পুইশাকে কি কি ভিটামিন আছে

সুপ্রিয় পাঠক্রম পুইশাকে কি কি ভিটামিন আছে এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। পুঁইশাক অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। পুঁইশাকে ভিটামিন মিনারেল ও প্রোটিন সমৃদ্ধ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
যার কারনে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া প্রয়োজন। পুইশাক সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল পুইশাকে কি কি ভিটামিন আছে। পুঁইশাক লতা জাতীয় উদ্ভিদ যার পাতা ও ডাটা উভয় খাওয়া যায়। পুঁইশাক শাক ও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ আসাম ও ত্রিপুরা আইন বেশি পুঁইশাক চাষ হয়। এছাড়াও এই এলাকার লোকজন বেশি পুঁইশাক খাওয়া পছন্দ করে।
পইশাকের বৃদ্ধি অনেক দ্রুত হয় এবং ১০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। বৈশাখ বাঙালি ও চীনের রান্নায় অত্যন্ত বেশি ব্যবহার হয়। সাধারণত পোশাক অন্যান্য শাকের মতো খাওয়া যায়। এছাড়া সবজি খিচুড়ি ও পাকোড়া তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পুঁইশাক অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। পুইশাক সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

পুইশাকে কি পুষ্টিগুণ রয়েছে

আজকের আর্টিকেল পুইশাকে কি কি ভিটামিন আছে। পুই শাকেরগরমের সময়ের শাক সবজির মধ্যে পোশাক অত্যন্ত জনপ্রিয়। পুঁইশাক সহজলভ্য যা খেতে সবাই পছন্দ করে। পুঁইশাক সবজি ভাজি খিচুড়ি ও পাকুড়া খেতে অনেক পছন্দনীয়। এছাড়াও পুঁইশাক অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ যার দেহের বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতি দূর করে।

*পুঁইশাক আশৈ জাতীয় খাবার যা খাওয়ার মাধ্যমে পাইলস ফিস্টুল্লা ও হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়।
*পুইশাক খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং দেহের বর্জ্য অপসারণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
*পুঁইশাকের পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। এছাড়া চোখের পুষ্টি ও চুলকে মজবুত রাখার জন্য পুঁইশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
*পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলী ও করণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। পুঁই শাক খেলে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। যার কারনে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া যেতে পারে।

পুইশাকে কি কি ভিটামিন আছে

পুঁইশাক অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু শাক। পুনিশার সহজলভ্য এবং সুস্বাদু হওয়ায় সবাই পুঁইশাক খেতে পছন্দ করে। এছাড়াও পুশাকে পুষ্টির উপাদানের পরিমাণ অনেক বেশি যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটায়। পুইশাক সাধারণত সবজি এবং শাক উভয় ভাবে খাওয়া যায়। পুঁইশাকে কি কি ভিটামিন আছে তা আলোচনা করা হলো।
পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। যার কারনে পুঁইশা খাওয়ার মাধ্যমে দেহে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হয়। ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ সহ শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। আর এগুলো সমস্যা দূর করতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পুঁইশাক নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যার কারনে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। ভিটামিন সি এর অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং স্কার্ভি রোগসহ শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। 

এছাড়াও ত্বক গঠনে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাক পুঁই শাক খাওয়া প্রয়োজন। পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে চোখ ও চুলের স্বাস্থ্য অনেক উন্নত করে। ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া প্রয়োজন।

পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে। নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার ফলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর অভাব দূর হয়। এছাড়াও পুঁইশাকে বিভিন্ন মিনারেলস রয়েছে। এজন্য নিয়মিত খাবার তালিকায় পুঁইশাক রাখা যেতে পারে।

পুঁই শাক খাওয়ার উপকারিতা

আজকের আর্টিকেল পুঁইশাকে কি কি ভিটামিন আছ। অন্যান্য শাকের মতো পুইশাকের কদর অনেক বেশি। এছাড়াও পোশাক অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে সবাই পুঁইশাক খেতে ভালোবাসে। দেহে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া প্রয়োজন। পুঁইশাকের উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

পুঁইশাক ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ পুঁইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি ও আয়রন থাকায় দেহের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া সহজ করে ক্যালোরি ক্ষয় করতে সহায়তা করে। এজন্য স্বাস্থ্য বেশি হলে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া যেতে পারে। পুইশাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও ফাইবার রয়েছে। ফাইবার থাকার কারণে পুঁইশাক পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে। 

যার কারণে হজমশক্তি বৃদ্ধি হয়। এইজন্য নিয়মিত পুঁইশাক খেলে শরীরের ওজন কমে। নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার ফলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া অত্যন্ত সহজ হয় যার কারণে ক্যালরি বেশি ক্ষয় হয়। যাদের ওজন অনেক বেশি ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত পুঁইশাক খেলে শরীরের ওজন অনেকটা কমে আসবে।

শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করেঃ যে সকল লোক অনেক পরিশ্রম করে তাদের পর্যাপ্ত এনার্জি প্রয়োজন হয়। আর এই এনার্জি পূরণের জন্য নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া যেতে পারে। পুঁইশাকের পর্যাপ্ত ফলের ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা এনার্জি বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে। 

এছাড়া বৈশাখ ন্যাচারাল অ্যালকোহল যা খাওয়ার মাধ্যমে সারাদিন আমাদের দেহে এনার্জি ধরে রাখতে সহায়তা করে।

পুঁইশাক হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ রয়েছে সেজন্য পুঁইশাক খেলে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এছাড়াও পুঁইশাক খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। পুঁইশাক খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়ে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। 

এছাড়াও পুইশাকে পর্যাপ্ত ফাইবার থাকায় নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাচনতন্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী হয়। পাচনতন্ত্র শক্তিশালী হওয়ার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি হয় এবং গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা থাকে না। তাই নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়।

পুইশাক ডায়াবেটিস কমাতে সহায়তা করেঃ পুইশাকে লিপোইক আসিড নামক এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে। লিপোইক এসিড শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে ও ইন্সুলিনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এইজন্য ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া যেতে পারে। 

পুঁইশাক অত্যন্ত বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে পেরিফেনাল নিউরোপ্যাথি ও অটোনমিক নিউরোপ্যাথি কমায়। এক কথায় বলা যায় পুঁইশাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ বিভিন্ন রকম সবজির মত পুইশাকে পর্যাপ্ত ক্লোরোফিল রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্লোরোফিল কার্সিনোজেনিক প্রভাব আটকাতে কাজ করে। সাধারণত কারসিনোজেনিক এর প্রভাবে ক্যান্সার হয়। এছাড়াও বৈশাখ খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

পুঁইশাক শিশুদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেঃ পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম মিনারেলস ও প্রোটিন রয়েছেযার কারনে শিশুদেরকে পুঁইশাক খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির ত্বরান্বিত করে। এজন্য বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকেই পুইশাক খাওয়ানো যেতে পারে।

চুল ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ পুইশাকের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এর কারণে চোখের স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে। এছাড়াও চুল গঠনে পুঁইশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখ ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া প্রয়োজন।

ব্লাড প্রেসার কমায়ঃ পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ও পটাশিয়াম রয়েছে। পটাশিয়াম শরীরের রক্ত নালিকাকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। পুঁইশাকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম রয়েছে। আমরা জানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পটাশিয়ামের প্রয়োজন হয়। পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়াম মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। 

পুঁইশাক কম খেলে শরীরের পটাশিয়াম ঘাটতি হওয়ার ফলে প্রেসারের সমস্যা হয়। আমরা সহজলভ্যভাবে সারা বছর পুঁইশাক পাই। বাড়ির পাশেই পুঁইশাক লাগিয়ে সারা বছর পুঁইশাক খাওয়া যায়। নিয়মিতো পুঁইশাক খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। এইজন্য নিয়মিত পুইশাক খাওয়া প্রয়োজন।

হাড় ও পেশী শক্ত করেঃ পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন কে রয়েছে যা হাড় ও পেশি গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন কে শরীরে ক্যালসিয়াম ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ইউরিনে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমায়। এজন্য নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে হাড় ও পেসি শক্তিশালী হয়। 

পুঁইশাকে ভিটামিন কে এর পরিমাণ কম থাকলে হাড় ও পেশি অত্যন্ত দুর্বল হয়। এছাড়া ভিটামিন কে হাড়ের ম্যাট্রিক্স এর প্রোটিন উন্নত করে। শরীরের ক্যালসিয়াম ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এইজন্য হাড় ও পেশি শক্তিশালী ও মজবুত করতে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া যেতে পারে।

শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ঃ পুইশা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে শুক্রাণু পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। পুঁইশাকের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড জিংক আয়রন ও এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারণে পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও শরীরের শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

পুঁই শাক খাওয়ার অপকারিতা

পুঁইশাকের উপকারিতা পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যার কারনে ক্ষতিকর দিকগুলো লক্ষ্য রেখে পুঁইশাক খেতে হবে। পুঁইশাকের অপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
*যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে পুঁইশাক বেশি খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি বৃদ্ধি হতে পারে। এজন্য তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত নিয়ম মেনে পোশাক খাওয়া প্রয়োজন।
*বৈশাখ অক্সালের সমৃদ্ধ তাই পুঁইশাক খাওয়ার সময় নিয়মিত আন্তরিক খাওয়া প্রয়োজন। বেশি পরিমাণ পুঁইশাক খেলে আমাদের শরীরের তরলে অক্সালেটের পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে।
*পুইশাকে পিউরিন নামক উপাদান রয়েছে। যার কারনে বেশি পরিমাণ পুইশা খেলে দেহে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
*বেশি পরিমাণ পুইশা খেলে দেহে ইউনিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে গেটে বা ও কিডনিতে পাথরের মত সমস্যা হতে পারে।
*যে সকল লোকেরা পিত্তথলির বিভিন্ন রকম সমস্যায় ভোগেন তাদেরকে পুঁইশাক খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় পুঁইশাক খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় মহিলাদেরকে পর্যাপ্ত শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিভিন্ন রকম শাকসবজির মধ্যে পুঁইশাক একটি গুরুত্বপূর্ণ শাক। গর্ভাবস্থায় পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। জেনে নিই গর্ভাবস্থায় পুঁইশাক শাক খেলে কি হয়।

*গর্ভবতী মায়েরা পুঁইশাক খাওয়ার ফলে গর্ভস্থ শিশুদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। পুইশাকে ভিটামিন মিনারেল ও প্রোটিন রয়েছে যা গর্ভ শিশুদের বেড়ে ওঠা বৃদ্ধি করে।
*গর্ভবতী মায়েরা পুঁইশাক খেলে গর্ভস্থ শিশুর চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পুইশাকে লুটিং ও বিটা ক্যারোটিন অত্যন্ত বেশি রয়েছে যা গর্ভস্থ শিশুর চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
*গর্ভবতী মায়েরা পুঁইশাক খেলে গর্ভবতীর মায়েদের শরীরের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। পুঁইশাকে লিপোইক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকে।
*বৈশাখের পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। গর্ভবতী মায়েরা পোষাক খেলে পুঁইশাকের ফলেদ গর্ভবতীর মায়েদের এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
*পুঁইশাকের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোলেট রয়েছে। যার কারনে নিয়মিত পুঁইশাক খেলে গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। এছাড়াও শিশুকে বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম গ্রহণের হাত থেকে রক্ষা করে।
*পুঁইশাক ন্যাচারাল এলকালাইন। এজন্য পুঁইশাক গর্ভবতী মায়েদের খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের তরতাজা ও এনার্জিটিক রাখে।
*যে সকল মায়েদের এজমা সমস্যা আছে পুঁইশাক খাওয়ার ফলে পুইশাকে থাকা বিটা ক্যারোটিন অ্যাজমা কমাতে সহায়তা করে।
*গর্ভাবস্থায় পুঁইশাক খেলে পুঁইশাকের থাকা পটাশিয়াম গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে। যার কারণে যে সকল মায়েরাউচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাদের নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া প্রয়োজন।
*গর্ভবতী মায়েরা পুঁইশাক খেলে গর্ভবতী মায়েদের ও গর্ভস্থ শিশুদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
*পুইশাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন কে রয়েছে যার কারণে গর্ভবতী মায়েরা পুঁইশাক খেলে গর্ভবতীর মা ও গর্ভস্থ শিশুর হাড়ের গঠন উন্নত করে।
*গর্ভাবস্থায় মায়েদের গ্যাস অ্যাসিডিটি ও হজমের সমস্যা হলে নিয়মিত পুঁইশাক খেতে পারেন। পুঁইশাক খাওয়ার ফলে গ্যাস ওজনের সমস্যা দূর হবে এবং পাশাপাশি দেহের বর্জ্য অপসারণ ত্বরান্বিত হবে।
*গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পুঁইশাক খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
*গর্ভবতী মায়েদের অনেক সময় ত্বক ও চুল ফ্যাকাস হয়। এক্ষেত্রে পুঁইশাক খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের ত্বকের গঠন ভালো থাকে এবং চুল স্বাস্থ্যকর হয়।

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ  পুইশাকে কি কি ভিটামিন আছে বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শেষ করলাম। পুঁইশাক আমাদের জন্য অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। বৈশাখ খাওয়ার মাধ্যমে দেহে অনেক পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। যার কারণে পুঁইশাক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা প্রয়োজন। 

আজকের আর্টিকেলে পুঁইশাক সম্পর্কে গুগল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সাময়িকী থেকে তথ্যবহুল আলোচনা করা হয়েছে। পুঁইশাক ব্যাপারে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন এবং ভাল লাগবে। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url