প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠকগন প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায় বিষয়ের উপর লিখতে বসলাম। আজকের আর্টিকেলে আরো আছে পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার ১০ টি কারণ। ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের উপায়। ফোটা ফোটা প্রস্রাব কেন হয়।
প্রস্রাবের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়। এগুলো ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী জানার জন্য আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
ভূমিকা
প্রস্রাবের সমস্যা একটি সাধারন সমস্যা। যার কারণে প্রস্রাবগুলো নিয়মিত ও ক্লিয়ার করা প্রয়োজন। আজকের বিষয় প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায়। প্রস্রাবের ইনফেকশন অত্যন্ত মারাত্মক সমস্যা। প্রস্রাবের সমস্যার কারণেই কিডনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়
সাধারণত কিডনির পাথর অথবা কিডনি ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না। আসুন প্রস্রাব ক্লিয়ার করার জন্য আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করি। ঘরোয়া নিয়ম পালন করার মাধ্যমে প্রস্রাবের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো জানতে চান প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি। প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে শারীরিকভাবে অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। এছাড়াও পবিত্রতা অর্জনের ব্যাপারে দ্বিধা সংকোচ তৈরি হয়। প্রকৃতপক্ষে প্রস্রাব ক্লিয়ার রাখা প্রয়োজন। প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। তাই আসুন প্রস্রাব ক্লিয়ার করার উপায় গুলো জেনে নিই।
মূত্রনালীর সংক্রামনঃ প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার সাধারণ কারণ হলো মূত্রনালীর সংক্রামণ। মূত্রনালীতে ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের কারণে মূত্রনালীর সংক্রমণ তৈরি হয়। মুত্রনালীর সংক্রামনের চিকিৎসা করলে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়।
ডিহাইড্রেশনঃ ডিহাইড্রেশনের জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকে না। তখন প্রস্রাব হলুদ বর্ণের ও গাড়ো হয়। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পানি খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যাবে।প্রস্রাব ক্লিয়ার হবে।
লেবুর শরবতঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ লেবুর শরবত খেতে হবে। লেবুর শরবত খেলে কিডনির পাথর অপসারিত হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত লেবু পানি খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। পর্যাপ্ত লেবু পানি খাওয়ার কারণে প্রস্রাবের দারের ইনফেকশন ভালো হয় এবং প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়।
ক্র্যানবেরি জুসঃ ক্র্যানবেরি জুস প্রস্রাব ক্লিয়ার করতে সহায়তা করে। এ জুস খাওয়ার জন্য ইউরিনারি ফাংশান উন্নত করে। এ জুস ইউরিনারিতে ইনফেকশন প্রতিহত করে। তবে সর্বদা ফরমালিন বিহীন ক্যানবেরি জুস ব্যবহার করা প্রয়োজন।
পার্সলে চাঃ পার্সলে চা শরীরের মূত্র বর্ধক হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস গরম পানিতে পার্সলে চা এর তাজা পাতা অথবা শুকনা পাতা মিশ্রিত করতে হবে। অতঃপর এ চা খেয়ে নিতে হবে। তাহলে শরীরের ফোলা ভাব ও প্রস্রাব ক্লিয়ার করার কাজে সহায়তা করবে।
ডেন্টালিয়ন চাঃ একটি ভেষোজ উদ্ভিদ যা শরীরের মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এ চা খাওয়ার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায় এবং প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়। সব ভালো প্রস্রাব ক্লিয়ার করার জন্য এ গাছের পাতা শিকড় ও ফুল ব্যবহার করা হয়।
তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমেঃ তরমুজ একটি সুস্বাদু ও পানি জাতীয় ফল। এ ফলে পর্যাপ্ত উপকারিতা রয়েছে। তাই তরমুজকে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা বলা হয়। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীরের সমস্যা দূর করে এবং শরীরের শর্করা ও পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যার কারনে তরমুজ খেলে প্রচুর প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়।
বার্লি পানিঃ বার্লি পানি অত্যন্ত উপকারী এবং কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ও প্রস্রাব ক্লিয়ার করে। একটি পাত্রে পানি দিয়ে বার্লি সিদ্দ করুন। বার্লিতে যে পানি থাকে সেই পানি খেয়ে নিন। বার্লি পানি খাওয়ার কারণে শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়। ইউরিনারি ফাংশান উন্নত করে এবং প্রস্রাব ক্লিয়ার করে।
ভিটামিন সি গ্রহণঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়। ভিটামিন সি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং প্রস্রাব ক্লিয়ার করে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার কমলালেবু স্ট্রবেরি ক্যাডবেরি ক্যাপসিকাম ইত্যাদি যা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পর্যাপ্ত শাকসবজি খাওয়াঃ পর্যাপ্ত শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে শরিরের টক্সিন গুলো বাহির হয়ে যায়। এছাড়াও শরীর হাইড্রেড থাকে। যার কারনে পর্যাপ্ত শাকসবজি খেলে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়।
ধনেপাতাঃ কিছু পরিমাণ ধনেপাতা পানিতে দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান ফুটিয়ে নিন। অতঃপর এই প্রানিগুলো কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিতে হবে। তাহলে শরীরের টক্সিন বাহির হয়ে যাবে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও প্রস্রাব ক্লিয়ার করে।
পুদিনা পাতাঃ একটি পাত্রে এক গ্লাস পানি নিয়ে তাতে কিছু পরিমাণ পুদিনা পাতা নিয়ে পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো পানি একটা গ্লাসে ছেঁকে নিয়ে কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন। খুব তাড়াতাড়ি কিডনির কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে ও প্রস্রাব ক্লিয়ার হবে। অতএব আসুন এগুলো ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে প্রস্রাব ক্লিয়ার এর ব্যবস্থা করি।
পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার ১০টি কারণ
প্রিয় পাঠকগণ প্রস্রাব এর সমস্যা আমাদের জন্য আত্মঘাতী সমস্যা। কারণ প্রস্রাবের যেকোন সমস্যা থেকেই কিডনি সমস্যা শুরু হয়। প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার ১০টি কারণ উল্লেখ করা হল।
মূত্রনালীর সংক্রমণঃ প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার সাধারণ কারণ হলো মূত্রনালীর সংক্রমণ। সাধারণত ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া আক্রান্তের কারণে মূত্রনালীর সংক্রমণ হয়।
ডিহাইড্রেশনঃ ডিহাইড্রেশন এর কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না। এই অবস্থায় প্রস্রাব হলুদ ও গাড়ো হয়।
প্রোস্টেড সমস্যাঃ পুরুষদের প্রোস্টেড গ্রন্থি সমস্যার কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না। যেমন প্রোস্টেট ইনফেকশন প্রোস্টেড বৃদ্ধি ও প্রোস্টেড ক্যান্সার এর মত সমস্যার কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।
কিডনি সমস্যাঃ কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না। যেমন কিডনিতে ইনফেকশন কিডনিতে পাথর অথবা কিডনির কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।
লিভারের সমস্যাঃ লিভারের বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না এবং প্রস্রাব গাড়ো হয়। যেমন হেপাটাইটিস লিভার সিরোসিস লিভার ক্যান্সার ইত্যাদির কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।
ডায়াবেটিসঃ ডায়াবেটিস রোগীদের প্রস্রাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা থাকে। যার কারণে প্রস্রাব গাড়ো হয় এবং প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।
স্নায়ু সমস্যাঃ মেরুদন্ডের আঘাত অথবা স্নায়ুর কোন ক্ষতি হলে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।
মূত্রনালির পাথরঃ মূত্রনালীতে পাথর হলে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়না। মূত্রনালীতে পাথর হলে মূত্রনালী জ্বালাপোড়া মূত্রনালীতে পাথর থাকায় ঘন ঘন পেশাবের মত সমস্যা হয়।
ট্রমাঃ অভ্যন্তরীণ প্রসাবের দ্বারে কোন বাধার সৃষ্টি হলে অথবা কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ সাধারণত বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার জন্য ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না। এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ হয় এবং প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।
প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে প্রসাবের দারে অত্যন্ত ব্যথায এবং পেট পর্যন্ত ব্যথা শুরু হয়। প্রস্রাব ক্লিয়ার না হলে ঘরোয়া উপায় গুলির মাধ্যমে প্রস্রাব ক্লিয়ার করা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলের বিষয় প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২ টি ঘরোয়া উপায়।
ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের উপায়
প্রস্রাব ক্লিয়ার না হয়ে ফোটা ফোটা প্রস্রাব হলে অনেক সমস্যা হয়। বিশেষ করে পবিত্রতা অর্জনের জন্য অনেক সমস্যা হয়। আসুন আমরা জেনে নিই ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধ করার উপায়। ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের দুটি দিক আছে। একটি হল প্রাকৃতিক ব্যায়াম এবং অন্যটি চিকিৎসা। নিয়মিত চার থেকে ছয় সপ্তাহ ব্যায়াম করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা
সাথে সাথে কিছু খারাপ অভ্যাস বাদ দিতে হবে। খারাপ অভ্যাস হলো ধুমপান এবং রাত্রি জাগরণ। এগুলো বদ অভ্যাস থাকলে খুব দ্রুত পরিত্যাগ করতে হবে। মূত্রথলির মাংসপেশিগুলো শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম হলো প্রথমে একটি চেয়ারে বসতে হবে। এরপরে মেরুদণ্ড সোজা করে একটু সামনের দিকে হেলে যেতে হবে।
এরপরের প্রস্রাব ধরে রাখার জন্য মাংসপেশিগুলো সংকুচিত করে রাখতে হবে। এভাবে দশ সেকেন্ড রাখতে হবে। এরপরের সংকোচিত মাংস পেশি ছেড়ে দিতে হবে। এভাবে পাঁচ থেকে দশ বার করতে হবে। আশা করা যায় চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ফোটা ফোটা প্রস্রাব দূর হয়ে যাবে।
প্রস্রাব হওয়ার পাঁচ থেকে সাত মিনিট আগেই প্রস্রাব করুন। যাতে প্রস্রাব আটকে ধরে রাখতে না হয়। এরপরেও ফোঁটা ফোটা প্রস্রাবের অবস্থা যদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা ভালো। আজকের বিষয় প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায়।
ফোটা ফোটা প্রস্রাব কেন হয়
ফোটা ফোটা প্রস্রাব হলে শরীর পবিত্র রাখা কষ্টকর হয়। আসুন কেন ফোটা ফোটা প্রস্রাব হয় জেনে নিই।
মুত্রাশয় খালি না হওয়াঃ অনেক সময় প্রস্রাব হওয়ার সময় মুত্রাশয় খালি না হয়ে কিছু প্রস্রাব আটকে থাকে। যার কারণে পরবর্তীতে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হয়।
দুর্বল পেলভিক বেশিঃ পেলভিক পেশি দুর্বতার কারণে কিছু প্রস্রাব আটকে থেকে ফোঁটা ফোটা হয়ে বাহিরর হয়। যার কারণে ব্যায়ামের মাধ্যমে পেসি গুলো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
প্রোস্টেট সমস্যাঃ প্রোস্টেট সমস্যার কারণে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হয়। পুরুষদের পোস্টেট গ্রন্থির সমস্যার কারণে ফোটা ফোটা প্রস্রাব হয়। যেমন প্রোস্টেট ইনফেকশন প্রোস্টেট বৃদ্ধি ও প্রোস্টেট ক্যান্সার এর মত সমস্যার কারণে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হয়।
মূত্রাশয় এর গঠন অস্বাভাবিক হলেঃ সাধারণত মূত্রনালীর গঠন অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলে ফোটা ফোটা প্রস্রাব হয়।
তাই আসুন নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে ফোটা ফোটা প্রোস্রাব দূর করে প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ব্যবস্থা করি।
প্রস্রাবের সমস্যা দূর করার উপায়
সাধারণত ইকোলায় ব্যাকটেরিয়ার কারণে প্রস্রাবের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। এছাড়াও কিডনির সমস্যা অথবা প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যার কারণেও প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। সমস্যা হলে সেগুলো ঘরোয়া উপায় ভালো করা সম্ভব। আজকের বিষয় প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায়।প্রস্রাবের সমস্যার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন।
আরও পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়ে যায়। আমলকি, টমেটো, কমলা লেবু, বাঁধাকপি, ব্রকলি, জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন সি এর চাহিদা পুরন হয়। শরীরের প্রদাহ দুর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রস্রাবের সমস্যাগুলো দূর করে।
ক্যানবেরি জুসঃ বেরি জাতীয় ফল থেকে এ জুস তৈরি করা হয়। ক্যানবেরি জুস খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
ব্রেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা গুলো বাড়িতে বিভিন্ন রকম নাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। বেকিং সোডা খাওয়ার মাধ্যমে প্রসাবের সমস্যা দূর করা যায়। এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ বেকিং সোডা নিয়ে মিশ্রিত করে পানি খেয়ে নিতে হবে। এভাবে দুই-তিন দিন খেলে প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আদা ও রসুনঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ সবসময় আদা ও রসুন খেতে বলেন। এই দুইটি উপাদানেই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। তাই এই দুই সবজি নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। এই দুই সবজি খেলে প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়।
আনারসঃ আনারস মূত্র বর্ধক হিসেবে খুব ভালো ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আনারস খাওয়ার মাধ্যমে প্রস্রাবের সমস্যা গুলো দূর করা যায়।
পানিঃ পানির অপর নাম জীবন বলা হয়। পানি পান করলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়। যার কারণে প্রস্রাবের সমস্যা গুলো দূর হয়ে যায়।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠকগণ প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ১২টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলে আরো আছে পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার ১০ টি কারণ। ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের উপায়।
ফোটা ফোটা প্রস্রাব কেন হয়। প্রস্রাবের সমস্যা দূর করার উপায়। এগুলো বিষয়ে ভালো ভাবে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করি ভালো লাগবে। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url