পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ

সুপ্রিয় পাঠকগন পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আজকে আরো আলোচনা করা হবে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়। পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথার কারণ। পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানো প্রতিকার।
পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা নিরাময়ের ঘরোয়া ব্যায়াম। এগুলো বিষয় ভালোভাবে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠকগন পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল। পায়ের মাংসপেশীতে কামড়ানোকে লেগ ক্র্যাম্প বলা হয়। এই সমস্যা ছোট বড় সবারই বিস্তার লাভ করেছে। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি কামড়ানো ও ব্যথার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। 
মাংসপেশী কামড়ানো ও ব্যথা দূর করার জন্য আমাদেরকে নিয়মিত পুষ্টি সম্পূর্ণ খাবার খেতে হবে। এছাড়াও কিছু খনিজ লবণ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদির অভাব পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে পায়ের মাংসপেশী কামড়ানো ও ব্যথা দূর করা সম্ভব।

পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ

পা কামড়ানো বা লেগক্র্যাম্প পেশির সংকোচনের জন্য হয়ে থাকে যা কয়েক মিনিট স্থায়ী থাকে। পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত এই সমস্যা হতে পারে। তবে ৫০ বছর বয়সের বেশি লোকদের বেশি এই সমস্যা হয়। পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ আলোচনা করা হলো।

বেশি হাঁটাহাঁটি না করলেঃ আধুনিক বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে বলেন বেশি হাঁটাহাঁটি না করার জন্য এই সমস্যাটা বেশি হয়। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে বসে থাকা, অফিস আদালতে কাজকর্ম করা, সামান্য হাঁটার পরিবর্তে রিক্সায় চলাফেরা করা, লিফটে উঠানামা করা, অবসর সময় শুয়ে কাটানো, ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা বেশি হয়।

ভুল ভঙ্গিতে ঘুমালেঃ সাধারণত পা একে বেঁকে দিয়ে ঘুমালে এই সমস্যাটা হতে পারে। পা একে বেঁকে দিয়ে ঘুমানোর কারণে সামান্য পা নড়াচড়া করতেই পেশিতে টান লাগে। যার কারণে নির্দিষ্ট নিয়মে ঘুমানো প্রয়োজন।

ঋতু পরিবর্তনের কারণেঃ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ঋতু পরিবর্তনের কারণে হাত পা কামড়ানোর সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে গরমের সময় অথবা শীতকাল আসার আগে এই সমস্যা বেশি হয়। তবে এরকম সমস্যার পরিমাণ কম নয়। এই ধরনের ক্র্যাম্প নার্ভের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে।

পানি শূন্যতার কারণেঃ সাধারণত পা কামড়ানো সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ও পটাশিয়াম জাতীয় লবণের অভাবের কারণে হতে পারে। পেশিতে রক্ত ও তরলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এগুলো ইলেক্ট্রোলাইট ভূমিকা রাখে। 
জার্মানির গোয়েথে ইউনিভার্সিটির ক্রীড়াবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইকেল বেহরিঙ্গার বলেছেন পেশির ক্র্যাম্প শীতকালে কম হয় এবং গ্রীষ্মকালে বেশি হয়। গ্রীষ্মকালে পানি শূন্যতা বেড়ে যায়। আর পানিশূন্যতা বেড়ে যাওয়ার জন্য ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। যার কারণে ক্র্যাম্প বেড়ে যায়।

পুষ্টির অভাবের কারণেঃ সাধারণত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম এর অভাবে পা কামানো বেড়ে যেতে পারে। এগুলো পুষ্টি উপাদান দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে। যার কারণে এগুলো পুষ্টি উপাদানের অভাবে শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা হয় না বিধায় পা কামড়ানো বা ক্র্যাম্প হতে পারে।

বেশি দাঁড়িয়ে থাকলেঃ গবেষণায় দেখা গেছে যাহারা বেশিক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন কাজ করেন অথবা বেশি সময় বসে থেকে কাজ করেন তাদের হাত পা কামড়ানো বা ক্র্যাম্প সমস্যা বেশি।

গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি পা কামড়ানো সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় দেহের ওজন বৃদ্ধি হয় ও রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে। আমেরিকান প্রেগন্যান্সি অ্যাসোসিয়েশনের মতে মায়ের রক্ত ও স্নায়ুর উপর গর্ভস্থ শিশুর ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে হাত পা কামড়ানো বা ক্র্যাম্প হতে পারে।

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়

আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ব্যথা হয়। তবে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথার পরিমাণ একটু বেশি। সাধারণত শক্ত জুতা পরে অথবা দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ের পেশিতে ব্যথা হতে পারে। আজকের বিষয় পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানোর কারণ। পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়ঃ

সঠিক জুতা নির্বাচনঃ পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা দূর করার জন্য সঠিক জুতা নির্বাচন করতে হবে। জুতা সফট নরম হতে হবে ও জুতার সোলগুলো নরম হতে হবে। তাহলে খুব সহজেই পায়ের মাংসপেশির ব্যথা দূর হবে।

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারঃ ক্যাস্ট্রল অয়েলের ভিটামিন ই খনিজ ও প্রোটিন আছে। ক্যাস্টর অয়েলে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। ক্যাস্টর অয়েল পায়ের ব্যথার জায়গায় ভালো করে মালিশ করলে পায়ের ব্যথা দূর হয়ে যায়।

লবণ পানিঃ সহনীয় গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন তারপর সেই পানি দিয়ে পায়ের ব্যথার জায়গায় শেক দিলে ব্যাথা উপশম হবে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ কুসুম কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত করতে হবে অতঃপর উক্ত পানিতে পায়ের ব্যথার স্থান ডুবিয়ে রাখতে হবে। ১৫-২০ মিনিট পরে পা উঠিয়ে নিতে হবে আশা করা যায় ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।

লবঙ্গ তেলঃ পায়ের ব্যথার স্থানে লবঙ্গ তেল ব্যবহারের মাধ্যমে পায়ের ব্যথা ভালো হয়। রাতে ঘুমানোর আগে লবঙ্গ তেল পায়ের মাংসপেশির ব্যথার স্থান গুলো মালিশ করুন। এভাবে মালিস করলে দুই একবার দিলেই পায়ের মাংসপেশীর ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।

বরফ মেসেজঃ একটি তোয়ালেতে কিছু পরিমাণ বরফ নিয়ে পায়ের মাংসপেশীর ব্যথারস্থানে মেসেজ করুন। এভাবে ৮ থেকে ১০ মিনিট মেসেজ করুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার করবেন।

হলুদ ব্যবহারঃ পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হলে হলুদের মাধ্যমে উপশম হয়। হালকা গরম অলিভ ওয়েলের সাথে এক চামচ হলুদের গুড়া মিশ্রিত করে পেস্ট করুন। এই পেস্ট পায়ের মাংসপেশির ব্যথার স্থানগুলোতে লাগিয়ে দিন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি দিনে দুইবার ব্যবহার করবেন।

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথার কারন

যেকোনো বয়সেই মাংসপেশীর ব্যথা হতে পারে এই ব্যথা অনেক সময় তীব্র আকার ধারণ করে। হাত পায়ের পেশিতে তীব্র ব্যাথা হলে অত্যধিক কষ্ট হয়। আজকের বিষয় পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ। পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথার কারণ উল্লেখ করা হলো।

মানসিক চাপঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে মাংসপেশিতে ব্যথা হয়। মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের সঙ্গে পেশি ব্যথা বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। যেগুলো ব্যক্তি সার্বক্ষণিক মানসিক চাপে ভোগেন এবং মানসিক চাপের কারণে ক্লান্তিবোধ অনুভব করেন তাদের পেশি ব্যথা বেশি হয়।

পানির অভাবঃ পানির অভাবের কারণে পেশি ব্যথা বৃদ্ধি হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করে পেশী ব্যথা দূর করা প্রয়োজন। পানির অভাবের কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে না। যার কারণে পেশি ব্যথা, মাথাব্যথা, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

পুষ্টির অভাবঃ আমাদের খাদ্য তালিকার খাবার থেকে প্রত্যহ আমরা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পেয়ে থাকি। সাধারণত ভিটামিন ও খনিজ লবণ এর কারণে হাড় ও পেশি মজবুত হয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ শরীরে ইলেকট্রোলাইট বৃদ্ধি করে যার কারণে মাংসপেশির ব্যথা দূর হয়। আর এগুলো পুষ্টি উপাদান এর অভাবের কারণে মাংসপেশীর ব্যথা বৃদ্ধি হয়।

ঘুমের ঘাটতিঃ ঘুমের ঘাটতি হওয়ার জন্য পেশি ব্যথা বৃদ্ধি হয়। প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। সারাদিনের পরিশ্রমগুলো এবং শরীরের ক্ষয় ঘুমের মাধ্যমে পূরণ হয়। যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যার কারণে মাংস পেশি ব্যথা বৃদ্ধি পাবে।

পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানোর প্রতিকার

পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানোর সমস্যা দূর করার প্রয়োজন। যেগুলো কারণে পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ায় সেগুলোর সমস্যা দূর করলেই মাংসপেশী কামড়ানো ভালো হয়ে যায়। আজকের বিষয় পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ। পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানোর প্রতিকার।

ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবেঃ পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বেশিরভাগ মানুষেরই খনিজ উপাদান এর অভাবে পায়ের মাংসপেশী কামড়ায়। ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার হলো সিমের বিচি, বাদাম, শস্য দানা, সবুজ পাতাযুক্ত শাক ইত্যাদি। 

খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ম্যাগনেসিয়াম এর চাহিদা পূরণ হয় এবং পায়ের মাংসের পেসি কামড়ানো নিরাময় হয়। অনেকের এ অবস্থায় ভালো না হতে পারে সেই ক্ষেত্রে গবেষকরা বলেছেন ভিটামিন বি পা কামড়ানো সমস্যা দূর করে। ভিটামিন বি জাতীয় খাবার খেলে অনেকের পায়ের মাংস পেশী কামড়ানো ভালো হয়।

দেহ হাইড্রেট থাকতে হবেঃ দিনের বেলায় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত কাজ অথবা নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে শরীর ঘামার কারণে যে পানি বাহির হয়ে যায় সেই পরিমাণ অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে। শরীরে পানির অভাবে গলা শুকিয়ে আসা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, ও শুষ্ক ত্বক ইত্যাদির লক্ষণ বোঝা যায়। 

প্রস্রাবের রং দেখে পানি শূন্যতা বোঝা যায়। প্রস্রাব যদি হলুদ হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে পানি শূন্যতা রয়েছে। নিয়মিত বেশি করে পানি পানের মাধ্যমে পানি শূন্যতা দূর করা সম্ভব।যার কারনে পায়ের মাংসপেশি কামড়ানো ভালো হয়।

হাটাহাটি করতে হবেঃ নিয়মিত হাটাহাটির মাধ্যমে পায়ের মাংসপেশী কামড়ানো ভালো করা যায়। অফিস আদালতে যাওয়ার সময় রিক্সায় না চড়ে পায়ে হেঁটে যেতে পারেন। সাধারণত উপর তলায় উঠতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারেন। এছাড়াও প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটতে পারেন।

সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমানোঃ সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমান। আঁকাবাঁকা করে ঘুমাবেন না। সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমালে হঠাৎ মাংসপেশিতে কামড়াতে পারে না।

ঋতু পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকতে হবেঃ ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণত পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে অথবা শীতের শুরুতে এই সমস্যা বেশি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়স্ক লোকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় বেশি বেশি রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন খাবার খেতে হবে।

পানি শূন্যতা পূরণঃ পানি শূন্যতার অভাব দূর করতে হবে। বেশি পানি খেতে হবে। পানির অভাবে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম রক্ষা হয় না। সাধারণত গরমের সময় ও শীত এর আগে পানি খাওয়ার পরিমাণ একটু বৃদ্ধি করার প্রয়োজন।

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অথবা বসে না থাকাঃ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা অথবা বসে থাকা যাবে না। দাঁড়িয়ে থাকার কাজ হলে মাঝে মাঝে বসে বিশ্রাম নিবেন আর বসে থাকার কাজ হলে মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে হাঁটাহাঁটি করবেন।

গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভাবস্থায় পায়ে পেসিতে কামড়ানোর সমস্যা হলে শারীরিক ওজন ও রক্ত সঞ্চালনের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। বিশেষ করে পায়ে মাঝেমাঝে তেল দিয়ে মালিশ করবেন। তাহলে পায়ের মাংসপেশিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হওয়ার কারণে কামড়ানো থাকবে না।

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা নিরাময়ে ঘরোয়া ব্যায়াম

আমরা পা এর মাধ্যমে সমস্ত শরীরের ভার সহ্য করে দাঁড়িয়ে থাকি। যার কারণে পা গুলো অনেক মজবুত করে রাখা প্রয়োজন। ব্যায়ামের মাধ্যমে পা গুলো শক্তিশালী ও মজবুত হয়। আজকের বিষয় পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ। পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা নিরাময়ের ঘরোয়া ব্যায়ামগুলো আলোচনা করা হলো।
মার্বেল পিক আপঃ মেঝেতে ১০ থেকে ২০ টি মার্বেল রাখতে হবে। এছাড়া মেঝেতে একটি পাত্র রাখতে হবে।সোজা হয়ে বসিয়ে পাকে মেঝেতে রাখতে হবে। এবার পায়ের আঙ্গুল ব্যবহার করে একটি করে মার্বেল পায়ের আঙ্গুল দিয়ে ধরে পাত্রে রাখতে হবে। এইভাবে দুই পা ব্যবহার করুন। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে পা শক্তিশালী হবে ও আঙ্গুলগুলো সতেজ হবে।

গলফ বল রোলঃ একটি গলফ বল মেঝেতে রাখুন এবং চেয়ারে বসে পা সোজা করে রাখুন। এরপর এক পা বলের উপর দিয়ে রেখে আরেক পা দিয়ে বল ঘোরান। দুই তিন মিনিট এভাবে করুন। এরপরে অপর পাটিবলের উপর দিয়ে আরেকটি পা দিয়ে বল এভাবে ঘুরান। এ প্রক্রিয়া দুই থেকে তিন বার করুন। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে পা শক্তিশালী ও নমনীয় হবে।

টাওয়েল কার্লঃ একটি তোয়ালে মেঝেতে রেখে চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। এক পা তোয়ালের ভিতরে রাখুন এবং অপর পায়ের আঙ্গুল দিয়ে তোয়ালেটি ধরুন আবার ছেড়ে দিন। এভাবে ৭ থেকে ৮ বার করুন। এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে পা ও পায়ের পাতার পেশি শক্তিশালী হবে। পায়ের ক্র্যাম্প, হেমারটোস ইত্যাদি সমস্যা দূর হবে।

লেখক এর মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলটি পায়ের মাংস পেশিতে কামড়ানোর কারণ বিষয়ে লেখা হয়েছে। পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানো ও পায়ের মাংসপেশী ব্যথা আমাদের মধ্যে অত্যাধিক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কায়িক পরিশ্রম ও পুষ্টিহীনতার কারণে এই সমস্যা অনেক বেশি হয়। এছাড়াও অত্যাধিক বসে কম্পিউটার ব্যবহার।অথবা হাঁটাহাঁটি এর পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। 

যার কারণেও এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এগুলো বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও গুগল থেকে সংগ্রহ করে কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিজিট করুন। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url