পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায়

সুপ্রিয় পাঠকগন  পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। আজকের আর্টিকেলে আরো আলোচনা করা হবে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে কি করনীয়। পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন খাওয়া যাবে কি।
পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা। পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে। এগুলো বিষয়ে জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

পাতলা পায়খানা অত্যন্ত কষ্টকর সমস্যা। আজকের বিষয়  পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায়। সাধারণত বাসি খাবার খাওয়াসহ খাবারের মধ্যে কোনরকম খারাপ উপাদান যাওয়ার কারণে ডায়রিয়ার মত সমস্যা হয়। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে শরীর থেকে পর্যাপ্ত লবণ পানি বাহির হয়ে যায়।


এই অবস্থায় শুরু হলে সঠিক চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই জন্য পাতলা পায়খানা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত খাবার স্যালাইন খাওয়ানো প্রয়োজন। সঙ্গে কিছু খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন যার মাধ্যমে পাতলা পায়খানা দূর করা সম্ভব। ডায়রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

জ্বর ও পাতলা পায়খানা হলে করনীয়

জ্বর ও পাতলা পায়খানা একসঙ্গে হলে শরীর অনেক দুর্বল হয়। এছাড়াও জ্বর হওয়ার কারণে খাবারের রুচি কমে যায়। অপরদিকে পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে শরীর থেকে লবণ পানি বাহির হয়ে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়।

জ্বর ও পাতলা পায়খানা একসঙ্গে হলে এজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে। তবে পাতলা পায়খানা হলে বারবার খাবার স্যালাইন ও ডাব খাওয়া প্রয়োজন।

এই ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক খেলে নতুন করে জ্বর, পাতলা পায়খানা ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার দরকার নাই। অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ নিয়ন্ত্রণ করলে জ্বর ও পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও পরিপূরক খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে আস্তে আস্তে দুর্বলতা কেটে যাবে।

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায়

প্রিয় পাঠকগন আপনারা হয়তো জানতে ইচ্ছা পোষণ করছেন পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায়। আসুন জেনে নিই পাতলা পায়খানা হলে বারবার খাবার স্যালাইন খাওয়া প্রয়োজন।

পাতলা পায়খানা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর থেকে লবণ পানি বাহির হয়ে যায় যা খাবার স্যালাইন লবণ পানির ঘাটতি পূরণ করে। আসুন জেনে নিই পাতলা পায়খানা প্রতিরোধের উপায়।

সরিষা বীজ এর মাধ্যমেঃ সরিষা বিজে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যাহা খুব তাড়াতাড়ি পাতলা পায়খানা দূর করে। এক্ষেত্রে নিয়ম হলো এক চামচ পানিতে ১/৪ চামচ সরিষা বিজ এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এরপরে সরিষা বীজ মেশানো পানি পান করতে হবে। পাতলা পায়খানা দূর করার জন্য এভাবে ৩ থেকে ৪ বার খেলে পাতলা পায়খানা দূর হয়ে যাবে।

লেবু পানি মিশ্রিত করে খাওয়াঃ লেবুতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যাহা পাতলা পায়খানা দূর করা সহ পেট পরিষ্কার করে। আদিকাল থেকে পাতলা পায়খানা দূর করার জন্য লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম চলে আসতেছে।

এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো এক গ্লাস পানিতে একটি লেবুর রস মিশ্রিত করে এক চামচ লবণ ও ১ চামচ চিনি মিশ্রিত করুন। এই মিশ্রণটি পান করুন। পাতলা পায়খানা হতে লাগলে এভাবে এক ঘন্টা পর পর পান করুন তাহলে পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। এ অবস্থায়  তরল জাতীয় খাবার খাওয়া অনেক ভালো।

ডালিম ফলের মাধ্যমেঃ ডালিম এমন একটি ফল যা ব্যবহারের মাধ্যমে পাতলা পায়খানা দূর হয়। ডালিম বীজসহ খেলে পাতলা পায়খানা ভালো হয়। দিনে তিনটি ডালিম ফল খেতে পারেন।

এছাড়াও ডালিম ফল জুস করে খেতে পারেন। তার এক গ্লাস পানিতে কিছু ডালিমের পাতা নিয়ে ফুটাতে হবে। অতঃপর কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিবেন। এভাবে তিন থেকে চারবার খেলেই পাতলা দেখানো ভালো হয়ে যাবে।

মেথি এর মাধ্যমেঃ মেথিতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে যাহা পাতলা পায়খানা দূর করা সহ পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ মিথি বীজের গুড়া একগ্লাস পানিতে মিশ্রিত করে সকালে খেয়ে নিতে হবে। এভাবে খেলে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাবে।

মধু খাওয়ার মাধ্যমেঃ মধু খাওয়ার মাধ্যমে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়। এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু ও আধা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশ্রিত করে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। দেখবেন পাতলা পায়খানা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

দইয়ের ঘোলঃ দইয়ের ভুল ভারতে একটি স্বাস্থ্যকর জনপ্রিয় পানীয়। দইয়ের ঘোল খাওয়ার মাধ্যমে পাতলা পায়খানা ভালো হয়। এক গ্লাস ভুলে এক চিমটি গোলমলিসের গোড়া অথবা জিরার গোড়া অথবা হলুদের গুঁড়া মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। দিনে ২-৩ বার খেলে পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে।

সাবুদানার মাধ্যমেঃ সাবুদানা পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা ও হজম শক্তি বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার করা হয়। এক গ্লাস পানিতে দুই থেকে তিন চামচ সাবুদানা তিন থেকে চার ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তিন ঘণ্টা পরে সাবুদানা ছেকে পানি খেয়ে নিন। এভাবে দুই-তিনবার খেলে পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে।

পুদিনা পাতা ও মধুঃ পুদিনা পাতা ও মধু খাওয়ার মাধ্যমে পাতলা পায়খানা দূর হয়। তাজা পুদিনা পাতা পেস্ট করে এক চামচ রস বাহির করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। দুই তিনবার খেলে পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে।

বেল পাতার পাউডারঃ বেল পাতার পাউডার খাওয়ার মাধ্যমে পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যায়। ২৫ গ্রাম শুকনো বেল পাতার পাওডার ২ চামচ মধু মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। দিনে ২-৩ বার খেলে পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে।

লাউয়ের রসঃ লাউ এর রস খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের পানি স্বল্পতা দূর হয় এবং ডায়রিয়া ভালো হয়। একটি লাউ ছিলিয়ে নিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। অতঃপর ছেকে সেখান থেকে রস বাহির করতে হবে। এই রস খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয় এবং পাতলা পায়খানা ভালো হয়।

আদার পাউডার ব্যবহারঃ আদায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে যা পেটের হজম সমস্যা দূর করে এবং পাতলা পায়খানা হলে তা নিরাময় করে। এক কাপ ঘোলে আধা চামচ আদার পাওডার মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে পাতলা পায়খানা নিরাময় হবে।

কাঁচা পেঁপেঃ একটি পাত্রে তিন কাপ পানি ও কিছু পরিমাণ কাঁচা পেঁপে মিশ্রিত করে ভালো করে ফুটাতে হবে। অতঃপর ছেকে কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় পানি খেয়ে নিতে হবে। ৩-৪ বার খেলেই পাতলা পায়খানা দূর হয়ে যাবে।

পাতলা পায়খানা হলে শরীর থেকে লবণ পানি বাহির হয়ে যায়। যার কারনে শরীর অত্যন্ত দুর্বল থাকে। এইজন্য পাতলা পায়খানা হলে পূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন খাওয়া যাবে কি

ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে লবণ পানি বাহির হয়ে যায় যার কারণে শরীর অনেক দুর্বল হয়। এভাবে যদি লবণ পানি বাহির হয়ে যায় আর চিকিৎসা না করা হয় তাহলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এইজন্য ডায়রিয়া হলে নিয়মিত খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর প্রয়োজন।


ডায়রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে বাহির হয়ে যাওয়ার লবণ পানি খাবার স্যালাইনের মাধ্যমে শরীর গ্রহণ করে। তবে যাদের ডায়াবেটিস অথবা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য রাইস স্যালাইন খাওয়া প্রয়োজন। এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন আধালিটার পানিতে মিশ্রিত করে খেতে হবে।

দশ বছরে বয়সের উপর হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে এক গ্লাস খাবার স্যালাইন খেতে হবে। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুদের যত কেজি ওজন প্রতি কেজি ওজনের জন্য এক চামচ করে খাবার স্যালাইন খাওয়ানো দরকার। শিশুরা যদি বমি করে তাহলে বারবার ৩ থেকে ৪ চামচ করে খাবার স্যালাইন খাওয়াবেন।

খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি শিশুদেরকে মায়ের দুধ এবং বড়দের কে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। তবে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়রিয়া উন্নতি না হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

পাতলা পায়খানা হলে কিকি খাবার খাওয়া যাবেনা

ডায়রিয়া হলে দেহে পানি শূন্যতা তৈরি হয়। এছাড়াও পেট ব্যথা ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। সাধারণত খাবারের মাধ্যমে ফুড পয়জনিং হওয়ায় ডায়রিয়া হয়। তাই ডায়রিয়া হলে কিছু কিছু খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। যেগুলো খাওয়া যাবেনা তাহলো।

দুধ খাওয়াঃ ডায়রিয়া থেকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দুধ অথবা দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুধ খাওয়া যাবে। দুধ সাধারণত বধহজম ও গ্যাস্ট্রিক তৈরি করতে পারে। ডায়রিয়া হওয়া অবস্থায় পনির দুধ মাখন জাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো।

চা বা কফিঃ ডায়রিয়া হওয়া অবস্থায় চা অথবা কফি জাতীয় পানীয় না খাওয়া ভালো। ক্যাফেইন জাতীয় পানি খাওয়ার মাধ্যমে পেটের জ্বালা যন্ত্রণা আরো বেড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে আদা চা খাওয়া যেতে পারে।

ঝাল ও তৈলাক্ত খাবারঃ পাতলা পায়খানা হলে ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। তেলে ডুবো ভাজা খাবার ও ঝাল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পেটের পীড়া আরো বেড়ে যায়, গ্যাস ও বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মদ্যপানঃ ডায়রিয়া হওয়া অবস্থায় মদ্যপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। মদ্যপানের কারণে শরীরের হজম শক্তি সমস্যা হয়। যার কারণে ডায়রিয়া অবস্থায় মদ্যপান ও ধূমপান একেবারে বন্ধ করা প্রয়োজন।

আসুন এগুলো খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পেটের জ্বালা যন্ত্রণা অথবা গ্যাস্ট্রিক আরো বেড়ে যেতে পারে এগুলো খাবার বর্জন করি। আজকের বিষয়  পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায়।

পাতলা পায়খানা হলে কিকি খাবার খাওয়া যাবে

পাতলা পায়খানা হলে স্বাভাবিক খাবার বন্ধ করা যাবে না। পাতলা পায়খানার কারণে শরীর থেকে লবণ পানি বাহির হওয়ার মাধ্যমে শরীর দুর্বল হয়। স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পাতলা পায়খানা হলে যে যে খাবার খাওয়া প্রয়োজন সেগুলো আলোচনা করা হলো।

পানি খাওয়াঃ পাতলা পায়খানা হলে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া প্রয়োজন। বারবার পাতলা পায়খানা ও বমন হওয়ার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করার কারনে শরীরের পানি শুন্যতা দুর হয়।

দই খাওয়াঃ দই আমাদের জন্য প্রোবায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া। দই খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীতে প্রচুর উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। যা ডায়রিয়া তৈরি সহ পেটের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করা খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়াও দই খাওয়ার মাধ্যমে পেট ঠান্ডা থাকে।

কলা খাওয়াঃ কলা অত্যন্ত ভালো মানের ফল যাহাতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম রয়েছে এবং ডায়রিয়া ভালো করতে কলা অত্যন্ত ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া হওয়ার কারণে শরীর থেকে লবণ পানি বাহির হয়ে যেয়ে শরীর দুর্বল হয়।


এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কলা খাওয়ার মাধ্যমে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যার দ্বারা দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এছাড়াও কলা ফাইবার জাতীয় খাবার যা পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস প্রতিরোধ করে।

খিচুড়ি খাওয়াঃ ডায়রিয়া হলে ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিয়ে নরম খিচুড়ি খাওয়া ভালো। মুগ ডাল দিয়ে তৈরি করা খিচুড়ি খেলে পেট ঠান্ডা থাকে।

আলু খাওয়াঃ সামান্য লবণ ও সামান্য গোলমরিচের গুড়া দিয়ে আলু সিদ্ধ করে ভর্তা করে খাওয়া যেতে পারে। আলু ভর্তা খেলে ডায়রিয়া কমে যায়।

ফলের রস খাওয়াঃ বিভিন্ন খাবার খাওয়ার সঙ্গে ফলের রস খাওয়া প্রয়োজন। কমলা ডাবের পানি ডালিম ও তরমুজের জুস খাওয়া যেতে পারে। এগুলো খেলে এগুলো ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের অতিরিক্ত শক্তি পাওয়া যায়।

এজন্য আসুন ডায়রিয়া হওয়া অবস্থায় খাওয়ার খাবার খাওয়া বন্ধ না রেখে উপরোক্ত খাবার গুলো খেয়ে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাই। আজকের বিষয়  পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায়।

লেখকের মন্তব্য

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করার ১২টি উপায় বিষয়ে আজকের লেখা হয়েছে। এই আর্টিকেলে ডায়রিয়া ভালো করার পদ্ধতি। কি কি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়ার দুর্বলতা হতে মুক্তি পাওয়া যায়। এগুলো বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ডায়রিয়া হওয়ার কারণে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আজকের আলোচনার বিষয় ভালোভাবে জানতে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করি ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। আপনাদের মঙ্গল কামনা করে আজকের আর্টিকেলটি লেখা শেষ করছি।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url