পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠকগণ পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। আরো লেখা হবে পাকা কলা অনেকদিন ভালো রেখে খাওয়ার উপায়। কলা আস্তে পাকানোর উপায়। পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা। কলার পুষ্টি উপাদান। কলা অত্যন্ত উপকারী এবং পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ ফল।
এই ফল খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। কলার উপকারিতা ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা ব্যাপারে বিস্তারিত আজকের এই আর্টিকেলে লিখা হবে। এগুলো ব্যাপারে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের বিষয় পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা। কলা সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ফল হিসেবে সমাদৃত। আমাদের দেশেও কলা খেতে সবাই পছন্দ করে। কলা দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়াই উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের প্রাই সব কয়টি জেলায় কলা উৎপাদন হয়।
আর ও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা
বাংলাদেশের নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, যশোর, বরিশাল, বগুড়ার, রংপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ইত্যাদি জেলায় বেশি কলা উৎপাদন হয়। এছাড়াও কাঠালি কলা রাজশাহীতে উৎপন্ন হয়। কলা অত্যাধিক পুষ্টি সম্পন্ন ফল যা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা বৃদ্ধি পায়।
পাকা কলা অনেকদিন ভাল রেখে খাওয়ার উপায়
কলা পাকতে লাগলে একবারে সব কলা পেকে যায়। যার কারনে সব কলা খেতে না পারায় অনেক কলা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে পাকা কলা অনেকদিন ধরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আজকের বিষয় পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা। পাকা কলা দীর্ঘদিন দেখে খাওয়ার উপায় আলোচনা করা হলো।
ঠান্ডা স্থানে কলা সংরক্ষণ করাঃ কলা সাধারণত ১২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় ভালো থাকে। যার কারণে সূর্যালোক থেকে একটু দূরে ১২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় কলা রাখতে পারলে দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায়।
কলা অন্যান্য ফল থেকে পৃথক করাঃ পিসফল, টমেটো, আপেল, ডুমুর ইত্যাদি ফলে ইথিলিন নিঃসরণ করে। এইজন্য এগুলো ফল থেকে কলা পৃথক করে রাখা প্রয়োজন। এগুলো ফলের সাথে কলা রাখলে এগুলো ফলের ইথিলি ন এর কারণে দ্রুত কলা পেকে নষ্ট হয়ে যায়। এইজন্য অন্যান্য ফল থেকে কলা কে আলাদা করে রাখতে হবে।
প্লাস্টিকে সংরক্ষণঃ ইথিলিন নামক গ্যাসের কারণে কলা তাড়াতাড়ি পেকে যায়। এইজন্য কলা কে অন্যান্য খাবার থেকে আলাদা করার জন্য কলার বৃন্ত প্লাস্টিক দিয়ে পেচিয়ে রাখতে হবে। তাহলে কলা অনেকদিন ভালো থাকে।
পাকা কলা ফ্রিজে রাখাঃ কলা পেকে গেলে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যায়। যত ঠান্ডায় কলা রাখা যাবে তত দেরিতে কলা পাকবে। কলার রং একটু পরিবর্তন হলেও কলার স্বাদ অক্ষুন্ন থাকে। এই জন্য ফ্রিজে রেখে কলা দীর্ঘদিন খাওয়া যায়।
খোসা ছাড়িয়ে টক জাতীয় ফলের সঙ্গে রাখাঃ কলা সালাত অথবা অন্যান্য ফলের সঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছা করলে কলা ছিলিয়ে রাখা যায়। এক্ষেত্রে কলা ছিলিয়ে ছোট ছোট করে কেটে টক জাতীয় ফলের সঙ্গে মিশ্রিত করে রাখতে হবে। সাধারণত কলাতে লেবু লাইম বা আনারসের রস মিশানো যেতে পারে। এভাবে রাখলে কলার স্বাদ পরিবর্তন হয় না।
কলা বরফ করে রাখাঃ পাকা কলা দীর্ঘদিন ধরে রেখে খেতে চাইলে বরফ করে রাখতে পারেন। বরফ করে কলা রাখলে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। এছাড়াও কলা ছিলিয়ে টুকরো টুকরো করে বরফের রাখতে পারেন।
পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা
কলা একটি পুষ্টি গুণ সম্পন্ন ফল। এই ফলে প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন ও মিনারেলস সব উপাদানই বিদ্যমান। কলা বাংলাদেশের সকল মানুষেরই অনেক পছন্দ। নিয়মিত কলা খেলে শরীরের বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতাবর্ণনা করা হলো।
কিডনি সুরক্ষা করেঃকলা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যার কারণে নিয়মিত কলা খেলে কিডনির কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
এছাড়াও প্রতিদিন কলা খাওয়ার মাধ্যমে কিডনির পাথর হওয়া, মূত্রনালীর ইনফেকশন হওয়া, মস্তিষ্কের স্ট্রোক ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞগণের জরিপের দেখা গিয়েছে প্রতিদিন কলা খেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় 50 ভাগ কমে যায়।
কলা ওজন কমায়ঃ পাকা কলা খেলে দীর্ঘক্ষন পেটে থাকে এবং অন্যান্য খাবার চাহিদা কম থাকে। যার কারনে নিয়মিত কলা খেলে শরীরের ওজন কমে।
ত্বকের যত্নে কলাঃ নিয়মিত কলা খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কলাতে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটো কেমিক্যাল রয়েছে যা ত্বক, শরীর ও চুলকে পুষ্টি প্রদান করে। নিয়মিত কলা খেলে ত্বক কমল হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
ব্রণ হওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও কলায় পর্যাপ্ত ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে যা ত্বকের কোলাজেন গঠনে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও কোষকে ফ্রি রেডিকেলজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
কলা কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করেঃ নিয়মিত পাকা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। কলাতে পর্যাপ্ত ফায়বার রয়েছে যা হজমে ভালো ভূমিকা রাখে। যার কারনে নিয়মিত কলা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।
এছাড়াও কলাতে পেকটির নামক ফাইবার রয়েছে যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাকস্থলীর আলসার, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, দূর হয়।
কলা শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করেঃ নিয়মিত কলা খেলে কলা শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। কলাতে প্রোটিন শর্করা ফ্যাট ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। এই কারণে কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয়।
আর ও পড়ুনঃ ওজন কমানোর ডাঃ জাহাঙ্গির কবিরের ফর্মুলা
অত্যাধিক পরিশ্রম করার পরে শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে কলা খেলে সেই ক্লান্ত দূর হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন যাহারা একটি করে কলা খান আর যারা কলা খান না তাদের চেয়ে স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি
কলা তারুণ্য ধরে রাখেঃ কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে। ত্বকের ফ্রি মেডিকেল দূরীভূত করে ত্বকের কোষকে সুরক্ষা করে। কলায় ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। যার কারনে নিয়মিত কলা খেলে তারুণ্যতা ধরে রাখে।
মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করেঃ নিয়মিত কলা খেলে মানসিক চাপ কমে যায়। কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আছে। এছাড়াও কলাতে ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। কলা খাওয়ার ফলে এই অ্যামাইনো এসিড রাসায়নিক বিক্রিয়া করে শরীরে সেরোটনিন নামক হরমোন তৈরি করে।
সেরোটনিন নামক হরমোন আমাদের আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি করে। এছাড়াও সেরেটোনিন ভালো ঘুম তৈরি করে। যার কারনে নিয়মিত কলা খেলে মানসিক চাপ হতাশা বিষন্নতা ইত্যাদি দূর হয়।
গর্ভবতী মায়েদের জন্যঃ পাকা কলাতে ভিটামিন সি, বি সি৬ রয়েছে যা গর্ভবতী নারীদের বমি বমি ভাব দূর করে। পাকা কলায় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন রয়েছে।
যার কারণে কলা খাওয়ার ফলে শিশুদের জন্মগত ত্রুটি, রক্তস্বল্পতাদুর, স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটে হাড়ের বিকাশে সহায়তা করে। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কলাতে ভিটামিন সি ও প্রোটিন রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গ্যাস্ট্রিক আলচার নিরাময়ঃ নিয়মিত কলা খেলে গ্যাস্ট্রিক ও আলসার নিরাময় হয়। কলাতে মিউসিলেস আছে যা পাকস্থলীর ভিতরের ক্ষতিগ্রস্ত মিউকাস পর্দা কে পুনর্জীবিত করে। এছাড়াও কলাতে পেপটিন নামক ফাইবার রয়েছে যা হজম ত্বরান্বিত করে। যার কারণে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয় গ্যাস ও গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর হয়।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধীঃ নিয়মিত কলা খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। কলাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি৬ ও আইরন আছে। যার কারণে নিয়মিত কলা খেলে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি৬ ও আয়রন রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। যার কারনে রক্তস্বল্পতা দূর হয় এবং এনিমিয়ার রোগ প্রতিরোধ করে।
পেশি ও হাড়ের সুরক্ষায়ঃ নিয়মিত কলা খেলে পেশি ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা হাড় ও দাত কে মজবুত করে। পেশির স্বাস্থ্য উন্নত করে। জয়েন্টের ব্যথা ও পেশির টান পড়া প্রতিরোধ করে। নিয়মিত কলা খেলে গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর হাড় ও পেশি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও আইরন রয়েছে। নিয়মিত কলা খেলে কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তনালিকাকে প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয় না। এছাড়াও ভিটামিন সি হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির জন্য হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে না।
কলা আস্তে পাকানোর উপায়
প্রিয় পাঠকগণ দ্রুত কলা পাকলে এক বারে নষ্ট হয়ে যায়। তাই আস্তে আস্তে কলা পাকানোর জন্য অনেকে ইচ্ছা পোষণ করেন। আজকের বিষয় পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা। আস্তে আস্তে কলা পাকানোর নিয়মাবলী।
কলার বৃন্ত প্লাস্টিক দিয়ে জড়িয়ে রাখাঃ কলা সাধারণত ডাটা দিয়ে ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ করার কারণে তাড়াতাড়ি কলা পাকে। কলার ডাটা প্লাস্টিক অথবা পলিথিন দিয়ে ভালো করে জড়িয়ে রাখলে ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ ধীরে হয়। আর এই কারণে ধীরে ধীরে কলা পাকে।
আর ও পড়ুনঃ জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়
এছাড়াও কলা আস্তে পাকাতে চাইলে প্রতিটি কলা ডাল থেকে আলাদা করে কলার বৃন্ত পলিথিন অথবা প্লাস্টিক দিয়ে ভালো করে পেচিয়ে রাখলে খুব ধীরে ধীরে কলা পাকবে।
কোলা ঝুলিয়ে রাখাঃকলা ঝুলিয়ে রাখলে আস্তে আস্তে পাকে। ঠান্ডা জায়গায় কলা ঝুলিয়ে রাখলে অক্সিজেন ইথিলিন জড়ো হতে বাধা দেয়। যার কারণে আস্তে আস্তে কলা পাকে।
অন্যান্য ফল থেকে আলাদাঃ কলা সাধারণত অন্যান্য ফল থেকে আলাদা করতে হবে। সাধারণত আপেল নাশপাতি টমেটো ইত্যাদি ফলের সাথে কলা রাখা যাবে না। এগুলো ফলের সাথে কলা রাখলে এগুলো ফল থেকে নিঃসৃত ইথিলিন তাড়াতাড়ি কলা পাকায়। কলা ভিন্ন ভাবে রেখে রাখলে আস্তে আস্তে কলা পাকে।
ঠান্ডা এবং সূর্যের আলো মুক্ত জায়গায় রাখাঃ ঘরের ভিতরে ঠান্ডা জায়গায় যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না এমন জায়গায় কলা রাখলে আস্তে আস্তে কলা পাকবে।
পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা
কলা অত্যধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ উপকারী ফল। কলা খেলে শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও কলা খাওয়ার মাধ্যমে অনেক রোগ থেকে বাঁচা যায়। আজকের বিষয় পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা। তবে কলা খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে। কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হলো।
*অনেকের পাকা কলা খেলে অনিদ্রা সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের রাতে কলা না খাওয়াই ভালো।
*যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা আছে তাদের কলা না খাওয়াই ভালো। বেশি কলা খেলে তাদের ঠান্ডা লাগা প্রবণতা আরো বেড়ে যেতে পারে।
*শিশুদের কলা খাওয়ানোর জন্য একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ বেশি কলা খেলে ঠান্ডার সমস্যা হতে পারে।
*খুব বেশি কলা খেলে যারা স্থূলতায় ভোগেন তাদের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
*কলায় কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি তাই বেশি কলা খেলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে।
*ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়ম মেনে কলা খাওয়া প্রয়োজন। বেশি কলা খেলে রক্তের সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে।
কলার পুষ্টি উপাদান
কলা অনেক পুষ্টিউপাদান সমৃদ্ধ ফল যা সবাই খেতে পছন্দ করে। ১০০ গ্রাম কলার পুষ্টিউপাদান ছকের মাধ্যমে বর্ননা করা হলো
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক মহোদয় পাকা কলা খাওয়ার ১২টি উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। কলা পুষ্টি সমৃদ্ধ জনপ্রিয় ফল। পাকা কলার সবাই খেতে পছন্দ করে। পাকা কলায় প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান। যার কারণে কলা খেলে আমাদের অনেক রোগ প্রতিরোধ করে।
এছাড়াও কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রচুর পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। কলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুগল সহ অন্যান্য বিভিন্ন তথ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি ভিজিট করুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url