কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগন  কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। কালোজিরার গাছ মাঝারি আকৃতির। কালোজিরা, কালো কেওড়া, রোমান ধনিয়া,নিজেলা,ইত্যাদি নামে প্রচলিত । গাছ একবারই ফুল ও ফল দেয় । বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sativa Linn. ইহার ফল গোলাকার ও প্রতি ফলে ২০থেকে ২৫টি বীজ থাকে । 
কালোজিরা ইউনানী, কবিরাজি ও বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যাবহিত হয়। ইহা মশলা হিসেবে ব্যাবহার হয়। পাচফোড়নেও ব্যাবহার হয় । ইহার বীজ থেকে তৈল পাওয়া যায়।তৈল বিভিন্ন্ চিকিৎসায় ব্যাবহার হয় ।

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেল কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। কালোজিরা এক ধরনের ওষধী এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য।কালোজিরার আদি নিবাস দক্ষিন ও দক্ষিন পুর্ব এশিয়া।অনেকে বলেন ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় এর উৎপত্তিস্থল।মিশরের গবেষকেরা বলেন, কালিজিরা নাইজেলন থাকায় হাপানি ভাল হয়। কালোজিরা বিভিন্ন রকম ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
আমেরিকার গবেষকরা কালিজিরাকে টিউমারবিরোধী বলেন।এ অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় দেহে ঘা, ফোঁড়া থাড়াতাড়ি ভালো হয়।কলোজিরার ভর্তা অনেক মজাকর এবং উপকারি। কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের সব রকম সমস্যা নিরাময় হয় ‌ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন একমাত্র মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ওষুধ কালোজিরা।

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কালোজিরা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কালোজিরাতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ভরপুর। কালোজিরাতে রয়েছে ২১ ভাগ আমিষ ৩৮ ভাগ শর্করা ৩৫ ভাগ স্নেহ। ভিটামিন এ ভিটামিন বি টু, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সেলিনিয়াম, আয়রন, জিংক, অলিকঅ্যাসিড, লিনোলিকঅ্যাসিড, বিদ্যমান। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বর্ণনা করা হলো।

উপকারিতাঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কালোজিরাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে সর্দি-কাশি নিরাময় হয়। 

প্রতিদিন এক চামচ কালোজিরা তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশ্রিত করে দিনে তিনবার নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এক চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে পরিমান মত মধু ও তুলসীর পাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি ও জ্বর নিরাময় হয়।

মাথা ব্যথা দূর করেঃ কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে কালোজিরার তেল মাথায় ভালো করে ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে মাথা ব্যথা কমা শুরু হয়।

চুল পড়া দূর করেঃ কালোজিরা ব্যবহারের ফলে মাথার চুল পড়া রোধ করা যায়। কালোজিরাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই রয়েছে যা মাথার চুল পড়া বন্ধ করে। এক্ষেত্রে নিয়মিত চুলে কালোজিরা তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। 

কালোজিরার তেল ব্যবহারের ফলে চুল উজ্জ্বল কালো এবং সিল্কি হয়। কালোজিরার তেল ব্যবহার করার ফলে চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং মাথার খুশকি সমস্যা দূর করে।

দাঁতের ব্যথা নিরাময় করেঃ কালোজিরা ব্যবহারের ফলে দাঁতের ব্যথা নিরাময় হয়। ফুটন্ত গরম পানিতে কালোজিরা ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর উক্ত পানি দিয়ে গড়গড়া কুলি করলে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালোজিরা ভিজিয়ে রাখা পানি গড়গড়া কুলি করার মাধ্যমে মুখের জীবাণু ধ্বংস হয়।

এসিডিটি সমস্যা দূর করেঃ প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটি সমস্যা দূর হয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে ২ চামচ কালোজিরা তেল মিশ্রিত করে প্রতিদিন সকাল বিকাল খেতে পারলে এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর হয়। 

সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ নিয়মিত খেলে পরিপূর্ণ এসিডিটি সমস্যা নিরাময় হয়। এছাড়া প্রতিদিন খালি পেটে সকালে কালোজিরা খেতে পারেন।

পাকস্থলী সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীর সমস্যা দূর করে। অনেকের পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয় এবং প্রায় বদহজম লেগে থাকে। ক্ষেত্রে কালোজিরা ভেজে গুঁড়া করে নিন। এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে দুই চামচ কালোজিরার গুড়া প্রতিদিন সকাল বিকাল দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়।

ওজন কমাতে কালোজিরাঃ শরীরের ওজন কমাতে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কালোজিরাতে পর্যাপ্ত এন্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে যা শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। যার কারণে ডায়েটে কালোজিরা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। কালোজিরা রুটির সঙ্গে মিশিয়ে অথবা মধু ও পানির সঙ্গে মিশিয়ে অথবা টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন কমে যায়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয়। কালোজিরায় পর্যাপ্ত ভিটামিন এ রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া চোখের নিচের দাগ দূর করতে কালোজিরা তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরের ভিটামিন এ এর ঘাটতি দূর করে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। কালোজিরা খাওয়ার ফলে চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য ভালো হয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কালোজিরাতে ভিটামিন এ ও পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কালোজিরায় থাকা পটাশিয়াম শরীরের রক্তনালিকাকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্ত নালীর অতিরিক্ত চর্বি অপসারণ করে।

ডায়াবেটিস নিরাময় করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিরাময় হয় এবং রক্তের সর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার চায়ের সঙ্গে কালোজিরার গুড়া মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগ মহামারী হিসেবে দেখা দিয়েছে। ডায়াবেটিস নিরাময়ের প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে।

জন্ডিস বা লিভার সমস্যা দূর করেঃ কালোজিরা খাওয়ার ফলে জন্ডিস ও লিভারের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। কালোজিরায় পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা জন্ডিস ও লিভারের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। লিভারকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত খালি পেটে কালোজিরা খেলে কাঙ্খিত উপকারিতা পাওয়া যায়।

জয়েন্ট ও হাড় ব্যথা দূর করেঃ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের বিভিন্ন রকম ব্যথা হয়। এ ক্ষেত্রে কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে এগুলো ব্যথা দূর করা যায়। কালোজিরায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এগুলো উপাদান হাড়ের ব্যথা কমিয়ে হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এছাড়া হারের ব্যথা নিরাময়ে নিয়মিত কালোজিরার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়। কালো জিরায় পর্যাপ্ত ভিটামিন এ রয়েছে যা ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারিত করে নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারনে শরীরের ত্বক উজ্জ্বল ও মোলায়েম হয়। 

ত্বকের কোন জায়গায় কালো দাগ হলে কালোজিরা পেস্ট করে লেবু যোগ করে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়ে যায়। এছাড়া এই পেস্ট ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল মোলায়েম হয় এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়।

কিডনির সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে কিডনির বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন গরম পানির সঙ্গে কালোজিরার গুড়া ও মধু মিশ্রিত করে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এভাবে নিয়মিত খাওয়ার ফলে কিডনির পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং কিডনির স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে।

হাঁপানি থেকে মুক্তি দেয়ঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে হাঁপানি সমস্যা দূর হয়। সাধারণত শিশু বাচ্চা ও বয়স্কদের হাঁপানি সমস্যা অনেক বেশি হয়। এক্ষেত্রে নিয়মিত গরম পানিতে কালোজিরার গুড়া মিশ্রিত করে খেলে হাঁপানি সমস্যা দূর হয়। এছাড়া হাঁপানি সমস্যা দূর করতে নিয়মিত সকালে খালি পেটে কাঁচা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি হয়। কালোজিরা পর্যাপ্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক, ও আয়রন, এর মত উপাদান রয়েছে। উপাদানগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং চিন্তা শক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখেঃ নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যা হলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। যার কারণে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল রাখতে সহায়তা করে।

মহিলাদের পিরিয়ডের সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে মহিলাদের পিরিয়ডের সমস্যা দূর করে। অনেক মহিলাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় না। যার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি হয়। যাদের পিরিয়ডের সমস্যা হয় কাঁচা হলুদের সঙ্গে পরিমাণ মতো কালোজিরার তেল মিশ্রিত করে দিনে তিনবার কয়েকদিন খেলে পিরিয়ডের সমস্যা দূর হয়।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করেঃ অনেক মা রয়েছেন যাদের বুকের দুধ না থাকার জন্য বাচ্চার অনেক কষ্ট হয়। ক্ষেত্রে নিয়মিত কালোজিরা খেলে বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। এক্ষেত্রে স্তন্যদানকারী মায়েরা কালোজিরা তেলের সঙ্গে মধু মিশ্রিত করে নিয়মিত খেতে পারেন। কালোজিরা তেলের সঙ্গে মধু মিশ্রিত করে নিয়মিত খেলে কাঙ্খিত সমস্যা দূর হয়।

শিশুর শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করেঃ শিশুদেরকে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। শিশুদেরকে বিভিন্নভাবে কালোজিরা খাওয়ানোর যায়। যেমন দুধের সঙ্গে অথবা শিশুদের বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা মিশ্রিত করে খাওয়ানো যেতে পারে। কালোজিরা খাওয়াতে পারলে শিশুদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং মেধা শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।

যার কারনে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। হাদিসে এসেছে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ কালোজিরা। যার কারনে প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে কালোজিরা মিশ্রিত করে কালোজিরা খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তাই আসুন আমরা কালোজিরা নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা দূর করি।

কালোজিরার অপকারিতা

কালোজিরাতে প্রচুর উপকার রয়েছে এরপরেও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ক্ষতিকর দিক থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কালোজিরার অপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো। কিছু লোকের কালোজিরা খেলে অ্যালার্জি, অথবা পেট খারাপ হয় ।তাদেরকে শতর্ক থাকা দরকার।কালো জিরার তেল মাখলে কাহারো গায়ে অ্যালার্জি বা ফুসকুড়ি বের হতে পারে।

 ইহা রক্ত জমাটবাধা বাধাগ্রস্থ করতে পারে।যারা দীর্ঘদিন সেবন করেন তাদের পাকস্থলীর সংকোচন বুকজালা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেশি কমে যেতে পারে। গর্ভবতী মহিলা ইহা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

আজকের আর্টিকেল কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। প্রতিদিন সকালে কালোজিরা চিবিয়ে খেলে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।কালোজিরার ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়।পেটের গ্যাস দুর করে।

সকালে বাচ্চারা কালোজিরা খেলে শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি ঘটে। প্রসাবের সমস্যা থাকলে ভালো হয়। তাই নিয়মিতভাবে এই সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য কালোজিরা খাওয়া প্রয়োজন।

রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা

আজকের আর্টিকেল কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। রসুন ও কালোজিরারমিশ্রণটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও সংক্রামণ থেকে বাচা যায়। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করে: রসুন এবং কালোজিরা উভয়েরই শ্বাসযন্ত্রের উপকারিতা রয়েছে। শ্বাসনালীতে প্রদাহ কমায়, হাপানি, কাশি এবং সর্দি-কাশির কমায়।
যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বাড়ে। মধুর সাথে রশুনও কালোজিরা ভিজিয়ে রেখে খেলে দেহথেকেব্যাকটিরিয়া বা জীবাণু ধংস হয় এবং ডায়াবেটিস রোগ নিরাময় হয়।

খালিপেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বলে শেস করা কষ্টকর।মৌলিক কিছু বিষয় আলোকপাত করা হলো। খালিপেটে কালোজিরা নিয়মিত খেলে জ্বর, সর্দি, কাশি, কফ, অরুচি, শরীর ব্যাথা, গলা ব্যথা ও দাঁতের ব্যাথা, বাতের ব্যাথা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম, ও মাইগ্রেনের সমস্যা দুর হয়।

ইহাতে থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড়কে শক্ত করে ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য রক্ষা করে।যিনারা বেশী ওজনে ভুগছেন দুধ কালোজিরা একসঙ্গে খেলে উপকার পাবেন। দুধ ও কালোজিরা শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং সহজে ফ্যাট হজম হয়।

কোষ্টকাঠিন্য দুর করে।আধা চামচ কালোজিরা তেল গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন থাকে।আধাচামচ তেল, একচামচ মধু গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কিডনির ব্যাথা দুর হয় ও কিডনির পাথর অপসারিত হয়।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

আজকের আর্টিকেল কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। পেটের সমস্যা থাকলে ৫০০মিলিগ্রাম কালোজিরা পাওডার ৮থেকে ১০ চামচ দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল-বিকাল সাতদিন খাবেন।সর্দি-কাশি নিরাময়ে এক চামচ কালোজিরার তেল একচামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খাবেন ।
প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ১ থেকে২ গ্রাম কালোজিরা পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন। চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।যেকোন তরকারীতে ইহা খাওয়া যায়।ইহা ভর্তা করে খাওয়া যায় যা অনেক সুসাধু।পিঠা ও অন্যান্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারেও ব্যাবহার করা যায়। 

রুটি বানানোর সময় কালোজিরা মিশ্রিত করে রুটি বানানো যায়। জিলাপি বানানো এক্ষেত্রে কালোজিরা মিশ্রিত করে জিলাপি বানানো যায়।

লেখকের মন্তব্য

আজকের আলোচনার বিষয় কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। প্রত্যহ সকাল-বিকাল কালোজিরা খেলে অনেক উপকার হয়। ইহা খালি পেটে থাওয়া ভাল। ইহা শরীরকে পুষ্টিতে আরও উন্ন্ত করে, হজমের উন্নতি করে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। কালোজিরা হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতি করে হার ও পেশির ব্যথা কমায়। 

কালোজিরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলে কালোজিরা সম্পর্কে গুগল সহ বিভিন্ন সাময়িক থেকে বিভিন্ন তথ্য সহ আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে এবং উপকৃত হবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url