জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা
প্রিয় পাঠক জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। এছাড়া আরো আলোচনা করা হবে ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়মাবলী। ক্যাপসিকাম হলো মিষ্টি মরিচ। এই সবজিতে প্রচুর ভিটামিন সি উপস্থিত। ক্যাপসিকাম কে খুব উন্নতমানের সবজি হিসেবে গণ্য করা হয়।
ক্যাপসিকাম বিভিন্ন রকম হতে পারে। সবুজ ক্যাপসিকাম লাল ক্যাপসিকাম ও হলুদ ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। আসুন আমরা ক্যাপসিকাম সম্পর্কে জেনে নিই।
ভূমিকা
প্রিয় গ্রাহক আজকের আর্টিকেল জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা। ক্যাপসিকাম অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সি জাতীয় সবজি। এর উৎপত্তিস্থল চীনে। তবে মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও স্পেনে ক্যাপসিকাম অনেক বেশি চাষ হয়ে থাকে। এই ফল সাধারণত মাঝারি আকারের হতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জনসাধারণ ক্যাপসিকাম অনেক পছন্দ করেন।
আর ও পড়ুনঃ এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়
ক্যাপসিকাম সাধারণত সবুজ লাল ও হলুদ রঙ্গের হয়। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে যমুনার চরে ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়। ইহা খুব উপাদেও এবং সুস্বাদু সবজি। মাছ, মাংস, সালাদ, সবকিছুতেই ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ক্যাপসিকাম পুষ্টিকর খাদ্য। আসুন ক্যাপসিকাম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিই।
ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা। ক্যাপসিকাম একটি ভিটামিন সি সম্বলিত খাবার। ক্যাপসিকাম সাধারণত কাঁচা সুপ করে অথবা সালাদ অথবা রান্না করে খেতে পারেন। ক্যাপসিকাম অর্থ মিষ্টি মরিচ। ক্যাপসিকাম সবজি রান্না করলে খুব আকর্ষণীয় হয়। এছাড়া খাবারের পুষ্টিকাগুলো বাড়ায়।
সাধারণত সালাদ হিসাবে ক্যাপসিকাম খান। ক্যাপসিকাম থেকে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। প্রিয় পাঠক আসুন একে একে জানি কি ভাবে ক্যাপসিকাম খাওয়া যায়। সালাদ হিসেবে ক্যাপসিকাম খাওয়া যায়।
সাধারণত টমেটো বা শসা এর মত করে ক্যাপসিকাম কেটে ছোট ছোট করে কেটে লবণ দিয়ে মিশ্রিত করে খেতে হবে। সুপ হিসেবেও ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মাছ অথবা মাংসের সঙ্গে ক্যাপসিকাম দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম সবজি করেও খাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম কিউ আকারে কাটতে হবে সঙ্গে কিউব আকারে আলু নিতে হবে। আলু এবং ক্যাপসিকাম দিয়ে সবজি করলে খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি হয়। আপনি ক্যাপসিকাম থেকে উপকার নিতে চান কাঁচা ক্যাপসিকাম চিবিয়ে খান। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আপনার শরীরে জমা হবে। এছাড়াও ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা গুলো জানা দরকার।
ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা
আজকের আর্টিকেল জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা। ক্যাপসিকাম এ প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস বিদ্যমান। ক্যাপসিকাম এ পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে অপরপক্ষে শর্করা অনেক কম। শরীর সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাবারের তালিকা রাখেন। ক্যাপসিকাম এর ফাইবার থাকার জন্য হজমে সহায়তা করে পাকস্থলী সুস্থ রাখে।
ভিটামিন সি এর উৎসঃ ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। বিশেষ করে লাল রঙের ক্যাপসিকামে ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যার কারণে ক্যাপসিকাম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আসুন আমরা নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাই।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো উৎসঃ ক্যাপসিকাম এমন একটি ফল যাহাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে। এছাড়াও ফ্ল্যাভোনয়েডস, ভিটামিন সি ফেনোলিক এবং ক্যারোটিনয়েডের মত যৌগ বিদ্যমান। এগুলো উপাদান বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে শরীরকে রক্ষা করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ ক্যাপসিকামে ক্যালরি অনেক কম। অপরপক্ষে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে ক্যাপসিকাম এ থাকা ফাইবার শুধু শরীরের ওজন কমায়। এ ছাড়া ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে তাই খাবারের চাহিদা কমে যায়। এজন্য ওজন কমানোর ডায়েটে ক্যাপসিকাম রাখা যায়।
চোখের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করেঃ ক্যাপসিকাম এ পর্যাপ্ত লুটেইন ও জেক্সানথিম নামক উপাদান রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ক্যাপসিকাম পর্যাপ্ত ভিটামিন এ রয়েছে যা খাওয়ার ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
ক্যাপসিকামে থাকা ক্যারোটিনয়েড চোখের সানি ও মেকুলার এর ক্ষতিকর প্রভাব কমায়। এছাড়া নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ গবেষকদের দাবি ক্যাপসিকাম এ থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদানটি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া যাদের ওজন অনেক বেশি তাদের ওজন কমানোর জন্য ক্যাপসিকাম এর ভূমিকা অনেক।
নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া ক্যাপসিকামের গ্লাইসোমিক ইনডেক্স অনেক কম তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইহা অনেক উপকারী।
রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ অনেকের রক্তস্বল্পতার কারণে অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়। সাধারণত আয়রনের স্বল্পতায় রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। ক্যাপসিকামে আয়রন ও ভিটামিন সি বিদ্যমান। ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে ক্যাপসিকামে আয়রন ও ভিটামিন সি এর কারণে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে এনিমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়। ক্যাপসিকাম এ পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়া নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে কোলন ক্লিনজিংয়ে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা কমায়। ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে যায়। জন্য নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়া যেতে পারে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ও ভিটামিন ই, রয়েছে। ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে ভিটামিন এ শরীরের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো অপসারিত করে নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারণে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
এ ছাড়া ক্যাপসিকামের পর্যাপ্ত ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে যার কারণে চুল উজ্জ্বল কালো ও সিল্কি হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ ক্যাপসিকাম এ পর্যাপ্ত ভিটামিন বি ৬ রয়েছে যা মস্তিষ্ককে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন বি ৬ ও পটাশিয়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ক্যাপসিকাম এ থাকা ভিটামিন বি ৬ সেরাটনিন উপাদান বৃদ্ধি করে যার কারণে মানসিক চাপ কমে যায়। ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে মানসিক চাপ বিষন্নতা ও উদ্বেগ কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে সর্দি কাশি জ্বর সহ বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করেঃ ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে ত্বকে মৃত কোষগুলো অপসারণ করে ত্বকের কোষ গুলো সতেজ করে ত্বকের র্যাস অথবা ব্রণ প্রতিরোধ করে। ক্যাপসিকামে ক্যাপসাই নামক উপাদান থাকার কারণে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার জন্য শরীরের ব্যথা নিরাময় করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ ক্যাপসিকাম এ পর্যাপ্ত ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, রয়েছে। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে ক্যাপসিকামে থাকা ভিটামিন সি রক্তনালির প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া ক্যাপসিকামে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালিকাকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
এছাড়া রক্তনালীতে চর্বি থাকলে তা অপসারণ করতে সহায়তা করে। যার কারণে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
ক্যাপসিকাম শ্বাসযন্ত্র জনিত সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে হাঁপানি ও সাইনাসের সমস্যা দূর করে। ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যা শ্বাসনালী বিভিন্ন রকম প্রদাহ কমিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রশান্তিময় করে। এছাড়াও ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করেঃ নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে দাঁতের ব্যথা ও হাড়ের ব্যথা দূর করে। ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ও ভিটামিন কে, রয়েছে যা খাওয়ার ফলে হাড় ও দাঁত অত্যন্ত মজবুত হয়। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিস রোগের ঝুঁকি কমায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিশেষজ্ঞগণ শরীরের মেটাবলিজম ভালো রাখার পরামর্শ দেন। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে ক্যাপসিকামে এন্ট্রি অক্সিডেন্ট শরীরে মেটাবলিজম ফাংশন উন্নত করে। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে শরীরের ইমিউনিটি চাঙ্গা রাখে।
পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ ছাড়া ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে রক্তনালী সুস্থ থাকে এবং রক্তনালীর চর্বি অপসারিত হয় যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ক্যাপসিকামে লাইকোপেন নামক হাইট ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যার হৃদযন্ত্র কে যার হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং হৃদযন্ত্রকে স্বাস্থ্যবান করে।
ডিটক্সিফিকেশন উন্নত করেঃ নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে লিভার থেকে বিভিন্ন বজ্র পদার্থ বাহির করে। এছাড়া আর নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ বাহির করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সুস্থ রাখে। এজন্য ক্যাপসিকাম ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
গর্ভবতীদের জন্য উপকারীঃ গর্ব অবস্থায় ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায়। ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত ফোলেট রয়েছে যা গর্ভবতীদের খাওয়ার মাধ্যমে ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে ও জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি দূর করে।
জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা
ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন খাদ্য উপাদান পাওয়া যায় এবং বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ক্যাপসিকাম উপকারী সবজি হলেও অনেক অপকারিতা দিক রয়েছে। প্রিয় পাঠক জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা এর বিবরণ।
*ক্যাপসিকাম এর মধ্যে রয়েছে এলার্জিজনিত সমস্যা। যাদের ক্যাপসিকাম খেলে এলার্জি বৃদ্ধি হয় তাদের ক্যাপসিকাম খেলে চুলকানি ফুসকুড়ি সমস্যা হতে পারে তাদের ক্যাপসিকাম না খাওয়াই ভালো।
*বেশি পরিমাণ ক্যাপসিকাম খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত অল্প অল্প পরিমাণ ক্যাপসিকাম খাওয়া ভালো।
*অনেকের রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণ করেন তাদেরকে ক্যাপসিকাম এড়িয়ে চলার প্রয়োজন।
*ছোট বাচ্চাদের ক্যাপসিকাম খাওয়ানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন গলায় আটকে না যায়।
*অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা অথবা ডাইরিয়া হতে পারে। ক্ষেত্রে বেশি ক্যাপসিকাম না খাওয়াই ভালো।
*ক্যাপসিকাম খেলে সর্দি অথবা ঘামের সমস্যা হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নিয়ম তান্ত্রিক ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো।
ক্যাপসিকাম সালাদ রেসিপি
আজকের আর্টিকেল জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা। ক্যাপসিকামের সালাতের নিয়ম নিম্নর। এক কাপ ক্যাপসিকাম এক কাপ টমেটো ও এক কাপ পেঁয়াজ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম ও টমেটো একটু মোটা করে কেটে নিতে হবে। আর পেঁয়াজ চিকন রিং করে কেটে নিতে হবে। প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ পরিমাণ টমেটো সস নিতে হবে।
টমেটো সসের সাথে স্বাদমতো লাবণ এক টেবিল চামচ গোল মরিচ গুড়া ও ২ টেবিল চামচ পরিমাণ লেবুর রস তেল ২ টেবিল চামচ পরিমাণ এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ চিনি। অতঃপর সবকিছু ভালো করে মিশ্রিত করে দিতে হবে। মিশ্রিত সসের সঙ্গে তিন কালারের ক্যাপসিকাম টমেটো এবং রিং করা পিঁয়াজ দিয়ে দিতে হবে।
সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। অতঃপর এই মিশ্রণটি এক ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল ক্যাপসিকাম এর সালাদ।আপনারা ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন।
ক্যাপসিকাম দিয়ে রেসিপি
প্রথমে দুটি ক্যাপসিকাম বড় বড় করে কেটে নিতে হবে। প্রথম চুলাতে একটা ফাইপেন নিয়ে তাতে কিছু তেল নিয়ে গরম করা হলো। তেলে আলু দিয়ে ভেজে নিতে হবে। আলু ভাজা হয়ে গেলে আলু তুলে নিতে হবে। অতঃপর এই তেলে কুচি করে পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে। ভাজাপ পিঁয়াজে ব্লেন্ড করা দুই চামচ আদা রসুন দিতে হবে।
পেঁয়াজ ভেজে নেওয়ার পরে সেখানে পরিমাণ মতো লবণ পরিমাণমতো হলুদ মরিচের গুঁড়া ও ধনিয়ার গুড়া এবং জিরা গুঁড়াদিতে হবে। এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে ক্যাপসিকাম টা ঢেলে দিতে হবে। ক্যাপসিকাম টা ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে অতঃপর দুই মিনিট হাই হিটে ক্যাপসিকাম ভেজে নিতে হবে।
ক্যাপসিকাম ভেজে নেওয়ার পরে একটি টমেটো ও ভেজে নেওয়া আলুটা ক্যাপসিকামের ভিতরে দিতে হবে। এক চামচ চিনি ও কয়েকটা কাঁচামরিচ দিতে হবে। ভালো করে কষিয়ে নিয়ে তাতে দুই টেবিল চামচ কাজুবাদাম বাটা দিতে হবে। দুই চামচ পরিমাণ ফেটিয়ে রাখা টক দই দিতে হবে।
অতঃপর মিশ্রণটি ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এরপরে গ্যাসের চুলা একটু বাড়িয়ে দিয়ে পরিমাণ মত পানি দিতে হবে। ভালো করে কষিয়ে নিলে ক্যাপসিকাম আলুর তরকারি হয়ে যাবে। গরম গরম ক্যাপসিকাম এর তরকারি খেতে খুব মজা কর।
ক্যাপসিকাম কি ঝাল
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নেই ক্যাপসিকাম কি ঝাল। প্রকৃতপক্ষে ক্যাপসিকাম এর অর্থ মরিচ। আর মরিচ আমাদের দেশের ঝাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কারণ আমরা ঝালের জন্য মরিচ ব্যবহার করি। তাহলে বলা যায় যে ক্যাপসিকাম ঝাল।
আর ও পড়ুনঃকালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বাস্তব দিক দিয়ে ক্যাপসিকাম ঝাল নয়। কারণ ক্যাপসিকাম কে বলা হয় মিষ্টি মরিচ। ক্যাপসিকাম শুধু সালাদ অথবা সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে ক্যাপসিকাম অনেক উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ক্যাপসিকাম সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা। সাথে উপকারিতা ও জানতে পারবেন। এছাড়া আরো জানতে পারবেন ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম।
ক্যাপসিকাম এর সালাদ ও ক্যাপসিকাম এর রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আসুন এগুলো জানতে আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ভালো লাগলে নিজেকে সার্থক মনে করব। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url