চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকে চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় বিষয়ে লিখতে বসলাম। এছাড়া আরো আলোচনা করা হবে চোখের এলার্জির লক্ষণ সমূহ। চোখের এলার্জি হওয়ার কারণ গুলো কি কি। এলার্জি দূর করার উপায় গুলো। এলার্জি দূর করার খাবার সমূহ। এলার্জি অত্যন্ত কষ্ট কর সমস্যা।
যে সমস্যার কারণে একটু ভালো-মন্দ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হয়। সাধারণত মুখরোচক খাদ্য গরুর মাংস ও ইলিশ মাছ থেকে সরাসরি দূরে থাকতে হয়। তাই আসুন এলার্জি মুক্ত থাকতে আজকের এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়া প্রয়োজন।
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠকগন আজকের বিষয় চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়। আজকে আমরা আলোচনা করেছি এলার্জি দূর করার বিভিন্ন উপায় সমূহ। এ ছাড়াও কিছু উপায় আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো ২১ থেকে ৩০ দিন ব্যবহার করলে চিরতরে এলার্জি দূর হয়ে যাবে। আপনি এলার্জি জাতীয় যাবতীয় খাবার খেতে পারবেন।
আর ও পড়ুনঃভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ
কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। এছাড়াও যেগুলো খাবার খেলে এলার্জি হয় না সেগুলো খাবার ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমরা যদি সচেতন ভাবে চলি তাহলে এলার্জি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। তাই আসুন এলার্জি থেকে বেঁচে থাকতে আজকেরে আর্টিকেল গুলো ভালো করে পড়ুন।
চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চোখের এলার্জি অত্যন্ত কষ্ট কর রোগ। এ সমস্যা হলে সাধারণত চোখ অনেক চুলকায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও চোখ লাল হয়ে যায়। চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় পালন করলে এলার্জি হতে মুক্তি পাওয়া যায়। ঘরোয়া উপায় গুলো হলো।
এলার্জি জাতীয় খাবার পরিহারঃ যেগুলো খাবার খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি বৃদ্ধি পায় সে সকল খাবার পরিহার করতে হবে। এই খাবার গুলোর মধ্যে হল বেগুন ইলিশ মাছ চিংড়ি মাছ গরুর মাংস ইত্যাদি। এগুলো খাবার খেলে চোখের এলার্জি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং চোখ চুলকায় ও লাল হয়ে যায়। তাই এগুলো খাবার বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
আলু ব্যবহারঃ এসটেনজেন্ট উপাদান আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে। উপাদান চোখের এলার্জি দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। চোখ চুলকানো চোখে যন্ত্রণা অথবা চোখ লাল হয়ে যাওয়া উপশম হয়। আলুগুলো পাতলা করে কাটতে হবে এবং ঠান্ডা করার জন্য ফ্রিজে রাখতে হবে।
চার ঘন্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করার পরে দুটি আলুর ফাইল ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত চোখের উপরে রেখে দিতে হবে। এভাবে দিনে দুইবার করতে হবে। তাহলে আলু থেকে এসটেনজেন্ট উপাদান গুলো চোখে প্রবেশ করবে। এভাবে কয়েকদিন করলেই চোখের এলার্জি দূর হয়ে যাবে।
গোলাপজল ব্যবহারঃ গোলাপজল চোখের এলার্জি উপশম করতে সাহায্য করে। চোখ এলার্জিতে আক্রান্ত হলে চোখে দুই তিন ফোঁটা গোলাপ জল দিয়ে দিন। ইনফেকশনের জন্য চোখে এলার্জি হলে ভালো হয়ে যাবে। গোলাপজল চোখে দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখুন। চোখ খোলা রাখলে গোলাপজল বাহিরে হয়ে যাবে।
শসা ব্যবহারঃ শসায় এন্টি ইরিটেশন প্রপার্টিজ বিদ্যমান যা চোখে জ্বালাপোড়া অথবা চুলকানি এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া ভালো করে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো শসা ভালো করে ধুয়ে চিকন করে ফালি করতে হবে। ফালি গুলো ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।
অতঃপর ঠান্ডা ফালি গুলো দুই চোখের উপর দিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এভাবে দিনে পাঁচবার করলে কয়েকদিনের মধ্যে এলার্জি দূর হয়ে যাবে।
ঠান্ডা দুধঃ একটি তুলার প্যাড নিয়ে ঠান্ডা দুধ ভরিয়ে চোখের চারিদিকে হালকা করে ঘষে দিতে হবে। অথবা ভেজা প্যাড টি চোখের উপর দশ মিনিট রেখে দিতে হবে। এভাবে সকাল বিকাল দুইবার করতে হবে। আশা করা যায় চোখের এলার্জি দূর হবে এবং চোখ চুলকানো ও লাল হওয়া হতে রক্ষা পাবে।
লবণ পানি ব্যবহারঃ এক গ্লাস পানিতে তিন চা চামচ লবণ নিয়ে ভালো করে ফুটান। পরে এ পানি ঠান্ডা হলে কটনবার নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে চোখে লাগান। এতে চোখের ভিতরের ময়লা গুলো কেটে যাবে এবং ইনফেকশন হলে তা দূর হবে। চোখে যন্ত্রণা অথবা চুলকানি আরাম হবে।
ঠান্ডা পানির ঝাপটাঃ চোখে এলার্জি হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ঝাপটা দিতে হবে। তাহলে চোখের ময়লা কেটে যাবে। চোখের যন্ত্রনা ও চুলকানি কমে যাবে।
মধু ও আমলকি ব্যবহারঃ আমলকি পাউডার করে নিন। রাতে ঘুমানোর সময় এক চামচ আমলকির পাউডার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। প্রতিদিন এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ অভ্যাস গড়ে তুললে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। শরীর ও চোখ এলার্জি মুক্ত থাকবে।
সায়েনী ব্যবহারঃ সায়েনী এক ধরনের ওষুধ। এটি দেখতে মরিচের মতো। এটি খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও শরীর থেকে টক্সিন রিলিজ হয়। যার কারণে চোখে এলার্জি উপশম হয়।
চশমা ব্যবহারঃ যদি এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে বাড়ির বাহিরে যাওয়ার সময় চশমা ব্যবহার করতে হবে। চশমা ব্যবহারের ফলে চোখে বাহিরের ময়লা চোখে প্রবেশ করতে পারে না। চোখে বাহিরের ময়লা প্রবেশ করলে এলার্জি বেড়ে যায়।
পরিচ্ছন্নতাঃ বাসা বাড়ি ও বিছানাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। চোখ বেশি চুলকানো যাবে না। বেশি সময় ধরে কম্পিউটার অথবা মোবাইলে তাকিয়ে থাকা যাবে না। বাসায় সর্বদা ধুলাবালি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
চোখের এলার্জি লক্ষণ
সাধারণত এলার্জি থাকলে অথবা এলার্জি জাতীয় কোন খাবার খেলে চোখের এলার্জি বেড়ে যায়। চোখের এলার্জি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের কিছু লক্ষণ বোঝা যায়। চোখের এলার্জি জাতীয় লক্ষণগুলো নিম্নরূপঃ
*চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
*চোখ প্রচুর চুলকায় এবং সব সময় পানি পড়ে।
*চোখ খচখচ করে এবং মনে হয় চোখে ময়লা জমেছে।
*চোখ ফুলে যায়।
*চোখের ভিতরে লাল হয়ে যায়।
এগুলো লক্ষণ বুঝলে বোঝা যাবে চোখে এলার্জি জাতীয় সমস্যা হয়েছে। ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে এলার্জি দূর করা সম্ভব। আজকের বিষয় চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়।
চোখের এলার্জি কেন হয়
চোখের এলার্জি হলে চরম অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। চোখ চুলকায় এবং লাল হয়ে ফুলে যায়। চোখের রক্তনালী গুলো প্রসারণ ঘটে যার কারণে চোখ দিয়ে পানি পড়ে। চোখের এলার্জি হওয়ার কারণগুলো বর্ণনা করা হলো।
*চর্ম রোগের কারণে।
*শুকনো চোখের সিনড্রোম।
*চোখের সংস্পর্শে আসা বিরক্তিকর।
*আক্রান্তের কারনে চোখের পাতায় প্রদাহ হয়।
*কন্ট্রাক্ট লেন্স ব্যবহারের সংক্রমনের কারণে।
*কর্নিয়ায় আলচার হলে।
*এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে যেমন ইলিশ মাছ চিংড়ি মাছ গরুর মাংস হাঁসের মাংস হাঁসের ডিম বেগুন পুঁইশাক ইত্যাদি।
*চোখে ধুলাবালি ফুলের রেনু অথবা পোকামাকড় প্রবেশ করলে।
*ওষুধ ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে।
এলার্জি দূর করার উপায়
শরীরের এলার্জি সমস্যা হলে হাত-পা ও ত্বক অত্যাধিক চুলকায়। ত্বকগুলো খসখসে হয়ে যায়। আজকের বিষয় চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়। এছাড়াও এলার্জি দূর করার জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এলার্জি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলি হলো।
টি ট্রি ওয়েল ব্যবহারঃ টিট্রি অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের ত্বক গুলো মোলায়েম হয় এবং এলার্জি দূর হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রো বিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা ত্বককে এলার্জি থেকে মুক্ত করে। ত্বকের চুলকানি ত্বক লালচে ভাব ইত্যাদি দূর করে।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার খেলে শরীরের ওজন কমে এবং হজমজনিত সমস্যা দূর করে। এছাড়াও ত্বকের চুলকানি ও লাল ভাব হয়ে যাওয়া দূর করে। এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ আপেল ভিনেগার মিশ্রিত করে নিন।
অতঃপর এই পানিগুলো একটি তুলার সাহায্যে চুলকানি ও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া অংশে ভালো করে লাগান। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করবেন। ব্যবহার করলেই ত্বকের চুলকানি ও লাল ভাব দূর হয়ে যাবে।
নারিকেলের তেল ব্যবহারঃ এলার্জির কারণে ত্বক শুষ্ক সমস্যা হয় তাহলে নারিকেল তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে এলার্জি দূর করা সম্ভব।
এক্ষেত্রে একটি বাটিতে নারিকেল তেল রেখে হালকা গরম করুন। যেখানে যেখানে এলার্জির লক্ষণ আছে সেখানে তুলা দিয়ে ভালো করে লাগিয়ে দিন। এ গুলো এক ঘণ্টায় রেখে দিন অতঃপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর পর ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি এলার্জি দূর হয়ে যায়।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ অ্যালোভেরা পাওয়া গেলে এলোভেরা থেকে জেল সংগ্রহ করে চুলকানির জায়গাগুলোতে মেসেজ করুন। এভাবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। আর অ্যালোভেরা না পাওয়া গেলে বাজার থেকে এলোভেরা জেল কিনে নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের চুলকানি ও লাল ভাব থাকবে না।
বেকিং সোডা ব্যবহারঃ ত্বকের এলার্জি দূর করতে বেকিং সোডা অনেক কার্যকর। প্রথমে তিন চামচ পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা যোগ করুন। বেকিং সোডা ও পানি মিশ্রিত করে পেস্ট করে নিন। এলার্জি জাতীয় চুলকানির জায়গা গুলোতে পেস্ট ভালো করে লাগিয়ে দিন। ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে দিনে ৩-৪ বার করবেন। চুলকানি ও লাল ভাব অর্থাৎ ত্বকের এলার্জি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও এলার্জি স্থায়ীভাবে দূর করতে একটি পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমে এক কেজি নিমপাতা নিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিবেন। অতঃপর শুকানো নিমপাতা গুলো ভালো করে পাউডার করে নিবেন।
পাউডার গুলো একটি কৌটাই ভালো করে রাখবেন। প্রথমে এক গ্লাস পানি নিবেন এবং পানির সঙ্গে এক চামচ এসবগুলের ভুষি দিবেন। এক চামচের তিন ভাগের একভাগ নিম পাতার পাউডার দিবেন। এগুলো একবারে মিশ্রিত করে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। অতঃপর পানিটুকু খেয়ে নিবেন।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার সময় তিনবার করে খাবেন। এভাবে 21 দিন খাওয়ার পরে আপনি এলার্জি জাতীয় সকল খাবার খেতে পারবেন। যেমন গরুর মাংস ইলিশ মাছ চিংড়ি মাছ হাঁসের মাংস বেগুন ইত্যাদি খাওয়ার পরেও কোন এলার্জির সমস্যা হবে না। তবে এভাবে এক মাস পরিপূর্ণভাবে খাবেন। আজকের বিষয় চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়।
চোখের এলার্জি দূর করার খাবার
চোখের এলার্জি হলে অনেক হিসাব নিকাশ করে খেতে হয়। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে খুব তাড়াতাড়ি চোখের অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তার কারণে চোখের এলার্জি দূর করার খাবার গুলো আলোচনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ ক্যালসিয়ামের অভাবে কোন রোগ হয়
ব্রকলি খাওয়াঃ শীতকালীন জাতীয় সবজি ব্রকলি অত্যন্ত ভালো খাবার। ফুড এন্ড ফাংশন নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য মতে ব্রকলি খেলে শরীরের দূষিত পদার্থ বাহির হয়ে যায়। আর এ দূষিত পদার্থের কারণে এলার্জি তৈরি হয়। যার কারণে নিয়মিত ব্রকলি খেলে এলার্জি কমে যায়।
আপেল খাওয়াঃ একটি আপেল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার এলার্জি দূর হয়ে যেতে পারে। জার্নাল মলিকিউলসে প্রকাশিত ২০১৬ সালের গবেষণার তথ্যে বলা হয়েছে আপেলে কোয়ারিসিটির উপাদান আছে যা পলিফেনোল। এ উপাদান প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। যার কারনে আপেল খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি দূর হয়।
মিষ্টি আলু খাওয়াঃ মিষ্টি আলু খাওয়া অনেক উপকারী। এলার্জি ও প্রতিরোধ করতে মিষ্টি আলুর জুড়ি নেই।
হলুদের ব্যবহারঃ রান্না কাজে সাধারণত হলুদ ব্যবহার করা হয়। রান্না করা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি প্রতিরোধ হয়।
চিয়া বিজ খাওয়াঃ বর্তমানে চিয়া বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আসিফের উপকারিতার কারণে সিট কে সুপার পাওয়ার ফুল খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। প্রতিদিন চেয়েছি খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি দূর করা সম্ভব।
মধু খাওয়াঃ নিয়মিত মধু খেলে এলার্জি সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মধু খাওয়ায় এলার্জির লক্ষণ ২৭ ভাগ কমে যায়।
রসুন খাওয়াঃ নিয়মিত সকালে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেতে পারেন। ২০১৫ সালের গবেষণায় উঠে এসেছে রসুন শুধু এলার্জির প্রভাবকে কমাতে কাজ করে না বরং এলার্জি হওয়ার প্রবণতাকে দূর করে।
লাল আঙ্গুরঃ লাল আঙ্গুর সুমিষ্ট ফল এবং সবারই পছন্দ। লাল আঙ্গুর নিয়মিত খেলে শরীরে ক্ষুধার ভাব কমে এবং এলার্জিও কমে যায়।তাই নিয়মিত এগুলো খাবার খেয়ে এলার্জি মুক্ত জীবন যাপন করা প্রয়োজন। আজকের বিষয় চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকের আর্টিকেলের বিষয় চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়। এছাড়া আরো থাকছে চোখের এলার্জির লক্ষণগুলো। চোখে এলার্জি কেন হয় সে ব্যাপারেও আলোচনা। এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়। চোখের এলার্জি দূর করার খাবার সমূহ।
এগুলো বিষয় জানতে আমাদের এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করি অনেক ভালো লাগবে। বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের আর্টিকেল শেষ করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url