ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। এছাড়া আজকের আর্টিকেলে ধনেপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
ধনে পাতা অত্যন্ত উপকারী খাদ্য যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের সহায়তা করে। ধনেপাতা সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেল ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে। ধনেপাতা সুগন্ধিযুক্ত এক বর্ষজিবি উদ্ভিদ। ধনেপাতা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনে উদ্ভিদ বিরুৎ জাতীয় ও তৃণজাতীয়। এই উদ্ভিদের শীর্ষে থোকা, থোকায় সাদা ফুল হয়। যা থেকে পরবর্তীতে বীজ হয় যা আমরা সংগ্রহ করতে পারি।
আর ও পড়ুনঃ শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
ধনেপাতার বীজ থেকে সুগন্ধি যুক্ত তেল, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ও মদ তৈরিতে ব্যবহার হয়। এ বীজ বিভিন্ন রকম খাবার মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধনেপাতা বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক চাটনি ও সালাতে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে বাঙ্গালীদের খাবারে স্বাদ ও সুগন্ধি হিসাবে ধনে পাতার ব্যবহার অনেক বেশি। ধনেপাতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
ধনে পাতার উপকারিতা
আজকের আর্টিকেল ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে। ধনেপাতা রান্নায় স্বাধ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ধনেপাতা রান্নার স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা সরাসরি শরীর গ্রহণ করতে পারে। ইউ এস বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ মাহফুজা নাসরিন শম্পা বলেন।
ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।ধনিয়া পাতায় ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন কে ভিটামিন ই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বিদ্যমান। খনিজ উপাদানের মধ্যে আয়রন, পটাশিয়াম, পর্যাপ্ত রয়েছে। এছাড়া ধনেপাতা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো উৎস। ধনে পাতার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করেঃ প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে। এছাড়া ধনিয়া পাতায় প্রাকৃতিক তেল রয়েছে যাহা হজমের সমস্যা দূর করে ও গ্যাসের সমস্যা কমে যায়। ধনিয়া পাতা পাকস্থলীর অম্লতা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
যার কারণে নিয়মিত পরিমানমত ধনেপাতা খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া ধনে পাতা নিয়মিত খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা থাকে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ধনে পাতায় ভিটামিন সি ও এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থাকলে ঠান্ডা, সর্দি ও বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রমণ করতে পারে না। এইজন্য নিয়মিত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে ধনেপাতার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ ধনে পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পটাশিয়াম শরীরের রক্তনালিকাগুলোকে প্রশস্ত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তনালীর চর্বি অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ধনেপাতার এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদযন্ত্র শক্তিশালী করে।
যার কারণে নিয়মিত ধনিয়া পাতা খেলে ধনিয়া পাতার পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া ধনিয়া পাতাতে উপস্থিত লিনোলিক এসিড, এসকারবিক এসিড, অলিক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড, প্যানিটিক অ্যাসিড, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
এগুলো এসিড রক্তের খারাপ কলেস্টেরল কমিয়ে ধমনী ওর শিরা গুলির ভিতরের দেওয়ালে জমা হয়। যার কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এই অ্যাসিড গুলো ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে কার্ডিওভাসকুলার এর বিপদজনক বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ ধনে পাতার নির্যাস রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ধনিয়া পাতার নির্যাস ইনসুলিন নিঃসরণে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। প্রতিদিন ধনেপাতার রসের সঙ্গে লেবুর রস ও মধ্য মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যার কারণে নিয়মিত পরিবার মত ধনিয়া পাতা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে।
ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করেঃ ধনে পাতা নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে। ত্বকের সমস্যা বলতে ব্রণ এলার্জি এবং ত্বকের শুষ্কতা ধনিয়া পাতা খাওয়ার ফলে নিরাময় হয়। এ ছাড়া ধনিয়া পাড়াতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন এ ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করে নতুন নতুন কোষ তৈরি করে।
এছাড়া ভিটামিন এ মাথার ত্বক উন্নত করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। যার কারণে নিয়মিত পরিমান মত ধনিয়া পাতা খাওয়ার ফলে ত্বকের কোষ ও চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ধনিয়া পাতা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে প্রাকৃতিক ডিটক্সি ফায়ার হিসেবে কাজ করে কিডনির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ধনিয়া পাতা কাঁচা অথবা রান্না করে অথবা সুপ বা চাটনি করে খাওয়া যায়। ধনিয়া পাতায় পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ও এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা কিডনিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে।
লিভার ভালো রাখেঃ শরীর সুস্থ রাখার জন্য লিভার ভালো থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নিয়মিত ধনেপাতা খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ধনেপাতার রস লিভার জন্ডিসের মতো সমস্যা নিরাময় করতে পারে।
এছাড়া লিভারের ছোটখাটো সমস্যা নিরাময়ে নিয়মিত পরিমাণ মতো ধনেপাতা খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত ধনিয়া পাতা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ও লিভারের দূষিত পদার্থ বাহির করে।
হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত ধনিয়া পাতা খাওয়ার মাধ্যমে হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন কে রয়েছে। যার কারনে নিয়মিত সালাদের সাথে অথবা ভর্তার সাথে ধনিয়াপাতা খাওয়ার মাধ্যমে হার্টের শক্তি বৃদ্ধি হয়।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ধনিয়া পাতা খাওয়ার মাধ্যমে আর্থারাইটিস সমস্যা দূর করে ও হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা নিরাময় করে।
চোখ ভালো রাখেঃ নিয়মিত ধনা পাতা খাওয়ার মাধ্যমে চোখ ভালো থাকে। ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই রয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত এন্টি অক্সিডেন্ট আছে যা চোখের জ্যোতি ভালো করে। নিয়মিত ধনা পাতা খেলে কনজাঙ্কটিভাইটিসের আশঙ্কা থাকে না। এছাড়া ধনেপাতা খাওয়ার মাধ্যমে চোখের দৃষ্টির স্বল্পতার সমস্যা থাকে না।
এজন্য নিয়মিত ধনে খাপাতা খেলে ধনেপাতার ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। যার কারনে নিয়মিত পরিমান মত ধনিয়াপাতা খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো।
ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে
ধনিয়া পাতা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পাতা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পাওয়া যায়। এছাড়া ধনিয়া পাতাতে বিভিন্ন রকম ভিটামিন পাওয়া যায়। ধনিয়া পাঠাতে বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থে ভরপুর। এক কথায় বলা যেতে পারে ধনিয়া পাতা অত্যন্ত পুষ্টিরকর খাদ্য। আসুন জেনে নিই ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে ।
আর ও পড়ুনঃ শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ধনিয়া পাতায় ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন কে ভিটামিন ই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বিদ্যমান।
ধনিয়া পাতায় ভিটামিন এঃ বিটা ক্যারোটিনের উৎস হলো ধনেপাতা। ১০০গ্রাম ধনে পাতায় ভিটামিন এ,৬৩৪.৬৭ মাইক্রগ্রাম। ধনেপাতা খাওয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন বিটা কেরোটিন ভিটামিন এতে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ভিটামিন সিঃ ধনে পাতায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়িকে সুরক্ষা দেয়। ১০০গ্রাম ধনে পাতায় ভিটামিন সি,২৩.৮৭ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন কেঃ ধনেপাতা ভিটামিন কে এর ভালো উৎস। এক কাপ ধনেপাতায় প্রায় ৫৪৭ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন কে থাকে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন কে হাড়ের স্বাস্থ্য এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন ইঃ ধনে পাতায় অল্প পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। ভিটামিন ই এমন একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষকে বিভিন্ন রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। মানুষের যৌবন ধরে রাখতে ভিটামিন ই অত্যন্ত সহায়ক।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সঃ ধনিয়া পাতায় আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর মধ্যে রাইবোফ্লাভিন (B2), নিয়াসিন (B3), প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (B5), পাইরিডক্সিন (B6), এবং ফোলেট (B9), বিদ্যমান। এই ভিটামিন গুলি শক্তি বিপাক স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও রক্তের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া লোহিত রক্তকণিকা এর ভারসাম্য রক্ষা করে।
ধনে পাতার অপকারিতা
বাঙ্গালীদের খাদ্য রস বিলাসে ধনেপাতা পর্যাপ্ত ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া খাদ্যের স্ব াদ ও সুগন্ধ বাড়ানোর জন্য ধনেপাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধনেপাতায় পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এরপরেও বেশি পরিমাণ ধনেপাতা খেলে উপকারিতার পরিবর্তে অনেক ক্ষতি হতে পারে। ধনেপাতার অপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
লিভারের ক্ষতি করেঃ অত্যাধিক বেশি পরিমাণ ধনেপাতা খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমাতে পারে। ধনেপাতায় থাকা এক ধরনের তেল যার শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে। যার কারণে বেশি পরিমাণ ধনেপাতা না খাওয়াই ভালো।
নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়ঃ যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের ধনেপাতা না খাওয়া ভালো। শ্বাসকষ্ট রোগীদের ধনেপাতা খেলে শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যায়। এছাড়া এজমা রোগীরা বেশি পরিমাণ ধনেপাতা খেলে ফুসফুসে এজমার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারনে নিশ্বাস নিতে মাঝে মাঝে সমস্যা হতে পারে।
পেট খারাপ হতে পারেঃ স্বাভাবিক ধনেপাতা খাওয়ার কারণে পেটের হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি হয়। অথচ বেশি পরিমাণ ধনে পাতা খেলে হজমের পরিবর্তে বদ হজম হতে পারে। ধনেপাতা খেলে গ্যাসের ব্যথা পেট ব্যথা পেট ফুলে যাওয়া বমি হওয়া পাতলা পায়খানা হয় ইত্যাদির সমস্যা দেখাইতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপ হতে পারেঃ নিয়মিত ধনে পাতা খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। অপরপক্ষে বেশি পরিমাণ খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিচে নেমে নিম্ন রক্তচাপে রূপান্তরিত হয়। যার কারণে বেশি পরিমাণ ধনেপাতা না খাওয়া ভালো।
বুকে ব্যথা হতে পারেঃ অতিরিক্ত পরিমাণ ধনেপাতা খাওয়ার ফলে বুকে ব্যথা হতে পারে। এবং এ ব্যথার কারণে শরীরে বিভিন্ন রকম অস্বস্তি হয়ে যায়। এজন্য প্রতিদিন পরিমাণ মতো ধনেপাতা খাওয়া প্রয়োজন।
ভ্রুনের ক্ষতিঃ গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে ভ্রুন বা বাচ্চার শরীরে বিভিন্ন রকম ক্ষতি হতে পারে। বেশি পরিমাণ ধনিয়া পাতা খাওয়ার ফলে মহিলাদের প্রধান গ্রন্থির কার্যক্ষমতা নষ্ট করতে পারে।
এলার্জির সমস্যাঃ নিয়মিত পরিমাণমতো ধনেপাতা খেলে এলার্জির সমস্যা দূর হয়। অপরপক্ষে বেশি পরিমাণ ধনিয়াপাতা খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, সহ বিভিন্ন রকম ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।
মুখে প্রদাহঃ অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে মুখে প্রদাহ হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের এসিড থাকে যা অত্যন্ত বেশি খাওয়ার কারণে মুখে বিভিন্ন ধরনের প্রধান হতে পারে। বেশি পরিমাণ ধনেপাতা খাওয়ার ফলে ঠোঁট মারি এবং গলা ব্যথা হতে পারে এছাড়া মুখ লাল হয়ে যেতে পারে।
ধনিয়া পাতা খাওয়ার নিয়ম
আজকের আর্টিকেল ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে। ধনে পাতা অত্যন্ত উপকারী আমাদের দেহের জন্য। বাঙালিরা ধনেপাতা অত্যন্ত পছন্দ করেন। বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। সাধারণত সালাত হিসাবে ধনেপাতার ব্যবহার অনেক। ধনে পাতার রস করে খাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে ধনেপাতা ব্যবহার করে রান্না করে খাওয়া যায়।
আর ও পড়ুনঃ থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়
বিভিন্ন রকম চাটনি তৈরি করতে ধনেপাতা অত্যন্ত প্রয়োজন। ধনে পাতার রস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এক গ্লাস পানিতে ধনেপাতা মিশ্রিত করে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপরে উক্ত পানি স্বাদ মতো লেবু ও লবণ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ধনে পাতা জুস করে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন পিঠা তৈরিতে বা পাকোড়া তৈরিতে ধনেপাতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
ধনেপাতার আচার অত্যন্ত সুস্বাদু যা বাঙ্গালীদের মন কাড়ে। এছাড়া কাঁচা ধনেপাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া আরও বহুবিধ ধনেপাতার ব্যবহার রয়েছে। নিজেদের স্বাদ মতো ধনেপাতার বিভিন্ন রকম ব্যবহার করে খেতে পারেন।
ধনে পাতার জুস
আজকের আর্টিকেল ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে। ধনে পাতার জুস খেতে অনেক সুস্বাদু। পাতা জুস করে খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক উপকার হয়। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ধনেপাতার জুস অত্যন্ত ফলদায়ক। বিভিন্ন ধরনের। বিশেষ করে শরীরের ওজন কমাতে এই জুস অত্যন্ত কার্যকর। জুস তৈরির নিয়মঃ
প্রথমে ১ থেকে ২ টি পাতি লেবু নিতে হবে। এক কাপ ধনেপাতা। স্বাদ অনুযায়ী বিট লবণ। গরমের সময় হলে আইস কিউব।
প্রথমে ধনিয়া পাতা ও বিট লবণ একসঙ্গে নিয়ে মিক্সার মেশিনে মিক্সড করে নিতে হবে। এরপরে নেক্সট কৃত ধনেপাতা ছেঁকে নিয়ে লেবুর রস ও আইসকিউব দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। এই জুস নিয়মিত খেলে শরীরের ওজন কমে যাবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ ধনে পাতায় কি কি ভিটামিন আছে বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হল। ধনেপাতা একটি মুখরোচক সুস্বাদু ও সুগন্ধি ময় খাদ্য। ধনেপাতা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা হয়। ধনেপাতা আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি। ধনেপাতা কাঁচা সালাতের সঙ্গে এবং তরকারি রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
আজকের আর্টিকেলে ধনেপাতা ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক কিছু নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবেন। ধনেপাতা সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল ভালোভাবে পড়ুন। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url