বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন

সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকের আর্টিকেল বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন। নিয়মিত বৃষ্টির পানিতে ভিজার ফলে শরীর ঠান্ডা হয়ে জ্বর আসে। যার কারণে বৃষ্টিতে খুব বেশি ভিজা ঠিক না।
বৃষ্টি হওয়ার সময় নিরাপদে কোন স্থানে অবস্থান করে বৃষ্টি বন্ধ হলে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। বৃষ্টিতে ভিজলে কেন জ্বর আসে সে বিষয়ে জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন। বৃষ্টির পানি আমাদের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে নেয়ামত। বৃষ্টির পানি হওয়ার কারণে ক্ষেত খামারে ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত শুষ্ক হলে বৃষ্টির পানির মাধ্যমে সেগুলো শুষ্কতা দূর হয়। বৃষ্টির পানি আমাদের বিভিন্ন রকম কাজে লাগে। 
বিশেষ করে বৃষ্টির পানি বিভিন্ন রকম ব্যাটারিতে আমরা ব্যবহার করতে পারি। ছাদ বাগানে বিভিন্ন গাছে ট্যাপের পানি ব্যবহারের ফলে গাছের অনেক ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের মাধ্যমে ছাদ কৃষির বিভিন্ন গাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যবান হয়। বৃষ্টির পানি সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

বৃষ্টির পানিতে কোন ভিটামিন থাকে

আজকের আর্টিকেল বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন। বৃষ্টির পানিতে কোন ভিটামিন আছে তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। প্রকৃতপক্ষে বৃষ্টির পানিতে কোন ভিটামিন থাকে না। তবে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশগত ভাবে ভিটামিন বি১২ থাকতে পারে। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিভিন্ন অনুজীব রয়েছে। অনুজীব বা ব্যাকটেরিয়া গুলো পরিবর্তিত হয়ে ভিটামিন বি১২ পরিণত হয়। 

বৃষ্টির পানি হওয়ার সময় যদি এগুলো অনুজীবের সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশ্রিত হয় তাহলে সেই বৃষ্টির পানি থেকে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। প্রাকৃতিকভাবে যেগুলো অনুযায়ীব বা ব্যাকটেরিয়া থেকে ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায় সেগুলো হল Bacillus megaterium. Pseudomonas denitrificans, Propionibacterium freudenreichii, Streptomyces olivaceus, Prevotella copri ইত্যাদি। 

বৃষ্টির পানি হওয়ার সময় উপরোক্ত ব্যাকটেরিয়া গুলি সঙ্গে সংস্পর্শের কারণে বৃষ্টির পানিতে ভিটামিন বি১২ তৈরি হয়। আর যদি বৃষ্টির পানি সঙ্গে উপরোক্ত উপাদান মিশ্রিত না হয় তাহলে বৃষ্টির পানি থেকে কোন ভিটামিন পাওয়া যায় না। তবে এগুলো অনুজীবের সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশ্রিত হয়ে যে পরিমাণ ভিটামিন বি ১২ উৎপন্ন হয় তা খুব বেশি নয় সামান্য পরিমাণ থাকে। 

তবে বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন বৃষ্টির পানি মাটিতে পড়ে সেগুলো গড়িয়ে গেলে সেখান থেকে যে পানি সংগ্রহ করলে তাতে ভিটামিন বি১২ এর পরিমাণ একটু বেশি থাকে। কারণ মাটিতে যেগুলো আছে তাদের সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশ্রিত হয়ে ভিটামিন বি১২ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। 

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন বৃষ্টির পানিতে যে পরিমাণ ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায় তাতে কি শরীরের জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিজ্ঞানী বলেছেন যে পরিমাণ ভিটামিন বি১২ বৃষ্টির পানির সঙ্গে থাকে তা শরীরের জন্য যথেষ্ট নয় তবে কিছু পরিমাণ ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।

বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন

বৃষ্টি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত। বৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীতে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন অনেক বেশি হয়। এছাড়াও ভূপৃষ্ঠে বৃষ্টির অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন। বৃষ্টি হতে লাগলে চলাফেরার ক্ষেত্রে অনেক সময় বৃষ্টিতে গা ভিজে যায়। বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। 
বৃষ্টিতে ভিজার পরে উক্ত কাপড় গায়ে শুকিয়ে যায় বলে বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আমরা সাধারণত প্রতিদিন বৃষ্টির পানিতে ভিজিনা যার কারণে বৃষ্টির পানিতে ভেজার অভ্যাস গড়ে ওঠে না। হঠাৎ করে বৃষ্টিতে ভেজার পরে শরীরে অনেক ঠান্ডা লাগে। অথচ প্রতিদিন যেখানে গোসল করা হয় সেই পানি আমাদের শরীরে ক্ষেত্রে সহনীয় হয়ে ওঠে। 

হঠাৎ করে শরীরে বৃষ্টির পানি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ঠান্ডা লাগে এবং শরীরের তাপমাত্রা বড় পরিবর্তন হয়। এ সময় শরীরের নার্ভাস সিস্টেমের কাছে একটি ইলেকট্রিক সকের মত হয়। যার ফলে শরীরের উত্তেজনার কারণে ছোট ছোট নার্ভাস সিস্টেমগুলো বন্ধ হয়ে যায়। 

যার কারনে শরীরের তাপমাত্রা বাহির হওয়ার সুযোগ থাকে না। এইজন্য শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে যাওয়ার কারণে জ্বর হয়। যার কারণে বৃষ্টিতে ভেজার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়গুলো পরিবর্তন করে নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর আসলে খুব বেশি চিন্তার কারণ নাই।

 সাধারণত ১০২ ডিগ্রীর নিচে তাপমাত্রা থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সেরে যাবে। আর একটু বেশি তাপমাত্রা হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের মাধ্যমেই ভালো হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার প্রয়োজন নাই।

বৃষ্টির পানির উপকারীতা

আজকের আর্টিকেল বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন। বৃষ্টির পানি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য আর্শিবাদ স্বরূপ। বৃষ্টি পানির নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির পানি বর্ষণের কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। বৃষ্টিরে পানির উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ অ্যালকাইন সমৃদ্ধ বৃষ্টির পানি এসিডিটি কমিয়ে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও অ্যালকাইন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি নষ্ট করে। এইজন্য বৃষ্টির পানি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বৃষ্টির পানি হওয়ার সময় প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে। 

এই ব্যাকটেরিয়া সংস্পর্শে আসা পানি খাওয়ার ফলে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। যার ফলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলি পাকস্থলী পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। যার কারনে বৃষ্টির পানি খাওয়ার মাধ্যমে হজমশক্তি বৃদ্ধি হয়।

ত্বকের জন্য উপকারীঃ সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য বৃষ্টির পানি অনেক উপকারী। অনেক সময়ই গভীর নার্ভের পানি ব্যবহারের ফলে ও বিভিন্ন রকম সাবান ব্যবহারে শরীরের ত্বকের রুক্ষতা চলে আসে। এক্ষেত্রে বৃষ্টির পানিতে গোসল করার ফলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়। 

ত্বক মোলায়েম ও উজ্জ্বল হয়। ভূগর্ভস্থ পানিতে সোডিয়াম এর পরিমাণ বেশি থাকে যার কারণে গোসলের ফলে ত্বকে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি হয় ত্বকের লাবণ্যতা নষ্ট করে। ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানিতে যেহেতু খনিজ পদার্থের পরিমাণ কম থাকে তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো হয়।

চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ প্রাকৃতিক অ্যালকাইন সমৃদ্ধ বৃষ্টির পানি মাথার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা দূর করে। এছাড়াও চুলের সুরক্ষা ও চুলের গো ড়ার শক্ত ও মজবুত হতে বৃষ্টির পানি সহায়তা করে। বৃষ্টির পানি ব্যবহারের ফলে চুলের রুক্ষতা কমে চুল উজ্জ্বল ও সিল্কি হয়। 

এছাড়াও বৃষ্টির পানি ব্যবহার করলে মাথার খুশকি দূর হয়। বৃষ্টির পানিতে গোসলের ফলে মাথার চুলে বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থের মিশ্রণ কম হয়। যার কারণে বুক গর্ভস্থ পানির মত বৃষ্টির পানি চুলের ক্ষতি করতে পারে না।

কানের সমস্যা দূর হয়ঃ বৃষ্টির পানি ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা দূর হয়। কানের ভিতর ব্যথা অথবা কানে ইনফেকশন দূর করতে বৃষ্টির পানি অনেক উপকারী। যার কারণে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময় নিয়মিত বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা যায়।

মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তিঃ বৃষ্টির পানিতে গোসল করার ফলে মানব শরীরে এন্ডোরফিন ও সেরাটনিন হরমোন ক্ষরিত হয়। বৃষ্টির পানি হওয়ার সময় এক ধরনের ঘ্রাণ তৈরি হয় যাকে বলা হয় পেট্রিকোর। যার কারণে বৃষ্টির পানি দিয়ে গোসলের মাধ্যমে ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি হয় এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি পাওয়া যায়ঃ বৃষ্টির পানি বর্ষণের সময় প্রাকৃতিক বিভিন্ন অ্যালকাইন ও অনুজীবের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে ভিটামিন বি১২ উৎপন্ন করে। যার কারণে বৃষ্টির পানিতে ভিজলে ভিটামিন বি১২ এর অভাব দূর হয়।

চর্মরোগ থেকে মুক্তিঃ বৃষ্টির পানিতে ভিজার মাধ্যমে চর্ম রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। চুলকানি ফুসকুড়ি ঘামাচি দূর করতে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ত্বক খসখসে দূর করতে বৃষ্টির পানি ভূমিকা অনেক। বৃষ্টির পানি ব্যবহারের ফলে ত্বক মোলায়ে মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। 

সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানিতে বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থ থাকায় চর্ম রোগের সমস্যা হতে পারে। ওদিকে বৃষ্টির পানিতে খনিজ উপাদান থাকে না বলে চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার সময় যে দলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বৃষ্টির পানিতে গোসল করার ফলে ত্বকের ক্ষতিকর জীবাণু অপসারিত হয়। যার কারণে ত্বক উজ্জ্বল ও কমল হয়ে ওঠে।

শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণঃ বৃষ্টির পানি পান করার কারণে শরীর থেকে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি হজম সমস্যা সমাধান ও পেট পরিষ্কার করে। বৃষ্টির পানির মাধ্যমে রক্তের ph লেভেল স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে ওর শরীরের অ্যাসিটি কমায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রেখা, রাধামনির মতে বর্ষাকালে শুধুমাত্র বৃষ্টির পানি খাওয়াই উচিত।

বৃষ্টির পানি ব্যবহারের নিয়ম

বৃষ্টির পানির ব্যবহার অত্যাধিক। বৃষ্টির পানিতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ কম হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও বৃষ্টির পানি আমাদের পরিবেশ পরিবেশের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বৃষ্টির পানির মাধ্যমে ফসলাদি উৎপন্নের পরিমাণ বেড়ে যায়। নিচে বৃষ্টির পানির ব্যবহার আলোচনা করা হলো।
আইপিএস ব্যাটারিতে ব্যবহারঃ আইপিএসের ব্যাটারি সচল রাখার জন্য মাঝে মাঝে পানি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে তুই বয়েলের পানি ব্যবহার করলে ব্যাটারির অনেক ক্ষতি হয়। যার কারণে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে নিয়মিত ব্যাটারিতে ব্যবহার করা যায়। 

এছাড়াও ব্যাটারীতে ডিস্টিল্ড ওয়াটার ব্যবহার করা হয়। সাধারণ তোর ডিস্ট্রিলড ওয়াটার এর পরিবর্তে বৃষ্টি হওয়ার সময় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুলোবালি কমে গেলে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে। সংগৃহীত পানি নিয়মিত ব্যাটারিতে ব্যবহার করা যায়।

ছাদ বাগানে ব্যবহারঃ সাধারণত ছাদ বাগানে পানি ব্যবহার করতে ট্যাবের পানি ব্যবহার করা হয়। ট্যাপের পানিতে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। যার কারণে পেটের পানি ব্যবহারের ফলে গাছডিহাইড্রেট হয় এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

অপরদিকে বৃষ্টির পানি হওয়ার ফলে বৃষ্টির পানিতে খনিজ পদার্থ কম থাকায় গাছ সহজে বৃষ্টির পানি গ্রহণ করতে পারে এবং হাইড্রেট থাকে। যার কারণে কাজ সুস্থ হবে বেড়ে উঠতে পারে। এজন্য নিয়মিত বৃষ্টির সময় পানি সংরক্ষণ করে অন্য সময় সাতবাগানে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা যায়।

বাসা বাড়িতে ব্যবহারঃ অনেক সময়ই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে বাসা বাড়িতে পানির সংকট হয়। এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানিতে অনেক সময় আয়রনের পরিমাণ বেশি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদানের পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য বাসা বাড়িতে ব্যবহারের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়। 

সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে অন্য সময় সে পানি দিয়ে বাসা বাড়ির কাজ করা যায়। বাড়িতে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের ফলে বাসা বাড়ির জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

হাতমুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহারঃ হাত মুখ ধোয়ার জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ট্যাপের পানির ব্যবহারের ফলে অনেক সময় খনিজ উপাদানের কারণে হাত পায়ের ত্বক কালো হয়ে যায়। এছাড়া ভূ গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে মাথার চুলের স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটে। তার কারণে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সেগুলো হাত মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সিঁড়ি ও ছাদ ধোয়ার কাজের ব্যবহারঃ বৃষ্টির পানি সিঁড়ি ও সাথ ধোয়ার কাজে ব্যবহার হয়। বিশেষ করে সাদ অস্মিতে অনেক ময়লা থাকে। বৃষ্টির সময় খুব সহজেই সিঁড়ি ও সাত গুলো ভালো করে ধোয়ার কাজ করা যায়। জোরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে ছাদ ও সিঁড়ি পরিষ্কার হয়ে যায়।

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকের আর্টিকেল বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে কেন এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। বৃষ্টির পানি হওয়ার ফলে শরীর অত্যন্ত ঠান্ডা হওয়ার কারণে জ্বর আসে। এছাড়াও আজকের আর্ট বিকেলে বৃষ্টির পানি উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বৃষ্টির পানি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে গুগল সহ বিভিন্ন সাময়িকী থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। এজন্য বৃষ্টির পানি সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল বিস্তারিত করুন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url