পঞ্চব্রীহি ধানের বিজ কোথায় পাওয়া যাবে

সুপ্রিয় পাঠকগণ পঞ্চব্রীহি ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যাবে এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো লেখা হবে পঞ্চব্রীহি ধান কে আবিষ্কার করেন। কালো ধান কোথায় পাওয়া যাবে। লাল ধানের জনপ্রিয়তা। ভাত যেহেতু আমাদের প্রধান খাদ্য।
এই জন্য ধানের বিভিন্ন জাত আমাদের জানা প্রয়োজন। ধানের বিভিন্ন জাত সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল পঞ্চব্রীহি ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যাবে। সিলেটের জিন বিজ্ঞানী ডঃ আবেদ চৌধুরী এর আবিষ্কার বাংলাদেশের কৃষকদের খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা নিয়ে আসবে। ডক্টর আবেদ চৌধুরী সিলেটে বিভিন্ন প্রকার ধান নিয়ে সংকরায়ণের মাধ্যমে পঞ্চব্রীহি জাতের ধান উৎপাদন করেন। এই ধান একবার রোপন করলে পর পর পাঁচবার ফলন পাওয়া যাবে। 
পাঁচবার ফলন পাওয়ার জন্য পুনরায় রোপন করার প্রয়োজন হবে না। পঞ্চব্রীহি ধান চাষে রোপনের ১১০ দিন পর প্রথম ফলন পাওয়া যাবে। এরপরে ৪৫ দিন পরপর চার বার ফলন পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে একবার রোপন করলে পাঁচবার ফলন পাওয়া যাবে।এই ক্ষেত্রে প্রথম উৎপাদন হবে হেক্টরে ৪ মেট্রিক টন। এই ধান চাষ করতে উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে।

পঞ্চব্রীহি ধান কে আবিষ্কার করেন

সাধারণত একবার রোপন করে ধানের ফলন পাওয়ার পরে পরবর্তীতে পুরোপুরি না কেটে উক্ত ধান থেকে পরপর চারবার ধান উৎপন্ন করা সম্ভব। এই যুগান্তর কারী আবিষ্কার করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ডক্টর আবেদ চৌধুরী।

ডক্টর আবেদ চৌধুরী ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ সালে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের পানিহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও মাতার নাম হাফিজা খাতুন। ডক্টর আবেদ চৌধুরী আধুনিক বিজ্ঞানের প্রথম সারির একজন গবেষক।

তিনি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। তিনি উচ্চ শিক্ষালাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। তিনি গবেষনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন টেস্ট ইনস্টিটিউট অফ মলিকুলার বায়োলজি এবং ওয়াশিংটন টেস্টের ফ্রেন্ড হাসিনসন ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিটিউটে।

১৯৮৩ সালে জেনেটিক রিকম্বিনেসনের একটি নতুন জীন আবিষ্কার করেন যা নিয়ে আশির দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যাপক গবেষণা হয়। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থায় একদল বিজ্ঞানির সমন্বয়ে গঠিত গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একবার ধান রোপনে পাঁচবার ধান উৎপাদন নিয়ে তিনি গবেষণা করেন।

তিনি তার এ আবিষ্কারের নাম দিয়েছেন পঞ্চব্রীহি। লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব ফুডসিকিউরিটি এন্ড হিউম্যান হেলথ শিরোনামে এ ধান নিয়েএক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের তার আবিষ্কারের বিভিন্ন তথ্য জানান।

ডক্টর আবেদ চৌধুরী জানান এই নতুন ধান চাষ পদ্ধতি সারা দেশের কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিলে আগামী ৫০ বছরের জন্য দেশের সমস্ত গোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি সিলেটের একটি অঞ্চলে কৃষকদেরকে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেন।

কোন রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়াই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তিন হাজার প্রজাতির ধানের মিশ্রণ ঘটিয়ে পাঁচ রকমের ধান আবিষ্কার করেন। একই জমিতে একবার ধান রোপন করলে পাঁচবার পাঁচ রকমের ধান উৎপন্ন হবে। যার কারণে দেশের খাদ্য সংকট দূর হবে।

তিনি বলেন আমি এই আবিষ্কার এর গবেষণা সিলেটে করেছি। কারণ সিলেটে আমি বড় হয়েছি এবং আমার সহপাঠী কৃষকগণ এ গবেষণায় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সার্বিকভাবে আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। যার কারণে এই পঞ্চব্রীহি ধান আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।

পঞ্চব্রীহি ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যাবে

জিনবিজ্ঞানী ডক্টর আবেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চব্রীহি ধানের জাত নিয়ে গবেষণা করেন। আজকের আর্টিকেল পঞ্চব্রীহি ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যাবে। জানুয়ারি ২০২৩ অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের অর্থায়নে বিডিওএসএনের তত্ত্বাবধানে এক বছর মেয়াদে ওঠউগজঠগ প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল এ জাতের ধানের চাষ করা হয়।
অতি শীঘ্রই এ জাতের ধানের বিজ সারাদেশে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হবে। স্থানীয় জাতের ধানের সঙ্গে উন্নত মানের ধানের বীজের সংকরায়ণের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল এ জাতের ধান পাওয়া যায়। বর্তমানে এ ধানের বীজ গোটা দেশের ছড়িয়ে দেওয়ার মতো পরিবেশ হয়েছে।

ডক্টর আবেদ চৌধুরী জানান এ ধানের উৎপাদন খরচ কম কিন্তু উৎপাদন অনেক বেশি। যার কারণে তিনি এই ধানের বীজ সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।

এই প্রকল্পের সুপারভাইজার তাহমিদা আনাম চৌধুরী বলেন পঞ্চব্রীহি ধান চাষ প্রকল্পের মাধ্যমে ধানের বিজ সারাদেশের বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন অতি শীঘ্রই সারা দেশের কৃষকগণ এই বিজ হাতের নাগালে পেয়ে যাবে।

কালো ধান কোথায় পাওয়া যায়

কালো ধান ওষুধি গুণসম্পন্ন যাকে ব্ল্যাক রাইস বলা হয়। সাধারণত বাংলাদেশে আমদানির মাধ্যমে চাষ ও খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এককালে চীন ও জাপানিদের রাজ পরিবারের জন্য এধান গোপনে চাষ করা হতো। অন্যদের জন্য এই ধানের চাষ ও খাওয়া-দাওয়া নিষেধ ছিল।

এই ধানের চাল ক্যান্সার প্রতিরোধী এন্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি এজিং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়। রাজ পরিবারের মেয়েদেরকে কালো ধানের চালের ভাত খাওয়ানো হতো। এই ধানের চালে জিঙ্ক ও খনিজ উপাদান অন্যান্য চালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ এ চাল ভারত তথা এশিয়া অঞ্চলে চাষ ও উৎপাদন নিষিদ্ধ ছিল।

বাংলাদেশের ফারগ্ৰো লিমিটেড নিজস্ব খামারে উৎপাদিত বিজ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও ভারত চায়না ফিলিপাইন ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া হতে আমদানিক করে কালো ধানের বীজ দেশের চাষীদের মাঝে চাষের জন্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

বর্তমানে ওষুধি গুণসম্পন্ন এই ধান ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের কিছু কিছু অঞ্চলে চাষাবাদ হয়। ভারতের মনিপুড়ে এ চাউলকে চক হাও, থাইল্যান্ডে জেসমিন, ফিলিপাইনে বালাতিনা এবং ইন্দোনেশিয়ায় কালো চাল নামে খ্যাত।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নাটোর, রাজশাহীর, কিছু কিছু অঞ্চলে কালো ধানের চাষ হয়ে আসতেছে। বাংলাদেশে এই ধানকে কালো ধান অথবা কালো চাল বলা হয়। প্রথমে কাল ধানের বীজ পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর ছিল।

আমরা পরস্পর আত্মীয়-স্বজন ও প্রবাসীদের মাধ্যমে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড থেকে কালো ধানের বীজ পেয়েছি। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশেই কালো ধানের বিজ পাই।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তাগন বাংলাদেশে কালো ধান উৎপাদন করে ইউরোপ, আমেরিকা, সহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে এই ধানের চাল রপ্তানি করে আসছে। আমরা কালো ধানের চাষ বৃদ্ধি করলে কালো ধান থেকে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

এছাড়া ফারগ্ৰো বাংলাদেশ লিমিটেড উন্নত জাতের কালো ধানের বীজ বিক্রয় করে। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা ফেসবুকের পেজের মাধ্যমে কাঙ্খিত কালো ধানের বিজ সংগ্রহ করা যেতে পারে।

লাল ধানের জনপ্রিয়তা

স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত বিশেষ ধরনের ধানের জাত হলো লাল ধান বা বিরুই ধান। এই ধানের চাল লাল হওয়ার কারণ হলো এই চাউলে অ্যান্থোসায়ানিন উপাদানের পরিমাণ বেশি রয়েছে। মানুষ স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কারণে লাল বিরুই ধানের চাহিদা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঢাকা শহরের মেহেদী হাসান নিয়মিত লাল বিরুই জাতের ধানের চাল খান। তিনি কারওয়ান বাজার থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে চাউল কিনেন। পলিশ করা চাউলের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে পুষ্টি সমৃদ্ধ লাল বিরুই ধানের চাউল খান। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা থেকে জানা যায়।

সাধারণ পলিশ করা চাউলের উপরে সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ ছাঁটাই করে ফেলা হয়। যার কারণে এগুলো চাউলে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ থাকে না। এরপরেও পলিশ করা চাউল সাদা হওয়ার কারণে অধিকাংশ লোকজন পলিশ করা চাউল খান। তবে বর্তমান লাল বিরুই ধানের চাউলের চাহিদা বেড়ে গেছে।

যার কারণে ঢাকার বিপুলসংখ্যক বিক্রেতা লাল বিরুই জাতের ধানের চাউল মজুদ ও বিক্রি করতেছেন। পুষ্টিবিদগণেরা লাল বিরুই ধানের চাউল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এই ধানের চাউলে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পলিফেন, ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও এই চাউল গুলো ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য উপকারী।

ঢাকার খুচরা চাউল বিক্রেতা গনেরা বলেছেন দুই বছর আগে লাল ধানের চাউল বিক্রি হতো না। বর্তমানে দাম একটু বেশি হওয়ার পরেও প্রতি দোকানে ৪০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত প্রতিদিন লাল বিরুই ধানের চাউল বিক্রি হয়।

সুনামগঞ্জ এলাকার চাষী গন রাজধানী ঢাকার লাল বিরুই ধানের চাউলের চাহিদা বিবেচনা করে লাল বিরুই জাতের ধান চাষ শুরু করেছেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় লাল বিরুই ধানের চাষ উল্লেখযোগ্য হারে হয়। বিশেষ করে ময়মনসিংহ এলাকায় লাল বিরুই ধানের উৎপাদন ২৬১ মেট্রিক টন।

এছাড়াও সিলেট এলাকায় প্রায় ২৯৫১ হেক্টর জমিতে লাল বিরুই ধানের চাষ হয়। যার উৎপাদন থেকে লাল চাউলের পরিমাণ ৪ হাজার ৩৭০ মেট্রিক টন এর মত।
লাল বিরুই ধানের চাউল রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন খুচরা বাজার, সুপার শপ ও বিভিন্ন অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হতে দেখা যায়।

বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন প্রতিদিন কিছু না কিছু ক্রেতা লাল চাউল ক্রয় করতে আসেন। অনেকে বেশি পরিমাণ চাউল কিনেন অনেকে কম পরিমাণের চাউল কিনেন। যার কারণে তিনি বলেন যে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ লাল ধানের চাউল মজুত করতেছি।

ল্যাবএইড হাসপাতালের পুষ্টিবীদ সামিয়া তাসনিম বলেন পলিশ করা চালের চেয়ে লাল চালের মধ্যে নিউট্রিশন ভ্যালু অনেক বেশি। প্রতিদিন এক কাপ লাল চাল খেলে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, সহ অনেক মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়।

আরো বলেন আমরা হার্টের রোগী ও ডায়াবেটিসের রোগী সহ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষকে নিয়মিত লাল বিরুই ধানের চাউল খেতে পরামর্শ দিই। ব্রির মহাপরিচালক ডঃ মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন লাল বিরুই ধানের উৎপন্ন ময়মনসিংহ এলাকায় অল্প পরিমাণ চাষ হয়।

তবে এ ধানের চাউলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। লাল বিরুই ধানের চাউলের পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ার কারণে আমাদের আস্তে আস্তে এই ধানের চাউল খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

লেখকের মন্তব্য

পঞ্চবৃহি ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যাবে এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। একবার ধান রোপন করার পরে পরপর পাঁচবার ফলন পাওয়া যাবে। এই জাতের ধান আবিষ্কার করেন জিন বিজ্ঞানী ডক্টর আবেদ চৌধুরী। এই ধান এর গবেষণা তিনি সিলেটে পরিচালনা করেন। 

এই ধানসহ লাল জাতের ধান ও কালো জাতের ধান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি অনেক ভাল লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url