সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ডি একটি। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম গ্রহণের সহায়তা করে।
ভিটামিন ডি এর মাধ্যমে রিকেট নামক রোগ থেকে বাঁচা যায়। আমরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সূর্যালোক থেকে পেতে পারি।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন। সূর্যের মাধ্যমে আমাদের সকল কাজকর্মের সহযোগিতা পাই। এছাড়া পৃথিবীর শক্তির উৎস হলো সুযোগ। সূর্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা সৌর শক্তির ব্যবহার করতে পারি। এছাড়াও ফসল ফলানো বৃক্ষ রোপনের ক্ষেত্রে সূর্যের ভূমিকা সরাসরি রয়েছে।
সূর্যালোক ব্যবহার করে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি পেতে পারি। এরপরেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। শেষ করে সূর্যের তাপমাত্রা অত্যাধিক হওয়ার কারণে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মির সূচকের পরিমাণ প্রায় ১২ পৌঁছে গেছে। যা আমাদের জন্য অসনি সংকেত। সূর্যের আলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন

আজকের আর্টিকেল সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন। সূর্যের রোদ ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস। এজন্য অনেকেই ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য সূর্যের রোদ পোহাতে চান। রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এছাড়াও জেনে নিতে হবে কিভাবে রোদ পোহালে সর্বোচ্চ ভিটামিন ডি এর সুফল পাওয়া যেতে পারে। 
সূর্যের রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য ১০-১৫ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। বাহিরে বের হওয়ার পরে সূর্যের ছায়া যতক্ষণ মানুষের ছায়ার থেকে ছোট থাকবে ততক্ষণ ভিটামিন ডি বেশি পাওয়া যাবে। অর্থাৎ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ঃ০০ টা পর্যন্ত সূর্যের রোদকে ব্যবহার করে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। 

যাদের ভিটামিন ডি প্রয়োজন সকাল দশটা থেকে বিকাল তিনটায় এর মধ্যে যেকোনো সময় ১৫ ২০ মিনিট গায়ের সরিষার তেল দিয়ে রোদে থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। রোদে থাকার সময় মুখমন্ডল হাত বাহু হাটু এর নিচের অংশ খোলা রেখে রোদ পোহাতে হবে। যেকোনো লোক কালো অথবা শ্যামলা তাদের জন্য একটু বেশি রোদে থাকা প্রয়োজন। 

কারণ শ্যামলা অথবা কালো লোকের চাইতে ফর্সা লোকের ভিটামিন ডি সংগ্রহ খুব তাড়াতাড়ি হয়। এক্ষেত্রে আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট বেশি রোদ পোহালে প্রয়ো হয়জনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে কেহ যদি ঘরের বেলকনিতে অথবা গাড়ির ভিতর থেকে জানালা থেকে রোদ পোহাতে পারেন তাও কিছু ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

সুর্যালোকে কিকি ক্ষতি হয়

আজকের আর্টিকেল সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন। সূর্যালোকের কারণে উপকারের পাশাপাশি আমাদের দেহের বহু ক্ষতি হয়। বিশেষ করে সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। সাধারণত চোখ ত্বক সহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতি করে। সূর্যালোকের ক্ষতির দিকগুলো আলোচনা করা হলো।

ত্বকের উপর খারাপ প্রভাবঃ সূর্যালোকে উপস্থিত অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। সূর্যালোকের অতি বেগুনি রশ্মির কারণে অসম্পৃক্ত লিপিডসহ ত্বকের পৃষ্ঠের লিপিড যেমন স্কোয়ালিন, সেবেলেইক অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড, কোলেস্টেরল, একক অক্সিজেন, ওজন এবং সেই সাথে মুক্ত রেডিকাল দ্বারা অক্সিডেশন হতে পারে। 

সাধারণত মানুষের ত্বকে অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরনে যেগুলো প্রভাব পড়ে তার মধ্যে রয়েছে রোদে পোড়া প্রদাহ, স্থানীয় বা সিষ্টমিক ইমিউনোস প্রেশন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি দ্বারা ক্ষতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ১.৫ মিলিয়ন ত্বকের ক্যান্সার এবং আট হাজারের মতো মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হয়। 

এছাড়াও সূর্যের বেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকে বয়সের ছাপ ত্বক কালো অথবা ত্বকের লাল লাল দাগ তৈরি হয়। যার কারনে তোকে রক্ষা করার জন্য অত্যাধিক সূর্যালোক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

চোখের উপর খারাপ প্রভাবঃ সূর্যালোকে উপস্থিত অতিবেগুনি রশ্মি চোখের পল্টিক্যাল সানি অথবা দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিকর প্রভাব সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশি দ্বারা ঘটে। বিশেষ করে যেগুলো ব্যক্তি পর্যাপ্ত সূর্যালোকে কাজ করে তাদের চোখের ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। 

এছাড়া যখন সূর্যালোকের সংস্পর্শে চোখে অবস্থিত রেটিনার সুক্ষ টিস্যুগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বেটিনার সূক্ষ্ম টিস্যু গুলোকে ক্ষতিগ্রস্তের কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়। বিকৃত দৃষ্টি শক্তি তৈরি হয় যা সরলরেখাকে বাঁকা করে দেখা। দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন রং স্বাভাবিকের চাইতে উজ্জ্বলতা কম দেখায়। উজ্জ্বল আলোতে বাইর হলে দেখতে অসুবিধা হয়।

ফোলেটের অবক্ষয়ঃ রক্তে ফুলেটের মাত্রা ভ্রুনের বিকাশ সাধনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি দ্বারা রক্তে ফলেটের উৎপাদন কমে যেতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী মহিলারা সূর্যের অতিবেগুনি আলোকরশ্মির মাধ্যমে মানসিক উদ্বেগে নিমজ্জিত হয়। 

এছাড়াও সূর্যের বেগুনি আলোকরশ্মির কারণে পুরুষ ও মহিলাদের প্রজননের বিরূপ প্রভাব পড়ে। যার কারনে প্রখর রোদে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বেঁচে থাকা প্রয়োজন।

রক্তচাপের খারাপ প্রভাবঃ বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনের কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির দ্বারা রক্তচাপের উপর খারাপ প্রভাব পড়তেছে। বিভিন্ন গবেষণায় ইঙ্গিত বহন করে যে সূর্যের খাড়া অতি বেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের এক্সপোজারের ফলে সিস্টোলিক রক্তচাপ কমে যাচ্ছে। 

সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির কারণে ভিটামিন ডি এর বিপরীতে ত্বকে নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসরণ হওয়ার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে কালো লোকদের চাইতে ফর্সা লোকদের ক্ষতির প্রভাব বেশি পড়তেছে।

মেজাজের ভারসাম্য নষ্ট হওয়াঃ গবেষনায় দেখা যাচ্ছে সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে মানসিক কর্মক্ষমতা ও মনস্তাস্তিক দিক দিয়ে বিভিন্ন রকম প্রভাব পড়তেছে। প্রাকৃতিক আলো এবং উৎপাদনশীলতা শিরোনামে একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে দৈনন্দিন তীব্র আলোর কারণে জীবনশক্তি উচ্চতর অনুভূতির মাধ্যমে সরাসরি মানসিক দিক দিয়ে ক্ষতি হচ্ছে। 

সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি দ্বারা মেজাজ আসক্তি জ্ঞান ও স্মৃতিসহ বিভিন্ন স্নায়ুতবিক ফাংশন কে প্রভাবিত করছে। যার কারণে অত্যাধিক সূর্যালোকের তাপমাত্রা থেকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সূর্যালোকের ক্ষতিকর দিক থেকে বাচার উপায়

আজকের আর্টিকেল সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন। সম্প্রীতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সূর্যের তাপমাত্রা বহু গুণে বেড়ে গেছে। আর সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অতি বেগুনি রশ্মির সূচক ১১ যা চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি হতে পারে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সূচক ১২ বুঝতে পারে। 
যা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। অতি বেগুনি রশ্মির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ত্বকে পোড়া দাগ কম বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া ত্বকে ক্যান্সারের মতো সমস্যা মুখোমুখি হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। 

পানিশূন্যতায হিট স্ট্রোক ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ডায়রিয়ার মতো বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বৃদ্ধি পেতে পারে। যার কারণে সূর্যালোকের ক্ষতি থেকে বাঁচার প্রয়োজন। সূর্যালোকের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় আলোচনা করা হলো।

খোলা জায়গায় এড়িয়ে চলতে হবেঃ সূর্যের তাপমাত্রা বেশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খোলা জায়গায় এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত প্রখর রোড থাকে এবং সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রুশির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এই সময়টি বাসা বাড়ি সাউনির নিচে অথবা বিভিন্ন গাছের নিচে থাকা প্রয়োজন। 

এছাড়াও রাস্তার পাশে ক্যাফে, রেস্তোয়ারা, লাইব্রেরী, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমলের মত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় খোঁজা প্রয়োজন। শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীগণ বাইকে ব্যাবহার না করে বাস ও ট্যাক্সিতে যাতায়াত করা প্রয়োজন।

হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরিধানঃ প্রখর রোদের সময় আরামদায়ক পোশাক যেমন সুতির পোশাক পরা প্রয়োজন। আরামদায়ক সুতির পোশাক পরার কারণে পোশাকের ভিতর তাপ আটকা পড়বে না যার কারণে তোকে অতি বেগুনি রশ্মি পৌঁছাতে পারবে না। 

মাথা সংরক্ষিত রাখা যেমন টুপি স্কার্ফ পরিধান করা। এছাড়া অফিস আদালতে যাওয়ার সময় হালকার রং ও ফুলহাতা জামা পরা প্রয়োজন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করুনঃ কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ এস পি এফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে মিনারেল বা কেমিক্যাল যেকোনো ধরনের সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া যেতে পারে। বাহিরে যাওয়ার আধঘন্টা আগে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। দুই ঘন্টা পর পর পুনরায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। 

যে লোকগুলো লোক অনেক বেশি খামেন অথবা সাঁতার কাটেন তাদের জন্য সানস্ক্রিন নিয়ে অত্যন্ত সচেতন থাকা প্রয়োজন। এছাড়া অনেক বেশি সময় বাহিরে থাকলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন বেশি নেওয়া যেতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধু মুখমন্ডল অথবা ঘাড় নয় বরং পায়ের সুরক্ষার জন্য পায়ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন।

নিজেকে আড়াল করে রাখতে হবেঃ বড়কাপ ব্যবহার করা যেতে পারে যার কারণে চেহারা কান ও গলা কে একই সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পারবে। বাহিরে যাওয়ার সময় প্রচন্ড সূর্যালোকের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য যে সানগ্লাস দরকার তা ব্যবহার করা প্রয়োজন।

পানি শূন্য হওয়া যাবে নাঃ পর্যাপ্ত সূর্যালোকের সময় পানি শূন্যতা হওয়া যাবে না। যার কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। সঙ্গে এক সঙ্গে একটি পানির বোতল রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়াও গোসলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণ হয়। 

প্রখর রোদের সময় খাবারের তালিকায় শসা তরমুজ ও সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন মাল্টা কমলা লেবু বাধা বিলিবু ইত্যাদি রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনের স্যালাইন ও গ্লুকোজ রাখতে হবে। পুরোপুরি সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশি থেকে বাঁচার কষ্টকর তবে রশ্মির পরিমাণ কমানো প্রয়োজন।

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেল সুর্যালোক থেকে কিভাবে ভিটামিন ডি পাবেন। প্রাকৃতিক সবচাইতে উপকারের বস্তুর মধ্যে সূর্য অন্যতম। সূর্য শক্তির মাধ্যমেই পৃথিবীর সকল শক্তির উৎস। যার কারণে সূর্য থেকে আমরা পর্যাপ্ত উপকার পেতে পারি। সূর্যালোক থেকে আমরা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে পারি।

উপকারের পাশাপাশি ফুটদের অতিবেগুনি রশিদ দ্বারা আমাদের অনেক ক্ষতি ও হয়। আজকের আর্টিকেল সূর্যালোকের উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url