ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ
সুপ্রিয় পাঠকগন ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ বিষয় নিয়ে লিখতে বসলাম। এছাড়া আরো আছে ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি কোনটিতে। ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি কি রোগ হয়।
ভিটামিন এ এর অভাবে কি কি রোগ হয়। ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের তালিকা। এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এইজন্য এগুলো বিষয় জানতে আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
মানবদেহের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে ভিটামিন এ অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ এর অভাবে আমাদের জীবন অনেক সমস্যায় পড়ে যায়। সাধারণত ত্বকের যেকোনো সমস্যায় ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সকল কাজে ভিটামিন এ সরাসরি জড়িত।
আরও পড়ুনঃ চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
মানবদেহের বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন এ পর্যাপ্ত ভূমিকা রাখে। এছাড়াও শরীরের রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক রাখতে ও উচ্চ রক্তচাপ হতে রক্ষা করতে ভিটামিন এ অনেক ভূমিকা রাখে। এইজন্য আমাদের প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন এ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আজকের বিষয় ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ।
ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি কোনটিতে
ভিটামিন এ মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টি শক্তি ভিটামিন এ অনেক উন্নত করে। ভিটামিন এ সবচেয়ে কোনটিতে বেশি এ ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হলো।
মিষ্টি আলু খাওয়ার মাধ্যমেঃ মিষ্টি আলুতে প্রচুর র্পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। মেডিকেল নিউজ টুডে এর মতে মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ এর ভান্ডার রয়েছে। একটি মিষ্টি আলুতে ১৪০৩ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে।
যার কারণে একটি মিষ্টি আলু খেলে একদিনের ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। এছাড়াও মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি। মিষ্টি আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে মিষ্টি আলু খাওয়া যায়।
গাজর খাওয়ার মাধ্যমেঃ গাজর ভিটামিন এ এর উল্লেখযোগ্য উৎস। এক কাপ গাজরে ৪৫৯ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ আছে। পরিমাণ অনেক কম থাকে। এজন্য গাজর খেলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। এছাড়া গাজরের পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে। গাজর খাওয়ার কারণে হজম অত্যন্ত ভালো হয়। গ্যাস ও পেট ফাপার মত জটিলতা থাকে না। এইজন্য কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।
ভিটামিন এ এর উল্লেখযোগ্য উৎস পালং শাকঃ পালং শাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ পদার্থ ও পর্যাপ্ত ফাইবার বিদ্যমান। আধাকাপ সিদ্ধ পালং শাকে প্রায় ৫৭৩ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে।
এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা রক্ত চলাচলে সহায়তা করে উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা সমাধান করে। প্রতিদিনের ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করতে শুধু আধা কাপ পালং শাক খাওয়াই যথেষ্ট।
ব্রকোলি খাওয়ার মাধ্যমেঃ ব্রকলির মত পুষ্টি উপাদানে জাতীয় সবজি পাওয়া মুশকিল। বিশেষজ্ঞদের মতে আধা কাপ ব্রকোলিতে ভিটামিন এ এর পরিমাণ ৬০ মাইক্রোগ্রাম। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে বিদ্যমান।
যার কারণে এই সবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ব্রকলি তে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের সমস্যা ও ক্যান্সারের মতো ঘাতক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত আম খানঃ চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আম খাওয়া প্রয়োজন। একটি আমে ভিটামিনেএ এর পরিমাণ ১১২ মাইক্রগ্রাম। এছাড়াও এ ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডায়েটরি ফাইবার বিদ্যমান।
তার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে পাকস্থলীর অঙ্গানু গুলো স্বাস্থ্যকর রাখে। গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যতার দূর করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
এইজন্য উপরোক্ত খাদ্যগুলো খেয়ে দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেল ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ।
ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ
ত্বকের সমস্যাঃ ভিটামিন এ ত্বকের কোষ তৈরি করে ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। ভিটামিন এ অভাবে ত্বক খসখসে ও শুষ্ক হয়। ভিটামিন এ এর অভাবে দাদ একজিমা সহ ত্বকের অন্যান্য সমস্যা তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন ভিটামিন এ এর অভাব থাকলে এই সমস্যাগুলো আরো প্রকট হয়।
চোখের সমস্যাঃ ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে রাতকানা রোগ ভিটামিন এ এর অভাবে হয়ে থাকে। চোখের মাকুলার সমস্যা দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ভিটামিন এ এর অভাবে হয়ে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ভিটামিন এ এর অভাবের কারণে রাতকানা রোগ বেশি হয়ে থাকে।
চোখের শুষ্ক ভাবঃ ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের অন্যান্য উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত ভিটামিন এ এর অভাব হলে চোখের আংশিক অন্ধত্ব ও আস্তে আস্তে পুরো চক্ষু অন্ধ হয়ে যায়।
বন্ধ্যাত্ব সমস্যাঃ ভিটামিন এ এর অভাবে পুরুষ ও মহিলাদের প্রজনন সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন এ এর অভাবে নারীদের বন্ধ্যাত্ব হয়। অপরদিকে পুরুষের প্রজনন শক্তি ভিটামিন এ এর অভাবে চরম বাধাগ্রস্ত হয়।
ইউমিনিটি শক্তি বৃদ্ধিঃ ভিটামিন এ এর অভাবে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কয়েকটি গবেষণায় জানা যায় শিশুদের বৃদ্ধি ভিটামিন এ দ্রুত করে।
বুকে ও গলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়ঃ ভিটামিন এ এর অভাবে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে রক্তের মাত্রা ও শ্বাসযন্ত্র সংক্রমনের হাত থেকে ভিটামিন এ রক্ষা করতে পারে।
ক্ষত নিরাময়েঃ বিভিন্ন ক্ষত অথবা ঘা ভিটামিন এ এর অভাবে শুকাতে বিলম্ব হয়। সাধারণত অপারেশন অথবা আঘাতে ক্ষতগুলো তাড়াতাড়ি নিরাময়ে ভিটামিন এ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ত্বকের কলাজেন তৈরিতে ভিটামিন এ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এ এর অভাবে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত তৈরি হতে পারে।
অতএব বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দূর করার জন্য শারীরিক চাহিদের মতো ভিটামিন এ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়
ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়। যার কারণে শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এরপরেও ভিটামিন এ এর অভাব হলে শিশুদের নিম্নলিখিত সমস্যা হয়।
*শিশুদের রাতে দেখার স্বল্পতা অথবা দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া ভিটামিন এ এর কারনে হয়।
*ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের চোখের রেটিনা ও কর্নিয়া ক্ষত সৃষ্টি করে। যার ফলে শিশুদের অন্ধত্ব হয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বে প্রতিবছর ভিটামিন এ এর অভাবে ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ শিশু অন্ধ হয়ে যায়। যার মধ্যে অর্ধেক অন্ধত্ব হওয়ার এক বছরের মধ্যে মারা যায়।
*ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয় এমন কি ব্যাঙের ত্বকের মতো শিশুদের ত্বক হয়ে যেতে পারে।
*ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়।
*ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। যার কারনে দেখতে রোগা রোগা মনে হয়।
*ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের শ্বাসযন্ত্র ও মূত্রনালী সহ বিভিন্ন অঙ্গের সংক্রমণের সমস্যা তৈরি হয়।
যার কারণে শিশুদেরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ পূরণ করার জন্য ভিটামিন এ জাতীয় খাবার দেওয়া প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেল ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ।
ভিটামিন এ এর অভাবে কোন রোগ হয়
ভিটামিন এ এর অভাবে শরীর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভিটামিন এ এর অভাবে অনেক রোগের বিস্তার হয়।
রাতকানা রোগঃ ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। অর্থাৎ দিনের বেলায় দেখতে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু রাতে দেখতে অনেক সমস্যা হয়।
আরও পড়ুনঃ ১০০০ ওয়াট সোলার প্যানেলের দাম কত
রক্তস্বল্পতাঃ ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরে আয়রন কাজ করে না। রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি হয় না। যার কারণে অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভিটামিন এ এর অভাবে রক্তস্বল্পতা হয়।
বলিরেখা তৈরি হয়ঃ ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বকের অনেক সমস্যা তৈরি হয়। ত্বকের বলি রেখা বার্ধক্যের ছাপ ইত্যাদি তৈরি হয়। যা ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ হলে ভালো হয়ে যায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়েঃ দেখা গেছে ভিটামিন এ এর অভাবে ২১ ভাগ মানুষের শরীরে টিউমার অথবা ত্বকের টিউমার হয়। এই জন্য ভিটামিন এ এর উৎসের খাবারগুলো ভালো করে খেয়ে ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করতে হবে।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের তালিকা
ভিটামিন এ এর অভাব দূর করার জন্য ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেলে ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হয়। আজকের বিষয় ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ। যে সকল খাদ্যে ভিটামিন এ রয়েছে তার তালিকা দেওয়া হল।
গাজর খাওয়ার মাধ্যমেঃ গাজরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। গাজর কে বলা হয় ভিটামিন এ এর খনি। এক কাপ গাজরে ৪৫৯ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। প্রতিদিন একটি গাজর খেলে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
পালং শাক খাওয়ার মাধ্যমেঃ পালং শাক কে ভিটামিন এ এর খনি বলা হয়। পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। আধা কাপ সিদ্ধ পালং শাকে ৫৭৩ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক একদিনের ভিটামিনএ এর চাহিদা পূরণ করে। এইজন্য পালং শাক খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হয়।
মিষ্টি আলু খাওয়ার মাধ্যমেঃ মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। একটি মিষ্টি আলুতে ১৪০৩ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। যা একজন প্রাপ্তবয়স্কের ১ দিনের ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করে।
মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার মাধ্যমেঃ মিষ্টি কুমড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ বিদ্যমান। বিটা ক্যারোটিন যুক্ত মিষ্টি কুমড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে যা রাতকানা রোগ হতে রক্ষা করে। তাই ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করার জন্য মিষ্টি কুমড়া খাওয়া প্রয়োজন।
জাম্বুরা খাওয়াঃ জাম্বুরায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে ও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার হয়। জাম্বুরা গোলাপি কালার অথবা সাদা উভয়তেই ভিটামিন এ রয়েছে।
কলিজা খাওয়াঃ সবরকম প্রাণীর কলিজাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ রয়েছে। ১০০ গ্রাম গরুর কলিজাতে ১৯৫০ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। ১০০ গ্রাম ছাগলের কলিজাতে ১৭১০ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে ও ১০০ গ্রাম মুরগির কলিজাতে আরো বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। এইজন্য ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণের জন্য কলিজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দুধ খাওয়ার মাধ্যমেঃ সন্তানকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও বয়স্ক পুরুষ ও মহিলার জন্য প্রত্যেকদিন দুধ খাওয়া প্রয়োজন। এক কাপ দুধে ১১২ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। নিয়মিত দুধ খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হয়।
মাখন খাওয়াঃ মাখনে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ রয়েছে। এই কারনে সকালের নাস্তায় অথবা অন্য সময় আপনি মাখন খেতে পারেন।
কড লিভার অয়েলঃ কড লিভারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। ১০০ গ্রাম কড লিভারে ৯০০০ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ বিদ্যমান। ভিটামিন এ এর ক্যাপসুল গুলো কড লিভার হয়ে থাকে।
ডিম খাওয়াঃ ডিমে অন্যান্য উপাদানের সাথে ভিটামিন এ রয়েছে। হাঁস-মুরগি অথবা কোয়েল পাখি উভয় দিবেই ভিটামিন এ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন দুম্বার মাংসের উপকারিতা
আম খাওয়াঃ আমে অন্যান্য উপাদানের সাথে ভিটামিন এ বিদ্যমান। একটি আমে ১১২ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। তাই ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণের জন্য আম খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খেতে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
টমেটো খাওয়াঃ টমেটোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। ১০০ গ্রাম টমেটোতে ১৩ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো হল।
১০০ গ্রাম খাদ্যে ভিটামিন এ এর পরিমাণ সহ বর্ণনা করা হলো।
*কালো কচু শাক =২০০০ আই ইউ।
*হেলেঞ্চা শাক =১৩৬৭ আই ইউ।
*সাজিনা পাত =১২৫৭ আই ইউ।
*পুঁইশাক =১২৪০ আই ইউ।
* লাউ শাক =১১৯৯ আই ইউ।
* ধনিয়া পাতা =১১৫৩ আইইউ।
*পাট শাক =১১৫৩ আই ইউ।
*লাল শাক =১০৫৫ আই ইউ।
*থানকুনি পাতা =২০১৭ আই ইউ।
*ডাটা শাক =১০০০ আই ইউ।
*মিষ্টি আলু শাক =৮৬৩ আই ইউ।
*মুলা শাক =৬৬১ আই ইউ।
*সরিষা শাক =৪৩৭ আই ইউ।
*মিষ্টি কুমড়াশাক =৩৭৪ আই ইউ।
*কলমি শাক =৩৩০ আই ইউ।
*বুথিয়া =২৯০ আই ইউ।
*পুদিনা শাক =২৭০ আই ইউ।
*সাজিনা =১২৫ আই ইউ।
*মলা মাছ =১৯৬০ আই ইউ।
*ঢেলা মাছ =৯৩৭ আইইউ।
*মুরগির মাংস =২৫৩ আই ইউ।
আশা করি আমরা নিয়মিত এই সকল খাবার খেয়ে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করব। আজকের বিষয়ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ।
কোন বয়সে কত ভিটামিন এ এর প্রোয়োজন
লেখক এর মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকের বিষয় ভিটামিন এ এর অভাব জনিত লক্ষণ। এছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি কোনটিতে। ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ। ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি কি রোগ হয়। ভিটামিন এ এর অভাবে কোন রোগ হয়। ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের তালিকা।
এগুলো বিষয় আমাদের দৈনন্দিন দেহের সঙ্গে জড়িত। এইজন্য এগুলো বিষয় খুব ভালো করে জানা প্রয়োজন। জানতে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url