনারস রাখা প্রয়োজন। এছাড়া পালং শাক, মসুর ডাল, সহ বিভিন্ন রকম শাকসবজি খাবারের তালিকায় রাখা প্রয়োজন। যেগুলো আয়রন শোষণ করে শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
বাচ্চাদের আনারস খাওয়ার নিয়ম
আজকের আর্টিকেল পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয়। বাচ্চাদের জন্য আনারস অত্যন্ত উপকারী এবং মুখরোচক খাদ্য। আনারস বিভিন্নভাবে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো যায়। নিয়মিত বাচ্চাদেরকে আনারস খাওয়ানোর ফলে বাচ্চাদের বেড়ে উঠতে ও বিকাশিত হতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান আনারস থেকে পায়।
সাধারণত ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চাদেরকে আনারস দেওয়া যেতে পারে। তবে বাচ্চার বয়স এক বছর হলে নিয়মিত আনারস দেওয়া যেতে পারে। তবে শিশুদেরকে কাঁচা আনারস না দিয়ে আনারসের বিভিন্ন রকম রেসিপি করে বাচ্চাদের খাওয়ালে ভালো হয়।
*সাধারণত আনারস কলা নাশপাতি বা মিষ্টি আলু এর সঙ্গে পিউরি করে খাওয়া যেতে পারে।
*আনারস যদি শক্ত হয় তাহলে রান্না করে নরম করে বা আনারসের জুস করে বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে।
*সরাসরি জমি থেকে তুলে নিয়ে এসে আনারস বাসায় দুদিন রেখে বাচ্চাদের খাওয়ানো ভালো। এছাড়া বিভিন্ন রকম আনারসের রেসিপি করে বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে।
আনারসের দইঃ আনারসের দই করতে এক চাকা আনারস, আপেল জুস, ও এক কাপ প্রাকৃতিক দই লাগবে। এক্ষেত্রে নিয়ম হল আপেলের জুসের মধ্যে আনারসের চাকা পাঁচ মিনিট সম্পূর্ণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরে উক্ত মিশ্রণ বাদামি কালার না হওয়া পর্যন্ত গ্রিল করতে হবে।
এরপরে মিশ্রণটি ঠান্ডা করতে হবে। এরপরে উক্ত মিশ্রণে দই মিশ্রিত করে আনারস দই তৈরি করতে হবে। এই দই বাচ্চারা পছন্দ মতো খেতে পারবে।
আনারসের পিউরিঃ আনারস পিউরি করলে বাচ্চারা আনন্দে খেতে পারে। এক্ষেত্রে উপকরণ হিসেবে লাগবে এক কাপ কুচানো আনারস ও একটি কলা। এক্ষেত্রে আনারস ও কলা একত্রে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ঘন পিউরি ফ্রিজে রেখে ইচ্ছেমতো খাওয়া যেতে পারে।
আনারসের পিউরি ক্ষেতে বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে। এছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে রেসিপি তৈরি করে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো যেতে পারে।
আনারস আর দুধ খেলে কি মারা যায়
আজকের আর্টিকেল পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয়। আনারসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া এই ফলে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ও ফসফরাস, রয়েছে। দুধ হলো সুষম খাদ্য যাতে খাদ্যের প্রতিটি উপাদান কমবেশি রয়েছে। আমাদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে মানুষ মারা যায়।
আর ও পড়ুনঃ বাচ্চাদের শাল দুধ খাওয়ানোর ১৫টি উপকারিতা
তবে এই তথ্যটির সত্যতা কোথাও পাওয়া যায়নি। আসুন আমরা বিস্তারিত জেনে নিই আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে কি হয়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষ ক্রিয়া হয়ে মানুষ মারা যায় এ ধারণাটি ভুল। সাধারণত যে ধারণা রয়েছে সেটি কুসংস্কার ছাড়া অন্য কিছু নয়।
অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ডাক্তার তামান্না চৌধুরী বলেন আনারস হল এসিডিক খাবার। এছাড়া দুধ ক্ষারীয় জাতীয় খাবার। দুধ যদি পাস্তুরিত না করা হয় তবে দুধ ও আনারস একসঙ্গে খেলে গ্যাসের প্রভাব হতে পারে।
ডাক্তার তামান্না চৌধুরী আরো বলেন আমরা সাধারণত দুধ ও আনারসের সমন্বয়ে তৈরি পাইন অ্যাপেল কাস্টার্ড, পাইন অ্যাপেল স্মুদি, পাইন অ্যাপেল মিল্ক সেক, ইত্যাদি খাই যাতে আনারস ও দুধ একসঙ্গে থাকে। ডাক্তার এবিএম আব্দুল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলেন আনারস আর দুধ একসঙ্গে না খেয়ে বরং মাঝখানে দুই তিন ঘন্টা বিরতি দিয়ে খাওয়া প্রয়োজন।
এই নিয়মই আনারস ও দুধ খেলে পুষ্টি উপাদান ভালোভাবে গ্রহণ করা যায় এবং পারিপার্শ্বিক কোনো ক্ষতি হয় না। এজন্য আনারস ও দুধ একসঙ্গে না খেয়ে দুই খাবারের মাঝখানে দুই থেকে তিন ঘন্টা বিরতি দিয়ে খাওয়া প্রয়োজন।
আনারস খেলে কি এলার্জি হয়
আজকের আর্টিকেল পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয়। আনারস অত্যন্ত উপকারী ও স্বাস্থ্যকর ফল। তবে আনারস খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আনারস খেলে কি এলার্জি হয় এ বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হল। আনারস খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি সমস্যা হতে পারে।
আনারসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্রোমেলাইন রয়েছে যা প্রোটিন ভাঙ্গার সময় কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় যা এলার্জির মত মনে হয়। অতিরিক্ত আনারস খেলে এসিডিটিক সমস্যা হয় যার কারণে মুখের অভ্যন্তরে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয় যা এলার্জির মত মনে হয়। যাদের বেশি এলার্জি রয়েছে আনারস খেলে এলার্জির প্রভাব বাড়তে পারে।
আনারস খেলে যাদের অ্যালার্জি হয় তাদের ত্বক লালছে ফোলা ভাব শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। যার কারণে আনারস খেলে যাদের অ্যালার্জি হয় তাদেরকে কম পরিমাণ আনারস খাওয়া প্রয়োজন।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ পিরিয়ডের সময় আনারস খেলে কী হয় বিষয় আজকের আর্টিকেল লেখা শেষ করলাম। সাধারণত মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষ করে পেট ব্যথা পিঠের পেশী ব্যথা অত্যন্ত প্রকট হয়। এই ব্যথা নিরাময়ে নিয়মিত আনারস খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্ত যাওয়ার ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
আনারস একটি পুষ্টি সম্মত ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পন্ন ফল যা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চয় বৃদ্ধি হয় এবং রক্তশূন্যতা দূর হয়। আজকের আর্টিকেলে এগুলো বিষয় গুগল ও বিভিন্ন সাময়িকী থেকে সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। আশাকরি আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url