গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো লেখা হবে গর্ভাবস্থায় মুখে ঘা হলে করণীয়। গর্ভাবস্থায় গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ। গর্ভকালীন ঘ্রানের সমস্যা ঘরোয়া সমাধান। গর্ভাবস্থায় ঠোঁট কালো দাগ দূর করার উপায়।
আজকের এই বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের জেনে থাকা দরকার। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলের বিষয় গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন। গর্ভাবস্থায় মায়েদের বিভিন্ন রকম শারীরিক পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা খাবার খেতে পারেন না। মাঝে মাঝে বমন হয়। এছাড়া শারীরিক পরিবর্তন হয়ে অনেক সমস্যা হয়।
আর ও পড়ুনঃইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। গর্ভবতী মায়েদের এসকল সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো ব্যাপারে ভালো করে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
গর্ভাবস্থায় মুখে ঘা হলে করণীয়
অনেকের গর্ভাবস্থায় মুখে ঘা হয়। এছাড়া জিহ্বা বা ঠোঁটে ঘা হয়। অনেকেই মুখে ঘা এর জন্য ঘাবড়ে যান। ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবে মুখে ঘা হয়। আজকের আর্টিকেলের বিষয় গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন। গর্ভাবস্থায় মুখে ঘা হলে কি কি করতে হবে তার বিবরণ বর্ণনা করা হলো।
ষষ্টি মধু ব্যবহারঃ গর্ভবতীদের মুখের ঘা নিরাময় করতে ষষ্টিমধু ব্যবহার করা যায়। এক চামচ ষষ্ঠী মধু ২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। অতঃপর উক্ত পানি মুখে দিয়ে ভালো করে কুলি করুন। মুখের ঘা নিরাময় হবে।
টি ব্যাগঃ টি ব্যগ গর্ভবতী মায়েদের মুখে ঘা নিরাময় করে ও ব্যথা দূর করে। একটি টি ব্যগ ১কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। উক্ত পানি মুখের ঘা এর জায়গায় ভালো করে লাগান মুখের ঘা এর ক্ষত ও ব্যথা কমে যাবে।
নারিকেলের দুধঃ এক চামচ নারকেলের দুধের সঙ্গে কিছু মধু মিশ্রিত করে মুখের ঘায়ের স্থানে মেসেজ করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার করলে মুখের ঘা নিরাময় হবে।
তুলসী পাতাঃ একটি তুলসী পাতা সহ পানি দিনে তিন চারবার পান করতে হবে। এভাবে কয়েকদিন করলে গর্ভবতীদের মুখের ঘা নিরাময় হবে। এছাড়াও মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল অথবা অ্যালোভেরা জুস মুখের ঘা নিরাময় করে। অ্যালোভেরা জেলে অ্যান্টিসেপটিক, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল, ও এন্টিভাইরাল উপাদান রয়েছে। এজন্য এলোভেরা জেল অথবা জুস মুখের ব্যবহার করলে মুখের ঘা নিরাময় হয়।
মুখ ও জিহবা পরিষ্কার রাখাঃ প্রতিদিন দিনে দুইবার ব্রাশ করা। দুই মিনিট ধরে ব্রাশ করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ব্রা শ তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন
গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মুখে তিতা স্বাদ লাগে। সাধারণত মুখের ভিতর বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মুখের তিতা হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন আলোচনা করা হলো।
মুখের স্বাস্থ্য সমস্যাঃ নিয়মিত মুখের যত্ন না নেওয়ার কারণে দাঁতের কোনায় বহু খাদ্য কনা পচে যায়। যার কারনে মুখ অপরিষ্কার থাকে। এইজন্য মুখে তিতা লাগে।
মাড়ির রোগঃ মাড়ির বিভিন্ন রোগের কারণে মুখে তিক্ত স্বাদ হতে পারে। বিশেষ করে মাড়িদের রক্ত পড়া সমস্যার কারণে মুখের তিক্ত স্বাদ হতে পারে।
মুখে ব্যাকটেরিয়াঃ নিয়মিত ব্রাশ না করার কারণে মুখে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। মুখে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকার জন্য মুখ তেতো লাগে। এজন্য প্রতিদিন দুইবার নিয়মিত ব্রাশ করা প্রয়োজন। তাছাড়া মুখে যদি ব্যাকটেরিয়া না থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
মুখে আঘাত বা ওরাল সার্জারিঃ মুখের ভেতর কোন আঘাত পেলে বা ওরাল সার্জারি করলে মুখের রক্তপাত হওয়ার কারণে মুখ তিতো হয়। এছাড়াও যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত বাহির হওয়া বন্ধ না হবে ততক্ষণ মুখ তেতো থাকবে।
সর্দি ও সাইনাসের সমস্যার কারণেঃ সর্দি ও সাইনাস এর সমস্যার কারণে গর্ভবতীদের মুখ তিতা হয়। সাধারণত ভাইরাসের কারণে সর্দি কাশি হয়। সংক্রমণ দূর হলে মুখের স্বাদ পুনরায় ফিরে আসে।
লো ব্লাড সুগার এর কারণেঃ রক্তে যখন সুগারের পরিমাণ কম থাকে তখন মুখ তিতা হয়। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে মাঝে রক্তে শর্করা কমে যায় তখন মুখ তিতা হয়।
কিডনি রোগঃ কিডনি রোগের জন্য শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায় যা মুখের স্বাদকে প্রভাবিত করে এবং মুখ তিতা হয়। যার কারণে কিডনি রোগের কারণে মুখ তেতো হয়।
কিছু ওষুধ ব্যবহারঃ কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে মুখে তেতো স্বাদ হয়। অ্যান্টিবায়োটিক, মানসিক চাপের ওষুধ, রক্তচাপের ওষুধ, ডায়াবেটিসের ওষুধ, আয়রন ট্যাবলেট, ও বিভিন্ন ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে মুখ তেতো হয়।
ক্যান্সার থেরাপিঃ ক্যান্সার থেরাপি অথবা কেমোথেরাপি বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শ খাদ্যে এলার্জি থাকার কারণে মুখে তেতো স্বাদ হয়।
গর্ভাবস্থায় গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ
প্রায় দেখা যায় গর্ভাবস্থায় গলা শুকিয়ে যায়। এছাড়াও অনেকের মুখে দুর্গন্ধ বৃদ্ধি হয়। আজকের আর্টিকেলের বিষয় গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন। গর্ভাবস্থায় গলার শুকিয়ে যাওয়ার কারণ আলোচনা করা হলো।
কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ কিছু ওষুধ আছে যা গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ফলে গলা শুকিয়ে যায়। ওষুধ গুলির মধ্যে এন্টিডিপ্রেসেন্টস, ব্রোঙ্কোডাইলেটর, মূত্রবর্ধক রোগের ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে গলা শুকিয়ে যায়।
ডিহাইড্রেশনঃ সাধারণত গর্ভাবস্থায় আমাদের পানি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যদি পানি কম খাওয়া হয় তাহলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন হওয়ার ফলে গলার শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়।
রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধিঃ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সাধারণত একজন মহিলার চাইতে গর্ভবতী মহিলা প্রায় ৫০ ভাগ রক্ত বৃদ্ধি পায়। রক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিডনি সব রক্ত পরিষ্কার করতে পারেনা। যার কারণে কিছু রক্ত প্রস্রাব হয়ে দেহের বাহিরে চলে যায়। যার কারণে গলা শুকিয়ে যায়।
বিপাকের হার বৃদ্ধিঃ গর্ভাবস্থায় শরীরের যাবতীয় ক্রিয়া-কলাপ যেমন শক্তি উৎপাদন খাদ্যের ভাঙ্গন মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি হয়। যার কারণে শরীরে যে পরিমাণ পানি আছে তার ব্যবহারের ফলে পানির ঘাটতি হয়। আর এই কারণে গর্ভাবস্থায় গলা শুকিয়ে যায়।
গলার ক্ষত রোগঃ ক্যানডিডা আলবিকানস নামক ছত্রাকের বৃদ্ধির কারণে গলায় এক ধরনের ক্ষত হয়। এছাড়াও শরীর এই ছত্রাকের উপস্থিতির কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার কারণে গলায় ক্ষত হওয়ায় গর্ভবতীদের গলা শুকিয়ে যায়।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসঃ গর্ভবতিদের অনেক সময় ডায়াবেটিস হয় যা প্রসবের পরে আর থাকে না। ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় যার কারণে শরীরে পানির পরিমান কমে যায়। যার কারণে গলা শুকিয়ে যায়।
অ্যানিমিয়াঃ গর্ভাবস্থায় গলা শুকিয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো রক্তস্বল্পতা। রক্তস্বল্পতার কারণে গলা শুকিয়ে যাওয়া ঠোঁটের কোণে কেটে যাওয়া, জিহ্বা জালা অনুভব করা ইত্যাদি সমস্যা হয়। যার কারণে গলা শুকিয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপঃ গর্ভাবস্থায় অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। রক্তচাপ বৃদ্ধির ফলে গলা শুকিয়ে যায়।
গর্ভকালীন ঘ্রাণের সমস্যা ঘরোয়া সমাধান
গর্ভাবস্থায় খাওয়ার সময় বিভিন্ন গন্ধ অনুভব হয়। এছাড়াও বিভিন্ন গন্ধের কারণে বমন হতে পারে। আজকের আর্টিকেলের বিষয় গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন গন্ধ থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়।
সুগন্ধ যুক্ত জিনিসপত্র কাছে রাখাঃ গর্ভকালিন সময়ের বিভিন্ন গন্ধ অনুভব হয়। সুগন্ধী যুক্ত বিভিন্ন বস্তু কাছে রাখলে তাদের সুগন্ধে গন্ধ দূর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে লেবুর খোসা অথবা লেবুর রস ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও পুদিনা পাতা দারচিনি গন্ধ বমি ভাব দূর করে।
মনোযোগ সরিয়ে নেওয়াঃ কোন কিছুর গন্ধ লাগলে অন্যদিকে মনোযোগ সরিয়ে নিলে অনেকটা গন্ধ দূর হয়। যেমন গন্ধ অনুভব হলে চকলেট খাওয়া চুইংগাম খাওয়া অথবা অন্য কিছু ভাবা যেতে পারে। এছাড়াও ছোটখাটো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
জানালা খুলে ফ্যান ছেড়ে দেওয়াঃ ঘরে অবস্থানের সময় জানালা খুলে ফ্যান ছেড়ে দিলে অনেকটা গন্ধ কমে যায়। কোন কিছু গন্ধ অনুভব করলে ফ্যান ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে গন্ধ অনেকটা দূর হয়ে যায়।
সাবান ও শ্যাম্পু এর গন্ধ পরিবর্তন করাঃ সাবান ও শ্যাম্পু বিভিন্ন গন্ধ যুক্ত ব্যবহার করা প্রয়োজন। এছাড়াও মাঝে মাঝে গন্ধবিহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। এভাবে পরিবর্তনের ফলে গর্ভাবস্থায় গন্ধ দূর করা যায়।
রান্নার সময় সতর্কতা অবলম্বনঃ গর্ভবতী মেয়েদের সবচাইতে বড় সমস্যা খাবারের প্রতি গন্ধ। যার কারণে যে খাবারে বেশি গন্ধ লাগে সেগুলোর রান্না ও খাওয়া এড়িয়ে চলা। তবে বেছে বেছে খাওয়ার মাধ্যমে অল্প কয়েকটি খাবার খাওয়া ঠিক নয়।
গর্ভবতী মেয়েদের বিভিন্ন রকম খাওয়া প্রয়োজন। রান্নার সময় ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন তাহলে রান্নার গন্ধ অন্যদিকে চলে যাবে।
গরম খাবার বাদ দেওয়াঃ খাবার খাওয়া ব্যাপারে কোন গন্ধ অসহ্য সেটা পরিবারের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। গরম খাবার না খেয়ে ঠান্ডা করে খেলে খাবারের গন্ধ কম হবে। এছাড়াও খাবারের ময়লা দূর করতে গন্ধ লাগলে যে পত্রের ময়লা খাবার থাকে তা অন্যদের দ্বারা অপসারণ করতে হবে।
কাপড় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবেঃ জামা কাপড় ময়লা হলে সেখান থেকে গন্ধ আসতে পারে। যা গর্ভবতী মায়েদের সহ্য করা কঠিন হয়। জামা কাপড় সবসময় পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন।
মাস্ক ব্যবহারঃ বাড়ির আশেপাশে অনেক বস্তুই গর্ভবতী মায়েদের গন্ধ লাগে। যার কারণে গর্ভবতী মায়েরা মাস্ক ব্যবহার করলে সেগুলো গন্ধ থেকে বাঁচতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় ঠোঁট কালো দাগ দূর করার উপায়
গর্ভস্থ শিশুর বিকাশ সাধনের জন্য মায়েদের অতিরিক্ত তরল ও রক্ত তৈরি হয়। ত্বক প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে আদ্রতা কমে যায়। টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের স্কিন সেল এর প্রতিষ্ঠাতা শিভাম চাকরালা বলেন তরল ও রক্ত তৈরির পরিমাণ সাধারণ মেয়েদের চাইতে গর্ভবতীদের ৫০ ভাগ বেশি হতে পারে।
আজকের আর্টিকেল গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন। এছাড়া রক্তে অতিরিক্ত শর্করা মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়। যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যার ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। যার কারণে ত্বক সুস্ক হয় ও ঠোঁট কালো হয়। গর্ভাবস্থায় ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় গুলো আলোচনা করা হলো।
নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেল ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিক ময়েশ্চার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নারিকেলের তেল প্রদাহ নাশক ও ব্যাথা নাশক হওয়ায় ঠোঁটে নারিকেল তেল ব্যবহারের মাধ্যমে আস্তে আস্তে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়।
চাকের মমঃ চাক থেকে মম সংগ্রহ করে ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে এবং ঠোঁটের পাতলা ত্বক সুরক্ষিত রাখতে চাকের মম ব্যবহার করার ফলে উপকার পাওয়া যায়।
পেট্রোলিয়াম জেলিঃ ঠোটের আদ্রতা কমে যাওয়া দূর করতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা হয়। পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের শুষ্কতা, জ্বালাপোড়া ও ত্বক আদ্র রাখতে সাহায্য করে এবং কালো দাগ দূর করে।
কোকোয়া বাটারঃ কোকোয়া বিজ থেকে তৈরি করা হয় কোকোয়া বাটার। ইহা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা কোষের ক্ষয় কমাতে সহায়তা করে। ইহা ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়।
জোজোবা তেলঃ জোজোবা তেল ভিটামিন বি ও এ সমৃদ্ধ যাহা ত্বক সতেজ করতে ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত জোজোবা তেল ঠোঁটে ব্যবহারের মাধ্যমে ঠোঁটের আদ্রতা রক্ষা হয় এবং ঠোঁট কালো হতে রক্ষা পায়।
আর্গন তেলঃ আর্গন তেল ফ্যাটি এসিড ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। আর্গন তেল ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের আদ্রতা রক্ষা হয় এবং ঠোঁট শুষ্কতা হতে রক্ষা পায়। এছাড়া ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক গন গর্ভাবস্থায় মুখ তিতা লাগে কেন এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের ত্বকে সমস্যা হলে কি উপায়ে সেগুলো দূর করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের মুখ তিতা হলে কিভাবে সেটা দূর করা যায় সেগুলো বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আজকের আলোচিত বিষয় গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে। আজকের এগুলো বিষয়ে জানতে আজকের আর্টিকেলে ভিজিট করুন। আশা করি উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url