রুপচর্চায় পাকা কলার ১০টি ব্যাবহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ রূপচর্চায় পাকা কলার ১০টি ব্যবহার বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম এছাড়াও আরও লেখা হবে পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম। প্রতিদিন কেন কলা খাবেন। বিচি কলা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা। কলা খাওয়ার সঠিক সময়। কলা প্রচুর পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু ফল।
যার কারণে আমাদের কলা খাওয়া প্রয়োজন। কলার পুষ্টিগুন এবং কলা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলের বিষয় রূপচর্চায় পাকা কলার ১০ টি ব্যবহার। কলা আমাদের দেশে অনেক সহজ প্রাপ্য এবং সুস্বাদু ফল। কলা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। তবে বিচি কলার কিছু চমকপ্রদ উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে পারি।
আর ও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি
নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে রক্তস্বল্পতা দূর হয় এবং এনিমিয়ার রোগ হতে বাঁচা যায়। যার কারণে আমাদের প্রতিদিন নিয়ম মেনে কলা খাওয়া প্রয়োজন। আসুন কলা সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম
পাকা কলা খাওয়ার বিভিন্ন রকম নিয়ম আছে। তবে সকালে খালি পেটে কলা না খাওয়া ভালো। খালি পেটে কলা খেলে কলাতে যে শর্করা আছে তা শরীরের রক্তের শর্করা খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করে দেয়। তবে সকালে নাস্তার সঙ্গে কলা খাওয়া অনেক ভালো। পাকা কলা ছিলিয়ে সরাসরি খাওয়া যায়। এছাড়াও পাকা কলা জুস তৈরি করে খাওয়া যায়।
পাকা কলার জুস খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি হয়। কলা দ্বারা বিভিন্ন পিঠা বানিয়ে খাওয়া যায়। তেলের পিঠায় কলা ব্যবহার করলে তেলের পিঠা অনেক সুস্বাদু হয়। তবে কলা যেইভাবেই খান কলার পুষ্টি উপাদান আপনার শরীরের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করবে।
নিয়মিত কলা খেলে শরীরের বহু গুণ পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পাবে। সকালের নাস্তার সঙ্গে কলা খেলে কলার উপকার সারাদিন পাওয়া যায়। আসুন আমরা নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো গ্রহণ করি।
রুপচর্চায় পাকা কলার ১০টি ব্যাবহার
কলা অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং সুস্বাদু ফল। আমরা সবাই কলা খেতে অনেক ভালোবাসি। এছাড়াও পাকা কলার রূপচর্চা কাজে বহুল ব্যবহার রয়েছে। রুপচর্চায় পাকা কলা ১০টি ব্যবহার আলোচনা করা হলো।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কলা ব্যবহার করা হয়। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো এক চামচ কমলার রস, এক চামচ মধু, ও অর্ধেক কলা, একসঙ্গে চটকে নিয়ে প্যাক তৈরী করতে হবে।
আর ও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের বিপদ চিহ্ন কয়টি
এই প্যাক মুখে, ঘাড়ে, ও হাতের ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক নরম ও মোলায়েম হবে।
ত্বকের কালো দাগ দূর করেঃ এক টেবিল চামচ মধু এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও একটি পাকা কলা একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। অতঃপর এই প্যাক মুখমন্ডলে এবং ত্বকের অন্যান্য জায়গায় কালো দাগ পড়লে সেগুলো জায়গায় ভালো করে ব্যবহার করতে হবে।
২০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েক দিন করলে ত্বক থেকে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করেঃ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কলা ব্যবহারের জুড়ি নেই। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হল ১ চামচ টক দই কয়েক ফোটা লেবুর রস ও অর্ধেকটা পাকা কলা একসঙ্গে চটকে নিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে।
অতঃপর মুখমণ্ডল ও ত্বকে যেখানে বলি রেখা থাকে ভালো করে পরিষ্কার করে প্যাক টি ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। ত্বকে প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হব। এভাবে কয়েকদিন করলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়ে যাবে।
ব্রণ নিরাময়েঃ কলা ব্যবহারের ফলে ব্রণ নিরাময় হয়। ক্ষেত্রে নিয়ম হল একটি পাকা কলা আধা চামচ বেকিং সোডা আধা চামচ হলুদের গুড়া মিশ্রিত করে প্যাক তৈরি করতে হবে। এই প্যাকটি মুখমন্ডলের যেখানে ব্রণ রয়েছে অথবা ত্বকের অন্য কোথাও ব্রণ থাকলে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে।
১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েক দিনের ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয়ে যাবে এবং নতুন ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণেঃ এক্ষেত্রে নিয়ম হল কলা এক চামচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশ্রিত করে প্যাক তৈরি করতে হবে। এই প্যাক মুখের ত্বকে ও অন্যান্য ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। ১৫থেকে২০ মিনিট পরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর হয়ে যাবে।
ত্বক নিস্তেজ হয়ে গেলে তা দূর করাঃ কলা ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের নিস্তেজ হয়ে যাওয়া দূর করে। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো কিছু লেবুর রস চন্দন গুড়া একটি কলার সঙ্গে মিশ্রিত করে প্যাক করতে হবে।
অতঃপর এই প্যাকটি ত্বকে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ মোলায়েম হবে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব দুর হবে।
আদ্রতা বজায় রাখাঃ যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক এবং খসখসে তারা কলা ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো কলা ত্বকে ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। ১৫থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ও ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি হবে ত্বক নরম ও কোমল হবে।
চোখের ফোলা ভাব কমাতেঃ অনেক সময় চোখের চারিধার ফুলে যায় যা কমাতে কলার ব্যবহার রয়েছে। এক্ষেত্রে কলা চটকে চোখের চারিধারে ব্যবহার করতে হবে। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ৩ থেকে ৪ দিন করলে চোখের ফোলা ভাব কমে যাবে।
পায়ের যত্নে কলার ব্যবহারঃ মুখের মত পায়ের যত্নে গলা প্রচুর ভূমিকা রাখে। গলায় যেহেতু ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বক মেরামতে সহায়তা করে। যাদের পা খসখুসে কলা ভালো করে চটকিয়ে পায়ে ভালো করে লাগিয়ে দিন। ২০ মিনিট পরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন তার নরম ও কমল হয়েছে।
চুলের যত্নে কলার ব্যবহারঃ চুল পড়া কমাতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কলা ভালো ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে নিয়ম হল কলা এবং টক দই এক সঙ্গে মিশ্রিত করে চটকিয়ে প্যাক করতে হবে। এই প্যাকটি চুলে ও মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হব।
২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ও চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও কলা ও মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে হবে। ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল সিল্কি এবং মাথার ত্বক নরম হবে। এছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য অনেক ভালো হবে।
প্রতিদিন কলা কেন খাবেন
প্রতিদিন কলা খেলে কলা থেকে প্রচুর পুষ্টি উপাদান শরীরে বৃদ্ধি করে। এই কারণে প্রতিদিন কলা খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন কলা খেলে আমাদের যেগুলো পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রয়েছে সেগুলো ঘাটতি পূরণ হয়। আজকের আর্টিকেলের বিষয় রূপচর্চায় পাকা কলার ১০ টি ব্যবহার।
*প্রতিদিন কলা খেলে যাদের ভিটামিন বি সিক্স এর অভাব তাদের ভিটামিন বি সিক্স এর চাহিদা পূরণ হয়।
*প্রতিদিন কলা খেলে যাদের ভিটামিন সি এর অভাব রয়েছে তাদের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়।
*প্রতিদিন কলা খেলে কলাতে যে পটাশিয়াম আছে যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
*প্রতিদিন কলা খেলে কলায় ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম রয়েছে যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না।
*প্রতিদিন কলা খাওয়ার ফলে কলায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যাহা হাড় ও পেসির স্বাস্থ্য ভালো করে।
*প্রতিদিন কলা খেলে ভিটামিন বি এর সব কয়টি উপাদান এর চাহিদা পূরণ করে।
*প্রতিদিন কলা খেলে কলায় আয়রন থাকার কারণে রক্তস্বল্পতা দূর হয় এবং এনিমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
*নিয়মিত কলা খেলে মানসিক চাপ কমে এবং মন ও মেজাজ প্রফুল্ল থাকে।
অতএব আসুন উপরোক্ত উপকারিতার কারণে নিয়মিত কলা খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও কলা অনেক সুস্বাদু ফল যাহা খাওয়ার ফলে মনের তৃপ্তি মিটে। এছাড়াও দেহে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন কলা খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে কিছু ঔষধি গুনাগুনের কারণে বিচি কলা আমরা খেতে পারি।
বিচি কলা খাওয়ার সাস্থ্য উপকারিতা
বিচি কলা অত্যাধিক উপকারী এবং পুষ্টি গুণ সম্পন্ন ফল। বিচি কলা এর পুষ্টি উপাদানের উপর নির্ভর করে একে সুপারফুড বলা হয়। আজকের বিষয় রূপচর্চায় পাকা কলার ১০টি ব্যবহার। বিচি কলার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
বিভিন্ন প্রকার টিস্যু তৈরিঃ বিচি কলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন রকম টিস্যু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা আমাদের শরীরের টিস্যুর তৈরিতে অবদান রাখে।
আন্টি বডি তৈরিঃ শরীরে অ্যান্টিজেনগুলো বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। অপরপক্ষে এন্টিবডির শক্তিশালী হলে অ্যান্টিজেন গুলোকে ধ্বংস হয়। বিচি কলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে অ্যান্টি বডি গুলো অনেক শক্তিশালী হয়। কলায় আয়রন ও ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে যাহা আমাদের দেহে নতুন নতুন আন্টি বডি তৈরিতে ভূমিকা রাখে। যার কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
প্রস্রাবের সমস্যা দূর করেঃ বিচি কলা খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়। পরীক্ষাগারে দেখা গেছে বিচি কলা ফালি করে পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রেখে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়।
ডায়রিয়া ও আমাশয় নিরাময়ঃ বিচি কলা খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়া ও আমাশয় এর মত সমস্যা দূর হয়। ডায়রিয়া ও আমাশয় নিরাময়ী করতে বিচি কলাতে এমন কিছু আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালে অথবা বিকালে নিয়মিত বিচি কলা খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়া ও আমাশয় শরীর থেকে দূরে থাকা যায়।
আলচার ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা নিরাময়ঃ নিয়মিত বিচি কলা খেলে আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যা দূর হয়। এছাড়া বিচি কলার খোসা পেস্ট করে খেলে আলসার ভালো হয়।
অন্ত্রের সমস্যা ও কৃমির সমস্যাঃ যাদের অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে অথবা ক্রিমিজনিত সমস্যা রয়েছে বিচিকলা খাওয়ার মাধ্যমে এগুলো সমস্যা দূর হয়। বিচি কলায় ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যা কৃমির সমস্যা দূর করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ বিচি কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তের নালিকাগুলো প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমেঃ বিচি কলা তে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন সি হার্টের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করে। যার কারনে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
আমরা অনেকে ফল পছন্দ করি আবার অনেকে ফল পছন্দ করি না। তবে কলা আমরা সবাই পছন্দ করি কারন কলা সহজে পাওয়া যায় এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। তবে অনেকে হয়তো না জেনে সকালে খালি পেটে কলা খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদগণ বলেন খালি পেটে কলা না খাওয়া ভালো।
আর ও পড়ুনঃ কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে
কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক গ্লুকোজ রয়েছে যা খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে দ্রুত রক্তে শর্করা বৃদ্ধি হয়। সকালে নাস্তার সঙ্গে কলা খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও নাস্তা খাওয়ার পরে সকালে কলা খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সকালের নাস্তার পরে কলা খেলে কলা শরীরের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করে সারাদিন কাজ করার ক্লান্তি দূর করে।
এছাড়াও বিকালে অথবা দুপুরে খাওয়ার পরে কলা খাওয়া যায়। তবে কলা খাওয়ার পরিমাণ খুব বেশি না করা ভালো। বেশি পরিমাণ কলা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ওজন বেড়ে যায়। তাই আসুন নিয়ম মেনে আমরা কলা খেয়ে দেহের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করি।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ রূপচর্চায় পাকা কলার ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা জেনে অনেক উপকৃত হবেন। এছাড়াও বিচি কলার বিভিন্ন গুনাগুন বর্ণনা করা হয়েছে। কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমরা সেগুলো উপকার পেতে পারি। এছাড়াও কলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুগল ও বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করে আজকের আর্টিকেলে লেখা হয়েছে।
কলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি ভিজিট করুন। আশা করি ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। আপনারা উপকৃত হলে নিজেকে সার্থক মনে করব। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url