পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের আর্টিকেলে পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা বর্ণনা করা হলো।পুদিনা পাতা অত্যন্ত উপকারী ও ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। পুদিনা পাতা রান্না কাজে এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যার কারণে পুদিনা চাষে আস্তে আস্তে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরাও স্বাস্থ্যকর ওষুধী খাবার হিসেবে পুদিনা চাষ করতে পারি। পুদিনা পাতা, সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেল পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা। পুদিনা পাতা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পুদিনা পাতার চাষ হয়। এছাড়া আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায়, বিভিন্ন মহাসাগরীয় দ্বীপে প্রাকৃতিক ভাবেই, পুদিনা গাছ জন্মে।সাধারণত খুব সহজেই পুদিনা পাতা চাষ করা যায়।
বাণিজ্যিকভাবে জমিতে পুদিনা চাষ করার মাধ্যমে অনেক আয় করা সম্ভব। পুদিনা পাতার চাহিদা সর্বত্রে। পুদিনা পাতায় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ও ভিটামিন সি, রয়েছে। এছাড়াও লৌহ, পটাশিয়াম, ও ম্যাঙ্গানিজ, বিদ্যমান। যার কারণে পুদিনা পাতার গুরুত্ব অনেক। পুদিনা পাতা সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা
পুদিনা পাতা এখন বাজারে পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। পুদিনা পাতা বহু উপকারী ঔষধী গুণ সম্পন্ন। এছাড়াও খাবারের স্বাদ বাড়াতে পুদিনা পাতার অনেক ব্যবহার রয়েছে। রূপ চর্চায় পুদিনা পাতার গুরুত্ব অনেক বেশি। পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা বর্ণনা করা হলো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পুদিনা পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যার কারণে পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে নিয়মিত পুদিনা পাতার চা খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ নিয়মিত পুদিনা পাতার রস অথবা পুদিনা পাতা সমৃদ্ধ চা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্ষুধার ভাব কমে যায়। যার কারনে যাদের ওজন বেশি পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে ওজন কমে যায়। এছাড়া পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি অ্যাসেনশিয়াল ওয়েল হজম বৃদ্ধি করে এবং শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করে।
সানবার্নের জ্বালা দূর করাঃ রোদ সূর্যের আলোতে পুড়ে যন্ত্রণা শুরু হলে পুদিনা পাতার সাহায্যে সেটা নিরাময় হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হবে।
ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করেঃ পুদিনা পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। পুদিনা পাতায় পেরিলেল অ্যালকোহল বা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সার রোগ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
ব্রনের সমস্যা দূর করেঃ পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হল তাজা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকের লাগাতে হবে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্রনের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা রস লাগালে বেশি ভালো হয়।
আর যদি সম্ভব হয় তাহলে পুদিনা ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যেই ব্রণ দূর হবে।
চুলের উকুন দূর হয়ঃ পুদিনা পাতার শিকড়ের রস লাগানোর ফলে মাথার উকুন দূর হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো পুদিনার পাতা বা শিকড়ের রস মাথার চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে একটি পাতলা কাপড় দিয়ে মাথা পেচিয়ে রাখতে হবে।
এক ঘন্টা পর মাথার চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে এভাবে দুইবার করতে হবে। একমাস ব্যবহারের ফলে মাথার উকুন দূর হবে।
সর্দি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হওয়া দূর হয়ঃ পুদিনা পাতার মাধ্যমে সর্দি ও নাক বুজে শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হওয়া দূর করে। এক্ষেত্রে নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেতে হবে। এছাড়া পুদিনা পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে অ্যাজমা ও কাশির সমস্যা দূর হয়। খুব বেশি কাশি বা অ্যাজমার সমস্যা হলে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়ঃ পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শসার, নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনা তৈরি করে মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়া ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম হয়।
হজমের সমস্যা ও পেট ব্যথা দূর করেঃ পুদিনা পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান রয়েছে যা পেটের ব্যথা ও হজম সমস্যা দূর করে। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হল এক কাপ চায়ে সাত টি পুদিনা পাতা ব্যবহার করে চা খেলে পেট ব্যথা ও হজম সমস্যা দূর হয়।
গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখেঃ পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে গরমের সময় শরীর ঠান্ডা থাকে। গোসলের আগে গোসলের পানিতে কিছু পুদিনা পাতা মিশ্রিত করতে হবে। পুদিনা পাতা মিশ্রিত পানিতে গোসলের ফলে শরীর অত্যন্ত ঠান্ডা থাকে।
ত্বকের সংক্রামন দূর করেঃ ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে পুদিনা পাতা এন্টিবায়োটিক এর কাজ করে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো শুকনো পুদিনা পাতা পানি দিয়ে ফুটিয়ে উক্ত পানি ফ্রিজে রাখতে হবে।
গোসলের সময় ১০ থেকে ১৫ চামচ পুদিনা পাতার পানি গোসলের পানি সঙ্গে মিশ্রিত করে গোসল করতে হবে। এভাবে কয়েকদিন গোসল করলে ত্বকের সংক্রমন, ঘামাচি, ও এলার্জি দূর হবে।
ব্যথা দূর করেঃ শরীরের ব্যথা অথবা হাত পায়ের জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতা মিশ্রিত চা অথবা কাঁচা পুদিনা পাতা খেতে পারেন। জয়েন্টের ব্যথার ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা পেস্ট করে ব্যথার স্থানে লাগানো যেতে পারে।
মাথা ব্যথা দূর করেঃ পুদিনা পাতায় পর্যাপ্ত ম্যানথল রয়েছে যা পেশীকে শিথিল করে মাথাব্যথা দূর করে। পুদিনা পাতার রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মলম তৈরি করে, যা মাথাব্যথা সারাতে সহায়তা করে। এছাড়া মাথা, ব্যথা হলে পুদিনা পাতার রস কপালে মাখলে মাথা ব্যাথা কমে যায়।
দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষা করেঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা পাতা অত্যন্ত উপকারী। পুদিনা পাতার নির্যাস দিয়ে মাউথওয়াশ তৈরি করে, ব্যবহার করলে মুখের ভিতর ধ্বংস হয়, এবং দাঁত ও মাড়ি, সুস্থ রাখে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয় বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞগণ। যার কারণে নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার
আজকের আর্টিকেল পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা। পুদিনা পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের রূপচর্চা চর্চা বৃদ্ধি করা যায়। বিশেষ করে ত্বকের ক্ষতিকর দিক দূর করে ত্বক গঠনে পুদিনা পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভেসজ ফেসওয়াস, শ্যাম্পু, বা কন্ডিশনার, তৈরিতে সাধারণত পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার আলোচনা করা হলো।
আরও পড়ুনঃ মুখের ত্বকের ভাজ দূর করার উপায়
ব্রণ কমাতে সহায়তা করেঃ অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ব্রণ হওয়ার সমস্যা বেশি হয়। পুদিনা পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।
পুদিনার পাতা পেস্ট করে ব্রণের সমস্যার জায়গাগুলো ভালো করে লাগাতে হবে। পেস্টগুলো শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ব্রনের জায়গাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। একমাস ব্যবহারের ফলে ব্রণ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের ক্ষত নিরাময়ঃ ত্বকের যেকোনো জায়গায় ক্ষত হলে পুদিনা পাতার মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। পুদিনা পাতার রস বাহির করে নিয়ে ত্বকের ক্ষত জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের ক্ষত ভালো হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হবে।
ত্বক আদ্র ও কমল রাখেঃ অনেকের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক থাকে। পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে শুষ্ক ত্বক আর্দ্র ও কোমল হয়। পুদিনা পাতা পেস্ট করে মুখে ও ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। অতঃপর ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে। কিছুদিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হবে এবং ত্বক আদ্র ও কমল হবে।
ডার্ক সার্কেল দূর করেঃ অনেকের ঘুম কম ও দুশ্চিন্তার কারণে ডার্ক সার্কেল তৈরি হয়। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতা পেস্ট করে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল এর জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। অতঃপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ডার্ক সার্কেল দূর হবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ পুদিনা পাতায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত কোষগুলো অপসারিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস ত্বকে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে মাসে দুই থেকে তিনবার করতে পারেন। ত্বকে পুদিনা পাতার রস ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
পুদিনা পাতার চা এর উপকারিতা
আজকের আর্টিকেল পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা। পুদিনা পাতার চা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে পুদিনা পাতা চা খাওয়ার মাধ্যমে বহু রোগ সারানো যায়। পুদিনা পাতায় প্রচুর আয়রন পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। পুদিনা পাতার চা এর উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
*সুগন্ধিকর চা হিসেবে পুদিনা পাতার চা সবাই অত্যন্ত পছন্দ করে।
*পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার মাধ্যমে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় ও পেটব্যথা সহ পেটের নানা ধরনের অসুবিধা দূর হয়।
*পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়, এছাড়াও খাওয়া-দাওয়া অনিয়ম, পানি কম খাওয়া, বা ত্বকের সমস্যা, থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
*যারা মানসিক চাপে ভোগেন অথবা ঘুম কম হয় তাদের পুদিনা পাতা চা খাওয়ার ফলে যাবতীয় সমস্যা দূর হয়।
*মুখের নানা ধরনের সংক্রমণ সমস্যা পুদিনা পাতার চা খাওয়ার মাধ্যমে দূর হয়।
*পুদিনা পাতা চা খাওয়ার মাধ্যমে সর্দি-কাশি ও এজমা সমস্যা কমে যায়।
*পুদিনা পাতার চা খাওয়ার মাধ্যমে বমি হওয়া অথবা বমি বমি ভাব দূর হয়ে যায়।
*পুদিনা পাতায় পর্যাপ্ত পটাশিয়াম রয়েছে, যার ফলে পুদিনা পাতার চা খাওয়ার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
*মাথা ব্যথা সহ মাথার বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য পুদিনা পাতার চা খাওয়ার মাধ্যমে মাথা ব্যথা সহ মাথার বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় ।
চুলের জন্য পুদিনা পাতার উপকারিতা
পুদিনা পাতার সাহায্যে চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করা যায়। অনেকের মাথায় চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে অনেকটাই চুল পড়া কমানো যায়। চুলের জন্য পুদিনা পাতার উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও চুলের বৃদ্ধিতে পুদিনা পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া কমায় ও স্ক্যাল্পের জ্বালা যন্ত্রণা দূর করে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো কয়েকটি পুদিনা পাতা পেস্ট করে ২ চামচ টক দই ও ১ চামচ মধু ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশ্রিত করতে হবে। মিশ্রণটি চুলে ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মাথার খুশকি দূর করার জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস মাথার স্ক্যাল্পে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। কয়েকদিন ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতার শিকড়ের রস লাগানোর ফলে মাথার উকুন দূর হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো পুদিনার পাতা বা শিকড়ের রস মাথার চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে একটি পাতলা কাপড় দিয়ে মাথা পেচিয়ে রাখতে হবে।
এক ঘন্টা পর মাথার চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে এভাবে দুইবার করতে হবে। একমাস ব্যবহারের ফলে মাথার উকুন দূর হবে।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ পুদিনা পাতার ১৫টি অজানা উপকারিতা বিষয় আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। পুদিনা পাতার গুনাগুন অনেক। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পুদিনা পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুদিনা পাতার চা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।
এছাড়াও পুদিনা পাতা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পুদিনা পাতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যবহুল আলোচনা করা হয়েছে। পুদিনা পাতা সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url