ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা  ব্যাপারে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। এছাড়াও আরো লেখা হবে পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়। মহিলাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা। মেয়েদের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ।
এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা ছেলে এবং মেয়ে উভয়দের অনেক বেশি। যার কারণে এগুলো অবশ্যই ভালো করে জানা প্রয়োজন। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলের বিষয় ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা । প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার মূল কারণ মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ। সাধারণত ইকোলাই ব্যাকটেরিয়ার আক্রান্তের কারণে মূত্রনালী সংক্রমণ হয়। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে ছত্রাকের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
যার কারণে মূত্রনালীতে ইনফেকশন হয়। আর মূত্রনালীতে ইনফেকশন হওয়ার কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সমস্যা তৈরি হয়। এ ছাড়া গরমের সময় ডিহাইড্রেশনের কারনে অনেক সময় জ্বালাপোড়া হয়। যার কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণগুলো জানা প্রয়োজন।

পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আসুন জেনে নিই ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। প্রস্রাবে এ জ্বালাপোড়া কে আমরা ইউরিন ইনফেকশন বলি। এই সমস্যার গরমে বেশি হয়। তবে শীতকালে কম পানি পান করার কারণে এই সমস্যা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্তেএর কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া সমস্যা হয়।

বিশেষ করে ই কোলাই নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্তের কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হয়। আজকের আর্টিকেল ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা । আসুন জেনেনিই পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কেন হয়।

ডায়াবেটিস হলেঃ ডায়াবেটিস হলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং বারবার প্রস্রাব হয়। এক্ষেত্রে টাইপ১ ও টাইপ২ দুই ধরনের ডায়াবেটিসেই এই লক্ষণ প্রকাশ পায়। ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে প্রস্রাব করার সময় বারবার গ্লুকোজ গুলো প্রস্রাব দিয়ে বাহির হয়ে যায়। যার কারণে বারবার প্রস্রাব করতে হয় এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হয়।

প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড সমস্যাঃ পুরুষদের তলপেটের নিচে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড থাকে। ইজাকুলেশনের সময় প্রোস্টেট গ্র্যান্ড থেকে কিছু তরল বাহির হয়ে আসে। যদি প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বড় হয়ে যায় অথবা টিউমার হয় তাহলে ইউরিনারি সিস্টেমের উপর চাপ পড়ে। আর এই কারণে বারবার প্রস্রাব হয় এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া করে।

অতিরিক্ত কফি পানেঃ বেশি পরিমাণ কফি পান করার ফলে বারবার প্রস্রাব হয় এবং প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া হয়। যার কারণে অতিরিক্ত কফি পান না করা ভালো।

অ্যালকোহল সেবনের কারণেঃ নিয়মিত অ্যালকোহল পান করেন তাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও বারবার প্রস্রাব হয়। এই জন্য অ্যালকোহল সেবন করা বাদ দেওয়া প্রয়োজন।

পানি কম পান করার কারণেঃ পানি কম পান করার ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এই জন্য নিয়মিত বেশি পানি পান করা প্রয়োজন।

কিছু ওষুধ খাওয়ার কারণেঃ সাধারণত ডাইইউরেটিক্স জাতীয় ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বাহির করে দেয়। যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়।

ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রসাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা অত্যাধিক কষ্টকর ও বেদনাদায়ক। এই সমস্যা শুরু হলে অনেক ক্ষতিকর রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যার কারনে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা দূর করার জন্য প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

আর যদি অবস্থা অনেক খারাপের দিকে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।আসুন জেনে নিই ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা।

পানি পানঃ পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। পানির অভাবের কারণে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। ডিহাইড্রেশনের ফলে প্রস্রাব জ্বালাপোড়া করে এবং বারবার প্রস্রাব হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার ফলে দেহ হাইড্রেট হয় যার কারণে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ইনফেকশন থেকে মুক্ত থাকাঃ ইনফেকশন থেকে মুক্ত থাকার জন্য ফ্লুইড যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে রঙ্গিন ফলে পর্যাপ্ত পরিমান ফ্লুইড থাকে।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়াঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার শরীরের প্রদাহ দূর করে। যার কারনে ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের ফলে প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণে প্রস্রাবে বেশি পরিমাণ এসিডিটি হয়ে ওঠে যা ইনফেকশন হওয়া ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

ক্যানবেরি ফলের জুসঃ ক্যানবেরি ফল অথবা ক্যান্ডি ফলের জুস খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হয়। যার কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভালো হয়।

প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারঃ প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস হয় এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হয়। উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো প্রস্রাবে ইনফেকশনের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বনঃ ব্যক্তিগত পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কারণে প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে বাঁচা যায়। এক্ষেত্রে টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও ব্যক্তিগত সব অঙ্গ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে।

সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারণে খাবারের তালিকায় আমিষের চাইতে শাক সবজির পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এজন্য প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন।

শসা ও তরমুজের বীজ খাওয়াঃ সসা বীজ ও তরমুজের বীজ খাওয়ার মাধ্যমে ইউরিনারি ইনফেকশন দূর হয়। যার কারনে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হতে বাঁচা যায়।

শতমূল খাওয়াঃ শত মূল খাওয়ার ফলে প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হয়। যার কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

লেবু পানিঃ লেবু পানি খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হয়। নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে অথবা কুসুম কুসুম গরম পানিতে লেবু পানি খেতে পারেন। লেবু পানি খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়।

মহিলাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা

আসুন জেনে নিই মহিলাদের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া করা অত্যন্ত কষ্টকর ও বিরক্তি কর সমস্যা। পানি কমপান অথবা মুত্রাশয়ের সংক্রমণের কারণেই বেশিরভাগ এই সমস্যা হয়। আমেরিকানে হেল্প লাইনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় প্রস্রাবের সংক্রমণ ছেলেদের চাইতে মহিলাদের অনেক বেশি।
আজকের বিষয় ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা। মহিলাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর করার ঘরোয়া উপায়।

পর্যাপ্ত পানি পানঃ পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সাধারণত ডিহাইড্রেশনের কারণে প্রস্রাবের জ্বালা পোড়া হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করার কারণে দেহ হাইড্রেট থাকে। যার কারণে প্রস্রাবের জ্বালা পোড়া নিরাময় হয়।

পর্যাপ্ত সবুজ শাকসবজি খাওয়াঃ শাকসবজিতে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। প্রচুর শাকসবজি খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। যার কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া নিরাময় হয়।

ডাবের পানিঃ ডাবের পানি খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়। ডাবের পানি মুত্র খুব তাড়াতাড়ি বাহির করার চেষ্টা করে। যার কারণে ডাবেরপানি খাওয়ার ফলে প্রস্রাবের জ্বালা পোড়া কমে।

লেবু পানি খাওয়াঃ লেবু পানি খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে। এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি অথবা কুসুম কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে। লেবুর রস মিশ্রিত করে পানি খাওয়ার ফলে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি মূত্রশয় ইনফেকশন এর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে। যার কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়াঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মুত্রাশয়ের ইনফেকশন দূর করে। যার কারণে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে।

আমলকির রসঃ আমলকির রস খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকারের মতে মূত্রাশয়ের ইনফেকশনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচিত আমলা ও বেলের শরবত পান করা। এগুলো শরবতের বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ও ইলেকট্রোলাইট রয়েছে যাহা মূত্রাশয়ের ইনফেকশন সমস্যা নিরাময় করে।

মেয়েদের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়

আজকের আর্টিকেলের বিষয় ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা । মহিলাদের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া পুরুষের চাইতে অনেক বেশি হয়। সাধারণত ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের কারণে, ইউরিনারি ইনফেকশন হওয়ার কারণে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পায়। সাধারণত মূত্রনালী দিয়ে এগুলো ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে।
শারীরিক গঠনের কারণে মহিলাদের ইউরিনারি ইনফেকশন বেশি হয়। পুরুষদের মূত্র নারীর চাইতে নারীদের মুত্রনালী অনেক ছোট। যার কারণে ব্যাকটেরিয়া খুব তাড়াতাড়ি নারীদের আক্রমণ করতে পারে। যার কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।

এছাড়াও নারীদের মূত্র দ্বার এর কাছেই মলদ্বার থাকে যার কারণে মুত্রাশয়ে ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও কর্মজীবী নারীদের বিভিন্ন টয়লেট ব্যবহার করার কারণে মুত্রাশয়ের ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণগুলো আলোচনা করা হলো।

*পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। যার কারনে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।
*মূত্রনালীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধা সৃষ্টিকারি কোন রোগ হলে। যেমন কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।
*যৌনাঙ্গ পরিষ্কার ও শুকনো না রাখলে।
*যেকোনো কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে।
*ডায়াবেটিস, এইচআইভি, সমস্যা হলে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।
*কেমো থেরাপি দেওয়া, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন, ও গর্ভধারণ করলে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।
*মূত্রথলি পুরোপুরি খালি করতে বাধা প্রদানকারী সমস্যা যেমন প্রস্টেটগ্রন্থী বড় হয়ে যাওয়া, শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা স্নায়ুতন্ত্রে কোন অসুখ হলে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।
*ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত অন্ত্রে থাকে। অনেক সময় অন্ত্র থেকে প্রস্রাবের নালীতে আক্রমণ করার কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।
*প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বড় হয়ে গেলে অথবা প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডে টিউমার হলে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়।
*অতিরিক্ত কফি পান করার মাধ্যমে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পায়।
*কিছু ওষুধ আছে যেমন ডাইইউরেটিক্স ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পর্যাপ্ত লবণ পানি বাহির হয়ে যায় যার কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পায়।

প্রসাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া বড় কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে।যার কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হলে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া নিম্নলিখিত রোগের কারণে হতে পারে।

মূত্রনালীর সংক্রমণঃ মূত্রনালীর সংক্রমণ মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি হয়। মহিলাদের মূত্রনালীর গঠন পুরুষের চেয়ে একটু ভিন্ন ধরনের। মহিলাদের মূত্রনালী অনেক ছোট যার কারণে ব্যাকটেরিয়ার আক্রান্ত বেশি হতে পারে। এছাড়াও মহিলাদের মূত্রনালী মলদ্বারের কাছাকাছি অবস্থান করে।

যার কারনে ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেক সময় কর্মমর্জীবী মহিলারা বিভিন্ন বাথরুম ব্যবহারের ফলে সেখান থেকে মূত্রনালী আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হতে পারে।

প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডঃ অনেক সময়ের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড এর সমস্যায় প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হতে পারে। পোস্টেড গ্ল্যান্ড অনেক বড় হয়ে গেলে অথবা পোস্টে গ্ল্যান্ডে টিউমারের মত সমস্যা হলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়।

যৌন সংক্রমণঃ যৌন সংক্রমনের মাধ্যমে অনেক সময় মহিলাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণ হিসাবে প্রোস্টেট নালীতে আক্রমণ এর লক্ষণ পাওয়া না গেলে বুঝতে হবে যৌন সংক্রমনের কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা  বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলে ছেলেমেয়ে উভয়ের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া এর কারণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।আজকের আর্টিকেলটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া সমস্যা পুরুষের চাইতে মহিলাদের বেশি হয়। যার কারণে আমাদের এগুলো বিষয় জানা প্রয়োজন। আজকের বিষয়টি গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। আজকের বিষয় আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। আপনাদের ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url