প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠকগন প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা বিষয় লিখতে বসলাম। আজকের বিষয়টি সমগ্র মানব জাতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। এছাড়া আরো আছে বিকালে হাঁটার উপকারিতা। রাতে খাওয়ার পরে হাটা কেন দরকার। ৩০ মিনিট হাঁটলে কত ক্যালোরি খরচ হয়।
শরীরের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা ও হাঁটাহাঁটি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এইজন্য হাটাহাটি সম্পর্কিত বিষয়গুলো ব্যাপারে গুগল সহ অন্যান্য তথ্য থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী এই কনটেন্টটি লিখা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

অফিস আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য শেষে বাসায় এসে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। যার কারণে অতি ভোরে উঠে হাটাহাটি ও ব্যায়াম করার মত সময় হয়ে ওঠে না। প্রকৃতপক্ষে ভোরে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম এর মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।


এছাড়াও রক্তচাপের ভারসাম্যতা থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ হতে বাঁচা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সকালে হাঁটাহাঁটি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। হাটাহাটির মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। আজকে আমাদের বিষয় প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা। শারীরিক সুস্থতা রক্ষার জন্য আমরা নিয়মিত ভোরে হাঁটাহাঁটি করব।

বিকালে হাঁটার উপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠকগন আপনারা হয়তো জানতে চাচ্ছেন বিকালে হাঁটার উপকারিতা আছে কিনা। আজকে আমাদের বিষয় প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বিকেলে প্রতিদিন হাঁটলে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে আপনারা চমকে যাবেন। বিকালে হাঁটার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

ভালো ঘুম হয়ঃ বিশেষজ্ঞদের মতে ভালো ঘুমের জন্য বিকালে হাঁটা অত্যন্ত প্রয়োজন। বিকালে হাঁটার মাধ্যমে শরীর ও মন উভয় ভালো থাকে। স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য প্রতিদিন রাতে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। হাঁটার কারণে গা ঘামে এবং শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত হয়। যার কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়।

শরীরের স্ট্রেস কমায়ঃ বিভিন্ন রকম শারীরিক চাপের কারণে মন অনেক খারাপ থাকে। যার কারণে শরীরের স্ট্রেস অনেক বেশী থাকে। নিয়মিত বিকালে হাঁটাহাঁটি করার মাধ্যমে শরীরের স্ট্রেস কমানো যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাচাঃ বিকালে হাটার মাধ্যমে পাকস্থলির বিভিন্ন অঙ্গানুর কর্মক্ষমতা বাড়ে যার কারনে হজম প্রকৃয়া ভাল হয়। এই জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না।

রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন থাকেঃ বিকালে হাটার মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। যার কারনে উচ্চরক্তচাপ থেকে বাচা যায়। এছাড়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা

প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার কারণে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত হাটাহাটি করার কারণে হৃদরোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিআর কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল এইচডিআর এর মাত্রা বেড়ে যায়। আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন জানিয়েছেন নিয়মিত হাটার অভ্যাস থাকলে হৃদরোগের অনেক ঝুঁকি কমে যায়। রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকেঃ নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের এক গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। নিয়মিত হাঁটলে ২৭ ভাগ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দূর হয়।

শারীরিক সুস্থতা বাড়েঃ নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলে ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু উভয় প্রকার রোগ নিরাময় হয়। এছাড়াও ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন নিয়মিত হাঁটলে কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ নিয়মিত ৩০ মিনিট হাটাহাটি করলে শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। যদি ঘন্টায় দুই মাইল বেগে 30 মিনিট হাঁটেন তাহলে ৭৫ ক্যালোরি শক্তি ক্ষয় হবে। ঘন্টায় ৪ কিলো বেগে ৩০ মিনিট হাঁটলে ১৫০ কিলো ক্যালরি ব্যয় হবে। যার দ্বারা শারীরিক প্রজনন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকেঃ প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়। সাধারণত ৬৫ বছর বয়স বা তার ঊর্ধ্বে বয়সের প্রতি ১৪ জনের মধ্যে একজনের স্মৃতিভ্রম হয়।

অপরদিকে ৮০ বছর বয়সিদের প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজনের স্মৃতি ভ্রম হয়। নিয়মিত হাটাহাটি করার মাধ্যমে এই স্মৃতি ভ্রমের সংখ্যা ৪০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। সপ্তাহে ৬মাইল হাঁটাহাঁটি করলে স্মৃতি ভ্রম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হাড় ও জয়েন্ট এর ব্যথা কমেঃ নিয়মিত ৩০ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা কমে। হাটাহাটির মাধ্যমে জয়েন্ট গুলো সঞ্চালন হয় এছাড়াও ক্যালসিয়ামের শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। যার কারণে হাড়ের ক্ষয় রোধ হয় এবং জয়েন্ট এর ব্যাথা থাকে না।

পায়ের শক্তি বাড়েঃ হাটাহাটি করার মাধ্যমে পায়ের ব্যায়াম হয়। যার কারণে পায়ের শক্তি বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও আঙ্গুলগুলো সঞ্চালনের মাধ্যমে আঙ্গুলের অসারতা দূর হয়।

পেশি শক্তি বৃদ্ধি হয়ঃ নিয়মিত ৩০ মিনিট হাটাহাটি করার কারণে শরীরের পেশি শক্তি বৃদ্ধি হয়। হাটাহাটি ও অন্যান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশীগুলোর মাসল তৈরি হয়। যার কারণে পেশি ব্যথা ও হাড় ব্যথা এর মত সমস্যা দূর হয়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূরঃ নিয়মিত হাটাহাটির মাধ্যমে শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি হয়। পাকস্থলীর অঙ্গানু গুলো সুস্থ থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।

ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়েঃ প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটাহাটির মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচুর অক্সিজেন পাওয়া যায়। এছাড়াও হাটাহাটির কারণে শরীরের সকল অঙ্গানু গুলো ভালো থাকে। যার কারনে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।

ভিটামিন ডি সংগ্রহঃ হাটাহাটি করার সময় শরীরে সূর্যের আলোর লাগার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভালো করে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৪ হাজার ৪৪৩ জনের শরীরে ভিটামিন ডি এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয়।

যাদের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি আছে তারা অন্যান্যর চেয়ে দ্বিগুণ সময় রোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে পারে।

শরীর ও মন ভালোঃ নিয়মিত তিরিশ মিনিট হাটাহাটি করার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেয়ে শরীর ও মন ভালো থাকে। হাটাহাটির কারণে মন সতেজ হয় এবং খোলামেলা অক্সিজেন গ্রহণের ফলে শরীর ফুরফুরে মেজাজের হয়।

সৎ সঙ্গী তৈরিঃ নিয়মিত হাটাহাটির মাধ্যমে আরো অনেক সঙ্গি এর সঙ্গে একত্রিত হয়ে হাঁটা যায়। উভয়ের মধ্যে কথাবার্তা ও বিভিন্ন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শরীর প্রফুল্ল থাকে। একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার কারণে মন ও ভালো থাকে।

রাতে খাওয়ার পর হাঁটা কেন দরকার

রাতে খাবার খাওয়ার পর কমপক্ষে ১০ মিনিট হাটা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা বলেছেন রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে গেলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে শরীরের ওজন অনেক বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার পরে কমপক্ষে ১০ মিনিট হাটা দরকার। খাওয়ার পরে হাটার প্রয়োজন আলোচনা করা হলো।


*রাতে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এইজন্য রাতে খাওয়ার পরে হাটলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি হয়। যার কারণে গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা থাকে না।

*রাতে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেলে শরীরের ওজন খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। খাবারের পরে হাটাহাটি করার পরে ঘুমালে সেই ঝুঁকি আর থাকে না।

*রাতের খাবারে বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও অত্যাধিক ক্যালরি সম্পন্ন খাবার খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। রাতে খাবারের পরে হাটাহাটি করলে কিছু ক্যালোরি কমে যায়।

*যারা ডায়াবেটিস রোগী রাতে খাবারের পরে অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটবেন। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। যা হাটাহাটির মাধ্যমে পুনরায় রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ হয়।

*যাহারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগতেছেন রাতে খাবারের পরে অবশ্যই হাঁটাহাঁটি করতে হবে। রাতে খাবারের পরে হাটাহাটি করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিরাময় হয়।

*রাতে খাবারের পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটাহাটি করলে রাতের ঘুম অনেক ভালো হয়।

আজকের বিষয় প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা। রাতে খাবারের পরে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে খাবারের উপকারিতা গুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই আসুন আমরা নিয়মিত রাতের খাবারের পরে হাটাহাটি করার পরে ঘুমিয়ে যাই।

৩০ মিনিট হাটলে কত ক্যালরি খরচ হয়

হাটাহাটির অভ্যাস করা স্বাস্থ্যিএর জন্য অনেক উপকারী। হার্বার্ড হেলথ অনুযায়ী ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তি ঘন্টায় ৪ মাইল বেগে হাঁটলে৩০ মিনিটে ১৭৪ ক্যালোরি খরচ হয়। এছাড়াও হাঁটার ধরন অনুযায়ী খরচকৃত ক্যালরির পরিমাণ বাড়ানো যায়।


এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো প্রথম এক মিনিট সাধারণ গতিতে হাঁটুন পরবর্তী ৩০ সেকেন্ড দ্রুত গতিতে হাঁটুন। পুরো হাঁটার সময় এভাবে ব্যয় করুন। তাহলে অনেক বেশি ক্যালরি খরচ হবে। এছাড়াও হাঁটার সময় কোমর দোলানো দুই বাহু উঠানো নামানো অথবা নাচানাচির মাধ্যমে হাঁটলে অনেক বেশি ক্যালরি খরচ হয়।

হাঁটার সময় দুই বাহু মাঝে মাঝে ভাজ করুন অতঃপর সোজা করুন। এভাবে হাঁটার সময়টি ব্যয় করুন। তাহলে ক্যালরি অনেক বেশি খরচ হবে। তাই আসুন হাটাহাটির মাধ্যমে যত বেশি ক্যালোরি খরচ করা যায় তার চেষ্টা করি।

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগন প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। এছাড়া আরও লিখা হয়েছে বিকালে হাটার উপকারিতা। রাতে খাওয়ার পর হাঁটা কেন দরকার। ৩০মিনিটে হাঁটলে কত ক্যালরি খরচ হয়। বিষয়গুলো আমাদের প্রতিদিন চলার সঙ্গে সম্পর্কিত। শারীরিক সুস্থতা ঠিক রাখতে প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করা প্রয়োজন।

নিয়মিত হাটাহাটি করার উপকার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি আজকের আর্টিকেলে উপস্থাপন করা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। আপনাদের মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url