পাগলা কুকুর কামড়ালে কি রোগ হয়

সুপ্রিয় পাঠক গন পাগলা কুকুর কামড়ালে কি রোগ হয় এ ব্যাপারে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো লেখা হবে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার। জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ। জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়ার নিয়ম। জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণ। এগুলো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শ কাতর।
আমাদের বাসার চারপাশে কুকুরের বিচরণ অত্যন্ত বেশি। যার কারণে কুকুরের আক্রমণ থেকে আমাদের বিরত থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও কুকুরে আক্রমণ করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকা নেওয়া প্রয়োজন। আসুন এগুলো ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আজকের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল পাগলা কুকুর কামড়ালে কি রোগ হয়। জলাতঙ্ককে হাইড্রোফোবিয়া বা পাগলা রোগ বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে পানি দেখলে প্রচন্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যার কারণে এ রোগের নাম দেওয়া হয়েছে জলাতঙ্ক। বিশ্বের প্রতি ১০ মিনিটে একজন লোক এবং প্রতি বছর ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ জন লোক জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার গবাদি পশু জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকে। লোকজনকে জলাতঙ্ক রোগ হতে সচেতন হওয়ার জন্য ২৮সে সেপ্টেম্বর জলাতঙ্ক দিবস পালন করা হয়। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ভয় নয় সত্য জানুন।

জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার

জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ যার লক্ষণ প্রকাশ পেলে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে রোগী মৃত্যু মুখে পতিত হয়। আজকের আর্টিকেল পাগলা কুকুর কামড়ালে কি রোগ হয়। বিশেষ করে কুকুর অথবা বিড়াল সহ গৃহপালিত বিভিন্ন পশুর কামড়ের কারণেই জলাতঙ্ক রোগ হয়।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ জলাতঙ্ক রোগের কারণ হলো কুকুরের কামড়। তবে সব কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হয়না। যেগুলো কুকুর জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত তাদের দ্বারা কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয়। জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ব্যাপারে আলোচনা করা হলো।

*কুকুরে কামড় বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে উক্ত জায়গা অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভালো করে ফেনা উঠিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
*কুকুরে কামড় বা আঁচড় দিলে আতঙ্কিত না হয়ে দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিতে হবে।
*উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক রোগের টিকা পাওয়া যায়।
*কুকুরকে খাওয়ানো বা আদর করার সময় কুকুরের লালা যদি শরীরের কোথাও লেগে যায় এবং কোনরকম ঘা না থাকে তাহলে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নাই।
*শরীরের কোথাও কুকুরের লালা লেগে গেলে ক্ষারযুক্ত সাবান অর্থাৎ কাপড় কাচা সাবান দিয়ে ভালো করে ফেনা তুলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় ধুয়ে ফেলতে হবে।
*শরীরের কোথাও কুকুরের আচড় লাগলে রক্ত বাহির না হলেও এন্টি রেবিস ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।
*কুকুরে আক্রমণ করে শরীরের কোথাও কামড় দিয়ে রক্তপাত করলে এক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি  জলাতঙ্ক রোগের টিকা গ্রহণ করতে হবে।
*ক্ষতস্থান ভালো করে চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তুলতে হবে।
*টিকা গ্রহণের ফলে জলাতঙ্ক রোগের দ্বারা রোগীর মৃত্যু হয় না।
*জলাতঙ্ক রোগ হলে মৃত্যু ছাড়া কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা নাই।
*পোষাবিড়াল অথবা কুকুরকে নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।
*কুকুর অথবা বিড়ালকে যদি সন্দেহজনক আচরণ দেখা যায় তাহলে সেগুলো প্রাণীদেরকে মেরে ফেলতে হবে। 
*সব সময় কুকুরের কাছ থেকে দূরে চলাফেরা করতে হবে।

পাগলা কুকুর কামড়ালে কি রোগ হয়

পাগলা কুকুরে কামড়ানোর ফলে মারাত্মক প্রাণঘাতী জলাতঙ্ক রোগ হয়। কুকুরে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টিকা গ্রহণ না করলে এবং জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে রোগীর মৃত্যু ছাড়া কোন পথ থাকে না। পাগলা কুকুরে কামড়ালে কি রোগ হয় সেই ব্যাপারে আলোচনা করা হলো।

*পাগলা কুকুরে কামড়ানোর ফলে প্রাণভাতী ভাইরাস জনিত রোগ জলাতঙ্ক রোগ হয়।
*সব কুকুরে কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ নাও হতে পারে। যে সকল কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস রয়েছে সে সকল কুকুরের কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয।
*যার কারণে বাড়িতে পোষা কুকুরগুলোকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন।
*৯০ ভাগ কুকুরের কামড়েই জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা। যার কারণে কুকুরের দূরত্বে থাকা প্রয়োজন।
*জলাতঙ্ক ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ যার লক্ষণ প্রকাশ পেলে৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়।
*সাধারণত জলাতঙ্ক রোগীর সংস্পর্শে কেহ আসলে এবং জলাতঙ্ক রোগীর দ্বারা আচড় দিলে জলাতঙ্ক রোগ পার হয়ে যায়।
*জলাতঙ্ক রোগ অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ যা জলাতঙ্ক রোগীর লালার মাধ্যমে অন্যরা আক্রান্ত হয়।

কুকুরে কামড় বা আঁচড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে টিকা গ্রহণ করতে হবে।
টিকা গ্রহণের ফলে কুকুরে কামড়ানো রোগীর জলাতঙ্ক রোগের সম্ভাবনা থাকে না।

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

জলাতঙ্ক অত্যন্ত প্রাণঘাতী রোগ যাহাকে হাইড্রোফোবিয়া বা পাগলার রোগ বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যু ছাড়া কোন পথ থাকে না। আজকের আর্টিকেলের বিষয় পাগলা কুকুর কামড়ালে কি রোগ হয়। এছাড়াও জলাতঙ্ক হওয়ার রোগী কাউকে আচর বা কামড় দেন তাহলে তার জলাতঙ্ক রোগ পার হয়ে যায়।
যার কারনে জলাতঙ্ক রোগীকে সবসময় অন্য মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। এইজন্য জলাতঙ্ক থাকা কুকুরের কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে টিকা নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও প্রতিরোধের জন্য প্রতিবছর জলাতঙ্ক রোগের টিকা গ্রহণ করা যেতে পারে।

বাসায় কুকুর বা বিড়াল থাকলে সেগুলোকে নিয়মিত টিকা দেওয়া প্রয়োজন। কুকুর বা বিড়ালকে টিকা দেওয়া হলে তার দ্বারা কোন জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। জলাতঙ্ক রোগের আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। আলোচনা করা হলো।

*জলাতঙ্ক রোগীর লক্ষণ সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পায় না সাধারণত এক থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ পায়।
*জলাতঙ্ক রোগ সুপ্ত অবস্থায় থাকার সময় মাথাব্যথা, মাথা ঘোরার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
*জলাতঙ্ক রোগীর কর্কশ কণ্ঠস্বর হয় এবং খিটখিটে মেজাজ হয়।
*সাধারণত কাউকে দেখলে আক্রমণ করতে চাই অথবা কামড়ানোর চেষ্টা করতে চায়।
*খাবারের অরুচি থাকে না এবং এর সঙ্গে অস্বাভাবিক কথাবার্তা ও আচরণ দেখতে পাওয়া যায়।
*উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায় দেখতে মনে হয় পাগল হয়ে গেছে।
*প্রচুর পানির পিপাসা পায় এবং পানি খেতে চায় কিন্তু পানি দেখলে পর্যাপ্ত ভয় পায়।
*আলো বাতাসে বাহির হলে অত্যাধিক ভয় পায় এমনকি কোন শব্দ বা বাতাসেও সে ভয় পায়।
*মানুষের চোখের আড়ালে অন্ধকার ও একাই থাকতে পছন্দ করে। লোক সমাজে মিশতে চায় না।
*শরীরের পর্যাপ্ত খিচুনি শুরু হয় এবং মুখ দিয়ে সবসময় জ্বালা পড়তে থাকে।
*আস্তে আস্তে ছটফট করতে থাকে এবং ছটফট করা অবস্থায় মৃত্যু হতে পারে।

এগুলো লক্ষণ দেখতে পেলে রোগীকে সবসময় সব সময় সাবধানে রাখতে হবে। বেশি সময় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুমিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও ব্যথা জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।

জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়ার নিয়ম

কুকুরে কামড় দিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই টিকা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী টিকা দেওয়া দরকার। সাধারণত নিকটবর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের টিকা পাওয়া যায়।

আগে টিকা দেওয়া থাকলে কয়টি টিকা দিতে হবে অথবা আগের টিকা দেওয়া না থাকলে কয়টি টিকা দেওয়া লাগবে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হলো। নিম্নলিখিত টিকা গুলি দেওয়া যেতে পারে।

রাবিপুর নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেড মূল্য                   =৬৪০ টাকা।
রাবি ভ্যাক্স পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড মূল্য      =৫০০ টাকা।
রাবিক্স ভিসি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড মূল্য  =৫০০ টাকা।
ভেরোরাব এসিআই লিমিটেড মূল্য                                      =৬৪৮ টাকা।

আগে অথবা পাঁচ বছরের মধ্যে কোন টাকা দেওয়া হয়নি এমন ব্যক্তিদের অথবা শিশুদের ক্ষেত্রে ডোজ হলঃ ০তমদিন,৩য়দিন,৭ম দিন,১৪তম দিন ও ২৮তম দিনে দিনে টিকা গ্রহন করতে হবে।।

ইন্ট্রাডারমাল টিকার জন্যঃ দুই বাহুতে দুইটি টিকা এবং ০তম দিন,৩য়দিন ও ৭ম দিনে টিকা গ্রহন করতে হবে।

পশু আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই ২৪ ঘন্টার মধ্যেই টিকা নেওয়া উচিত।

শুধু গৃহপালিত কুকুর বা বিড়ালের কামড় দেওয়ার পর উক্ত কুকুর বা বিড়াল ১০ দিনের বেশি সুস্থ থাকলে পরবর্তী ডোজ ১৪তমদিন ও ২৮ তম দিনের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নাই।

জলাতঙ্ক রোগ মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। যার কারণে প্রত্যেকেই মৃত্যুমুখী পতিত হয়। যার কারনে জলাতঙ্কের বাহক কুকুর বা বিড়াল কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন। টিকা যদি না দেওয়া হয় তবে জলাতঙ্কের লক্ষণ প্রকাশ পেলে উক্ত রুগীর জন্য আর কোন চিকিৎসা করে লাভ হবে না। একমাত্র সমাধান মৃত্যু।

জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণ

যে সকল কুকুর জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত সেগুলো কুকুর কামড়ালেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। যার কারণে জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর বা অন্যান্য পশুর ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। এইজন্য জলাতঙ্ক কুকুরের লক্ষণগুলো জানা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিয়ে জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণ।
*কুকুরের ভয়েস পরিবর্তন হয় এবং কর্কশ ও অস্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাথে সাথে কুকুরের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যায়।
*গ্রীষ্মকালের গরমেও প্রাণীটি অত্যন্ত ঠান্ডা অনুভব করে এবং পর্যাপ্ত শরীর কাঁপে।
*কুকুর অধৈর্য হয়ে পড়ে অস্থির, অবাধ্য বিরক্তি ও অস্থিরতা আচরণ করে।
*কুকুর সাধারণত দিনের উজ্জ্বল আলো সহ্য করতে পারে না যার কারণে অন্ধকার অথবা নির্জন স্থানে একা একা বসে থাকে।
*কুকুরটি পর্যাপ্ত পিপাসায় ভোগে কিন্তু পানিকে করে অত্যন্ত ভয় পাই এবং আতঙ্কিত হয়।
*মুখে প্রচুর পরিমাণ লালা ও ফেনা তৈরি হয়। এছাড়াও কুকুর সব সময় নিরিবিলি বসে থাকার চেষ্টা করে।
*আক্রান্ত কুকুর আচরণ করে হিংসাত্মক আচরণ করে এবং লোকজনকে কামড়ানোর চেষ্টা করে।

এগুলো লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে এগুলো কুকুর বা পশু গুলো জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কোন কুকুর থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এগুলো কুকুরকে মেরে ফেলতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ পাগলা কুকুর কামড়ালে কি রোগ হয় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। পাগলা কুকুরে কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয়। জলাতঙ্ক একটি প্রাণঘাতী ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে কোন চিকিৎসায় ভালো হয় না। এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়।

এছাড়াও আরো আলোচনা করা হয়েছে কুকুরে কামড়ালে কিভাবে টিকা দিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচা যায়। আজকের এই তথ্য বহুল আলোচনা জানতে আমাদের এই আর্টিকেল ভিজিট করুন।আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন এবং ভালো লাগবে। ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url