লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। আরো আলোচনা করা হবে গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা। লিচুর বিচি খেলে কি হয়। লিচুর অপকারিতা।
লিচু খেলে কি গ্যাস হয়। লিচু খাওয়ার নিয়ম। লিচুর পুষ্টি উপাদান। এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলের বিষয় লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ । নিশু অত্যাধিক পুষ্টি গুনসম্পন্ন এবং সুস্বাদু ফল। লিচু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বহু পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি হয়। সানাউল লিচু খাওয়ার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুকি কমে।
আর ও পড়ুনঃ পেঁয়াজ খাওয়ার ১৫টি সাস্থ্য উপকারিতা
লিচুতে শর্করা ও ফ্যাট অনেক কম এবং ভিটামিন ও মিনারেলস অনেক বেশি। যার কারণে লিচু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বেড়ে যায় না। এছাড়াও লিচু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। জন্য আসুন লিচু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাক।
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা
লিচু পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান আছে যা ক্ষেত্রে আমরা সবাই পছন্দ করি। লিচু একটি সুস্বাদু ফল। এই ফলটি গ্রীষ্মকালে মাত্র কিছুদিন আমাদের সামনে থাকে। যার কারনে গর্ভবতী মায়েরা নিচু ফল খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলের বিষয় লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ। গর্ভবতী মায়েদের লিচু খাওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ আরো অন্যান্য উপাদান রয়েছে। সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কমে যায়।যার কারণে গর্ভবতী মায়েরা লিচু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। লিচু খাওয়ার মাধ্যমেই সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা জড়িত রোগ প্রতিরোধ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। নিশিতে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরের রক্তনালিকাকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও পটাশিয়াম জাতীয় ফল লিচু খাওয়ার মাধ্যমে রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ বাহির হয়ে যায়।
রক্তনালিকা থেকে চর্বির পরিমাণ কমে যায়। যার কারনে পটাশিয়াম জাতীয় ফল লিচু আমাদের নিয়মিত নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে খাওয়া প্রয়োজন।
হাড়ও পেসির স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ গর্ভবতী মায়েদের ও গর্ভস্থ শিশুর হাড় ও বেশি গঠনে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর প্রয়োজন হয়। লিচু খেলে লিচুতে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যাহা গর্ভবতী মা ও ভূমিষ্ঠ শিশুর হাড়ও পেশি গঠনে সহায়তা করে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ নিয়মিত গর্ভবতী মায়েরা লিচু খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ অলিগোনল রয়েছে যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। নাইট্রিক অক্সাইড রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়া ফ্ল্যাভোনয়েড ভাস্কুলার ফাংশন উন্নত করে যার কারণে হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও লিচু খাওয়ার মাধ্যমে অন্ত্রের অঙ্গানু গুলো ভালো থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে।
ওজন কমায়ঃ লিচুতে ফেনোলিক যৌগ রয়েছে। যার কারণে গর্ভবতী মায়েরা লিচু খেলে ওজন কমে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ
লিচু ফলে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম অপরপক্ষে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি। আর কারণে লিচু আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। এছাড়া সবাই লিচু খেতে অনেক পছন্দ করে। লিচু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান এর ঘাটতি পূরণ হয়। লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ বর্ণনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃবরই খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধঃ হনুমান ভিটামিন সি রয়েছে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার কারণে লিচু খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা জড়িত ভাইরাস জাতীয় জীবাণু ঘটিত অসুস্থতা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
পানির ঘাটতি পূরণঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রয়েছে। যার কারণে লিচু খাওয়ার ফলে শরীরে পানির অভাব দূর হয়ে যায়। দেহকে সব সময় হাইড্রেড রাখে।
এন্টিবডি তৈরিঃ লিচু খেলে আমাদের শরীরের নতুন নতুন এন্টিবডি তৈরি হয়। লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এপিকেসিন ও রুটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অ্যান্টিবডির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রক্তস্বল্পতা দূরঃ লিচু খাওয়ার মাধ্যমে রক্ত সল্পতা দূর হয়। লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যাহা শরীরের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়াও অ্যানিমিয়ার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম আছে। তার কারণে লিচু খাওয়ার ফলে লিচুর পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে
হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যাহা হার্টৈর অঙ্গানুর প্রদাহ হতে রক্ষা করে। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ভাইরাস ছড়াতে বাধা দেয়ঃ লিচুতে লিচিট্যানিন নামক ভাইরাস বিরোধী উপাদান রয়েছে। যার কারণে লিচু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ভাইরাস আক্রমণ করতে বাধা দেয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডায়াটেরি ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও লিচু খাওয়ার ফলে অন্তরের বিভিন্ন অঙ্গানুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যা দূর হয়।
হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ লিচু খাওয়ার ফলে লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। হাড়ের জয়েন্ট ও পেশির ব্যাথা হতে রক্ষা করে। হাড় ও পেশি মজবুত ও সুস্থ রাখে।
লিচু খেলে শরীরের ওজন কমেঃ লিচুতে শরকরা ও ফ্যাটের পরিমাণ বেশি অপরপক্ষে ভিটামিন ও মিনারেলস এর পরিমাণ বেশি। তার কারণে লিচু খাওয়ার মাধ্যমে পেট ভরা থেকে এবং অন্যান্য খাবারের চাহিদা দূর করে। এছাড়াও লিচু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের দূষিত টক্সিন গুলো বাহির করে দেয় যার কারণে শরীরের ওজন কমে।
শরীরের প্রদাহ কমায়ঃ লিচুতে প্রদত্ত পরিমাণ ফ্ল্যাভানল ও ভিটামিন সি রয়েছে। যার কারণে লিচু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের প্রদাহ কমে। এছাড়াও নিচুতে ভিটামিন সি থাকার জন্য শরীরের ঘা অথবা অপারেশনের ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
ত্বক গঠনেঃ লিচু খাওয়ার ফলে ত্বকের সকল সমস্যা দূর হয়। লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বকের মৃত কোষগুলো অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারণে ত্বক নরম মোলায়েম ও স্বাস্থ্যজ্জল হয় এবং ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকে না। এছাড়া ত্বকের বলি রেখা দূর হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যঃ লিচুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। লিচুতে শর্করার পরিমাণ কম এছাড়াও গ্লাইসেমিক ইনডিক্স কম। কারণে লিচু খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি হয় না। যার কারণে ডায়াবেটিস রুগিরা লিচু খেতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি ও এন পি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ভিটামিন সি শরীরের প্রদাহ কমায় এ ছাড়া এন্ট্রি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষের অক্সিডেটিভ কমায়। যার কারণে লিচু খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে না।
অ্যাজমা ও হাঁপানি নিরাময়েঃ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। যার কারণে লিচু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এজমা ও হাঁপানির সমস্যা রোধ করে।
লিচুর বিচি খেলে কি হয়
আমরা লিচু খাওয়ার পরে লিচুর বিজ ফেলে দিই। অথচ বিজে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। নিচুর বীজ সরাসরি খাওয়া যায় না। লিচুর বিষ খেতে হলে চূর্ণ করে খেতে হবে। আজকের বিষয় লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ । লিচুর বীজের উপকারিতা সমূহঃ
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ লিচুর বিজে পলিফেনল নামক যৌগ রয়েছে। যার কারণে লিচুর বিজ খেলে ত্বকের বলিরেখা, চামড়া ঝুলে যাওয়ার মত সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও উল লিচুর বীজ খাওয়ার মাধ্যমে ত কমল এবং স্বাস্থ্যজ্জল হয়।
হৃদরোগের ঝুকি কমেঃ লিচুর ব্রিজের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম রয়েছে। পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন সি আর্টের বিভিন্ন অঙ্গানুর প্রদাহ দূর করে। যার কারণে হৃদরোগের ঝুকি কমে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ লিচুর বীজের নির্যাসে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম রয়েছে যার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে লিচুর বীজে নির্যাস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ইনফেকশন দূর করেঃ লিচুর ব্রিজে অ্যান্টি ইনফর্মেটরি ও প্রদাহ নাশক উপাদান রয়েছে। লিচুর বীজের নির্যাস খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন প্রকার ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
হজম বৃদ্ধিঃ লিচুর বিজের নির্যাস খাওয়ার মাধ্যমে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে লিচুর বিজের নির্যাস খাওয়ার মাধ্যমে অন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গাণু সুস্থ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।
লিচুর অপকারিতা
লিচু অত্যাধিক উপকারী ফল। লিচু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি হয়। এরপরেও লিচুর অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। লিচুর অপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হলো।
*বেশি পরিমাণ লিচু খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অত্যাধিক কমে যায় যার কারণে মাথাব্যথা শরীর অবশ হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়।
*শিশুদের খালি পেটে লিচু খাওয়ার কারণে পেট ব্যথা অথবা বন্ধ করতে পারে।
*লিচুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে বেশি পরিমাণ লিচু খাওয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ একেবারে কমে যায়। যার কারণে বেশি কিছু খাওয়া ঠিক নয়।
*বেশি পরিমাণ লিচু খেলে শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়, বমি ভাব, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
*বেশি পরিমাণ লিচু খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
লিচু খেলে কি গ্যাস হয়
লিচুর উপকার গ্রহণ করতে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে লিচু খাওয়া প্রয়োজন। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি লিচু খেতে পারেন। বেশি পরিমাণ লিচু খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। বার্থডে হাসপাতালে সাবেক পুষ্টি কর্মকর্তা এবং পুষ্টি বিভাগের প্রধান আক্তারুন নাহার বলেন খালি পেটে অথবা ভরা পেটে বেশি লিচু খাওয়া ক্ষতিকর।
আর ও পড়ুনঃ আয়োডিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকার
বেশী লিচু খেলে বদহজম গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে তাই বেশি লিচু খাওয়া ঠিক নয়। আরো বলেন চার বছর পর্যন্ত শিশুদের লিচু না খাওয়া ভালো। শিশুদেরকে সর্বোচ্চ পাঁচটির বেশি না খাওয়ানো ভালো।
তাহলে আমরা বলতে পারি বেশি পরিমাণে লিচু খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত নিয়ম মেনে দশ থেকে বারো পনেরোটি লিচু সারাদিন খেলে গ্যাসের সমস্যা থাকবে না। আসুন আমরা নিয়ম মেনে ১০ থেকে ১৫ টি এর বেশি লিচু না খাই।
লিচু খাওয়ার নিয়ম
লিচু অনেক পুষ্টি গুনসম্পন্ন এবং সুস্বাদু ফল। লিচু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রচুর। সাধারণত আমরা লিচু ছিলিয়ে খেতে পারি। এছাড়া লিচু জুস করে খাওয়া যায়। লিচু দইয়ের সঙ্গে মিশ্রিত করে খাওয়া যায়। খালি পেটে লিচু খাওয়া ঠিক নয়।
সব সময় ভরা পেটে লিচু খেলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। একজন লোক সারা দিনে ১০ থেকে ১৫ টি লিচু খেতে পারেন। বেশি পরিমাণ লিচু খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর সমস্যা হয়। যেভাবে আমরা লিচু খাই না কেন আমাদের দেহের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করে।
লিচুর পুষ্টি উপাদান
১০০গ্রাম লিচুতে পুষ্টি উপাদানের পরিমান ছকের মাধ্যমে বর্ননা করা হলো
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। লিচুর বিভিন্ন উপকারিতার দিকগুলো আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বেশি পরিমাণ লিচু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। লিচু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করে আজকের আর্টিকেলে লেখা হয়েছে।
লিচু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি ভিজিট করুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। আপনাদের ভালোলাগা এবং উপকৃত হলে নিজেকে সার্থক মনে করব। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url