শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
যার কারণে ওষুধের দিকে নজর না দিয়ে রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেল শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও ঠান্ডা জনিত কারণে শীতকালে বিভিন্ন রকম রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হতে পারে। যার কারণে শীতকালে অত্যন্ত সচেতন থাকা প্রয়োজন। এছাড়া শীতকালে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলস খাওয়া প্রয়োজন।
বিশেষ করে শীতকালে স্বাস্থ্যর দিকে অনেক লক্ষ রাখতে হবে। সাধারণত বিভিন্ন রকম খাবার পরিবর্তনের মাধ্যমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন রকম পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে। সর্বোপরি বিভিন্ন ধরনের খাবার ও টাটকা শাকসবজি খেয়ে শীতকালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক
আমাদের পরিচিত পুষ্টির খনি শাকটি হল শরশে শাক। সরষের সাথে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এ শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজে অতুলনীয়। এছাড়া এই শাক নিয়মিত খাওয়ার ফলে শীতকালে সুস্থ জীবন যাপন করা যায় এবং রোগব্যাধি হতে দূরে থাকা যায়।
তাই শীতে নিয়মিত এই শাক খাওয়া প্রয়োজন। শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক সে বিষয় জেনে নিই।
পুষ্টির ভান্ডারঃ সর্ষের সাথে রয়েছে ভিটামিন বি ওয়ান বি থ্রি ভিটামিন কে ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর এই সকল উপাদান শরীরে। শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধি এবং রোদ প্রতিরোধ করতে এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইমিউনিটি শক্তির বৃদ্ধি করেঃ শীতের দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই শাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরাসরি কাজ করে। শীতের সময় এ শাক খাওয়ার ফলে জ্বর সর্দি কাশি গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্রনিক রোগ থেকে মুক্তিঃ ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ সরিষা খাওয়ার ফলে শরীর মজবুত থাকে এবং শরীরের ফ্রি রেডিকেল বাহির করে দেয়। নিয়মিত এই শাক খেলে বিভিন্ন রকম ক্রনিক রোগ দূর হয়। এই শাক খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই শাক খাওয়া প্রয়োজন।
হার্ট সুস্থ ও সরল থাকেঃ বর্তমান অনেকেই কম বয়সে হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতেছেন। এক্ষেত্রে নিয়মিত সরিষার শাক খেলে হাটের কার্যকারিতার বৃদ্ধি হয়। এই শাকে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে যার রক্ত সঞ্চালনক বৃদ্ধির ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না। এছাড়া এ শাকে কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে লিপিড প্রোফাইল ভালো করে।
সুস্থ সবল হাড় গঠনের সহায়তা করেঃ বর্তমানে অনেকেরই ৩০ বছরের মধ্যে হাড়ের হয় বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত সরষে শাক খাওয়ার ফলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। এই শাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হারের ক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই হার সুস্থ ও সবর রাখতে নিয়মিত সরষে শাক খাওয়া প্রয়োজন।
শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
আজকের আর্টিকেল শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক।শীতকালে শীতজনিত ঠান্ডা কাশি সর্দি ইত্যাদির সমস্যা বেশি থাকে। খাবারের তালিকা কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এগুলো রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আর ও পড়ুনঃপুরুষাঙ্গে জোকের তেল ব্যবহারের নিয়ম
প্রাইম হেলথ উটকো তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইংল্যান্ডের ওয়েব্রিজয়ে অবস্থিত প্রাইম হেলথ সারের পুষ্টিবিদ রাচেল ভ্যালিশ বলেন অল্পতেই শীতকালের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সেরে ওঠা যায়। যার কারণে শীতকালে খাবার ও বিশ্রামের নজর দিতে হবে। শীতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় আলোচনা করা হলো।
সুষম খাদ্য খাওয়াঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে ভিটামিন এ ভিটামিন বি সিক্স b12 ভিটামিন সি ভিটামিন ডি কপার প্লেট লোহ সেলেনিয়াম জিংক ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। সুষম খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে ফল সবজি চর্বির মাংস জাতীয় খাবার গোটা শস্য বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বিজ খাওয়ার মাধ্যমে পুষ্টি গ্রহণ করা যায়।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়াঃ বেশি হার ও দাঁত সুরক্ষায় ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সাধারণত সূর্যালোক ও বিভিন্ন খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাই। শীতকালে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয়।
যার কারণে এ সময় ১০ মাইক্রগ্রাম সম্পূরক ভিটামিন ডি গ্রহণ করে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা যায়। এছাড়াও সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা যেতে পারে।
শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করাঃ শীতকালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য সমাজের চাইতে একটু বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছার ধরনের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত বাদামি চাল আলু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস মাছ মটর ও সামান্য পরিমাণ তিল থেকে পাওয়ার চর্বি খাওয়ার মাধ্যমে দেহে শক্তি চাহিদা পূরণের জন্য ক্যালরি বৃদ্ধি করা যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজনঃ শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ঘুমের ঘাটতি থাকা যাবে না। অনিদ্রার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শীতকালে ভালো ঘুমের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
শরীর আর্দ্র থাকাঃ অনেকেই শীতের সময় উষ্ণ থাকতে অ্যালকোহল গ্রহণ করেন। অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে শরীর অত্যাধিক আর্দ্র হয়। এছাড়া অ্যালকোহল গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে সহায়তা করে। শরীর আর্দ্র রাখার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পাতে রাখুন এই খাবার
আজকের আর্টিকেল শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক।অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ভেজাল খাদ্য প্রক্রিয়া কারণে ধীরে ধীরে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যার কারণেই প্রতিদিন কোন না কোন রোগে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। এগুলো রোগ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের জীবন যাপনের মান বাড়ানো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল এন্ড কার্ডিয়া সেন্টারের পুষ্টিবিদ কাশিয়ার রহমান বলেন প্রতিদিন নির্দিষ্ট একপ্রকার বা একই ধরনের খাবারের মাধ্যমে সুস্থতা থাকা যায়না। এইজন্য প্রতিদিন বিভিন্ন রকম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে যে খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন তা আলোচনা করা হলো।
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারঃ কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণের জন্য আমরা সর্বদা ভাত ও রুটি খেয়ে থাকি। তবে ভাতে অন্যান্য পুষ্টির পরিমাণ কম। এছাড়া বেশি ভাত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা শুরু হয়। অথচ রুটিতে শর্করার সঙ্গে ভিটামিন বি ৬ পাইরিডক্সিন ইত্যাদি রয়েছে। যার কারনে ভাতের সঙ্গে মাঝে মাঝে আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ নিয়মিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার কম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এইজন্য মাছ মাংস ডিম কলিজা ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ডাল বিভিন্ন ধরনের বিজ প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
দুধ জাতীয় খাবার খাওয়াঃ নিয়মিত দুধ জাতীয় খাবার যেমন দই মাখন পনির ইত্যাদি খাওয়া। বিশেষ করে দুই প্রবায়োটিক জাতীয় খাবার। দই খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া অপসারিত হয়ে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হয় যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধে রয়েছে ফ্যাট ভিটামিন ও মিনারেলস। প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ খাওয়া যেতে পারে।
টাটকা শাকসবজি খাওয়াঃ শাকসবজিতে পর্যাপ্ত ভিটামিন মিনারেজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। টাটকা শাকসবজিতে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। রঙ্গিন শাকসবজি যেমন টমেটো গাজর ক্যাপসিকাম লাল শাক ইত্যাদিতে প্রচুর ক্যারোটিনয়েড রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন ই ভিটামিন কে ভিটামিন সি মিনারেলস জিংক পটাশিয়াম ইত্যাদির চাহিদা শাকসবজি থেকে অনেকটাই পুরনো হয়। এজন্য প্রতিদিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন।
বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাওয়াঃ বিভিন্ন ধরনের ফলে ভিটামিন সি সহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেরস এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। বিশেষ করে কমলা মালটা আমরা লেবু আমলকি পেয়ারা কামরাঙ্গা ইত্যাদি ফল থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আম কলা পেঁপে রঙ্গিন ফলে ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এছাড়া সব রকম ফলে মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান।
বিভিন্ন ধরনের বীজ খাওয়াঃ বিভিন্ন ধরনের বীজে ভিটামিন মিনারেল স ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফেটি অ্যাসিড রয়েছে। এগুলো ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হৃদ রোগের ঝুকি কমায়। এইজন্য নিয়মিত এ সকল বিষ খাওয়া প্রয়োজন।
সামুদ্রিক মাছ খাওয়াঃ নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ফলে ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ সহ বিভিন্ন মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যেতে পারে।
তরল খাবারঃ যেকোনো তরল ও কুসুম কুসুম গরম খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক্ষেত্রে চা গ্রিন টি স্য ইত্যাদি তরল খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া এগুলো খাবারে প্রচুর ফ্লুরাইড রয়েছে।
নিয়মিত আদা খাওয়াঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি উপাদান বিদ্যমান। যার কারণে নিয়মিত আদা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম আদা পানি খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা আদা অথবা চা এর সঙ্গে আদা খাওয়া যেতে পারে।
নিয়মিত রসুন খাওয়াঃ প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরিতে রসুন ব্যবহার করে করা হচ্ছে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় রসুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রসুনের ক্যালসিয়াম কপার পটাশিয়াম ফসফরাস আয়রন ও ভিটামিন বি ১ পাওয়া যায়। এছাড়াও এন্টিবায়োটিক ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে।
যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত রসুন খাওয়া যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি বার দুটি কুয়া রসুন খাওয়ার পরে কুসুম কুসুম গরম পানি খাওয়া যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যেসব পানীয়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কিছু পানীয় খাওয়া যেতে পারে। এগুলো পানীয় বিভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়। বিশেষ করে ঠান্ডা জনিত সমস্যা সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি সমস্যায় পানীয় বেশি কার্যকর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেগুলো পানীয় খাওয়া যায় তার তালিকা আলোচনা করা হলো।
*জোয়ান ও গোলমরিচ এর দুটি উপাদান সন্ধ্যায় পানিতে ভিজিয়ে সকালে এসে পানি খাওয়া যায়। এছাড়া পানিতে জোয়ান ও গোলমরিচ ভিজিয়ে গরম করে সেই পানি কুসুম কুসুম অবস্থায় খাওয়া যায়।
*তুলসী আদা ও হলুদ পানিতে দিয়ে ভালো করে পানি ফুটিয়ে নে উক্ত পানি কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় খাওয়ার ফলে সর্দি কাশি হাঁপানি দূর হয়ে যায়।
*তুলসী হলুদ আদা দারচিনি ও মধু দিয়ে ভাজোস পানি তৈরি করা যায় যা খাওয়ার মাধ্যমে শরীর গরম থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
*গোলমরিচ ও হলুদ একত্রে মিশিয়ে পানি ফুটিয়ে সেই পানি কুসুম কুসুম অবস্থায় খাওয়ার ফলে সর্দি কাশি ভালো হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ শীতে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো এই শাক এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হলো। বিশেষ করে সরষের শাক আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী যাতে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়া সহজলভ্য এবং আমরা সহজে পেতে পারি। এই শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বৃদ্ধিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে।
যার কারণে আমরা তার নিয়মিত সরিষা শাক খেতে পারি। সরষে শাক সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url