শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আমরা খুব সহজেই হাতের নাগালে শাপলা পেয়ে থাকি। অথচ এই শাপলাতে অনেক চমকপ্রদ পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
যাহার কারণে শাপলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন। শাপলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেল বিস্তারিত ভিজিট করুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। প্রায় ১৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে শাপলা গাছের অস্তিত্ব ছিল। প্রাচীন মিশরে সাদা ও নীল শাপলার অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরিতে শাপলার ব্যবহার অনেক বেশি। শাপলা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি।
থাইল্যান্ড ও মায়ানমারে এই ফুল পুকুর ও বাগান শাহাজাতে খুব জনপ্রিয়। শাপলা বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ইয়েমেন, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, এর বিলে ও হ্রদে দেখা যায়। সারা বিশ্বে প্রায় শাপলার ৩৫ টি প্রজাতি পাওয়া যায়। শাপলা সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

শাপলা অত্যন্ত সহজলভ্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। সাধারণত বর্ষাকালে খাল বিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ শাপলা পাওয়া যায়। শাপলা সবজি হিসেবে ও কাচা খাওয়া যেতে যায়। শাপলাতে ভিটামিন মিনারেলস বিদ্যমান যা দৈহিক গঠনে ভূমিকা রাখে। শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আলোচনা করা হলো।

শাপলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

মাথা ঠান্ডা রাখেঃফ্ল্যাভোনল গ্লাইকোসাইট সমৃদ্ধ শাপলা যা খাওয়ার ফলে মাথার রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে ও মাথা ঠান্ডা থাকে। যাদের মাথায় ঘন ঘন ঘাম হয় তারা নিয়মিত শাপলা খেতে পারেন। শাপলাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যা মস্তিষ্ক সুরক্ষায় ভুমিকা রাখে। 

শাপলায় পর্যাপ্ত ভিটামিন বি আছে যাহা মস্তিষ্ক গঠনে ভুমিকা রাখে। নিয়মিত শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। যার কারনে মস্তিষ্ক সুরক্ষা ও মস্তিষ্ক গঠনে নিয়মিত শাপলা খাওয়া প্রয়োজন।

হৃদ যন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধিঃ যেগুলো সকল ব্যক্তিগণ হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগেন তারা নিয়মিত শাপলা খেতে পারেন। শাপলার হৃদ যন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। শাপলা তে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি সেভেন রয়েছে যা পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। ভিটামিন বি এর বিভিন্ন বিপাক ও কার্যক্ষমতায় উন্নতি করার চেষ্টা করে।

শরীরের বিপাক ক্রিয়া উন্নতি ঘটার মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও ভিটামিন বি থাকার কারণে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি হয়। যার মাধ্যমে নিয়মিত শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে হৃদযন্ত্রে কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়।

রক্তের শর্করার মাত্রা কমায়ঃ শাপলা খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রন থাকে। সাধারণত রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হলে ডায়াবেটিসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। রক্তের শর্করার পরিমাণ কমানো এবং ইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে শাপলা কার্যকর ভূমিকা রাখে।

শাপলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি১ রয়েছে যা শরীরের কার্বোহাইড্রেট শক্তি হিসেবে তৈরি করতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি১ শরীরের গ্লুকোজ বিপাকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া ভিটামিন বি১ শরীরের ইনসুলিন এর স্তর স্থিতিশীল রেখে রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখে। যার কারণে শাপলা নামক এই সবজি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের শর্করার মাত্রা কমায়।

যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো যকৃত। যকৃত শরীর বৃত্তীয় বিভিন্ন কাজ করে এবং আয়রন ও গ্লাইকোজেন সঞ্চয় করে। এছাড়া দেহ থেকে বিষাক্ত যাবতীয় দ্রব্য অপসারণ করে। নিয়মিত শাপলা ডাটা খাওয়ার ফলে যকৃতের স্বাস্থ্য অনেক উন্নত হয়।

শাপলাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যা যকৃতের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করে। এছাড়া আপনাদের ভিটামিন বি রয়েছে যা যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এজন্য যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত শাপলা খাওয়া প্রয়োজন।

হজমে সহায়তা করেঃ শাপলা আশ জাতীয় খাবার। এজন্য যাদের হজমের সমস্যা আছে শাপলা খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়। আমাশই বা পেট ব্যথা বদহজম পেট ফাঁপা কোষ্ঠকাঠিন্যতা ইত্যাদির সমস্যার ক্ষেত্রে শাপলা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।

প্রোটিনের চাহিদা পূরণঃ সাধারণত শরীরের ক্ষয় পুরন ও কোষ গঠনে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। নিয়মিত শাপলা খাওয়ার ফলে শাপলায়  থাকা প্রোটিন এগুলো চাহিদা পূরণ করে। ১০০ গ্রাম শাপলাতে প্রোটিন রয়েছে ৩.১ গ্রাম। যার কারণে নিয়মিত শাপলা খেলে শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। 

শরীরে প্রোটিনের সমস্যা থাকলে দেহের বিপাক ক্রিয়া সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে শরীরের ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধি সাধন এবং নতুন কোষ গঠনে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও শরীরের ত্বক, চুল, নখ ও হাড়কে সচল রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন। যার কারণে নিয়মিত শাপলা খেলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ শাপলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যার কারনে নিয়মিত শাপলা খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। শাপলা খেলে শাপলাতে থাকা ভিটামিন সি শরীর থেকে বিভিন্ন টক্সিন বাহির করে দেয়। এছাড়াও ভিটামিন সি শরীরে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী এন্টিবডি তৈরি করে। 

এন্টিবডি শরীরে বিভিন্ন রোগের জীবানুকে প্রতিহত করে। যার কারণে বিভিন্ন রোগ জীবানু শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। এইজন্য নিয়মিত শাপলা খাওয়ার ফলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।

শরীরের বিপাক ও কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ ভিটামিন বি ৭ বা বায়োটিন পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। শাপলাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি ৭ বা বায়োটিন রয়েছে। যার কারণে শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিপাকক্রিয়া ও কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এছাড়া শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে বায়োটিন এর অভাব দূর হয়।

ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ শাপলার ডাটা খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। এছাড়া ত্বকের কোষকে হাইড্রেট ও স্বাস্থ্যকর করে। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, প্রাণবন্ত ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত শাপলা খাওয়া যায়। শাপলা ডাটাতে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের মৃত কোষকে অপসারিত করে নতুন কোষ তৈরি করে। 

যার কারণে ত্বক উজ্জ্বল ও মোলায়েম হয়। এছাড়াও ত্বকের কোষ থেকে টক্সিন অপসারণ করে। ভিটামিন সি মাথার ত্বককে শক্তিশালী করে এবং খুশকি দূর করে। যার কারনে চুল আরও শক্তিশালী ও সিল্কি হয়। ত্বক ও চুলের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত শাপলা খাওয়া প্রয়োজন।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করেঃ নিয়মিত শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। শাপলাতে পর্যাপ্ত গ্যালিক এসিড নামক এক ধরনের এনজাইম রয়েছে। গ্যালিক এসিড ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

হাড় ও দাঁত মজবুত করেঃ শাপলাতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যার কারনে নিয়মিত শাপলা খাওয়ার ফলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়। দাঁতের ক্ষয় রোধ হয়। এছাড়াও এসিডিটি, রক্ত আমাশয়, চুলকানি, ইত্যাদির রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত শাপলা খাওয়া যায়।

শাপলা খাওয়ার অপকারিতাঃ

*শাপলা আমাদের জন্য অনেক উপকারী উদ্ভিদ। এরপরেও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
*অতিরিক্ত কাঁচা শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে সর্দি কাশিসহ ঠান্ডা জড়িত বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
*অতিরিক্ত শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে বদ হজমের সমস্যা হতে পারে। যার কারণে পরিমাণ মতো শাপলা খাওয়া প্রয়োজন।

শাপলা খাওয়ার নিয়ম

আজকের আর্টিকেল শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। বিলে শাপলা ফুটে থাকলে বিলের সৌন্দর্য অনেকগুণ বেড়ে যায়। সৌন্দর্যের পাশাপাশি শাপলা ব্যবহার অনেক বেশি।
*শাপলার ডাটা সাধারণত কাঁচা তেঁতুলের টক দিয়ে মাখিয়ে খেতে খুব মজা কর হয়। কাঁচা শাপলা ডাটা খাওয়ার মাধ্যমে সরাসরি শাপলা ডাটার পুষ্টি পাওয়া যায়।
*শাপলা ডাটা সবজি হিসাবে খাওয়া যায়। শাপলা ডাটার সবজি অনেক পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
*শাপলা ডাটা দিয়ে তৈরি চচ্চড়ি অনেকেরই মন কাঁড়ে। এছাড়া শাপলা ডাটার চচ্চড়ি খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক পুষ্টি উপাদান জমা হয়।
*শাপলা ডাটা দিয়ে তৈরী পাকোড়া খাওয়া অত্যন্ত মজা কর। এছাড়াও শাপলা ডাটা দিয়ে তৈরি পাকোড়া খাওয়ার ফলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারীতা পাওয়া যায়।
*শাপলা ফুল শোভা বর্ধন হিসেবে কাজ করে। যার কারনে শোভা বর্ধন হিসেবে অনেকেই এই ফুলে ব্যবহার করে থাকে।
*শাপলা গোখাদ্য হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাপলা ডাটা শুকিয়ে গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
*শাপলা ফলের বীজ দিয়ে খই তৈরি করা হয় যা খেতে অনেক মজা। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো শাপলা বীজ সংগ্রহ করে ভালো করে শুকিয়ে রাখতে হবে। পরবর্তীতে মুড়ি ভাজার মতো করে খই ভেজে খাওয়া যায়।

শাপলা ডাটা কেন খাবেন

আজকের আর্টিকেল শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। বর্ষাকালে বাজারে পর্যাপ্ত শাপলা পাওয়া যায়। যার কারণে আমরা বর্ষাকালে শাপলা খেতে পারি। শাপলা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ উদ্ভিদ। যা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতি দূর হয় এবং বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। 
শাপলা খাওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্প প্রতিষ্টান গভর্মেন্ট কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড হিউমান সায়েন্স কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেহেনা বেগম বলেন শাপলা ডাটা অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি। এই সবজির নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে। 

এছাড়া আরো বলেন শাপলাতে প্রচুর পানি খাদ্য আঁশ কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ভিটামিন ও মিনারেলস এবং প্রচুর পরিমাণ এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ভিটামিন ও মিনারেলস এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ভিটামিন সি ফসফরাস ক্যালসিয়াম আয়রন ইত্যাদি উপাদান। যার কারণে শাপলা ডাটা খাওয়ার ফলে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি হয় অন্ত্রের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়।

শাপলা ডাটায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে এজন্য শাপলা ডাটা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের বিপাক ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। শাপলার ডাটা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুকি কমে এবং মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। শাপলারটা খাওয়ার মাধ্যমে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয় ও চুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা বৃদ্ধি হয়।

শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ শাপলা ডাটাতে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। শাপলা ডাটায় পর্যাপ্ত গ্যালিক এসিড রয়েছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এসিডিটি রক্তমাশয় চুলকানি ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ সারাতে নিয়মিত শাপলা ডাটা খাওয়া যেতে পারে।

পুষ্টিগুণে ভরা শাপলা

বর্ষার মৌসুমে অনেকেই পছন্দ শাপলা সবজি। গ্রামের লোকদের সঙ্গে সঙ্গে শহরের শাপলা সবজি জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাংলাদেশের সর্বত্রই খাল বিলে প্রচুর শাপলা পাওয়া যায়। আসুন জেনে নি শাপলা পুষ্টিভরা উদ্ভিদ।

শাপলা পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি যা সাধারণ শাকসবজির চাইতে অনেক বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। শাপলাতে প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে। আলুর চাইতে প্রায় সাত গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে যা চর্ম রোগ ও রক্তমাশয় এর জন্য বেশ উপকারী।

১০০ গ্রাম শাপলাতে, খনিজ পদার্থ ১.৩ গ্রাম, আশ ১.১ গ্রাম, ভিটামিন ১৪২ কিলো, ক্যালরি- প্রোটিন ৩.১ গ্রাম, শর্করা ৩১.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৬ মিলিগ্রাম।

শাপলাতে পর্যাপ্ত গ্যালিক এসিড নামক এনজাইম রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

শাপলা তে রয়েছে ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইট যা মাথার রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ও মাথা ঠান্ডা রাখে।

শাপলা শরীরকে ঠান্ডা রাখে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় ও পিপাসা দূর করে। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া আমাশয় ওর পেট ফাঁপা নিরাময় করে।

আয়ুরবীদ অসম ওষুধ তৈরি করতে শাপলার ব্যবহার রয়েছে এছাড়া শাপলা খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিরাময় হয়।

শাপলা ফুল যকৃতের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং লিভারের ক্ষতি নিরাময়ে সহায়তা করে। এজন্য নিয়মিত শাপলা খাওয়া প্রয়োজন।

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ শাপলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শেষ হলো। সাধারণত বর্ষাকালে খাল-বিল এ প্রচুর পরিমাণে শাপলা পাওয়া যায়। শাপলা সবজি হিসেবে খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান চাহিদা মেটে। যার যার কারণে নিয়মিত শাপলা খাওয়া প্রয়োজন।

শাপলা সাধারণত কাঁচা অথবা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। শাপলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুগল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সাময়িকী থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। শাপলা সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল বিস্তারিত পড়ুন। আশা করি ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url