গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায়
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো লেখা হবে মেয়েদের গর্ভাবস্থায় মেয়েদের পেট ফাটে কেন। শরীরের ফাটা দাগ দূর করার ক্রিমের নাম। শরীরের চামড়া ওঠার কারণ।
শরীরের চামড়া ওঠা দূর করার উপায়। এগুলো বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা জানা আমাদের প্রয়োজন। বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
পাঠক বৃন্দ আসুন জেনে নিই গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায় সমূহ। এছাড়া সাধারণত মায়েদের গর্ভাবস্থায় ওজন অনেকটা বেড়ে যায়। মায়েদের পেটে গর্ভকালীন শিশু থাকার জন্য পেটের চামড়া গুলো অনেক টান পড়ে যায়। যার কারণে পেটে কালো অথবা সাদা দাগ পড়ে যায়।
আর ও পড়ুনঃনামজারি করতে কতদিন সময় লাগে
পেটের দাগ দেখতে অনেক খারাপ লাগে। এছাড়াও অনেক সময় জমজ বাচ্চা হওয়ার কারণে পেট অনেক বড় হয় যার কারণে পেটে দাগ হয়। যেহেতু পেটের দাগ গুলো দেখতে অনেক খারাপ লাগে তাই সেগুলো দূর করার উপায় গুলো জানা প্রয়োজন। আসুন এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায়
প্রিয় পাঠক বৃন্দ গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় গুলো হয়তো জানতে চেষ্টা করতেছেন। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের এই আর্টিকেল ভিজিট করুন।মেয়েদের সন্তান জন্মের সময় পেটে এক ধরনের ফাটা দাগ তৈরি হয়। পেটের এই দাগ সাদা অথবা কালচে হতে পারে।
অনেকের এ ফাটা দাগ এমনি ভাল হয়ে যায়। আবার অনেকের এই ফাটা দাগ থেকে যায়। গর্ভাবস্থায় মায়েরা একটু সতর্ক এবং যত্নশীল হলে এই দাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায় আলোচনা করা হলো।
হালকা হাটাহাটি বা নড়াচড়াঃ গর্ভাবস্থায় মায়েরা হালকা হাটাহাটি বা হালকা নড়াচড়া করলে শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক থাকলে পেটের দাগগুলো তত বেশি হয় না। এছাড়াও হালকা ব্যায়ামের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ঠান্ডা ও গরম পানি দিয়ে গোসলঃ প্রথমে হালকা গরম পানিতে গোসলের পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি হয়। মায়েদের গর্ভধারণের সময় থেকে এমনভাবে গোসল করলে পেটের দাগ কম হয়।
তেল দিয়ে মেসেজ করাঃ প্রতিদিন সুগন্ধি বা রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত না করে বাদাম তেল দিয়ে পেটে মেসেজ করলে পেটের দাগ থাকে না। বাদাম তেল গর্ভকালীন দাগ হতে রক্ষা করে। বাদাম তেল নিয়ে নাভি সহ পেটের চারদিকে হালকা ভাবে মেসেজ করে লাগিয়ে দিতে হবে।
ডিমের সাদা অংশ ব্যবহারঃ ডিমের সাদা অংশ দিয়ে পেটে মেসেজ বা মালিশ করতে হবে। এটা শুকিয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। পুনরায় আবার মালিশ করতে হবে। এভাবে কিছুদিন পেটে ডিমের সাদা অংশ মালিশ করলে গর্ভকালীন দাগ থাকে না।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার এর পরিমাণ বৃদ্ধি করাঃ খাবারে ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। ভিটামিন সি শরীরের প্রদাহ দূর করে এবং গর্ভকালীন দাগ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে লেবু, টমেটো, আমলকি, পালং শাক, কুমড়া দানা, মিষ্টি আলু, ডিম, বাদাম ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে।
নারিকেলের তেলের ব্যবহারঃ নারিকেলের তেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নারিকেলের তেল পেট ও গর্ভকালীন দাগের জায়গাগুলো ভালো করে মেসেজ করতে হবে। ভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে দাগগুলো কমে যায়।
গোল আলুর রস ব্যবহারঃ ত্বকে আলুর রস ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়াও আলুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের দাগ দূর করে। কয়েকদিন নিয়মিত পেটের গর্ভকালীন দাগের জায়গাগুলোতে আলুর রস মেসেজ করলে দাগ নিরাময় হয়।
অ্যালোভেরা ব্যবহারঃ অ্যালোভেরার শ্বাস পেটের গর্ভকালীন দাগের জায়গাগুলো ভালো করে মালিশ করুন। তবে কিছুদিন মালিশ করলে ত্বক টানটান এবং নরম হবে। এছাড়া গর্ভকালীন দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহারঃ ল্যাভেন্ডার তেল গর্ভকালীন দাগ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে লেভেন্ডার তেল দিনে তিনবার পেটের গর্ভকালীন দাগের জায়গায় মেসেজ করতে হবে। ইহা ব্যবহারের ফলে পেটের ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারণে গর্ভকালীন দাগ দূর হয়ে যায়।
সুগন্ধি তেল ব্যবহার করাঃ সুগন্ধি তেল যেমন কেমোমাইল, কাঠবাদাম, অ্যাভোকাডো, জোজোবা, ইত্যাদি তেল পেটের দাগ গর্ভকালীন দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এগুলো তেলের সঙ্গে লেভেন্ডার তেল মিশ্রিত করে গর্ভকালীন দাগের জায়গায় মেসেজ করলে খুব তাড়াতাড়ি গর্ভকালীন দাগ দূর হয়ে যায়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ গর্ভকালীন পেটের বা অন্যান্য জায়গার দাগ গুলোতে দিনে দুইবার ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তরল অংশ মেসেজ করুন। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বক আদ্র হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি দাগগুলো দূর হয়ে যায়।
লেবুর রস ব্যবহারঃ গর্ভকালীন দাগের জায়গাতে লেবুর রস মেসেজ করতে হবে। ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলে ত্বকের গর্ভকালীন দাগ দূর হয়ে যাবে।
মেয়েদের গর্ভকালীন পেট ফাটে কেন
*গর্ভাবস্থায় একজন মা পেটে প্রায় দুই লিটার পানি বহন করেন। এছাড়াও শিশু সহ প্রায় চল্লিশ সপ্তাহ পেটে বহন করতে হয়। যার কারণে পেটে টান লাগে ও পেটে সাদা অথবা কালো দাগ পরে।
আর ও পড়ুনঃভোরে ঘুম থেকে উঠে ১২টি আমল
*মায়েদের পেগনেন্সির সময় ওজন অনেক বেড়ে যায়। ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য পেট অথবা উরুতে কালচে ও সাদা দাগ পরে।
*গর্ভাবস্থায় শরীরের ত্বকের ওপর চাপ পড়ায় রিলাক্সিন ইস্ট্রোজেন ও কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায় ফলে মিউকোলিসেকারাইড জমা হয়। যা জোজক কলা হতে পানি শোষণ করে। যার ফলে ত্বক যখন টান পড়ে তখন দাগ তৈরি হয়।
*অনেক সময় বংশগত কারণে গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালীন দাগ হয়। এছাড়াও যাদের গর্ভে জমজ শিশু জন্মগ্রহণ করে তাদের গর্ভকালীন দাগ বেশি হয়।
শরীরের ফাটা দাগ দূর করার ক্রিমের নাম
যাদের গর্ভকালীন পেটের ফাটার দাগ রয়েছে তাদের জন্য ঘরোয়া উপায় চিকিৎসার পাশাপাশি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে ফাটা দাগ দূর করার ক্রিম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্রিম হল Essential oil ইহা অনেক কার্যকরী।
প্রথম চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করলেই ফলাফল পাওয়া শুরু করবেন। ফলাফলের জন্য এক থেকে তিন মাস ব্যবহার করা যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া নিম্নলিখিত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
*Mesotech Reoil Skin Nutrition.
*Scarsilc Advanced Silicone Gel for Scars.
*Dermedic Melumin Depigmenting Anti Dark Spot Night Cream.
শরীরের চামড়া উঠার কারন
আজকের আর্টিকেল গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায়। প্রিয় পাঠক বিন্দ হয়তো আপনাদের শরীরের চামড়া উঠে যাচ্ছে কেন তা জানতে চান। এগুলো জানতে আমাদের আর্টিকেল ভিজিট করুন। শরীরে চামড়া উঠে যাওয়া রোগকে সোরিয়াসিস রোগ বলে।
এটি এক ধরনের চর্ম রোগ। মাথা, জীভ, পুরুষ জণাঙ্গের উপরের ভাগ, অন্ডকোষের থলে, পিঠের উপরের অংশ, নিচের অংশ, ঘাড়, হাতের কনুই, আঙ্গুল, তালু, পিঠ, নখ, পায়ের তালু, হাঁটু বা পায়ের জয়েন্টে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। শরীরের চামড়া ওঠার কারণ আলোচনা করা হলো।
*সাধারণত বংশগত ও জিনগত কারণে শরীরের চামড়া উঠে যায়।
*শরীরের পুষ্টিহীনতার কারণে অনেক সময় শরীরের চামড়া উঠে যায়। বিশেষ করে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই এর অভাবে এ সমস্যাগুলো বেশি হয়।
*নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা না থাকার কারণে অনেক সময় শরীরের চামড়া উঠে যায়।
*শরীরে ডিহাইড্রেশন হলে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে শরীরের ত্বক উঠে যাওয়া শুরু হয়।
*অনেক সময় অনেক রোদের তাপমাত্রায় কাজ করার ফলে শরীরের ত্বকে রোদ লাগার ফলে প্রথমে ত্বক কালো হয়ে যায় পরে শরীরের চামড়া উঠে যায়।
*আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। যার কারণে শরীরের চামড়া উঠে যায়।
*ত্বকের রোগের কারণে শরীরের চামড়া উঠে যায়। যেমন একজিমা ত্বকের শুষ্কতা ত্বকে মরা কোষ জমা হয় ইত্যাদি কারণে শরীরের চামড়া উঠে যায়।
*ধূমপান ও অ্যালকোহল পানের কারণে ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয় যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয় এবং ত্বকের কোষগুলো মরে যায়। যার কারণে শরীরের চামড়া উঠে যায়।
শরীরের চামড়া উঠা দূর করার উপায়
সাধারণত শরীরের ত্বকের ভালো যত্ন না করলে অথবা অতিরিক্ত রোদের তাপে থাকার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে শরীরের চামড়া উঠে যায়। আজকের আর্টিকেল গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায়। যার কারণে ত্বকে পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শরীরের চামড়া ওঠা দূর করার উপায় আলোচনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃস্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি উপায়
তিলের তেল গ্লিসারিন ও গোলাপজল ব্যবহারঃ তিলের তেল গ্লিসারিন ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশ্রিত করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে তিলের তেল না পাওয়া গেলে তিলের তেলের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই মিশ্রিত তেল শরীরের চামড়া উঠে যাওয়ার জায়গাগুলোতে ভালো করে মেসেজ করতে হবে। মেসেজ করলে শরীরের চামড়া উঠে যাওয়ার রোগ দূর হবে।
সয়াবিনের গুড়াঃ কিছু পরিমাণ সয়াবিন ভেজে নিয়ে ভালো করে গুড়া তৈরি করতে হবে। হাত পা ধোয়ার সময় এই গুড়া দিয়ে ভালো করে মেসেজ করে হাত পা ধুতে হবে। শরীরের যে অংশে চামড়া উঠে যায় তা সোয়াবিনের গুড়া দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে।
ধোয়া হয়ে গেলে শরীরের চামড়া উঠে যাওয়ার স্থানে গ্লিসারিন মেখে রাত্রে ঘুমাতে হবে। কয়েকদিন ব্যবহার করলে শরীরের চামড়া উঠে যাওয়া রোগ দূর হবে।
পানি কম ব্যবহার করাঃ হাত পা ও শরীরের চামড়া উঠে যাওয়ার জায়গায় পানি কম ব্যবহার করতে হবে। রান্না করার সময় অথবা গোসলের সময় পানি ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলতে হবে।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ খাদ্য তালিকায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আমিষ, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এগুলো খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের চামড়া ওঠা দূর হয়।
লবণ ও শ্যাম্পু ব্যবহারঃ হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু ও লবণ মিশ্রিত করে হাত পা এবং শরীরের চামড়া উঠে জায়গাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে ধুতে হবে। এছাড়াও মেসেজ করে মৃত কোষগুলো অপসারণ করতে হবে। আস্তে আস্তে শরীরের চামড়া উঠে যাওয়া রোগ দূর হবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারঃ শরীরের চামড়া উঠে যাওয়ার জায়গাগুলোতে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আস্তে আস্তে উত্তর জায়গাগুলো নরম হবে এবং চামড়া উঠে যাওয়া দূর হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ১২টি উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় মায়েদের পেটের দাগ হলে অনেক বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। তবে গর্ভকালীন সময় একটু শরীরের যত্ন নিতে পারলে এগুলোর দাগ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এছাড়াও শরীরের যত্ন সঠিকভাবে না করার কারণে।
শরীরের চামড়া গুলো উঠে যায়। আজকের আর্টিকেলে এগুলো বিষয়ে গুগল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সাময়িকী থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এগুলো বিষয়ে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url