সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করা হলো। ডিম অনেক উন্নত প্রোটিন সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী পছন্দের খাবার। অধিকাংশ পরিবার ডিম খেতে অনেক পছন্দ করেন।
এছাড়া ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। ডিম সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল বিস্তারিত পড়ুন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের আর্টিকেল সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা। অত্যন্ত সহজলভ্য এবং পছন্দনীয় খাবার। হাজার বছর ধরে মানুষ ডিম খেয়ে আসছে। ডিমের মূল কাজ হল ডিমের মধ্যে থাকা ভ্রুনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি রক্ষা করা। পুষ্টিগতভাবে ডিম প্রোটিন কোলিনের ভালো উৎস।
আর ও পড়ুনঃ কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন
ডিমকে বলা হয় সুপার ফুড। ডিমের যে ফ্যাট রয়েছে তাকে বলা হয় গুড ফ্যাট। সিদ্ধ ডিম আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যার কারনে প্রতিদিন সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়া যেতে পারে। ডিম সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা সাধারণত সবাই ডিম ভাজা পোচ অথবা সিদ্ধ ইত্যাদি উপায়ে খেয়ে থাকি। ডিম খাওয়ায় পর্যাপ্ত পুষ্টি শরীর গ্রহণ করতে পারে। ডিমকে বলা হয় সুপার ফুড। ডিমের পর্যাপ্ত প্রোটিন ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। একজন সুস্থ মানুষ দিনে দুইটি পর্যন্ত ডিম খেতে পারেন। সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
ডিম শরীরের শক্তি যোগায়ঃ একটি সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৭০ ক্যালরি শক্তি রয়েছে। যার কারণে সকালে সিদ্ধ ডিম খেলে সারাদিনের শক্তি পাওয়া যায় এবং সকল প্রকার দুর্বলতা দূর হয়। যার কারনে প্রতিদিন সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার অভ্যাস করা অনেক ভালো।
হাড় ও পেসি গঠনের সহায়তা করেঃ সিদ্ধ ডিমে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ডি রয়েছে যা হাড় ও পেসিকে মজবুত করে। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে একটি সিদ্ধ ডিম খেলে ৪৫ আন্তর্জাতিক ইউনিট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হাড় ও পেসির স্বাস্থ্য গঠনে নিয়মিত সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়া যায়।
প্রোটিনের উৎস হিসেবেঃ ডিম পর্যাপ্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার। একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রামের মতো প্রোটিন রয়েছে। যার কারনে সকালে একটি সিদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শরীরের দুর্বলতা কেটে যায়। এছাড়া কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যায়।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো করেঃ ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিন এ রেটিনার আলো ছড়াতে সহায়তা করে ও কর্নিয়ারের পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে রাত কানা রোগের ঝুকি কমায়। প্রতিদিন সকালে সিদ্ধ ডিম খেলে প্রায় ৭৫ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ শরীর গ্রহণ করতে পারে।
দাতের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ ডিমে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ডি রয়েছে। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ করে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রতিদিন সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ যাদের দেহের ওজন অনেক বেশি তারা ডিম খাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডায়েট চাটটি হল শর্করার পরিমাণ খাবার কমিয়ে দিয়ে দিনে দুই থেকে চারটি পর্যন্ত ডিম খাওয়া যেতে পারে। ডিম পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধার পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারীঃ ডিমের পর্যাপ্ত পরিমাণ কোলিন রয়েছে যা নিউরো ট্রান্সমিটার হিসাবে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিমের কুসুমে পর্যাপ্ত ফোলেট রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ গুলো সুরক্ষা করতে সহায়তা করে। যার কারণে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
নখ ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ ডিমে পর্যাপ্ত সালফার যুক্ত অ্যামাইনো এসিড রয়েছে যা হাতের নখের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এছাড়া চুলকে মজবুত আকর্ষণীয় ও সিল্কি করে তুলে। ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেলেনিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, রয়েছে যা নখ ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো করে। যার কারনে নক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে নিয়মিত সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত সকালে সিদ্ধ ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তবে হৃদরোগের সমস্যা হলে ডিম খাওয়ার পরিমাণ কমানো ভালো। সম্প্রীতি গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে চার থেকে সাতটি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে ৭৫ ভাগ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ঃ ডিম পর্যাপ্ত প্রোটিন, জিংক, সেলেনিয়াম, সমৃদ্ধ যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করে। নিয়মিত সকালে ডিম খাওয়ার ফলে শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না।
নিয়মিত সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ নিয়ম তান্ত্রিক হয় যার কারণে থাইরয়েড সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে সর্দি কাশি জ্বর ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেঃ নিয়মিত সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে একটি ডিমে ২০০ মিলিগ্রাম ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে যা শরীরের কোন ক্ষতি করে না বরং শরীরের উপকার করে।
প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হয় এবং খারাপ কোলেস্টেরল অপসারিত হয়।
ট্রেসের প্রকোপ কমায়ঃ নিয়মিত সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরের ট্রেসের প্রকোপ কমায়। ডিমে প্রায় নয় ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে যা মস্তিষ্কে শেরাটনের নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেরাটনিন হরমোন শরীরের ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমিয়ে মন ভালো করে এবং মানসিক দিক দিয়ে উন্নত করে।
অ্যানিমিয়া রোগ থেকে মুক্তি দেয়ঃ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডিমের পর্যাপ্ত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে সিদ্ধ ডিমের পরিত্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন থাকে।
ডিমে উপস্থিত আয়রন রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এইজন্য নিয়মিত ডিম খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং অ্যানিমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ত্বকের সৌন্দর্যের বৃদ্ধির পাশাপাশি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সিদ্ধর ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে যা খাওয়ার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। নিয়মিত সিদ্দ ডিম খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয় এবং ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেল সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা।অনেকেই রয়েছেন দিনে দুটি ডিম খান। তবে দেখার বিষয় দিনে দুটি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী। দিনে দুটি ডিম খেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতির দিক না উপকারের দিক কোনটি বেশি হবে।
আর ও পড়ুনঃ জীবনদক্ষতা অর্জনের কার্যকর ১২টি উপায়
কলিকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবীদ শ্রাবণী মুখোপাধ্যায় বলেন নিয়মিত দুটি করে ডিম খেলে বিভিন্ন রোগের সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। অপরপক্ষে পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী বলেন ডিম অত্যন্ত বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও ডিমের প্রোটিন গুলো খুব সহজেই শরীর গ্রহণ করতে পারে।
এইজন্য প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেলে দেহে যে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট এর ঘাটতি থাকে তার সবটাই মিটিয়ে ফেলতে পারে। এ ছাড়া ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি ১২, কোলিন, আয়রন, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ফসফরাস, ফোলেট, থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।
যার কারনে শর্করার পরিমাণ একটু কম খেয়ে প্রতিদিন দুইটি ডিম খেলে শরীর ও স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। সব সময় সুস্থ থাকা যায়। পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী আরো জানান ডিম অত্যন্ত সহজলভ্য এবং কম দামের খাদ্য অথচ পুষ্টির দিক দিয়ে এত উন্নত যে ডিমের সঙ্গে অন্য কোন খাবার খুঁজে পাওয়া কঠিন।
এই জন্য সুস্থ সবল লোক প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেতে পারেন। তবে অনেকের দুটি করে ডিম খেলে পেট গরম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের দুটি করে ডিম খেলে পেট গরম হওয়ার আশঙ্কা থাকে তারা দিনে দুটি করে ডিম নাও খেতে পারেন। এছাড়াও যাদের হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে ডিম খাওয়া কমাতে পারেন।
বিশেষ করে ডিমের কুসুমে অত্যন্ত বেশি কোলেস্টেরল আছে। এছাড়া আপনি ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির এর ডায়েট পালন করে চলেন তাহলে দিনে চারটি পর্যন্ত ডিম খেতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে দিনে দুটি ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধ করা ডিম খাওয়াই ভালো।
এক্ষেত্রে আপনার ডায়েটে শর্করার পরিমাণ কম খেতে হবে। ডিম খাওয়ার পরে সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিদিন ডিম খাওয়ার উপকারিতা
আজকের আর্টিকেল সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা। ডিম খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে অনেক ধারণা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভ্রান্ত ধারণা এবং কিছু সঠিক ধারণা। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে প্রতিদিন ডিম খাওয়া যাবে কিনা। প্রতিদিন ডিম খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারের পরিমাণ বেশি হবে না ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।
এগুলো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন কলিকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ শ্রাবনী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবে না। একটি ডিমে প্রায় ৭২ ক্যালোরি এনার্জি পাওয়া যায়। তাই শরীরের এনার্জি পূরণ করতে ডিমের কার্যকরী গুরুত্ব অনেক। এছাড়াও একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রামের মত প্রোটিন রয়েছে।
ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি২, বি ৫, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট, সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। সুস্থভাবে জীবন চালানোর জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিদিন ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ সহ শরীর সুস্থ থাকবে।
দিনের যে কোন সময় ডিম খেতে পারেন। ডিম অত্যন্ত সহজ পাচ্য খাবার। অনেকে বলেন প্রতিদিন ডিম খেলে পেট গরম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা ভ্রান্ত ধারণা। তাই এগুলো ভ্রান্ত ধারণা ভেঙ্গে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আপনারা জানলে অবাক হবেন আমাদের প্রিয় খাদ্য ডিমে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান।
শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য ট্রিপটোফ্যান অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে ট্রিপটোফ্যান ঘুমের জন্য অত্যন্ত ভালো। যার কারণে যেগুলো মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন তাহারা প্রতিদিন ডিম খেতে পারেন। প্রতিদিন ডিম খাওয়ার ফলে অনিদ্রা দূর হয়ে ভালো ঘুম হয়।
খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খেলে কি হয়
আমাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে খাওয়ার সময় ডিম খাওয়ার গুরুত্ব অনেকে দেন। তবে খালি পেটে ডিম খাওয়া ভালো না খারাপ সেটা বিবেচনা করতে হবে। সকালের নাস্তার পাশাপাশি সিদ্ধ ডিম অথবা ডিমের অমলেট পোচ, ডিমের চপ, এগ সালাত, কিংবা বাহারী পদের খাবার আমরা খেয়ে থাকি। আসুন জেনে নিই খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খেলে কি হয়।
পুষ্টিবিদগণ বলেছেন ডিমে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েড, লিউটিন, জিয়াজ্যান্থিনের, মত নানা পুষ্টি উপাদান। তাই শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সব বয়সীরা ডিম খেতে পারেন।রাতে ঘুমানোর পর দীর্ঘ সময় ধরে খাবার ও পানির অভাব থাকে। যার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেই খাবার ও পানির প্রয়োজন হয়।
এইজন্য শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। খালি পেটে ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের দুর্বলতা কেটে সারাদিন কাজ করার মত শরীর সতেজ হয়।কলিকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার বলেছেন খালি পেটে সিদ্ধ করার ডিম খাওয়ার ফলে উপকারের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়।
এছাড়াও তিনি সকালে নাস্তার সাথে ডিমের চপ, এগসালাত, কোরমা, ইত্যাদি রাখার পরামর্শ দেন। অপুষ্টি স্বাস্থ্য হানি দূর করতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম অথবা সিদ্ধ ডিমের নানান পদ খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালি পেটে ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের সুস্থতার পরিমাণ বেড়ে যায় যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হল। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও ডিম খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের শারীরিক গঠন ও মেধাবিকাশের জন্য ডিম খাওয়ানো প্রয়োজন।
গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিহীনতা দূর করতে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url