পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়

সুপ্রিয় বন্ধুগণ পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আজকের আর্টিকেলে হাত ও পায়ের নখের বিভিন্ন রকম সৌন্দর্য রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
এছাড়া হাত ও পায়ের নখের বিভিন্ন রকম সংক্রমণ হতে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল ব্যাপারে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়। নখ এক ধরনের কেরাটিনাস প্লেট যা বেশিরভাগ হাত ও পায়ের আঙ্গুলের ডগায় থাকে। হাত ও পায়ের নখ আলফা ক্যারাটিন নামে একটি শক্ত প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন দিয়ে তৈরি যা বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে। নখ সাধারণত মৃত কোষ দ্বারা গঠিত।
নখ সাধারণত হাত ও পায়ের আঙ্গুলে থাকে যা বিভিন্ন রকম প্রতিরক্ষামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে। হাত ও পায়ের নখগুলো প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পায়। নখ ছত্রাক সহ বিভিন্ন সংক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যার কারণে নিয়মিত হাত ও পায়ের নখের পরিচর্যা করা প্রয়োজন। নিয়মিত হাত ও পায়ের নখের পরিচর্যা করলে ছত্রাক সহ বিভিন্ন জীবাণুর হাত থেকে নখকে রক্ষা করা যায়।

রসুন দিয়ে নখ বড় করার উপায়

আজকের আর্টিকেল পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়। নখের বিভিন্ন যত্ন ও নখের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য রসুন অত্যন্ত কার্যকরী। রসুন ব্যবহারের মাধ্যমে নখ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং জীবাণুমুক্ত হয় ও নখের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। রসুন কিভাবে নখের উপকার করতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

নখ মজবুত করেঃ রসুনে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেলেনিয়াম থাকে যা নখের মজবুতির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। নখে রসুনের রস অথবা রসুন ব্যবহারের মাধ্যমে নখের ভঙ্গুরতা এবং নখ দুর্বল থাকলে তা শক্তি শালী করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে রসুনের রস অথবা রসুনের কোয়া পেস্ট করে নখে ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

নখের বৃদ্ধিতে সহায়তা করেঃ রসুনে পর্যাপ্ত পরিমাণ সালফার রয়েছে যা কেরাটিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই কেরাটিন এক ধরনের প্রোটিন যা নখ গঠনে সহায়তা করে এবং নখের বৃদ্ধি করে। এক্ষেত্রে রসুনের রস অথবা রসুন পেস্ট করে নখে ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এন্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্নঃ রসুন এন্ট্রি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যা নখের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও নখকে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে প্রতিহত করে নখের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে গরম পানিতে রসুন মিশ্রিত করে নখকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এভাবে ভিজিয়ে রাখলে বিভিন্ন সংক্রমণ ও ছত্রাক নখকে আক্রান্ত করতে পারবে না।

নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ নখে নিয়মিত রসুন ব্যবহারের ফলে নখ ফেটে যাওয়া, বা ভেঙ্গে যাওয়ার, ঝুঁকি কমিয়ে নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এই ক্ষেত্রে রসুন গরম পানিতে মিশ্রিত করে উক্ত পানি ঠান্ডা হওয়ার পরে হাতের নখ ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।

পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়

পায়ের নখের কুনির সমস্যা অত্যাধিক কষ্টকর। পায়ের কুনি হলে হাঁটা চলাফেরা কষ্টদায়ক হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে কাদা ও অন্যান্য জীবাণু প্রবেশ করার কারণে পায়ের কুনির সমস্যা হতে পারে। পায়ের কুনি সমস্যা হলে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায় আলোচনা করা হলো।
ভিক্স ভ্যাপো রাব ব্যবহারের মাধ্যমেঃ ভিক্স ভ্যাপো রাব এক ধরনের বাম যা নখের কুনি হলে ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাময় হয়। ইহা যেহেতু মেন্থল জাতীয় ওষুধ যার কারণে মাথাব্যথা হলে এ মলম ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে নখের কুনিসহ বিভিন্ন সমস্যা নিরাময়ে এই বাম অত্যন্ত উপকারী।

পায়ের নখের কুনি সমস্যা ও কুনি হলুদ হওয়া আক্রান্ত ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৮৩ ভাগ মানুষ এই বাম ব্যবহার করেন। যার কারণে নখের কুনি সমস্যা দূর করতে এই বাম ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভিনেগার ও লিস্টারিন ব্যবহারের মাধ্যমেঃ ভিনেগার সাধারণত কুনিতে ছত্রাক জমা হতে বাধা দেয়। এছাড়া লিস্টারিন এক ধরনের জীবাণু প্রতিশোধক। এই দুইটি উপাদান একত্রিত করে পায়ের নখের কুনি সমস্যা হলে সেখানে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই উপাদানগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে পায়ের নখের কুনি ও হলুদ হয়ে যাওয়া সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়। সাধারণত এই দুইটি উপাদান পায়ের নখে এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখতে হবে।

ভুট্টার পাউডার ব্যবহারের মাধ্যমেঃ ভুট্টার পাউডার ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই নখের কুনি সমস্যা দূর করা যায়। এক্ষেত্রে পানির সঙ্গে ভুট্টার পাউডার মিশ্রিত করে গরম করতে হবে। গরম মিশ্রনের পেস্ট ঠান্ডা করে পায়ের নখের কুনিতে ব্যবহার করতে হবে। এই প্রক্রিয়া সপ্তাহে একবার করলেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

চা গাছের তেল ব্যবহারের মাধ্যমেঃ চা গাছ থেকে তৈরি করা তেল বিভিন্ন জায়গায় ছত্রাক দমন করতে অত্যন্ত কার্যকরী। নখে ছত্রাকের আক্রমণের কারণে কুনি সমস্যা হয়ে থাকে। নখের কুনিতে এই তেল ব্যবহারের ফলে নখ থেকে ছত্রাক সমস্যা দূর হয়ে নখের কুনি সমস্যা দূর হয়।

ইউরিয়া পেস্ট ব্যবহারের মাধ্যমেঃ ইউরিয়ার ছত্রাক দমনে অত্যন্ত কার্যকরী। যার কারণে যে ক্রিমে ইউরিয়া আছে সেই ক্রিম কুনিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম রয়েছে যা নখের কুনিতে ব্যবহারের মাধ্যমে নখের কুনি সমস্যা দূর হয়।

কুসুম কুসুম পানি ব্যবহারঃ ইষদুষ্ণ পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে নখের কুনি সমস্যা দূর হয়। এক্ষেত্রে পানিতে পা ডুবিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। প্রক্রিয়াটি দিনে তিন থেকে চারবার করা যেতে পারে।

পায়ের নখ কাটার সতর্কতা অবলম্বনঃ পায়ের নখ কাটার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পায়ের নখ সোজা করে কাটতে হবে। পায়ের নখের দুই কুনি বেশি কাটা যাবে না। দুই কুনি বেশি কাটলে সে দিক দিয়ে বিভিন্ন জীবাণু প্রবেশ করে কোন সমস্যা হবে।

নখ দ্রুত বড় করার ঘরোয়া উপায়

আজকের আর্টিকেল পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়। অনেক ছেলেমেয়েরা হাতের নখ বড় করতে পছন্দ করেন। এছাড়া অনেক মেয়েরা হাতের নখে নীল পালিশ ব্যবহার করে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নখ বড় করে রাখেন। যার কারণে অনেকেই দ্রুত নখ বড় করতে চান। সাধারণত বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়ে নখ বড় করা যায়। নখ বড় করার ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করা হলো।

রসুন ব্যবহারের মাধ্যমেঃ রসুন ব্যবহারের মাধ্যমে ম্যাজিকের মত নখ বৃদ্ধি করা যায়। নখে সেলেনিয়াম নামক উপাদান রয়েছে যা নখ অত্যন্ত শক্তিশালী ও লম্বা করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো নখে রসুন ভালো করে ঘষতে হবে। এভাবে রসুন নখে ঘষলে তাড়াতাড়ি নখ বৃদ্ধি হবে।

টুথপেস্ট ব্যবহারঃ নখে টুথপেস্ট ব্যবহারের ফলে দ্রুত নখ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো নখে টুথপেস্ট দিয়ে ভালো করে নখ ঘষুন। এভাবে প্রতিদিন টুথপেস্ট দিয়ে নখ ঘষলে দ্রুত নখ বৃদ্ধি পায়।

লেবু ব্যবহারের মাধ্যমেঃ লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে অর্থাৎ লেবুকে ভিটামিন সি এর খনি বলা হয়। নখের দাগ দূর করে নখ সুন্দর এবং দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য লেবু ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন এক ফালি লেবুতে নারকেলের তেল মিশ্রিত করে নখে ভালো করে ঘষতে হবে। এভাবে লেবু ব্যবহারের ফলে নখ উজ্জ্বল হবে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

অলিভ অয়েল ব্যবহারঃ অলিভ অয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত নখের বৃদ্ধি করা যায়। একটি পাত্রে অলিভ অয়েল গরম করে নিতে হবে। গরম করা অলিভ অয়েল পাঁচ মিনিট ধরে নখে ম্যাসাজ করতে হবে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এভাবে মেসেজ করলে দ্রুত নখ বৃদ্ধি পাবে।

ভিটামিন ই এর তেল ব্যবহারঃ ভিটামিন ই এর তেল ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত নখ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ভিটামিন ই কেটে ভিতরে তেল নখে ৫ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ভিটামিন ই এর তেল ব্যবহারের মাধ্যমে নখ দ্রুত বৃদ্ধি করা যায়।

নারকেলের তেল ব্যবহারঃ নখের নিয়মিত নারকেলের তেলের ব্যবহার করলে দ্রুত নখ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেলের তেল অথবা সিম্পল নারকেলের তেল গরম করে উক্ত তেল দিয়ে ভালো করে নখ ঘষতে হবে। এভাবে নারকেলের তেল নখে ঘষলে দ্রুত নখের বৃদ্ধি হবে।

দেহ হাইড্রেট থাকাঃ নখ দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য দেহ হাইড্রেট থাকতে হবে। শরীর হাইড্রেট থাকলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং নখ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

প্রোটিন গ্রহণের মাধ্যমেঃ প্রোটিনের অভাবে সাধারণত নখ ভঙ্গুর হয় এবং নখে বিভিন্ন প্রকার দাগ হয়। যার কারণে প্রোটিন গ্রহণের ফলে নখ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ও দুগ্ধ জাতীয় প্রোটিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

নখ সুন্দর করার ঘরোয়া উপায়

আজকের আর্টিকেল পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়। অনেকের নখ দূর্বল হয় এবং ভেঙে যায়। এছাড়া নখের বিভিন্ন রকম আবরণ পড়ে যা দেখতে অনেক খারাপ লাগে। যার কারণে নখ শক্তিশালী এবং সুন্দর করার প্রয়োজন। বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার করে নখ কে সুন্দর শক্তিশালী করা যায়। নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখার উপায় গুলো আলোচনা করা হলো।
নারকেলের তেল ব্যবহারঃ নারকেল তেল এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। নারকেল তেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই রয়েছে। নারকেলের তেল ব্যবহারের মাধ্যমে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করা যায়। এই ক্ষেত্রে নারকেল তেল হালকা গরম করে নখে ব্যবহার করতে হবে। এই তেল নখে ব্যবহার করলে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হবে।

লেবুর রস ব্যবহারঃ লেবুতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। নিয়মিত লেবুর রস নখে ব্যবহার করলে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো লেবুর রস নখে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হবে।

কমলালেবু ব্যবহারঃ কমলাবে লেবুর রস এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। নিয়মিত কমলালেবুর রস নখে ব্যবহারের ফলে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হয় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ হতে নখ কে রক্ষা করে।

কমলালেবুর রস হাত ও পায়ের নখে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান এবং কিছুক্ষণ থাকার পরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কমলা লেবুর রস ব্যবহারের মাধ্যমে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হয়।

বায়োটিন জাতীয় খাবার খাওয়াঃ নখের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বায়োটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে প্রচুর পরিমাণ বায়োটিন জাতীয় ফল ও বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারেন। বায়োটিন জাতীয় খাবার যেমন কলা ও এভোকাডো পর্যাপ্ত খাওয়া যেতে পারে।

সবুজ শাকসবজি খাওয়াঃ সবুজ শাকসবজি খেলে নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয় এবং নখের ভঙ্গুরতা রোধ হয়। নখের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য পালং শাক, মেথি, ব্রকলি, সহ অন্যান্য শাকসবজি খাওয়া যেতে পারে।

রসুনের তেল ব্যবহারঃ রসুন এ পর্যাপ্ত পরিমাণ সেলেনিয়াম উপাদান রয়েছে যার নখ সুন্দর এবং শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এছাড়াও রসুন ব্যবহারের মাধ্যমে নখ বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায় এবং নখের ভঙ্গুরতা রোধ হয়। এই ক্ষেত্রে রসুন পেস্ট করে অথবা রসুনের তেল হাত ও পায়ের নখে ভালো করে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করতে হবে।

মধু ব্যবহারের মাধ্যমেঃ নিয়মিত মধু লেবুর রসের সঙ্গে মিসৃত করে হাত ও পায়ের নখে ব্যবহার করলে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হয় এবং নখ বিভিন্ন সংক্রমণ হতে রক্ষা পায়। এক্ষেত্রে মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নখে ভালো করে মাখতে হবে।

অলিভ অয়েল ব্যবহারঃ অলিভ অয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখা যায়। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল কুসুম কুসুম গরম করে নখে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিতো অলিভ অয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হয়।

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শেষ হলো। আজকের আর্টিকেলে নখ সুন্দর করার বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হলো। নখ দ্রুত বৃদ্ধি করার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়েছে। হাত ওপায়ের নখ সুন্দর রাখা ও বিভিন্ন সংক্রমণ হতে রক্ষা করা প্রয়োজন।

নখ সৌন্দর্য করার বিভিন্ন দিক আজকের আর্টিকেলে আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। আজকের আর্টিকেল গুগল সহ বিভিন্ন সাময়িকী থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল ব্যাপারে কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url