কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগন কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আম একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু ফল। আমকে ভালোবাসেনা এমন লোক পাওয়ায় মুশকিল। সাধারণত বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহী চাপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আম সবচাইতে ভালো। জাত ভেদে আমের মিষ্টতা ও সাধ বিভিন্ন রকম হয়।
আম কাচা এবং পাকা উভয় ভাবে খাওয়া যায়। আম অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল।গোপাল ভোগ, ন্যংড়া, খিরসা,আম্রপালি, হিমসাগর, ফজলি ইত্যাদি খুব সুস্বাধু আম। আসুন আম সম্পর্কে জানি। নিজে আমখাই ও প্রিয়জনকে আম উপহার দিই।আসুন কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন জেনে নিই।
ভূমিকা
আম গাছ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। আম গাছগুলো অনেক বড় হয়। সাধারণত জোষ্ঠ্য ও আষাড় মাসে পাকা আম পাওয়া যায়। জাত ভেদে বৈশাখ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত পাকা আম পাওয়া যায়। বর্তমানে বারোমাসি কয়েকটা জাতের আম রয়েছে যেগুলো সারা বছর পাওয়া যায়। এগুলো আম খেতে অনেক সুস্বাদু।
আর ও পড়ুনঃ জীবনদক্ষতা অর্জনের কার্যকর ১২টি উপায়
আমে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আমাদের দেশের বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎপন্ন হয়। পরিপূর্ণ আম পেতে আমের মুকুল থেকে শুরু করে আম ওঠা পর্যন্ত প্রচুর পরিচর্যা করতে হয়। আজকের পোস্ট পড়লে কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন আমের মুকুলের পরিচর্যা আমের পরিচর্যা আমের খাদ্য সংক্রান্ত প্রকৃয়া জানতে পারবেন।
পাকা আম খাওয়ার অপকারিতা
আজকের আর্টিকেল কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন। আম একটি সুমিষ্টি ফল। যাদের ডায়াবেটিস আছে পাকা আম খেলে সুগারের পরিমাণ আরো বেড়ে যেতে পারে। যাদের এলার্জি আছে তাদের আম না খাওয়াই ভালো। আমি প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন লাটেক্স এর মত উপাদান আছে। এজন্যে তাদের আম এড়িয়ে চলাই ভালো।
আমে ফাইবার কম থাকে সে জন্য অনেকের হজমের ও সমস্যা হতে পারে। পাকা আমের ফাইবার কম থাকে এবং শর্করা পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। অনেক বেশি আছে সেজন্য খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। যাদের অনেক ওজন তারা পাকা না খাওয়াই ভালো।
পাকা আমের গাজন কৃত কার্বোহাইড্রেট আছে যশোরে আইবিএস বৃদ্ধি করতে পারে এবং পেটের সমস্যা হতে পারে।যাদের শরীর খুব গরম এবং উত্তাপ সহ্য করতে পারেন না তাদের আম খেলে শরীরে গরম আরো বেশি লাগে অতএব কম খাওয়া ভালো। পাকা আমের সঙ্গে কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিষয় জানব।
কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন
কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিষয় জানব। অধিকাংশ কাচা আম টক হয়। খাওয়ার ফলে অনেকের দাত শীর শীর করে। কাঁচা আম খেলে যাদের অ্যালার্জি আছে অ্যালার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে যার কারণে নাক চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে, শ্বাসকষ্ট ও পেট ব্যথা হতে পারে।
অতিরিক্ত কাঁচা আম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। বেশী কাঁচা আম খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। কাঁচা আমের আঠা মুখে লাগলে মুখে ঘা হতে পারে এজন্য একটু সাবধানে কাঁচা আম খাওয়া দরকার।
আমের পুষ্টিগুণ
আজকের আর্টিকেল কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন। আম পুষ্টি গুনসম্পন্ন ফল। আম কে বলা হয় ফলের রাজা। পাকা ১০০ গ্রাম আমে উপাদানের পরিমাণ ক্যারোটিন ২৭৪০ মাইক্রগ্রাম, আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৬ মিলিগ্রাম, আছে।
এছাড়া আমে আরও আছে রিবোফ্লোবিন ০.৯ মিলিগ্রাম, খায়ামিন ০.০৮ মিলিগ্রাম বিদ্যমান। খনিজ লবণ থাকে ০.৫ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফ্যাট থাকে 0.৭ শেতসার থাকে ২০ গ্রাম এছাড়া ভিটামিন এ, ও ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, কপার ও অ্যামাইনো এসিড আছ।
আমের পরিচর্যা
আমে পোকার আক্রমণ অনেক বেশি হয়। ভালো আমের ফলন পাওয়ার জন্য মুকুল আসার পূর্বেই হপার মাকড়ের জন্য অনুমোদিত বালাই নাশক গোটা গাছ স্প্রে করা দরকার। মুকুল আসার পরে ছত্রাকনাশক ও মাকড় নাশক গোটা গাছ স্প্রে করা দরকার।প্রথমে আম নামানোর পরে গাছগুলোতে বিভিন্ন রকম সার দিতে হবে।
তার সঙ্গে বোরিক পাউডার ও ডায়াজিনন জাতীয় ওষুধ দিয়ে ভালো করে গোড়া কচিয়ে পানি দেওয়া দরকার। দ্বিতীয়বারে আমের মুকুল আসার পূর্বে আর একবার সার ও বোরিক পাউডার দিয়ে কচিয়ে পানি দেওয়া দরকার।আমের মুকুল থেকে আমগুলো মটরদানার মত হলে শোষক পোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাইপারমিথিন জাতীয় কীটনাশকদিতে হবে।
তার সঙ্গে গুড়ি পোকার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। এর সঙ্গে বিভিন্ন পিজিআরও দেওয়া যেতে পারে। আমগুলো বড় হয়ে গেলে সাধারণত মাসে ২ বার ফল ছিদ্র কারী বালায় নাশক স্প্রে করতে হবে।
আম পাকার পূর্ব পর্যন্ত এই স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। আমের কালার এবং স্বাধ ঠিক রাখার জন্য মাঝেমাঝে ছত্রাক নাশক ও বোরন স্প্রে করতে হবে। আম পেকে গেলে নামিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
আম খাওয়ার নিয়ম
আজকের আর্টিকেল কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন। পাকা আম পরিমান মত খান। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা সামান্য পরিমাণ আম খাবেন। আম খাওয়ার পরে পানি খাবেন না আম খাওয়ার আধঘন্টা আগে পানি খেয়ে নিন অথবা আম খাওয়ার আধঘন্টা পরে পানি খেয়ে নিন। আমে ফাইবারের পরিমাণ কম এবং উচ্চ প্রোটিন ও শর্করা বিদ্যমান।আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে এবং পেটে এসিড হতে পারে।
দইয়ের সঙ্গে অনেকে আম খেয়ে থাকেন। দইয়ের সাথে আম খাওয়া ঠিক না। আম এবং দই উভয়ের উপাদান বিক্রিয়া করে হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আম খাওয়ার আগে চার পাঁচ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।আমে ফাইটিক এসিড থাকে। ফাইটিক একাল দুপুর খাবার মাঝখানে একটু জিরিয়ে নেওয়ার সময় আম খেয়ে নিতে পারেন।
কাঁচা আম লবণ দিয়ে মেখে খেয়ে নিতে পারেন। তাতে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হবে ও শর্করার পরিমান একটু কম থাকবে।সিড শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আম ৪-৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে ফাইটিক এসিডের পরিমাণ কমে যায়। এ অবস্থায় আম খেলে পেট খারাপ, পেটে যন্ত্রণা বাড়াতে পারে না।
রাতের খাবারের পরে আম খাবেন না। রাতের খাবারে যে পরিমাণ ক্যালরি থাকে তার সঙ্গে পাকা আমের ক্যালোরি মিশে হজমের সমস্যা করতে পারে। ক্যালরী বেশি বৃদ্ধি পেলে খুব তাড়াতাড়ী ওজন বৃদ্ধি পায়। সকালের নাস্তার সঙ্গে আম খেতে পারেন।
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
তীব্র রোদে কাঁচা আম খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে। গরমের সময় আমের ঠাণ্ডা শরবত শরীরকে প্রশান্তি দেয়। এছাড়াও কাঁচা আম খাওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। কাঁচা আম খাওয়ার মাধ্যমে শরীর চাঙ্গা হয় এবং মানসিকভাবে প্রশান্তি পাওয়া যায়। কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা বর্ণনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ জেনে নিন ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা
কাঁচা আম ওজন কমায়ঃ যাদের ওজন অনেক বেশি তাদের ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম খেতে পারেন। কাঁচা আমের মিষ্টি কম থাকে অপরপক্ষে অনেক টক হয় যা শরীরের ক্যালরি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া কাঁচা আমের পর্যাপ্ত খাইবার রয়েছে যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এসিডিটি দূর করেঃ অনেকের এসিডিটি সমস্যা করে যার কারণে বুক জ্বলা পেট ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হয়। কাঁচা আমের পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে যা এসিডিটি সমস্যা দূর করে। এসিডিটির সমস্যা হলে এক টুকরা আম খেতে পারেন। এছাড়া কাচা আম বমি বমি ভাব দূর করে।
যকৃতের সমস্যা দূর করেঃ যকৃতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কাঁচা আম খাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচা আমের পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যার যকৃতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে। কাঁচা আম চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে পিত্তরস বৃদ্ধি করে। যার কারণে কাঁচা আম খাওয়ার ফলে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অন্তরের বিভিন্ন রকম সংক্রামন দূর হয়।
কাঁচা আম ঘামাচি দূর করেঃ অনেকের গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘামাচি হয়। কাঁচা আম খাওয়ার ফলে ঘামাচি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কাঁচা আমের এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা সানস্ট্রোক সমস্যা থেকে বাধা দেয়।
রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কাঁচা আম খাওয়ার ফলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। কাঁচা আমের পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন রয়েছে। যার কারণে কাঁচা আম খেলে শরীরের হিমোগ্লোবিন এর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্তস্বল্পতা ও অ্যানিমিয়া রোগ হতে রক্ষা হয়।
শরীরের লবণের ঘাটতি দূর হয়ঃ গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কাঁচা আম খেলে কাঁচা আমের বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ থাকে যা সেই ঘাটতি পূরণ করে। কাঁচা আমের জুস খাওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি লবণের ঘাটতি পূরণ হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করেঃ কাঁচা আমের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। যার কারণে কাঁচা আম খাওয়ার ফলে অন্ত্র পরিষ্কার হয়। কাঁচা আম খেলে কোষ্ঠকারীর নেতা দূর হয়। যার কারণে কাঁচা আম খাওয়া প্রয়োজন।
স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ হয়ঃ কাঁচা আম খাওয়ার ফলের স্কার্ভি রোগ ও মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ হয়। কাঁচা আমে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে আমচুর স্কার্ভি রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধে কাঁচা আম খাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কাঁচা আমের পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে। যার কারণে নিয়মিত কাঁচা আম খাওয়ার ফলে আমি থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা আম খাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর, সহ বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীর ঠান্ডা থাকেঃ কাঁচা আম খাওয়ার ফলে গরমের সময় শরীর ঠান্ডা থাকে। কাঁচা আম দিয়ে জুস করে খেতে পারলে শরীরের প্রশান্তি হয় এবং গরম কম লাগে। কাঁচা আম খাওয়ার ফলে শরীরে ঘাম কমে যায় এবং শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করেঃ আমে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ও এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারণে কাঁচা আম খেলে ত্বকের মৃত কোষ অপসারিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি হয়। যার কারনে ত্বক উজ্জল ও মোলায়েম হয়। এছাড়া কাচা আম খাওয়ার কারনে চুল উজ্জ্বল কালো এবং সিল্কি হয়।
হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকেঃ কাঁচা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, রয়েছে। যার কারণে কাঁচা আম খাওয়ার ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়মিত কাঁচা আম খেতে পারলে হার শক্তিশালী হয় এবং আর্থারাইটিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পাকা আমের উপকারিতা
আজকের আর্টিকেল কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন। আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যেমন কোয়েরসেটিন,আইসকোয়েরসেটিন,,গ্যলিক এসিড ইত্যাদি। যেগুলো স্তনের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, পোস্টেড ক্যান্সার এবং লিউকোমিয়া প্রতিরোধী। উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি ও প্র্যাকটিন থাকায় রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আম ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আমের মধ্যে ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড থাকাই শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্য ঠিক রাখে। আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকায় আম খেলে শরীরে প্রচুর পুষ্টি ও শক্তি যোগায়।আম খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। আম একটি লোভনীয় ফল যা খেলে আমের লোভনীয় চাহিদাটা দূর হয়।
আমেের এনজাইম প্রোটিন উপাদানকে ভেঙ্গে হজমে সহযোগিতা করে। আমে বিভিন্ন রকম ভিটামিন থাকে। আম খেলে ভালোবাসার জন্ম হয়। আমের ভিটামিন এ থাকায় আম খেলে সাধারণত রাতকানা রোগ থেকে বাঁচা যায়। আম খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়। অতএব ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি বেশি আম খাওয়া দরকার।
আমে প্রচুর কপার ভিটামিন ই, ও ভিটামিন সি, রয়েছে যা রক্তকনিকা তৈরি করতে সহযোগিতা করে।পাকা আম দিয়ে আমতা তৈরি করা হয় যা পরবর্তীতে খেতে খুব মজা কর। আম দিয়ে বিভিন্ন রকম জুস তৈরি করা হয়। সেগুলো দেশের অর্থনীতিতে ভারসাম্যতা বজায় রাখে।
পাকা আম খেতে খুবই মজা বলে আম উৎপাদন মাসকে মধু মাস বলা হয়। আম ভালবাসেনা এমন লোক পাওয়া কঠিন। অর্থাৎ সবায় আম ভালোবাসে। আর যদি বৃহত্তর রাজশাহীর আম হয় তাহলে এর তুলনা হয় না।কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিষয় জানা দরকার।
শিশুদের জন্য আম খাওয়ার উপকারিতা
আমে ফাইবার ও এনজাইম আছে। শিশুরা আম খেলে সহজে হজম হয়। আমে প্রচুর ভিটামিন এ আছে।শিশুদের আম খাওয়া দরকার। আম খেলে চোখের জ্যোতি ভালো থাকে। আমে বিভিন্ন ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে।শিশুরা আম খেলে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে।আমে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, কপার ও অন্যান্য উপাদান থাকায় শিশুদের ত্বক ভালো রাখে।
আমে কপার থাকার জন্য শিশুদের লোহিতা কণিকা তৈরি করতে সহযোগিতা করে। আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকাই শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।আম খেলে শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং শিশুদের হিটষ্টোক করতে পারেনা ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। সাধারণত এক বছরের উপর বয়সী শিশুদের আম খাওয়ান। ছয় মাসের নিচে শিশুদের আম না খাওয়ানোয়াই ভালো।
গর্ভবতীদের জন্য আম খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভবতীদে শরীরের বিকাশ ও পুষ্টিহীনতা থেকে রক্ষার জন্য আম খাওয়া ভালো। গর্ভবতী মায়েদের জন্য আম খাওয়া যাবে এবং খাওয়া জরুরী। গর্ভবতী মেয়েদের শরীরে বাড়তি পুষ্টির জন্য যেগুলো উপাদান দরকার প্রায় সবই আমে আছে। আমে ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।,
আয়রন, কপার, ভিটামিন এ ইত্যাদি উপকরণ থাকার জন্য গর্ভবতী মেয়েরা আম খেলে মেয়েদের ভ্রুনের বিকাশ ঘটে। গর্ভবতী মেয়েদের আম খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বৃদ্ধি পায়। অত্যাধিক আম গর্ভবতীর জন্য না খাওয়াই ভালো। বেশি আম খেলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগন কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার বিবরন বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শেষ করলাম। আম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। সাধারণত জুন-জুলায় মাসে পাকা আম পেয়ে থাকি। আমরা সবাই পাকা আমের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করি। আম যেহেতু আমাদের প্রিয় খাবার।
আজকের এই পোস্টগুলি কাচা আম খাওয়ার অপকারিতার, আম খাওয়ার উপকারিতার আমের পরিচর্যা ও গুনাগুন ব্যাপারে আলোকপাত করা হলো। আশা করি পোস্ট গুলো ভাল লাগবে। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url