প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। আজ আরও লেখা হবে পেয়ারা খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা। পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা। পেয়ারা পাতার উপকারিতা।
আজকের এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের জানা প্রয়োজন। পেয়ারা অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল যা আমরা খেতে সবাই পছন্দ করি। পেয়ারাতে শর্করা, প্রোটিন, স্নেহ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলের বিষয়ে প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা। আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে পেয়ারার আদি জন্মস্থান। পেরু থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত দ্রুত পেয়ারার বিস্তার ঘটে। এছাড়াও ভারত, মেক্সিকো, ব্রাজিল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, বার্মা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ইত্যাদি দেশে ব্যাপকভাবে পেয়ারা চাষ করা হয়।
আর ও পড়ুনঃ এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর কোনটি
আমাদের দেশের মাটি পেয়ারা চাষের জন্য উপযোগী।পেয়ারা অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল যা আমরা খেতে সবাই পছন্দ করি। পেয়ারাতে শর্করা, প্রোটিন, স্নেহ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়। পেয়ারা সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
পেয়ারা খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
কোষ্ঠকাঠিন্যতা সমস্যা হলে আমাদের নানা রকম সমস্যা হয়। সাধারণত অপর্যাপ্ত পানি পান, আস জাতীয় খাবারের পরিমাণ কম এবং কম পরিশ্রমের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতোর মতো সমস্যা হয়। এছাড়াও অনেক সময় মানসিক চাপ হলে, মলত্যাগের বেগ আসার পরেও চেপে রাখার প্রবণতার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা হতে পারে।
ভারতীয় আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিদ্ধার্থ গুপ্তা ফার্মেজি ডট কম এ প্রকাশ করেছেন যে কোষ্ঠকাঠিন্যতা নিয়ে অনেকে আলোচনা করতে অস্বস্তি বোধ করেন। কিন্তু সময় মতো কোষ্ঠকাঠিন্যতার চিকিৎসা না করলে বড় সমস্যায় পড়তে হয়।
এছাড়া তিনি আরো বলেন অন্য কোন রোগের সমস্যা না হলে বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই কোষ্ঠকাঠিন্যতা নিরাময় করা যায়। আর এই কোষ্ঠকাঠিন্যতা নিরাময়ে পেয়ারা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশীয় ফল পেয়ারাতে ল্যাক্সেটিভ বা মল নিঃসরণের জন্য রেচক হিসেবে কাজ করে।
এই জন্য কারো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে টাটকা পেয়ারা রস খেলে মল নিঃসরণ ভালো হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থাকবে না। পেয়ারায় পর্যাপ্ত আস আছে যার কারণে পেয়ারা খেলে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়।
প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নিই পেয়ারার উপকারিতা গুলো। পেয়ারা অনেক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। পেয়ারা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। পেয়ারা খাওয়ার ফলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের প্রদাহ দূর করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে পেয়ারা থাকা পটাশিয়াম রক্তনালী গুলো প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
খারাপ কোলেস্টেরল অপসারণ করেঃ পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া ক্ষতিকারক কললেস্টেরল অপসারণ করে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।
শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করেঃ পেয়ারাতে লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি ও পলিফেনল রয়েছে। যার কারণে পেয়ারা খাওয়ার ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বাহির হয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ পেয়ারা পর্যাপ্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। যার কারণে পেয়ারা খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়। পেয়ারার রস পাচক তন্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়। যার কারনে পেয়ারা খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা থাকে না।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে। যার কারনে পেয়ারা খাওয়ার ফলে পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার কারণে ক্যান্সারের জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না।
দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকেঃ পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে পেয়ারার রসে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি আছে যা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো করে। এছাড়াও পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে স্কার্ভি রোগ হয় না।
দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকেঃ পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয়। পেয়ারাতে ভিটামিন এ রয়েছে যাহা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে রাতকানা রোগ থেকে বাঁচা যায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমেঃ পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি রয়েছে। যার কারণে পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। এছাড়া ভিটামিন সি থাকার কারণে রক্তনালীর প্রদাহ দূর হয়। যার কারণে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ নিয়মিত পেয়ারা খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করে নতুন কোস তৈরি করে। যার কারণে ত্বক উজ্জ্বল মোলায়েম হয় এবং ত্বকের বলিরেখা দূর হয় ও ব্রণের সমস্যা থাকে না।
চুলের যত্নেঃ নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়। পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি ৬ রয়েছে। যার কারনে পেয়ারায় ভিটামিন সি থাকায় মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভিটামিন বি সিক্স থাকার কারণে চুল লম্বা সিল্কি হয় ও চুলের ফলিকল ভালো থাকে।
মস্তিষ্কে স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ নিয়মিত পেয়ারা খেলে পেয়ারাতে ভিটামিন বি৩ বি৬ রয়েছে যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে। এছাড়াও নার্ভ সিস্টেমকে অনেক উন্নত করে।
ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমেঃ পেয়ারাতে পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে এবং গ্লাইসমিক ইনডেক্স এর পরিমাণ কম। যার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি হয়না। এছাড়াও নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্যঃ গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত পেয়ারা খেলে পেয়ারায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলিক এসিড আছে যার দ্বারা দেহের ফলিক এসিডের ঘাটতি পূরণ হয়। এছাড়াও পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চার নার্ভ সিস্টেম উন্নত হয় এবং বাচ্চাদের নিউরোজিক্যাল ডিজঅর্ডার থেকে দূরে রাখে।
রক্তস্বল্পতা দূর হয়ঃ নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন রয়েছে যা দেহের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। যার কারনে রক্তস্বল্পতা দূর হয় এবং অ্যানিমিয়া রোগ হতে বাঁচা যায়।
খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে পেয়ারা খেলে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। আজকের বিষয় প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা। খালি পেটে পেয়ারা খেলে পেয়ারার পুষ্টি উপাদান গুলো মানব দেহের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়। খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা নিম্নরূপ।
আর ও পড়ুনঃ পাকা কদবেল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
*খালি পেটে পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য তার মত সমস্যা নির্মূল হয়। বিভিন্ন চিকিৎসকের রোগীদের কে কোষ্ঠকাঠিন্যতা হওয়ার জন্য খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
*যাদের হজম সমস্যা ও এসিডিটি রয়েছে তাদেরকে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং এসিডিটি সমস্যা দূর করে।
*পর্যাপ্ত পরিমাণ আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা হৃদপিণ্ডকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতিকর এর হাত থেকে রক্ষা করে।
*খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে পেয়ারাতে ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ হতে মুক্তি দেয়।
*পেয়ারার রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতার দূর হয় যার কারণে পাইলস হলে পাইলস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
*পেয়ারায় পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে।
পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
পেয়ারা একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল যাহা খেতে সবাই পছন্দ করে। এছাড়াও এ ফল অনেক সহজ লভ্য। পেয়ারাতে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আজকের বিষয় প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা। এরপরেও পেয়ারায় অনেক অপকারিতা রয়েছে। পেয়ারার অপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
ঠান্ডা লাগা সমস্যাঃপেয়ারা অনেক ঠান্ডা জাতীয় ফল। যার কারণে বেশি পেয়ারা খাওয়ার কারণে সর্দি-কাশি সমস্যা হতে পারে। যাদের সর্দি কাশি সমস্যা ও ঠান্ডা লাগার প্রবণতা রয়েছে তাহাদের পেয়ারা না খাওয়া ভালো।
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেঃ গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী মায়েদের খুব বেশি পেয়ারা খাওয়া ঠিক না। বেশি পরিমাণ পেয়ারা খেলে শরীরের ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি হয় যার কারণে হজম সমস্যা হয়।
পেয়ারা পাতার ক্ষতিঃ বেশি পরিমাণ পেয়ারা পাতা খেলে রক্তস্বল্পতা মাথাব্যথা এবং কিডনির সমস্যা হতে পারে।
পেট খারাপ হওয়াঃ বেশি পরিমাণ পেয়ারা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। যাদের পেট খারাপ হচ্ছে তাদের জন্য বেশি পাওয়ার পেয়ারা খাওয়া ঠিক না। বেশি পেয়ারা খেলে হজম সিস্টেমের উপর খারাপ প্রভাব পরে যার ফলে হজমশক্তির দুর্বল হয়।
পেট ফুলে যাওয়াঃ বেশি পরিমাণ পেয়ারা খেলে পেট ফাপতে পারে অথবা পেট ফুলে যেতে পারে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা রয়েছে যা হজম সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। যার কারণে পেটের ফোলা ভাব ও হজমের সমস্যা হতে পারে।
দাঁতে ব্যথা হতে পারেঃ বেশি পরিমাণ পেয়ারা খেলে পেয়ারা চিবানোর জন্য দাঁতে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও পেয়ারার বিভিন্ন অংশ দাঁতের ফাঁকে লেগে থেকে দাঁতের সমস্যা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদেরঃ ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি পেয়ারা খাওয়া ঠিক না। বেশি পরিমাণ পেয়ারা খেলে রক্তে সর্করার পরিমাণ বেশি কমে যেয়ে মাথা ঘোরা, শরীর খারাপ হওয়া, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
পেয়ারার মতো পেয়ারার পাতার প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা ভালো করে ধুয়ে লবণ দিয়ে খেতে পারেন। পেয়ারার পাতা ফুটিয়ে খেতে পারেন। পেয়ারার পাতার খাওয়ার উপকারিতা নিম্নরূপ।
আর ও পড়ুনঃ পেঁয়াজ খাওয়ার ১৫টি সাস্থ্য উপকারিতা
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পেয়ারার পাতা খেতে পারেন। যাদের পেট ব্যথা গ্যাস এসিডিটি বহু সমস্যা সব সময় লেগেই থাকে তারা পেয়ারার পাতা খেলে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো রোগ হতে রক্ষা পাবেন। এক কাপ পানিতে কচি কয়েকটি পাতা ফুটিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
পেট পরিষ্কারঃ যারা প্রায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য পেয়ারা পাতা অনেক উপকারী। পেয়ারা পাতা ল্যাক্সেটিভ উপাদান সমৃদ্ধ। যার কারণে নিয়মিত পেয়ারা পাতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।
ওজন কমাতে পেয়ারা পাতাঃ যে সকল লোকেরা বিভিন্ন রকম ব্যায়াম, ইন্টারমিটৈন্ট ফাস্টিং, যৌগ ব্যায়াম, ইত্যাদি করার পরেও ওজন কমে না, তারা পেয়ারা পাতা খেতে পারেন। পেয়ারা পাতায় পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে যা মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে। যার কারণে দ্রুত মেদ কমে।
টক ও চুলের যত্নেঃ পেয়ারা পাতা তক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারণে ত্বকের বলিরেখা দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। এছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়।
পেয়ারার পুষ্টি উপাদান
১০০গাম পেয়ারাতে যে পরিমান পুষ্টি উপাদান আছে তা ছক আকারে বর্ননা করা হলো।
লেখক এর মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা বিষয় আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। আজকের আরটিকেলে পেয়ারার বিভিন্ন উপকারিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও পেয়ারার ক্ষতিকর বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে।
পেয়ারাতে কিছু চমকপ্রদ উপকারিতা রয়েছে যাহা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটি গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন। আপনাদের ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url