এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আজকের আর্টিকেলে আরো লেখা হবে এইচ এমপি ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়। এইচ এমপি ভাইরাস এর লক্ষণ।
এইচ এমপি ভাইরাস সম্পর্কে আমাদেরকে ভালোভাবে জানতে হবে এবং সচেতনতা অর্জন করতে হবে। এই ভাইরাস সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথমবার এইচ এমপি ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডে বার্নাডেট জি ভ্যান হুজেন এবং তার সহকর্মীরা প্রথম হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস আবিষ্কার করেন। নেদারল্যান্ডসের ১৮ জন ছোট শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস নিঃসরণের পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবার এইচ এমপি ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছিল। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় এইচ এমপি ভাইরাস দায়ী ছিল। যার কারণে এইচ এমপি ভাইরাস সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন।

এইচ এমপি ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়

আজকের আর্টিকেল এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে চীনের হাসপাতাল ও বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে মাস্ক পড়া লোকজনের ভিড়। যার কারনে আবার নতুন কোন মারাত্মক রোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে কিনা। তবে বেইজিং স্বীকার করেছেন চীনে ইনফ্লুয়েঞ্জার মত নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচ এমপি নামক ভাইরাস যা শিশুদেরকে বেশি আক্রান্ত করে। তবে কোভিড ১৯ এর মত এইচ এমপি ভাইরাস মারাত্মক নয় বলে মনে করা হয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগন বলেন এই ভাইরাস অনেক আগে থেকেই আমাদের মাঝে রয়েছে যা পাঁচ বছর এর কম বয়সী শিশুদেরকে কোন না কোন সময় আক্রান্ত করে।

এক্ষেত্রে দুর্বল রূগাক্রান্ত শিশু, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য এই ভাইরাস অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। এইচ এমপি ভাইরাস ২০০১ সালে প্রথম নেদারল্যান্ডে সনাক্ত করা হয়েছিল। সাধারণত দুই বা ততোধিক মানুষের সংস্পর্শে এ ভাইরাস গুলো বিস্তার লাভ করে।

ভাইরাসে আক্রান্ত জায়গা সংস্পর্শের মাধ্যমে খুব বেশি এইচ এমপি ভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি বিস্তার লাভ করার ঝুঁকি থাকে। শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে মাঝারি ধরনের সংক্রমণ করে এইচ এমপি ভাইরাস। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ থেকে এইচ এমপি ভাইরাস আলাদা করা কষ্টকর হয়। অধিকাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি ক্ষেত্রে জ্বর ও সর্দি কাশির মত লক্ষণ দেখা যায়।

এইচ এমপি ভাইরাস সংক্রামক রোগের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক সু লি ইয়াং বলেছেন দুই বছর বয়স সহ দুই বছরের কম শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এছাড়া আরো বেশি আক্রান্ত হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, থাকার বৃদ্ধসহ দুর্বল ব্যক্তিগণ। যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের এই ভাইরাসের ঝুঁকি অনেক বেশি।

সাধারণত শীত ও বসন্তকালে এইচ এমপি ভাইরাস অধিক সক্রিয় থাকে যার কারণে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রকম সংক্রামনের সৃষ্টি হয়। কোন কোন বিশেষজ্ঞগণেরা বলেছেন ঠান্ডা আবহাওয়াতে এই ভাইরাস গুলো অত্যন্ত সক্রিয় থাকে যার কারণে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। সাধারণত শীতকালে মানুষেরা ঘরে বেশি থাকে এবং বদ্ধ ঘরে এই ভাইরাস খুব বেশি ছড়ায়।

অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিল্ডার্স ইউনিভার্সিটির মহামারী বিশেষজ্ঞ জ্যাকলিন স্টিফেন্স বলেন শুধু চীন নয় উত্তর গোলার্ধের যেগুলো দেশে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি সেগুলো দেশে এইচ এমপি ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। শীতকালে এই ভাইরাস বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উদ্ব্যোগের বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য মতে এইচ এমপি ভাইরাস এর সংক্রমণ গত অক্টোবর মাস থেকে বাড়ছে।

সাধারণত এইচ এমপি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাশি, হাচি, এর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। এছাড়া এইচ এম পি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড় এমনকি তার সংস্পর্শে আসলেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। 

আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল সিডিসি বলেছেন এইচ এমপি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির জায়গায় দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ, ইত্যাদির সংস্পর্শে আসার পরে, সেই হাত চোখ, নাকে, বা মুখে, ছোয়ালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। যার কারণে এই ভাইরাসে সংক্রমিত লোকজনকে একটু সাবধানে রাখতে হবে।

এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়

এইচ এমপি ভাইরাস ব্যাপারে সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সতর্কতা অবলম্বন এই ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। এছাড়া সব সময় স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে। এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় গুলো আলোচনা করা হলো।

*বাইরে বাহির হলে সর্বদা মাস্ক পড়ে বাহির হতে হবে। সাধারণত পরিবেশ থেকে মুখ ও নাকের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
*বাহিরে বাহির হওয়ার পরে বাসায় আসলে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে হাত ভালো করে ধুতে হবে।
*বাহিরে বাহির হলে হাত, নাক ও মুখে স্পর্শ করা যাবে না। নাক ও মুখের স্পর্শ করতে হলে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
*আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জনসমাগম স্থল থেকে দূরে থাকতে হবে।
*হাচি ও কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু দিয়ে মুখ বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে টিসুটি ভাজ করে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে।
*হাচি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু না থাকলে হাত বাস করে মুখে দিতে হবে। পরবর্তীতে হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
*রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন খাবার খেতে হবে। সাথে সাথে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামগুলো করতে হবে।
*সর্দি কাশি অথবা জ্বর হলে অবহেলা করা যাবে না। সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা করতে হবে।
*সর্বদা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হবে এবং সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
*শীতের সময়ের রান্না করা টাটকা খাবার খাবেন। গরম এবং টাটকা খাবার খেলে এইচ এম পি ভাইরাস থেকে বাঁচা যায়।
*প্রচুর পরিমাণ সালাদ খাবেন। সালাদের সঙ্গে তাজা দই অথবা বাটার মিল্ক মিশিয়ে খেতে পারেন।
*প্রতিদিন কাজ করবেন এবং নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করবেন।
*আদা তুলসী ও দারুচিনি দিয়ে নিয়মিত চা করে খেতে পারেন। এভাবে চা খেলে সহজে ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারবে না।

এইচ এমপি ভাইরাসের লক্ষন

আজকের আর্টিকেল এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রায় পাঁচ বছর পরে এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায় নতুন করে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। 
চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বলেছেন ১৪ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের এই ভাইরাস এর আক্রান্তের পরিমাণ অনেক বেশি। এইচ এমপি ভাইরাসের লক্ষণ গুলো আলোচনা করা হলো।

*এইচ এমপি ভাইরাস এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে তিন থেকে ছয় দিন সময় লাগে। সংক্রমণের তীব্রতার উপর বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়।
*এইচ এমপি ভাইরাসের উপসর্গগুলো ফ্লু ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমনের মতই।
*সাধারণ লক্ষণগুলো হল জ্বর সর্দি কাশি হাচি এবং শ্বাসকষ্ট।
*গুরুতর অবস্থা হলে নিউমিনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস এর মত সমস্যা হতে পারে।
*অ্যাজমা বাবা কানে ইনফেকশনের মত সমস্যা হতে পারে।
*নাক দিয়ে পানি পড়া ও গলা ব্যথার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
*আক্রান্ত অনেক তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এবং অত্যাধিক শ্বাসকষ্ট হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

এইচ এমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই

আজকের আর্টিকেল এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্বব্যাপী রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাস এর পাঁচ বছর পরে চীনে এইচ এমপি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বেড়ে গেছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ সায়েদুর রহমান মন্তব্য করেন।
এইচ এমপি ভাইরাস বাংলাদেশের মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। গত ১৩ই জানুয়ারি সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে ডাক্তার সাইদুল হক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন। তিনি বলেন এই এইচ এমপি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে সাধারণত ভাইরাস আক্রান্ত জ্বরের চিকিৎসা দিতে হবে এবং চিকিৎসা ব্যাপারে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

ডাক্তার সাইদুল হক বলেন এইচ এমপি ভাইরাসের চিকিৎসা সাধারণ ফ্লুর মত চিকিৎসা করলেই চলবে। এই ভাইরাসের আক্রান্ত ২০১৭ সালে প্রথম হয়েছিল। এ ভাইরাসের লক্ষণ সাধারণত আমাদের দেশে সাধারণত ভাইরাসগঠিত ফ্লুর মতই এবং একই চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার মোঃ সায়েদুর রহমান বলেন।

আমরা দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই এইচ এমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কোন পরিস্থিতি আমাদের দেশে হয়নি। এছাড়া এই ভাইরাস সম্পর্কে বিজ্ঞানের মাধ্যমে যা কিছু জানা গেছে তাতে আশা করা যায় এই ভাইরাস আমাদের মাঝে আতঙ্কিত হওয়ার ঝুঁকি নেই। তবে যেগুলো ব্যক্তিগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন তাদের এই ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

সিওপিডি, কিডনি রোগ, ছোট দুর্বল শিশু বৃদ্ধ বয়স যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ক্যান্সার রোগীদের জন্য এইচ এমপি ভাইরাস আক্রান্ত করে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং অত্যাধিক শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্যদের কে আক্রান্ত করলে ফ্লু এর মতই হতে পারে। ডাঃ মোঃ সায়েদুল হক বলেন।

এইচ এমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফ্লোর চিকিৎসা নিতে হবে এছাড়া পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। সীমান্তে বিধি নিষে ধ আরোপ করা হয়নি বলে তিনি বলেন ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশনে সীমান্ত ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য বলা হয়নি। এছাড়াও শিবন্তে বিধি নিষেধ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন সতর্কতা দেয়নি।

বাংলাদেশে একজন এইচ এমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে যার বয়স ৩০ বছরের মত। আক্রান্ত হওয়ার বিশ দিনের মাথায় খবর পাওয়া গেছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি বলেন খুব তাড়াতাড়ি একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন হবে। যাহারা এইচ এমপি ভাইরাস ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবেন। গাইডলাইন তৈরি হলে সেগুলো জনসাধারণের মাঝে প্রচার করা হবে।

চলতি শীত মৌসুমে চীনের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ে। এই এলাকায় বেশিরভাগ শিশুরাই এর ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতীয় এ রোগের বিস্তার লাভ করতেছে। তবে বিশ্বব্যাপী করনা ভাইরাসে আপনাদের যেভাবে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ভাবে মহামারীর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নাই।

এইচ এমপি ভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসা

আজকের আর্টিকেল এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়। যেকোনো সময় আমাদের মাঝে এইচ এমপি ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে। যার কারণে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এইচ এমপি ভাইরাস এর কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি।

যদি এইচএমপি ভাইরাস এর লক্ষণগুলো কারো দেহে প্রকাশ পায় তাহলে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এইচ এম টি ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা যায়। এইচ এমপিভাইরাস নির্ণয়ের বিষয় আলোচনা করা হলো।

ক্লিনিকাল পরীক্ষাঃ এ প্রক্রিয়ায় সাধারণত ডাক্তারগণ রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ স্বাস্থ্যগত বর্ণনা এবং চিকিৎসার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে এ রোগ নির্ণয় করে থাকেন। এ প্রক্রিয়ায় রোগীর লক্ষণ গুলো দেখে বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পিসিআর টেস্টিংঃ পিসি আর বা পলিমারেজ চেইন অ্যাকশন পরীক্ষা করা হয় সাধারণত এইচ এমপি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শ্বসনতন্ত্রে এইচ এমপি ভাইরাস এর জেনেটিক উপাদান সনাক্ত করে।
অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমেঃ এই পদ্ধতিতে ভাইরাসের প্রোটিন সনাক্ত করে এইচ এমপি ভাইরাস আক্রান্ত কিনা তা সিদ্ধান্ত করা হয়।

ডায়াগনোসিস পরীক্ষার মাধ্যমেঃ এইচ এমপি ভাইরাস এর লক্ষণগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জা বা আরএসভির সঙ্গে মিল রয়েছে। এই জন্য একজন ব্যক্তির যেকোনো শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত কোন অসুস্থতা থাকলে ডায়াগনোসিস পরীক্ষার মাধ্যমে এইচ এমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা যায়।

এইচ এমপি ভাইরাস এর চিকিৎসাঃ

*তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে রোগীদেরকে অক্সিজেন থেরাপি অথবা বিভিন্ন যান্ত্রিক বায়ু প্রবাহ চালনা করে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
*এইচ এমপি ভাইরাসে আক্রান্তের কারণ লক্ষণ ও প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের বিষয় ভালভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
*প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর গলা ব্যথা অথবা বিভিন্ন রকম ব্যথা হলে ব্যথা কমানোর জন্য অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেন এর মত ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
*রোগীর শ্বাসকষ্টের পরিমাণ যদি বৃদ্ধি হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ এইচ এমপি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শেষ হলো। এই ভাইরাস ছোট শিশুদেরকে অত্যাধিক বেশি আক্রান্ত করে। এছাড়া যেগুলো লোকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় ভুগেন তাদের এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যার কারণে এইচ এমপি ভাইরাস ব্যাপারে আমাদের ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। এই ভাইরাস সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি আজকের আর্টিকেল ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url