কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো আলোচনা করা হয়েছে আপনি কি কান্নাকাটি করেন থাকতে পারে জটিল সমস্যা।
নিয়মিত ধ্যান করলে ম্যাজিক এর মত বদলাবে জীবন। এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা। হাসি ও কান্না মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সাধারণত কমপক্ষে মহিলারা সপ্তাহে পাঁচ দিন কাদেন এবং পুরুষ লোকেরা কমপক্ষে একদিন কাঁদেন। সাধারণত মানুষ বিভিন্ন রকম খারাপ পরিস্থিতির অথবা স্বজন বিয়োগ হওয়ার কারণে অনেক বেশি কাঁদেন।
শিশুরা জন্মের সময় যখন কাঁদে এই কাদার কারণ হলো পৃথিবী থেকে সরাসরি পর্যাপ্ত অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়া জন্মের পরে শিশুদের ফুসফুস নাক মুখে অতিরিক্ত কিছু তরল পদার্থ জমা থাকে যা কান্নাকাটির মাধ্যমে নষ্ট হয়ে পরিষ্কার হয়। এছাড়াও মানুষ কাদার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন রকম হরমোনের কমবেশি তৈরি হয় যা শরীরের জন্য অনেক ভালো।

আপনি কি কান্নাকাটি করেন থাকতে পারে জটিল সমস্যা

আজকের আর্টিকেল কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা। বিভিন্ন কারণে মানুষের যেকোনো সময় কান্না আসতে পারে। বিশেষ করে পরিবারের পরিজন আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশী মৃত্যুর কারণে পর্যাপ্ত কান্না হতে পারে। এছাড়াও ব্রেকআপ অথবা কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে পর্যাপ্ত কান্না হতে পারে। 

কান্নার পর্যাপ্ত উপকারিতা থাকা সত্বেও কান্নাকাটির মাধ্যমে হতে পারে শরীরের বিভিন্ন জটিল সমস্যা। কান্নাকাটি করার ফলে যে ক্ষতি হয় তা আলোচনা করা হলো।

ডিপ্রেশনে যেতে পারেঃ কোন মানুষ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে সামান্য কোন সমস্যা হলেই পর্যাপ্ত কাঁদে। যার কারণে কোন লোক মাঝে মাঝে সামান্য কোন সমস্যায় কাঁদেন তাহলে তার ডিপ্রেশন হওয়ার ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। 

যাদের ডিপ্রেশন সমস্যা আছে তারা দুঃখ অথবা কোন বিপদ সহজে মানিয়ে নিতে পারেন না। সামান্য কোন সমস্যা হলে পর্যাপ্ত চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং পর্যাপ্ত কাঁদেন।

অ্য্যাংজাইটি সমস্যাঃ কোন লোকের অ্যাংজাইটি সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা খিটখিটে মেজাজ মনোযোগের অভাব এবং অনেক বেশি কান্নাকাটি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। সাধারণত মানুষের এই সমস্যা হলে মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ট্রমা সমস্যা হতে পারেঃ কোন ব্যক্তি অল্প বয়স থেকে বিভিন্ন অত্যাচার এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি হওয়ার জন্য ট্রমার মুখোমুখি হতে পারেন। যারা ট্রমার সম্মুখীন হন তারা কারণে-অকারণে অত্যাধিক বেশি কাদতে পারেন। তাদের এই সমস্যাগুলো স্নায়বিক সমস্যা।

মানসিক ট্রেস হতে পারেঃ মানসিক ট্রেস থাকলে দুশ্চিন্তা বিষন্নতা ও মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যায়। পারিবারিক জীবন ও কর্মক্ষেত্রে সামান্য কোন সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে কাদতে থাকেন। কোন দুশ্চিন্তা বিষন্নতা ও মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেন না।

ব্যক্তিত্বঃ বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের উপর চলাফেরা করেন। অনেকেই বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরেও কাঁদেন না। আবার অনেকেই সামান্য সমস্যার ফলে কাঁদেন। সাধারণত শারীরিক দিয়ে দিক দিয়ে মস্তিষ্কের গঠনের বিভিন্নতার কারণে অনেকে পর্যাপ্ত কান্না পান এবং অনেকে কান্না পান না। এজন্য প্রত্যেকেই নিজস্ব ব্যক্তিত্বই সংবেদনশীল।

হরমোনের উঠানামা করেঃ আমাদের শরীরের ক্ষুধা প্রজনন মেজাজ আবেগ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। যার কারণে হরমোন আমাদের শরীরে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় শরীরে বিভিন্ন রকম হরমোন ওঠা নামা করে। 

সাধারণত পিরিয়ডের আগে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে বা মনোপজের সময়ে একেক ধরনের হরমোন বৃদ্ধি অথবা কমে যায়। আর এই হরমোনের বিভিন্ন কারণে সহজে মানুষ কাদতে পারেন।

সামাজিক বিভিন্ন রকম প্রভাবঃ সাধারণত পুরুষের চাইতে অনেক বেশি নারীরা কাঁদেন। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতিটা নারীর সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ বার কাঁদেন এবং পুরুষেরা কমপক্ষে একবার কাঁদেন। পুরুষ ও মহিলারা সামাজিক কারণে কাঁদার পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। 

যেমন একজন পুরুষ মনে করেন বেশি কান্নাকাটি করলে লোকেরা ভালো চোখে দেখবে না।কান্না কাটি করা মেয়েলি স্বভাব। অন্যদিকে মেয়েরা মনে করেন কান্নাকাটি চেপে রাখার দরকার কি কান্নাকাটি করাই ভালো।

সিউডোবুলবার ইফেক্টঃ মস্তিষ্কে কোন আঘাত লাগলে অথবা মস্তিষ্কে কোনো সমস্যা হলে এই সমস্যাকে সিউডোবুলবার ইফেক্ট বলে। এটি একটির স্নায়ুবিক সমস্যা। এই সমস্যার কারণে সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তি অত্যধিক কান্নাকাটি, অনিয়ন্ত্রিত হাসি, অথবা অকারনে রেগে যাওয়ার সমস্যাগুলো প্রকাশ পায়।

কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা

মানুষ কান্নাকাটির মাধ্যমে নিজের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করে। কোন কাজে আবেগ তাড়িত হলে কান্নাকাটি করে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতিমাসে মহিলারা কমপক্ষে পাঁচবার কাদেন এবং পুরুষেরা একবার কাঁদেন। কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
মানুষ কেন কাঁদেঃ মানুষের কাঁদার বিভিন্ন কারণ হতে পারে। সাধারণত কোন কিছু ক্ষতি হলে আবেগে মানুষ কেদে ফেলে। এছাড়াও অনেক সময় যা পাবে তার চাইতে বেশি পেলে আবেগ আপ্লুত হয়ে কাঁদেন। কাদার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে।

শারীরিক কারণঃ সাধারণত মানুষ শারীরিক বিভিন্ন কারণে কাঁদে। মানুষ কাদার মাধ্যমে তাদের শরীরের চাপ কমে এবং স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে যার কারণে মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার হয়।

মনস্তাত্ত্বিক কারণঃ মানুষ সাধারণত কান্নার মাধ্যমে নিজের আবেগ অনুভূতি, হতাশা ও দুঃখ প্রকাশ, করে। যদি মানুষ কাঁদতে না পারতো তাহলে মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়া সহ বিভিন্ন প্রকার মানসিক চাপ সম্পর্কিত জটিলতায় ভুক্ত।

সামাজিক কারণঃ অনেকের মুখে না বললেও তাদের কান্নার মাধ্যমে আমাদের সমর্থন সহানুভূতি বা সান্তনা ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারে। কাদার কারণে অনেকের তাকে সান্তনা দেয় এবং যারা সান্ত্বনা দেয় তাদের সঙ্গে ভাতৃত্ব ও সামাজিকতা তৈরি হয়।

কান্নার ১০ টি উপকারিতা

কান্নার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে যায়। এছাড়া কান্নাকাটির মাধ্যমে আবেগ অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়। আরো অনেক কান্নার উপকারিতা রয়েছে। কান্নার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়ঃ খুব জোরে কান্নাকাটি অথবা নীরবে কান্নাকাটি করার মাধ্যমে মন হালকা হয়। যার কারণ কান্নাকাটির মাধ্যমে মনে প্রশান্তি আসে। কান্নার মাধ্যমে আমাদের প্যারাসিমপ্যাথিক স্নায়ুতন্ত্র কে সক্রিয় করে। পর্যাপ্ত কান্নাকাটির মাধ্যমে এন্ড্রোফিল বা সুখী হরমোন নিসৃত হয় যার কারণে মনে প্রশান্তি তৈরি হয়।

শরীরের ব্যথা উপশম করেঃ কান্নাকাটি করার ফলে শরীরের ব্যথা দূর হয়। কান্নাকাটি করার ফলে শরীরে এন্ড্রোফিন উৎপন্ন হয় আর উৎপন্ন এন্ড্রোফিল এর কারণে শরীরের ব্যথা উপশম হয়। কান্নাকাটি করার ফলে প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুকে সক্রিয় করে যার কারণে শরীরের ট্রেস কমায়, শিথিলতা বৃদ্ধি করে ও চাপ কমায় যার কারণে শরীরের ব্যথা উপশম হয়।

মুড উন্নত হয়ঃ মনোবিজ্ঞানের ভাষায় অত্যাধিক কান্নাকাটি করার কারণে শরীরের আবেগ কমে যায় যার কারণে শরীরের মুড উন্নত হয়। এছাড়া কান্নাকাটির ফলে শরীরে ক্ষতিকর হরমোন গুলো বাহির হয়ে যায় যার কারণে মন ও মেজাজ ফুরফুরা হয়। কান্নাকাটির সময় দ্রুত নিঃশ্বাস হয় যার কারণে মস্তিষ্ক ঠান্ডা হয় এবং অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।

শরীরের চাপ প্রশমিত হয়ঃ কান্নাকাটির ফলে করটিসলের মত স্ট্রেস সম্পর্কিত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ বাহির হয়ে যায় যার কারণে শরীর ধুয়ে মুছে ডিটক্সিফাই হয়। যার কারণে কান্নাকাটির ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।

প্রশান্তির ঘুম বৃদ্ধি পায়ঃ দীর্ঘক্ষণ ধরে কান্নাকাটির ফলে শরীরের বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ হয় এবং পাশাপাশি শরীরের প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। দেখা যায় পর্যাপ্ত শক্তি ক্ষয় হওয়ার জন্য শরীর এর ক্লান্তিবোধ তৈরি হয় যার কারণে প্রশান্তিময় ঘুম বৃদ্ধি পায়। যার কারণে যাদের ঘুম কম হয় তারা ঘুমানোর আগে একটু কান্নাকাটি করে নিতে পারেন।

ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেঃ কান্নাকাটির ফলে চোখের পানিতে লাইসোজাইম নামে এক ধরনের এন্ট্রিমাইক্রোবিয়াল এনজাইম থাকে। লাইসোজাইম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে চোখের সংক্রমণ হতে রক্ষা করে।

চোখ সুস্থ রাখে ও দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কান্নাকাটির ফলে স্বাভাবিকভাবে চোখ অনেক পিচ্ছিল হয় শুষ্কতার প্রতিরোধ করে যার কারণে কর্নিয়া আর্দ্র ও পরিষ্কার থাকে। এছাড়া কান্নাকাটির ফলে চোখের সংক্রামক দূর হয় এবং চোখের জলের কারণে ধুলাবালি দূর হয় সঙ্গে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন কমে। এছাড়া কান্নাকাটির ফলে চোখের নেত্র নালী সতেজ হয় এবং চোখকে আরাম দেয়।

মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করেঃ অনেক সময় বন্ধু বিয়োগ অথবা ব্রেকআপ হলে বেশি কান্নাকাটি হয় যার ফলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। কান্নাকাটির ফলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়া দূর হয়ে মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার হয়। এজন্য পর্যাপ্ত কান্নাকাটির মাধ্যমে মানুষের শরীর উত্তেজনা ও চাপ কমে এবং মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার হয়।

বাচ্চাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ও ঘুমাতে সাহায্য করেঃ শিশুরা পর্যাপ্ত কান্নাকাটি করলে শিশুদের জন্য উক্ত কান্নাকাটি অনেক উপকারী। ‌ কান্নাকাটির মাধ্যমে শিশুদের শ্বাসনালী পরিষ্কার হয় যার কারণে বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। শিশুরা পর্যাপ্ত কান্নাকাটি করলে শিশুদের অক্সিজেন বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ভালো ঘুম হয় যার ফলে শিশুরা রিলাক্সে ঘুমাতে পারে।

সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধি হয়ঃ মুখে না বলেও পর্যাপ্ত কান্নাকাটি করলে বিভিন্ন লোকেরা সহানুভূতি জ্ঞাপন করে ও সান্ত্বনা দেয়। যার কারনে পরস্পরের সম্প্রীতি বৃদ্ধি হয় ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়।

নিয়মিত ধ্যান করলে ম্যাজিকের মতো বদলাবে জীবন

আজকের আর্টিকেল কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা। মিউটিশন বা ধ্যান করার ফলে শারীরিক বিভিন্ন উন্নতি ঘটে। নিয়মিত ধ্যানের মাধ্যমে শরীর ফুরফুরা থাকে এবং মানসিক দিক দিয়ে অনেক উন্নত হওয়া যায়। যার কারণে নিয়মিত ধ্যান করা যায়। নিয়মিত ধ্যান করলে ম্যাজিকের মত বদলাবে জীবন তা আলোচনা করা হলো।
মানসিক চাপ কমেঃ মিউটেশন বা ধ্যান করার ফলে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি যে উপকার পাওয়া যায় সেটি হল মানসিক চাপ কমে। নিয়মিত বিভিন্ন কাজকর্ম করার ফলে শরীর ও দেহের উপর পর্যাপ্ত মানসিক চাপ বৃদ্ধি হয়। নিয়মিত মিউটেশন বা ধ্যান করার ফলে উক্ত মানসিক চাপ গুলো কমে মন ফুরফুরা এবং মেজাজ ভালো হয়। এইজন্য নিয়মিত ধ্যানের অভ্যাস করা ভালো।

মানসিক অস্থিরতা দূর হয়ঃ আমরা সব সময় বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকি এই ব্যস্ততার মাঝে কোন কিছুর পাওয়ার জন্য মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। এছাড়া মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক বিভিন্ন কাজকর্মে ভয়ের মধ্যে পড়তে হয় যার কারণে মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত মিউটেশন বা ধ্যান করার ফলে এই ধরনের মানসিক অস্থিরতা দূর হয় এবং মনের অবস্থা অনেক সুন্দর হয়।

মনোযোগ বৃদ্ধি করেঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারে না। প্রাত্যেকের বিভিন্ন কাজকর্মে মনোযোগ বৃদ্ধি না করা বা পড়ার টেবিলে বসে দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ার মনোযোগ এর অভাব হয়। নিয়মিত ধ্যান করার ফলে বিভিন্ন কাজকর্ম ও লেখাপড়ার মনোযোগ বৃদ্ধি করে। যার কারণে দীর্ঘক্ষন মানসিক প্রশান্তিতে এগুলো কাজ করা যায়। 

অনেক সময় কম্পিউটার টেবিলে কম্পিউটারের কাজ করার মনোযোগ হারিয়ে ফেলা হয় অথবা অফিস আদালতে বিভিন্ন কাজে মন বসে না। এই অবস্থাতে নিয়মিত মিউটেশন বা ধ্যান করার ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি করা যায়।

ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়ঃ অনেক তরুণ অথবা বয়সীদের ঘুম কম হয় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে যায়। এছাড়া ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভিডিও দেখার ফলে ঘুমের পরিমাণ কম হয়। নিয়মিত মিউটেশন বা ধ্যান করার ফলে এগুলো সমস্যা থেকে রক্ষা পায় এবং পর্যাপ্ত ঘুম হয়।

ঘুম কম হলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় আর এই সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত মেডিটেশন করা প্রয়োজন।

বিভিন্ন আসক্তি থেকে দূরে রাখেঃ অধিকাংশ মানুষই বিভিন্ন ধরনের আসক্তিতে ভোগেন। বিশেষ করে অনেক তরুন তরুণী ও যুবক যুবতি মোবাইলের উপর আসক্তি তৈরি হয়। এছাড়া যারা মাদকাসক্ত ব্যক্তি তাদের মাদকের প্রতি আসক্তি হয়। এইভাবে বিভিন্ন আসক্তির মধ্যে পড়ার কারণে এক ধরনের মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে যায়।

নিয়মিত মিউটেশন বা ধ্যান করার ফলে এগুলো আসক্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি হয়। এছাড়া নিয়মিত ধ্যান করার ফলে মানসিক শৃঙ্খলা ফিরে আসে এবং বিভিন্ন কাজকর্মে আত্মতৃপ্তি পায়।

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ কেন কাদবেন ও কান্নার ১০টি উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হল। কান্নাকাটির সমস্যা সকল মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাধারণত অনেকেই ছোটখাটো সমস্যার কারণে অনেকে বেশি কাঁদেন। আবার দেখা যায় অনেকেই বড় সমস্যা হলেও চোখের পানি ফেলে কাঁদতে পারেন না। বরং মনের দিক থেকে কষ্ট পান।

আজকের আর্টিকেলে কান্নার বিভিন্ন উপকারিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করি এগুলো বিষয় আপনাদের অত্যন্ত ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। আজকের আর্টিকেল ব্যাপারে কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। আপনাদের মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url