ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠকগণ ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো লেখা হবে ভোরের বাতাসের উপকারিতা ভোরে ঘুম থেকে ওঠার উপায় সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম সকালে ঘুম থেকে উঠে কি খাওয়া উচিত। বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর অনেক ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল থাকে।
সকালে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে সারাদিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলের বিষয় ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা। ভোরে আমাদের ঘুম থেকে জাগা দরকার। ভোরে ঘুম থেকে জাগার ফলে শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এছাড়া ভোরে ঘুম থেকে জাগার ফলে নফল নামাজ সহ ফজরের নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর এবাদত করা শুরুর মাধ্যমে দিন শুরু হয়।
ভোরে ঘুম থেকে জাগার ফলে হাটাহাটির মাধ্যমে সারাদিনের কর্মব্যস্ততা এর শক্তি বৃদ্ধি হয়। প্রতিদিন সকালে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটলে শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভোরে ঘুম থেকে উঠার ফলে বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায় যা ফুসফুস ভালো রাখে। যার কারণে আমাদের নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠা প্রয়োজন।
ভোরের বাতাসের উপকারিতা
ভোরের বাতাস আমাদের জন্য অনেক উপকারী। বাতাসে সাধারণত অক্সিজেন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নাইট্রোজেন সহ বিভিন্ন উপাদান বিদ্যমান। সকালের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকার জন্য আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
আজকের আর্টিকেল ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা। ভোরের বাতাসের উপকারিতার দিকগুলো আলোচনা করা হলো।
*ভোরের বাতাস হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। যার কারণে অনেকের ওজন কমতে পারে।
*সকালের বাতাস রক্তচাপের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টবিট স্বাভাবিক রাখে।
*ভোরের বাতাসে পর্যাপ্ত সেরোটোনিন হরমোন উৎপাদন হয়। যার কারণে মানসিক দিক দিয়ে প্রফুল্ল থাকা যায়।
*ভোরের বাতাসে গ্রহণ করার ফলে রক্তের শ্বেত কণিকা বৃদ্ধি হয় যার রোগ জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও শরীর ইনফেকশন মুক্ত রাখে।
*ভোরের বাতাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
*ভোরের বাতাস বিশুদ্ধ হওয়ার কারণে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা
ভোরে ঘুম থেকে উঠার কারণে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্য উদয় পর্যন্ত রিজিক বন্টন করা হয়। এছাড়াও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার কারণে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ঃ ভোরে ঘুম থেকে জাগার ফলে বাইরে হাঁটাহাঁটি করলে ভিটামিন ডি শরীরে বৃদ্ধি হয়। ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার কারনে সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন রোগ জীবাণু আক্রমণ করতে পারেনা।
কর্ম দক্ষতা বাড়েঃ সকালে ঘুম থেকে উঠার কারণে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে। এছাড়াও সকালে মন মেজাজ ভালো থাকে এবং বাহিরে বাহির হলে বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায়। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার প্রচুর সময় পাওয়া যায়। যার কারণে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি হয়।
মন মেজাজ ভালো থাকেঃ সকালে ঘুম থেকে উঠার কারণে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামগুলো করতে অসুবিধা হয় না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর ভালো থাকে যার কারণে মন মেজাজ ভালো থাকে।
নিজের বেশি সময় পাওয়াঃ ভোরে ঘুম থেকে ওঠার কারণে নিজের জন্য একটু বেশি সময় পাওয়া যায়। অফিস আদালতে নির্দিষ্ট সময় যেতে হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণে অতিরিক্ত যে সময় পাওয়া যায় সেটি সাংসারিক কাজে ব্যয় করা যায়।
শারীরিক কাজে সময় পাওয়াঃ দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে তাড়াতাড়ি কাজে অথবা অফিসে যেতে হয়। অপরপক্ষে ভোরে ঘুম থেকে উঠলে শারীরিক বিভিন্ন কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। এজন্য প্রত্যহ ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজের যাবতীয় কাজ করে নেওয়া প্রয়োজন।
ছাত্রদের জন্য ভালোঃ ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ছাত্রদের জন্য প্রচুর পড়ার সময় পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকেরা এক গবেষণায় বলেছেন যে সকল শিক্ষার্থী দেরিতে ঘুম থেকে উঠে তাদের চাইতে যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠে তারা ভালো ফল করেছে।
সুখী জীবনযাপনঃ যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জীবন সুখী হয়। বর্তমানে এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের চাইতে যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জীবন সুখী এবং জীবন মান উন্নত।
দীর্ঘ জীবন লাভঃ ভোরে ঘুম থেকে উঠলে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাজ্যে ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে ভোরে ওঠার ব্যক্তিদের চাইতে যারা দেরিতে ওঠে তাদের অকাল মৃত্যুর হার ১০ ভাগ বেশি।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমেঃ ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ভোরের বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায়। এছাড়াও ভোরে হাঁটাহাঁটি করার কারণে হাটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে উঠলে হৃদরোগের ঝুকি কমে।
ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমেঃ ভোরে ঘুম থেকে উঠলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সকালে হাটাহাটি করার কারণে রক্তের শর্করা এর ভারসাম্য রক্ষা হয়। যার কারনে ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপায়
ভোরে আমাদের ঘুম থেকে ওঠা দরকার। ভোরের আবহাওয়া ভালো থাকে এবং ঘুম ভালো হয় যার কারণে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা কষ্টকর। আজকের আর্টিকেল ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা। ভোরে ঘুম থেকে উঠার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম গুলো পালন করলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা যায়।
আর ও পড়ুনঃইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
বেডরুম পরিষ্কার রাখাঃ ঘুমানোর জায়গা পরিস্কার ও আলো বাতাস যুক্ত রাখলে ভালো ঘুম হয়। ঘুমানোর জায়গা অত্যন্ত নিরিবিলি এবং চলাচলের পরিবেশ থাকতে হবে। ভালো ঘুম হলে ভোরে ঘুম থেকে জাগা সহজ হবে।
এলার্ম দেওয়াঃ ভোরের নির্দিষ্ট সময় অ্যালার্ম দিয়ে রাখলে নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া সহজ হয়। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে এলার্মের শব্দ যেন খুব জোরে না হয়। খুব জোরে শব্দ হলে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে যার কারণে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে।
রাতের খাবারঃ রাতের খাবার একটুও হালকা হওয়া ভালো। এছাড়াও লক্ষ্য রাখতে হবে ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে যেন রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া হয়। রাতের খাবারের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমালে গ্যাসের সমস্যা হবে। এছাড়াও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। এজন্য ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
নিয়মিত গোসল করাঃ নিয়মিত গোসল করা প্রয়োজন। নিয়মিত গোসল করার ফলে শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া ওর নিয়মিত গোসলের ফলে বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি হয় এবং ভালো ঘুম হয়।
নিয়ম তান্ত্রিক চলাফেরাঃ আমাদের চলাফেরা গুলো নিয়ম তান্ত্রিক হতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অফিস নির্দিষ্ট সময় হাঁটাহাঁটি এবং নির্দিষ্ট সময় খাওয়ার রুটিন করতে হবে। রুটিন মাফিক চললে সকালে ঘুম থেকে জাগা সহজ হবে।
চা কফি কোল্ড ড্রিংক কম পান করাঃ দিনে চা-কফি কোল্ড ড্রিঙ্ক কম পান করতে হবে। এগুলো বেশি পান করলে রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও এগুলো পান করার ফলে হজম শক্তি কমে যায়। যার কারণে এগুলো পানীয় পান করা কমিয়ে আনতে হবে।
ঘুমানোর সময় মনোযোগ দিতে হবেঃ ঘুমানোর সময় যেকোনো পাশ কাতে মনোযোগ দিয়ে ঘুমান। ঘুমের সময় অন্য কোন চিন্তা করা যাবে না। মনোযোগ দিয়ে ঘুমালে তাড়াতাড়ি ঘুম হবে এবং ঘুম গভীর হবে। এছাড়াও মনোযোগ দিয়ে ঘুমালে ভোরে ঘুম থেকে উঠা সহজ হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম
রাতে ঘুমানোর পরে ভোরে ঘুম থেকে জাগার পর শরীর হাত পা ব্যথা হয়। এছাড়াও পা ঝিনঝিন পিঠ ও কোমর ঘাড়ে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হয়। সাধারণত কম বয়সে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। তবে বয়স ৪০ বছর পার হয়ে গেলে এই সমস্যাগুলো বেশি হয়। আজকের আর্টিকেল ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা।
এখন তো সারাদিন অত্যাধিক পরিশ্রম করার ফলে রাতে বিশ্রাম নেওয়া হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এগুলো সমস্যা হয়। এগুলোর সমস্যাকে বলা হয় মর্নিং মোবিলিটি। রাতে ঘুমানোর সময় দীর্ঘক্ষণ পেশিগুলো রিলাক্সড থাকে।
যার কারণে ঘুম থেকে জাগার পরে এই ব্যথাগুলো হয়। বিছানায় ঘুম থেকে ওঠার পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট কিছু ব্যায়াম করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যায়ামগুলো হলঃ
স্ট্রেচিংঃ দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকার ফলে পেশিগুলো স্বাভাবিক নমনীয়তা হারায়। নিয়ম মত স্ট্রেসিং করার ফলে পেশিগুলোর নমনীয় হয় এবং ব্যথার পরিমাণ কমে যায়। নিয়ম হলো হাত দুটি একে অপরের সঙ্গে মিলিয়ে লক করে নিন।
এরপরে পুরো শরীর পা সহ টান করে নিন। পায়ের আঙ্গুলগুলো নিচে টেনে ধরুন এবং ১৬ পর্যন্ত গুণন। ৩থেকে৪ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে আবার এভাবে করুন।
রোল আপসঃ ঘুম থেকে উঠে দুই হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল ধরার ভঙ্গিতে বসে পড়ুন। কোমর ও পেশি সচল রাখতে এই ব্যায়াম অনেক উপকারী।
ক্রাঞ্চেসঃ যাদের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে এই ব্যায়াম অনেক উপকারী। বিছানায় শুয়ে হাঁটুকে ৯০ ডিগ্রি কোণে সোজা করতে হবে এবং হাত দুটি মাথার নিচে রাখতে হবে। মাথা ও ঘাড় সামনের দিকে ঝুকিয়ে কিছুক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকুন। এভাবে থাকলে পেটের চর্বি কমে যাবে।
হিপ ব্রিজঃ বিছানায় শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে কোমর উপর দিকে তোযলার চেষ্টা করুন। এ অবস্থায় হাত দুটি শরীর স্পর্শ করে পাশে রাখুন। কমরের মেদ কমাতে এই ব্যায়াম করা যায়।
ব্যায়ামগুলো শেষ হলে তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে পড়বেন না। একটু বিশ্রাম নেওয়ার পরে আস্তে আস্তে কিছুক্ষণ পা ঝুলিয়ে রাখুন। এরপরে বিছানা থেকে নেমে পড়ুন। এরপরে কিছুক্ষণ হাঁটুন। তাহলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কি খাওয়া উচিত
ঘুম থেকে ওঠার পরে শরীরে ক্ষুধার ভাব তৈরি হয়। সন্ধ্যা রাতে খাওয়ার পরে সারারাত সেগুলো হজম হয়ে যায়। এছাড়াও সকালে সব ধরনের খাবার খাওয়া ঠিক নয়। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে যেগুলো খাবার প্রয়োজন তা আলোচনা করা হলো।
বাদামঃ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে মুসলমানদের নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের পরে এবং অন্য ধর্মের লোকদের এবাদতের পরে এক মুঠ বাদাম খাওয়া প্রয়োজন। বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং পেটের পি এইচ স্তরকে স্বাভাবিক করে।
ভেজানো বাদামঃ খালি পেটে ভেজানো বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা ৩, ওমেগা৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। বাদাম ভিজিয়ে খেলে উপকারিতার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে পুষ্টি উপাদানের বৃদ্ধি হয় এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
মধুঃ মধু অনেক পুষ্টি গুনসম্পন্ন পানীয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। খালি পেটে মধু খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর এসিডিটি কমায়। এছাড়াও হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সারাদিন কাজ করার শক্তি পাওয়া যায়।
কালোজিরাঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কালোজিরা খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। রাসূল (সাঃ) বলেছেন মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ওষুধ কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
পেঁপেঃ সকালে খালি পেটে কাঁচা অথবা পাকা উভয় পেঁপে খেলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। পেঁপে অত্যাধিক উপকারী ফল যাকে সুপারফুট বলা হয়। পেঁপেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন কে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে। যাদের হজমের সমস্যা আছে নিয়মিত কাঁচা অথবা পাকা পেঁপে খেতে পারেন।
তরমুজঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তরমুজ খেতে পারেন। খালি পেটে তরমুজ খেলে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয়। তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা হয়। তরমুজে পর্যাপ্ত লাইকোপিন রয়েছে যা হার্ট এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উপকারিতা বিষয় আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পরে বাহির হইলে বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায় যার মাধ্যমে ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠায় এবং বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণের উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। আশা করি ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url