ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠকগন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা বিষয়ে আজকে লিখতে বসলাম। এছাড়া আরো লেখা হবে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যতা নিরাময়ে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম। ইসবগুলের ভুষির অপকারিতা। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম।
ইসবগুলের ভুসি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজন। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলের বিষয় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা। ইসবগুল গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছের উচ্চতা ১.৫ ফুট থেকে ২ ফুট পর্যন্ত হয়। এ উদ্ভিদের আদি জন্মস্থান ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে। এছাড়াও স্পেন, উত্তর আফ্রিকা, পাকিস্তানের সিন্ধু এলাকা, পশ্চিম এশিয়া।
আর ও পড়ুনঃ লিচু খাওয়ার ১৫টি উপকারিতার বিবরণ
এছাড়া চীন, রাশিয়া ও ভারতে ইসবগুলের চাষ হয়। তবে আমাদের উপমহাদেশে ভারতের গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে বেশি পরিমাণ ইসবগুল চাষ হয়। ভারতের গুজরাট থেকে আমেরিকা ও ইউরোপে ইসবগুল রপ্তানি হয়। বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতায় ইসবগুলের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
ইসবগুলের ভুষির বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যা থাকে না। আজকের আর্টিকেলের বিষয় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা।
পুষ্টিবিদগণ বলেছেন খালি পেটে সকালে ইসবগুলের ভুষি খেলে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এই পানীয়টির অভ্যাস করার ফলে বিভিন্ন রকম অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে কি হয় জেনে নিন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতা রয়েছে খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার ফলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে মল নরম হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতার মত সমস্যা থাকে না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ ইসবগুলের ভুষিতে পটাশিয়াম রয়েছে যার কারণে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসকগণ ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারীঃ ইসবগুলের ভুসিতে গ্লাইসোমিক ইনডেক্স একচল্লিশ। যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
ডায়রিয়া নিরাময়ঃ যাদের ডায়রিয়া হয় তাদের জন্য নিয়ম হলো দিনে দুইবার ১০ থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি খেতে হবে। ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়া নিরাময় হয়।
হজমে সহায়তা করেঃ ইসুবগুলের ভুষিতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। সাধারণত ভাজাপোড়া খাওয়ার জন্য হজমের অনেক সমস্যা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীতে উপকারের ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আমাশয় নিরাময়ঃ আমাশয় হলে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে আমাশয় নিরাময় হয়। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলি থেকে আমাশয় এর জীবাণু বাহির করে দেয়। যার কারনে আমরা খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারি।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
ইসবগুলের ভুষির প্রচুর স্বাস্থ্যউপকারিতা রয়েছে। ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার ফলে ইসবগুলের ভুষির মিউসিলেজ আমাদের শরীরের অনেক রোগ দূর করে। এছাড়াও ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্যতার দূরঃ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। ইসুবগুলের ভুষির মিউসিলেজ পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে মৌলের পরিমাণ বৃদ্ধি ও নরম করে।
যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতার মত সমস্যা থাকে না। প্রতিদিন দিনে এক থেকে দুই বার দুই তিন চামচ ইসবগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে ইসবগুলে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
রক্তশূন্যতা দূর করেঃ ইসবগুলের ভুষির নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে। ইসবগুলের ভুষিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন রয়েছে। যার কারণে ইসবগুলের ভুষি খেলে ইসবগুলের ভুষিতে উপস্থিত আয়রন শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে। যার মাধ্যমে রক্তশূন্যতা দূর হয়। এনিমিয়া রোগ হতে মুক্তি দেয়।
হারটের স্বাস্থ্য ভালো থাকেঃ ইসবগুলের ভুষিতে কোলেস্টেরলের মাত্রা শূন্য অপরদিকে খাদ্য আশ অনেক বেশি। যার কারণে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর কারণে হার্টের অবস্থা ভালো থাকে। এছাড়াও ইসবগুলে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। ইসবগুলের ভুষিতে জিলাটিন নামক উপাদান রয়েছে। যা দেহে গ্লুকোজ শোষণ করে এবং ভাক্সগা্য প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে। যার কারনে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি হয় না বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভালো করেঃ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়। এই ক্ষেত্রে ভালো উপকার পাওয়ার জন্য আখের গুড়ের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুষি ভিজিয়ে রেখে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেঃ সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাদ্য অভ্যাসের জন্য এবং অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুষিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা খাওয়ার মাধ্যমে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলচারের সমস্যা ভালো হয়।
ডায়রিয়া নিরাময়েঃ ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়া নিরাময় হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো দইয়ের সঙ্গে ইসবগুলের ভুষি মিশ্রিত করে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ইসবগুলের ভুষি মলকে তরল থেকে শক্ত করতে সহায়তা করে। যার কারণে দ্রুত ডায়রিয়া ভালো হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইসবগুলের ভুষিতে কোলেস্টেরল ও প্রোটিন নাই। এছাড়াও ইসবগুলের ভুষিতে পর্যাপ্ত ফাইবার থাকার কারণে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে পেট ভরা থাকে। খাবারের চাহিদা কম থাকে। যার কারনে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাত পা জ্বালা নিরাময়ঃ অনেকের হাত পা জ্বালা করে ও মাথাব্যথা করে। এক্ষেত্রে এক গ্লাস আখের রসের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুষি মিশ্রিত করে খেলে হাত-পা জ্বালা ও মাথা ঘোরা ভালো হয়। সাধারণত ক্যালসিয়ামের অভাবে হাত-পা জ্বালা করে। ইসবগুলের ভুসিতে ক্যালসিয়াম রয়েছে যার কারণে ইসবগুলের ভুসি খেলে হাত-পা জ্বালা ভালো হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম
কোষ্ঠকাঠিন্যতা তৈরি হলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যার কারণে পাইলস এর মত সমস্যা থেকে বাঁচতে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করা প্রয়োজন। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করার অন্যতম উপাদান হলো ইসবগুলের ভুসি। ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করা সম্ভব।
আর ও পড়ুনঃ রুপচর্চায় পাকা কলার ১০টি ব্যাবহার
ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীতে উপকারিতা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হয় এবং মলের পরিমান বেশি ও নরম হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা থাকে না। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো এক গ্লাস পানিতে ১০ থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি আধাঘন্টা ভিজে খেয়ে নিতে হবে।
এ প্রক্রিয়ায় দিনে দুইবার খেলে খুব তাড়াতাড়ি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তবে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সময় চিনি মিশানো প্রয়োজন নেই। এই নিয়মে ইসবগুলের ভুষি খেলে পায়খানার পরিমাণ বৃদ্ধি হয় পায়খানা নরম ও সহজে বের হতে সাহায্য করে। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যত থাকে না।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অপকারিতা
ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা হয়। এছাড়া ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে পেটের যাবতীয় সমস্যা নিরাময় হয়। আজকের আর্টিকেলের বিষয় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা।
উপকারিতার পাশাপাশি ইসবগুলের ভুষির অনেক অপকারিতা রয়েছে। ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার অপকারিতা বর্ণনা করা হলো।
*অতিরিক্ত পরিমান ইসুবগুলের ভুসি খেলে পেট ব্যথা হতে পারে।
*অতিরিক্ত পরিমাণ ইসুবগুলের ভুসি খেলে হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথার মত সমস্যা হতে পারে।
*ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যতা ভালো হয় তবে বেশি পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খেলে এর বিপরীতে কোষ্ঠকাঠিন্যতা তৈরি হতে পারে।
*ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়রিয়া ভালো হয় কিন্তু অতিরিক্ত ইসব গুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
*অনেক সময় বেশি পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খেলে বমি বমি ভাব অথবা বমির সমস্যা হতে পারে।
*অনেক সময় বেশি পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খেলে গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
*যাদের অ্যালার্জি আছে তারা বেশি পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
*যাদের অ্যালার্জি আছে বেশি পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খেলে চুলকানি, ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি, দেখা দিতে পারে।
*যাদের এলার্জি আছে বেশি পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খেলে গলা ও মুখ ফুলে যেতে পারে।
যার কারণে আমাদের পরিমাণমতো ইসবগুলের ভুসি খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া অসুস্থতা হওয়ার কারণে এসব ভুলের ভুসি খাওয়া প্রয়োজন। এক লাগাড়ে দীর্ঘদিন ধরে ইসুবগুলের ভুষি না খাওয়াই ভালো। জন্য আসুন আমরা পরিমাণমতো ইসুবগুলের ভুসি খেয়ে আমাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করি।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
ইসবগুলের ভুষি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পাচকতন্ত্রের ঘরোয়া চিকিৎসায় ইসবগুল ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে ইসুবগুলের ভুষি খাওয়া হয়।
আর ও পড়ুনঃ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করার ১২টি ঘরোয়া উপায়
*কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূরীকরণে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম দুধে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে খাওয়া যায়।
*মাঝে মাঝে ডায়রিয়া হয় তাহলে ডায়রিয়া প্রতিরোধে এবং পাকস্থলীর ইনফেকশন দূর করার জন্য তিন চামচ টক দইয়ের সঙ্গে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খাওয়া যায়।
*এসিডিটি প্রতিরোধে এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধে প্রতিবার খাবারের পরে একগ্লাস ঠান্ডা দুধে দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যায়।
*ওজন কমানোর জন্য এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর জন্য এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি ও কিছু লেবুর রস মিশিয়ে খাবারের আগে খেতে হবে।
*হজমশক্তি বৃদ্ধি ও পাকস্থলীর বর্জ্য নিষ্কাশন করতে মাঠা অথবা দইয়ের ঘোলের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুষি মিশিয়ে খাবারের পরপর খাওয়া প্রয়োজন।
*হৃদরোগ প্রতিরোধ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি বিশ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খাওয়া প্রয়োজন।
*ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য এক গ্লাস দুধ অথবা পানির সঙ্গে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে হবে।
পাইলস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুসি একগ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে মিশ্রিত করে ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে খেতে হবে। এছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যায়। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক অসুস্থতা দূর করতে পারি।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখা হয়েছে। ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা হয়। এছাড়াও আমাদের পাকস্থলী সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধানে ইসবগুলের ভুষি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইসবগুলের ভুষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ইসবগুলের ভুসি সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি ভিজিট করুন। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url