এলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠকগণএলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো লেখা হয়েছে কোন কোন মাছে এলার্জি আছে। এলার্জির লক্ষণ গুলো কি কি। কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে। এগুলো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের আর্টিকেলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করা হয়েছে যা জানার আমাদের প্রয়োজন। এগুলো বিষয়ে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল এলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়। এলার্জি বলতে শরীরের কিছু প্রতিক্রিয়াশীল বিরূপ সমস্যা বোঝায়। এলার্জির কারণে আমাদের শরীরের ত্বকগুলো বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। চুলকানি ফুসকুড়ি চোখ লাল ইত্যাদির সমস্যা লেগেই থাকে।
সাধারণত শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সবারই এই সমস্যা হয়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জির সমস্যা আরো বেশি তীব্র হয়। যার কারণে ঘরোয়া ভাবে এলার্জি দূর করার ব্যাপারে বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এলার্জি থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

কোন কোন মাছে এলার্জি আছে

মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু প্রোটিন জাতীয় খাবার যা খেতে আমরা অত্যাধিক ভালোবাসি। এছাড়াও প্রোটিনের সবচাইতে বড় উৎস্য মাছ। এরপরেও কিছু কিছু মাছ আছে যেগুলো মাছ খেলে আমাদের এলার্জি সমস্যা হয়। লোকেরা যখন কিছু মাছ খায় তখন তাদের ইমিউন সিস্টেমগুলো প্রোটিন গুলোকে চিহ্নিত করে।

শরীর রক্ষার জন্য হিস্টামিনের মতো রাসায়নিক মুক্ত করে। এই ইমিউন প্রক্রিয়া এলার্জির লক্ষণগুলো প্রকাশ করে। আমাদের প্রিয় খাদ্য মাছের মধ্যে কিছু কিছু মাছ আছে যেগুলো খেলে সাধারণত এলার্জির সমস্যা হয় মাছগুলো হল।

*টুনা মাছ।
*স্যালমন মাছ।
*সারডিন মাছ।
*ইলিশ মাছ।
*ক্যাট ফিস।
*ট্রাউট মাছ।
*শার্ক মাছ।
*তেলাপিয়া মাছ।
*পাঙ্গাস মাছ।
*রুই মাছ।
*চিংড়ি মাছ।
*পুটি মাছ।
*ভেটকি মাছ।
*বোয়াল মাছ।
*চিতল মাছ।

এগুলো মাছ খেলে এলার্জি লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। যেগুলো সমস্যা হয় তা হল ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি, আম বাত, ত্বক ফোলা ভাব, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, খিচুনি, চোখ লাল হওয়া, চোখে চুলকানি, অথবা ডায়রিয়া মত সমস্যা হতে পারে।

তবে এগুলো মাছ খেলে সবারই সমস্যা হয় না। একটি মাছ এক, একজনের জন্য এলার্জির সমস্যা হয়। যাদের এগুলো মাছ খেলে এলার্জির সমস্যা হয় তাদের এলার্জির চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

এলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়

এলার্জির সমস্যা অত্যন্ত কষ্টকর। যার কারণে এলার্জি রোগীরা সবকিছু খেতে পারেন না। তবে অ্যালার্জি সমস্যা হলে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করলে এলার্জি চিরতরে নির্মূল হয়ে যায়। এলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো।
টি ট্রি ওয়েলঃ শরীর থেকে এলার্জি সমস্যা দূর করতে টি ট্রি অয়েল অত্যন্ত কার্যকরী। টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের এলার্জি থেকে মুক্তি দেয়। টি ট্রি ওয়েল ব্যবহারের ফলে ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি নিরাময় হয়।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার এর বহুবিধ উপকার রয়েছে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জির মত সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়। এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত করে দ্রবন করতে হবে।শরীরের যে জায়গায় এলার্জির সমস্যা হয়। 

তুলা দিয়ে উক্ত যায়গায় মিশ্রিত দ্রবনগুলো দিনে দুইবার লাগাতে হবে। এভাবে দুই এক দিন ব্যবহার করলেই এলার্জি সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত করে দিনে দুইবার খেতে পারেন। এলার্জির মত সমস্যা নিরাময় হবে।

নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেল অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ মশ্চারাইজিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নারিকেলের তেলে ব্যবহারের ফলে ত্বকের এলার্জি দূর হয় এবং যাবতীয় চুলকানি নিরাময় হয়। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হল একটি বাটিতে সামান্য পরিমাণ নারিকেল তেল নিয়ে পাঁচ সেকেন্ড গরম করতে হবে।

উক্ত তেল এলার্জির সমস্যার জায়গাগুলোতে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে এবং একঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে তিন থেকে চার ঘণ্টা পরপর নারিকেল তেল ব্যবহার করার ফলে ত্বকের এলার্জি সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল ত্বকের এলার্জি দূর করার জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। অ্যালোভেরা জেলে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে ত্বক থেকে এলার্জি সমস্যা নিরাময় হয়। নিয়ম হলো এলোভেরা কেটে নিয়ে সেখান থেকে জেল বাহির করতে হবে।

জেল নিয়ে এলার্জিজনিত সমস্যার জায়গা গুলোতে ব্যবহার করতে হবে। যদি এলোভেরা না পাওয়া যায় তাহলে অ্যালোভেরা জেল বাজারে পাওয়া যায় যা ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি কমা শুরু হয়ে যাবে।

বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাই কার্বনেটের বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে শরীরের এলার্জির সমস্যা নিরাময় হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো কিছু পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করতে হবে।

এই পেস্ট এলার্জির সমস্যার জায়গাগুলোতে ব্যবহার করতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করলেই এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

কোল্ড শাওয়ারঃ এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা হলে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে অনেকটা নিরাময় হয়। ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ফলে রক্তনালী গুলোর সংকোচিত হয় যার কারণে হিস্টামিন বাহির হতে পারে না। হিস্টামিন বাহির না হওয়ার কারণে এলার্জির তীব্রত জ্বালা যন্ত্রণা নিরাময় হয়।

হলুদঃ হলুদ অত্যন্ত উপকারী যা আমাদের বহু স্বাস্থ্য উপকারিতার সঙ্গে জড়িত। হলুদে কারকিউমিন উপাদান রয়েছে যা প্রদাহ দূর করে। যার কারণে এক গ্লাস গরম পানিতে কিছু হলুদ মিশ্রিত করে খেলে শরীরে যাবতীয় এলার্জি সমস্যা দূর হয়।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবারঃ ভিটামিন সি এলার্জির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন সি তে এমন কিছু এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের প্রদাহ নিরাময় করে। সাধারণত কমলালেবু, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, বেলমরিস, আমলকি ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি হতে দূরে থাকা যায়।

মধুঃ মধু খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জিজনিত সকল সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো কুসুম কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশ্রিত করে সকাল বিকাল দুইবার খেতে হবে। এছাড়াও এলার্জির স্থানগুলোতে হালকা মধু নিয়ে মেসেজ করলে এলার্জি নিরাময় হয়।

বাটারঃ বাটারে এন্টিহিস্টামিন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে এলার্জির যাবতীয় সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বাটার কুসুম কুসুম গরম করে এলার্জির জায়গাগুলোতে মেসেজ করতে হবে। দিনে দু-তিনবার ব্যাবহার করলেই এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

প্রবায়োটিকঃ প্রোবায়টিক গুলো ইমিউন প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের হাতের নাগালে সাধারণত দই প্রবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। প্রোবায়োটিকের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই এলার্জির চিকিৎসা করতে পারি।

লবণ পানি ব্যবহারঃ লবন পানি ব্যবহারের ফলে এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো এক গ্লাস পানিতে তিন চামচ লবণ মিশ্রিত করে ভালো করে ফোটাতে হবে।

ফুটানো পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে এলার্জির আক্রান্ত জায়গা গুলোতে ভালো করে মুছে দিতে হবে। এভাবে দিনে তিন থেকে চারবার করলে এলার্জি নিরাময় হবে।

আমলকি মধুঃ প্রথমে আমলকি পাউডার নিতে হবে। প্রতিদিন রাতে আমলকির পাউডার মধুর সঙ্গে মিশ্রিত করে খেয়ে নিতে হবে। নিয়মিত এভাবে খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি পাবে। আমলকি মধু একসঙ্গে প্রতিদিন রাতে খেলে এলার্জির যাবতীয় সমস্যা নিরাময় হবে।

সায়েনিঃ সায়েনি এক ধরনের ঔষধি যা দেখতে মরিচের মত। সায়েনি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বাহির করে দেয় যার কারণে এলার্জি জাতীয় সমস্যা দূর হয়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নঃ সাধারণত বাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘুমানোর জায়গা ধুলামুক্ত রাখতে হবে। ধুলাবালি এবং ময়লার নাকের মাধ্যমে শরীরে যাওয়ার কারণেই এলার্জির সমস্যা বেশি হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় বসবাস করলে এলার্জি সমস্যা নিরাময় হয়।

এলার্জি লক্ষন কি কি

আজকের আর্টিকেল এলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়। যেগুলো লোকের এলার্জির সমস্যা রয়েছে সাধারণত এলার্জি জনিত যেগুলো খাদ্য আছে সেগুলো খাদ্য খেলেই তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি হয়।
সাধারণত কিছু লক্ষণ আছে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে ধারণা করা হবে তাদের এলার্জি রয়েছে। এলার্জির লক্ষণ গুলো আলোচনা করা হলো।

*ত্বকে চুলকানি হয় এছাড়াও র্যাশ ও ফুসকুড়ি ওঠে লাল লাল চাকা তৈরি হয়।
*শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে, ফোসকা পড়া ও চামড়া ঝুলে যাওয়ার মত সমস্যা হয়।
*চোখ ও মুখ ফুলে যায় এবং চোখ ও মুখমন্ডল চুলকায়।
*চোখে চুলকানি হয় এবং তার সঙ্গে পানি পড়ে এছাড়াও চোখ লাল হয়ে যায়।
*হাঁচি, কাশি, নাকে, ও গলায় চুলকানি এবং নাক বন্ধ হয়ে চরম অসস্থি তৈরি হয়।
*শ্বাসকষ্ট, শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয় এবং বুকে চাপ লাগার মত ব্যথা হয়।
*বমি বমি ভাব হয় অথবা বমি হতে পারে পেট ব্যথা, পেটের কামড় অথবা ডায়রিয়া হতে পারে।
*সব সময় সর্দি লেগে থাকে এবং নাক দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পড়ে।

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা

আজকের আর্টিকেল এলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়। জীবনধারণের জন্য খাদ্য আমাদের জন্য অপরিহার্য। তবে আমাদের কিছু কিছু খাদ্য আছে যেগুলো অনেক উপকারী কিন্তু তার সঙ্গে এলার্জির সমস্যা রয়েছে। খাদ্যে সাধারণত এলার্জির সমস্যা আছে তা আলোচনা করা হলো।

দুধঃ দুধ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার যা আমরা সবাই খেতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমাদের খাদ্য তালিকায় দুগ্ধ জাত পণ্য সবার উপরে পছন্দনীয়। বিশেষ করে গরুর দুধে তৈরি দই বিভিন্ন রকম মিষ্টি ঘি আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং সবাই খেতে পছন্দ করে। তবে দুধ খাওয়ার মাধ্যমে অনেকের এলার্জির সমস্যা হয়।

ডিমঃ ডিম অত্যাধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন প্রোটিন জাতীয় খাবার। ডিম খেলে অনেকের এলার্জি সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে হাসির ডিম খেলে অনেক বেশি পরিমাণ এলার্জির সমস্যা হয়।

কাঠবাদামঃ কাঠবাদাম অনেক পুষ্টি সম্পন্ন এবং উপকারী খাবার। এছাড়াও কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, আমন্ড, আখরোট ইত্যাদি সবাই খেতে অনেক পছন্দ করেন। এগুলো বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে অনেকের এলার্জি সমস্যা তৈরি হয়।

চিনা বাদামঃ চিনা বাদাম প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। চিনা বাদাম অনেক সহজলভ্য আমরা হাতের নাগালে পাই। চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে প্রচুর পুষ্টি উপাদান শরীর গ্রহণ করতে পারে।

তবে দুঃখের বিষয় চিনা বাদামে অনেকের এলার্জির সমস্যা ঘটে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে চার থেকে আট ভাগ শিশুদের এবং এক থেকে দুইভাগ বয়স্কদের এলার্জির প্রভাব ফেলে।

সেলফিশঃ সেলফিশ গুলো হলো আবরণ জাতীয় ত্বকের ভিতরে যেগুলো মাছ থাকে। সেলফিশ গুলো হল চিংড়ি, কাকড়া, শামুক ইত্যাদি। এগুলো খাবার খেলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ এগুলো খাবার খেয়ে এলার্জির সমস্যায় ভোগেন।

গম বা আটার তৈরি খাবারঃ গম বা আটার তৈরি খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জির সমস্যা হয়। গমের রুটি পাউরুটি বিস্কুট ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে অনেকেরই এলার্জির সমস্যা হয়।

সয়াবিন জাতীয় খাবারঃ সয়াবিন জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে বড়দের চাইতে শিশুদের এলার্জির সমস্যা বেশি হয়। সাধারণত সয়া বিনস, সয়া মিট, এবং সয়া মিল্কে অধিকাংশ ১০ বছরের পর শিশুদের এলার্জির সমস্যা কম হয়।

মাছঃ মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং আমিষের সবচাইতে বড় উৎসের খাবার যা খেতে সবাই পছন্দ করে। এছাড়াও মাছ হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার মাছ খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জির সমস্যা হয়।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ এলার্জি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এছাড়াও এলার্জির লক্ষণ ও এলার্জি জাতীয় খাবার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এলার্জি অত্যাধিক কষ্টকর সমস্যা কিন্তু একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে এবং কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে।

 আমরা অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারি। এ বিষয়ে গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে কিছু তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। ভালো লাগলে এবং উপকৃত হলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url