বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি

সুপ্রিয় পাঠকগণ বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলটি লেখা শুরু করলাম। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আরো লেখা শুরু করা হবে রাজশাহী জেলার প্রাচীন ইতিহাস। রাজশাহীর বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান। রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহ। রাজশাহী জেলার থানা সমূহ। 
আজকের আর্টিকেলে রাজশাহীর যাবতীয় তথ্য সহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করা হবে।এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।    

ভূমিকা

বাংলাদেশের বিভাগ গুলোর মধ্যে অন্যতম বিভাগ হল রাজশাহী। এছাড়াও রাজশাহী জেলা বায়ু দূষণ ও ঝামেলা মুক্ত শহর। এছাড়াও এ শহরে পর্যাপ্ত গাছপালা থাকার জন্য রাজশাহী শহরের বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ কম এবং অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি।
যাহার কারণে রাজশাহী শহরে বসবাসকারীরা অনেকটাই বায়ু দূষণের হাত থেকে বাঁচতে পারেন। এছাড়া রাজশাহী শহরে অবস্থিত জনসাধারণ রাজশাহী শহরকে পরিস্কার ও দূষণমুক্ত রাখার জন্য অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজকের বিষয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি। এ বিষয়ে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

রাজশাহী জেলার প্রাচীন ইতিহাস

রাজশাহী জেলা উত্তরবঙ্গের প্রাচীনতম শহর ও মেট্রোপলিটন নগরী। ইহা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত বিভাগীয় শহর। রাজশাহী শহরের নাম রাজশাহী কেন হল এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। রাজশাহীর পূর্বে এখানকার নাম ছিল মহাকাল গড়। পরবর্তীতে রূপান্তরিত হয়ে রামপুরা বোয়ালিয়া নাম হয়।

পরবর্তীতে আবার রামপুরা বোয়ালিয়া থেকে রাজশাহী নামকরণ করা হয়। ঐতিহাসিক ব্লগম্যানের মতে ১৫ শত খ্রিস্টাব্দে গৌড়ের মুসলিম সালানাত এই জেলার জমিদার রাজা গণেশ কর্তৃক দখল করার সময় থেকে রাজশাহী নামকরণ হয়েছে। রাজশাহী জেলার দক্ষিনে পদ্মা নদী ও কুষ্টিয়া জেলা অবস্থিত।

পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা অবস্থিত। পূর্বে নাটোর জেলা অবস্থিত। দক্ষিণের নওগাঁ জেলা অবস্থিত। প্রথমে রাজশাহী পৌরসভা ছিল। ১৯৯০ সাল থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ছয়টি থানায় বিভক্ত। থানাগুলো হলঃ

*বোয়ালিয়া।
*রাজপাড়া।
*শাহমখদুম।
*মতিহার।
*কাশিয়াডাঙ্গা।
*চন্দ্রিমা।

এছাড়া ওয়ার্ড সংখ্যা ৩০ টি মহল্লা ১৩৪টি সংসদীয় আসন একটি ও একটি কারাগার রয়েছে। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি

বাংলাদেশের মধ্যে পরিবেশ দূষণমুক্ত, ঝামেলা মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন শহর হল রাজশাহী মহানগরী। রাজশাহী শহরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্বল্প সময়ে কম খরচে যাতায়াত করা যায়। অটো অথবা রিক্সায় রাজশাহী জনপদের জন্য ভালো বাহন। যাহারা রিক্সা অথবা অটোতে চলাফেরা করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রাজশাহী শহর অনেক মনোরম।

রাজশাহী শহরের বায়ুর দুষন অনেকটা কমে গেছে। সাধারণত রাজশাহীর রাস্তাঘাটে ময়লা কাগজপত্র জমতে পারে না। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে রাস্তাঘাটে ময়লাগুলো খুব তাড়াতাড়ি অপসারণ হয়। এছাড়া রাজশাহী শহরবাসী ময়লাগুলো এক জায়গায় জড়ো করে রাখেন যাহা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়ে যায়।

রাজশাহী শহরের প্রত্যেকটি রাস্তা চারলেনের। প্রত্যেকটি রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডেড রেখে সেখানে বিভিন্ন রকম গাছ লাগানো হয়েছে। এক কথায় বলা যায় রাজশাহীর শহর সবুজ শ্যামল গাছের শহর। এছাড়াও রাজশাহী শহরের প্রতিষ্ঠানগুলো এবং পার্ক ও লোকসমাগমের জায়গা গুলো সব সময় পরিষ্কার থাকে।

রাজশাহীর প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান অনেক ভালো যার কারণে দেশ ও বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা রাজশাহীতে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে আসে। এছাড়া রাজশাহী শহরকে সৌন্দর্যমন্ডিত করার জন্য সিটি কর্পোরেশন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। 

রাজশাহী শহরের রাস্তাগুলোতে দিনের পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে রাত্রিতে শক্তিশালী বাল্বের সাহায্যে আলোক উজ্জ্বল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাহার কারণে দিনের পাশাপাশি রাতেও রাজশাহী শহরের প্রত্যেকটি রাস্তা আলোকিত হয়ে থাকে। 

যাহার কারণে আমরা এক বাক্যে বলতে পারি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি  এর উত্তর রাজশাহী শহর। অর্থাৎ বাংলাদেশের মধ্যে সৌন্দর্যমন্ডিত ও পরিচ্ছন্ন শহর হল রাজশাহী।

রাজশাহীর বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সমৃদ্ধ রাজশাহী শহর এর বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। যেগুলো ভ্রমণের মাধ্যমে অনেক আনন্দ ও শিক্ষা পাওয়া যায়। রাজশাহীর বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থানগুলো আলোচনা করা হলো।

সাফিনা পার্কঃ রাজশাহীর জেলার গোদাগাড়ী থানার অন্তর্গত খেজুর তলায় চল্লিশ বিঘা জমির উপরে ২০১২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি পার্ক তৈরি করা হয়েছে। যে পার্কে ভ্রমণের মাধ্যমে ভ্রমণ পিপাসুদের আনন্দ দেয়। এই বিনোদন পার্ক ২০১৮ সাল থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য চালু করা হয়।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানাঃ পদ্মা নদীর ধারে ৩২.৭৬ একর জায়গা মিলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়েছে। এই চিড়িয়াখানার পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। বিভিন্ন প্রকার গাছের কারণে এখানকার পরিবেশ বায়ু দূষণমুক্ত।
১৯৭২ সালে শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান সড়কের কাছে রাজশাহী চিড়িয়াখানার নির্মাণ কাজ শুরু হলে ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ সালে রাজস্ব বিভাগের অনুমতিক্রমে চিড়িয়াখানার পাশাপাশি শিশু পার্ক এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।

বরেন্দ্র জাদুঘরঃ রাজশাহীর শহরের মাঝখানে ও রাজশাহী কলেজের পাশে বরেন্দ্র জাদুঘর হল বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এখানে প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের তালিকায় এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম।

১৯১০ সালের নাটোরের দিঘাপতির জমিদার শরৎকুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয় কুমার মৈত্র, ও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্র, ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নিদর্শন সংগ্রহ করে একটি সমিতির মাধ্যমে ৩২ টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। ১৯১৩ সালে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর এর নিজস্ব ভবনের যাত্রা শুরু হয়।

শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালাঃ উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠেছে শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা। ১৯৭৬ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার কমপ্লিট কমপ্লেক্স এ এই সংগ্রহশালাটির যাত্রা শুরু হয়।

শিশু পার্কঃ রাজশাহী জেলা সদরের নওদাপাড়ায় বড় বনগ্রামে বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এই শিশু পার্ক ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয়। এই শিশু পার্কটি শহীদ জিয়া শিশু পার্ক নামে পরিচিত।

বাঘা মসজিদঃ রাজশাহী শহর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে বাঘা উপজেলায় বাঘা মসজিদ অবস্থিত।

পুঠিয়া রাজবাড়ীঃ পুঠিয়া রাজবাড়ীর রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত। এ রাজবাড়ীতে অত্যন্ত মনন শীল স্থাপত্য গড়ে উঠেছে। যাহা ভ্রমণ পিপাসু লোকদের মন কাঁড়া আনন্দ দেয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ গাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণের মাধ্যমে ভ্রমণ পিপাসুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।

তাহেরপুর রাজবাড়ীঃ রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায় তাহেরপুর পৌরসভায় অবস্থিত তাহেরপুর রাজবাড়ী। তাহেরপুর রাজবাড়ীর জমিদার কংশ নারায়ন তাহেরপুরে প্রথম দুর্গাপূজা শুরু করেন। তাহেরপুরের দুর্গাপূজা শুরু থেকে বিশ্বের হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা সবচাইতে বড় উৎসব।

আর এই দুর্গা পূজা এর উদ্ভব হয়েছে তাহেরপুরে। এছাড়াও আরো অনেক ভ্রমণের জায়গা রয়েছে। আসুন রাজশাহী ভ্রমণের মাধ্যমে রাজশাহী শহর ও জেলাকে ভালো করে জানুন। আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি।

রাজশাহী বিভাগের জেলা সমুহ

রাজশাহী বিভাগের আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার ও জনসংখ্যা২ কোটি ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৬৫ জন। রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহঃ

*সিরাজগঞ্জ জেলা।
*পাবনা জেলা।
*বগুড়া জেলা।
*রাজশাহী জেলা।
*নাটোর জেলা।
*জয়পুরহাট জেলা।
*চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা।
*নওগাঁ জেলা।
*সিরাজগঞ্জ জেলার উপজেলা সমূহঃ
*বেলকুচি উপজেলা ।
*চৌহালী উপজেলা।
*কামারখন্দ উপজেলা।
*কাজীপুর উপজেলা।
*রায়গঞ্জ উপজেলা।
*শাহজাদপুর উপজেলা।
*সিরাজগঞ্জ উপজেলা।
*তাড়াশ উপজেলা।
*উল্লাপাড়া উপজেলা।

পাবনা জেলার উপজেলা সমূহঃ

*সুজানগর উপজেলা।
*ঈশ্বরদী উপজেলা।
*ভাঙ্গুড়া উপজেলা।
*পাবনা সদর উপজেলা।
*বেড়া উপজেলা।
*আটঘরিয়া উপজেলা।
*চাটমোহর উপজেলা।
*সাথিয়া উপজেলা।
*ফরিদপুর উপজেলা।

বগুড়া জেলার উপজেলা সমূহঃ

*কাহালু উপজেলা।
*বগুড়া সদর উপজেলা।
*সারিয়াকান্দি উপজেলা।
*শাজাহানপুর উপজেলা।
*দুপচাঁচিয়া উপজেলা।
*আদমদীঘি উপজেলা
*নন্দীগ্রাম উপজেলা।
*সোনাতলা উপজেলা।
*ধনুট উপজেলা।
*গাবতলী উপজেলা।
*শেরপুর উপজেলা।
*শিবগঞ্জ উপজেলা।

রাজশাহী জেলার উপজেলা সমূহঃ
 
*পবা উপজেলা। 
 *দুর্গাপুর উপজেলা। 
*মোহনপুর উপজেলা ।
*চারঘাট উপজেলা। 
*উঠিয়া উপজেলালা।
*বাঘা উপজেলা।
*গোদাগাড়ী উপজেলা। 
*তানোর উপজেলা। 
*বাগমারা উপজেলা।

নাটোর জেলার উপজেলা সমূহঃ 

*নাটোর সদর উপজেলা ।
*সিংড়া উপজেলা ।
*বড়াইগ্রাম উপজেলা। 
*বাগাতিপাড়া উপজেলা। 
*লালপুর উপজেলা। 
*গুরুদাসপুর উপজেলা। 
*নলডাঙ্গা উপজেলা।

জয়পুরহাট জেলার উপজেলা সমূহঃ 

*আক্কেলপুর উপজেলা 
*কালাই উপজেলা 
*ক্ষেতলাল উপজেলা 
*পাঁচবিবি উপজেলা 
*জয়পুরহাট সদর উপজেলা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপজেলা সমূহঃ 

*চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা 
*গোমস্তাপুর উপজেলা 
*নাচোল উপজেলা 
*ভোলাহাট উপজেলা 
*শিবগঞ্জ উপজেলা।

নওগাঁ জেলার উপজেলা সমূহঃ 

*মহাদেবপুর উপজেলা 
*বদলগাছি উপজেলা 
*পত্নীতলা উপজেলা 
*ধামুইরহাট উপজেলা 
*নিয়ামতপুর উপজেলা 
*মান্দা উপজেলা 
*আত্রাই উপজেলা 
*রানীনগর উপজেলা 
*নওগাঁ সদর উপজেলা 
*পোরশা উপজেলা 
*সাপাহার উপজেলা।

রাজশাহী জেলার থানা সমুহ

রাজশাহী জেলাকে মোট ৯টি থানা/উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলোঃ

*পবা উপজেলা।
*দুর্গাপুর উপজেলা।
*মোহনপুর উপজেলা।
*চারঘাট উপজেলা।
*পুঠিয়া উপজেলা।
*বাঘা উপজেলা।
*গোদাগাড়ী উপজেলা।
*তানোর উপজেলা।
*বাগমারা উপজেলা।

পবা উপজেলাঃ উপজেলার উত্তরে মোহনপুর উপজেলা ও তানোর উপজেলা পূর্বে পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলা দক্ষিণী রাজশাহী শহর। এ উপজেলার আয়তন ৩৩৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা লক্ষ ১৪ হাজার ১৯৬ জন ২০২১ সাল আদমশুমারি অনুযায়ী। পৌরসভা দুইটি ইউনিয়ন আটটি গ্রাম সংখ্যা ২১১ মহল্লা ৫৮ টি। 
প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৩ টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ৬ টি উচ্চ বিদ্যালয় ৩৬ টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১১ টি দাখিল মাদ্রাসার ১৬ টি আলিম মাদ্রাসা ৫ টি ফাজিল মাদ্রাসা ১ টি কলেজ ১৩ টি শিক্ষার হার ৫০.০৩ ভাগ।

দুর্গাপুর উপজেলাঃ দুর্গাপুর উপজেলার পূর্বে পুঠিয়া উপজেলা উত্তরে বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলা পশ্চিমে তানর উপজেলা ও দক্ষিনে চারঘাট ও পবা উপজেলা। এই উপজেলার আয়তন ১৯৫.০৩ বর্গ কিলোমিটার। পৌরসভায ১  টি ইউনিয়ন ৭ টি ও গ্রাম ১২৩ টি।

জনসংখ্যা ১,৮৫,৮৪৫জন। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী।প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩ টি মাদ্রাসা সংখ্যা ১৯ টি মহাবিদ্যালয় ১৮ টি। শিক্ষার হার ৪০. ৯৯ ভাগ।

মোহনপুর উপজেলাঃ উত্তরে মান্দা উপজেলা পূর্বে বাগমারা উপজেলা ও দুর্গাপুর উপজেলা দক্ষিণে পবা উপজেলা এবং পশ্চিমে তানোর উপজেলা। মোহনপুর উপজেলার আয়তন ১৬২.৬৫ বর্গ কিলোমিটার।

জনসংখ্যা ১,৭০,০২১জন। পৌরসভায ১ টি ও ইউনিয়ন ৬ টি গ্রাম সংখ্যা ১৩৮ টি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৩ টি মাদ্রাসা ১৮ টি। কলেজ ১৫ টি শিক্ষার হার ৫১.৩ ভাগ।

চারঘাট উপজেলাঃ চারঘাট উপজেলার উত্তরে পবা উপজেলা ও পুঠিয়া উপজেলা দক্ষিনে বাঘা উপজেলা পূর্বে বাগাতিপাড়া উপজেলা ও বাঘা উপজেলা পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও পদ্মা নদী। এই উপজেলার আয়তন ১৬৪.৫২ বর্গ কিলোমিটার। লোক সংখ্যা ২ লাখ ২৪ হাজার ৮ শত ৩৩ জন ২০২২ সালের জরিপ।

এ উপজেলায় ১ টি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়ন রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়৬০ টি মাদ্রাসা ১১ টি কলেজ ১২ টি ক্যাডেট কলেজ১ টি রয়েছে। এছাড়াও চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী রয়েছে।

পুঠিয়া উপজেলাঃ পুঠিয়া উপজেলার উত্তরে দুর্গাপুর উপজেলা ও বাগমারা উপজেলা দক্ষিনে চারঘাট উপজেলা ও বাঘা উপজেলা পূর্বের নাটোর সদর উপজেলা পশ্চিমে দুর্গাপুর উপজেলা ও পবা উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার আয়তন ১৯২.৬৪ বর্গ কিলোমিটার।

এ উপজেলায় পৌরসভা ১ টি ও ইউনিয়ন৬ টি। জনসংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৪ শত ৯০ জন। ২০১১ সালের আদমশুমারি। প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৪ টি মাদ্রাসা ১৩ টি কলেজ ১৩ টি শিক্ষার হার ৪৯.০৬ ভাগ। ঐতিহাসিক জায়গা হল পুঠিয়ার রাজবাড়ি।

বাঘা উপজেলাঃ বাঘা উপজেলার উত্তরে চারঘাট উপজেলা ও বাগাতিপাড়া উপজেলা। দক্ষিণের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা। পূর্বে লালপুর উপজেলা ও বাগাতি পাড়া উপজেলা পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও পদ্মা নদী। এই উপজেলার আয়তন ১৮৫.১৬ বর্গ কিলোমিটার।

জনসংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ১ শত ৮৩ জন ২০১১ সালের জরিপ। এই উপজেলায় ২ টি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়ন রয়েছে ও ১২৬ টি গ্রাম রয়েছে। এই উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৪ টি মাদ্রাসা ৯ টি মাধ্যমিক স্কুল ৫৬ টি কলেজ৯ টি। দর্শনীয় স্থান বাঘা শাহী মসজিদ, বাঘা মাজার, বাঘা জাদুঘর।

গোদাগাড়ী উপজেলাঃ গোদাগাড়ী উপজেলার উত্তরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ও তানোর উপজেলা দক্ষিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও গঙ্গা নদী পূর্বে পবা উপজেলা পশ্চিমে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা। গোদাগাড়ী উপজেলার মোট আয়তন ৪৭৫.২৬ বর্গ কিলোমিটার।

এ উপজেলায় পৌরসভা ২ টি ও ইউনিয়ন সংখ্যা ৯ টি গ্রামের সংখ্যা ৪১৫ টি। মোট জনসংখ্যা ৩ লাখ ৩০ হাজার ৯ শত ২৪ জন। প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৬২টি মাদ্রাসা ৩০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৩ টি কলেজ ১৪ টি। শিক্ষার হার ৪৬.৩০ ভাগ।

তানোর উপজেলাঃ তানোর উপজেলার উত্তরে নেয়ামতপুর উপজেলা ও মান্দা উপজেলা। দক্ষিণের পবা উপজেলা ও গোদাগাড়ী উপজেলা। পূর্বে মোহনপুর উপজেলা। পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ও নাচোল উপজেলা। তানোর উপজেলার মোট আয়তন ২৯৫.৩৯ বর্গ কিলোমিটার।

এই উপজেলায় ২ টি পৌরসভা, ৭ টি ইউনিয়ন ও ২১০ টি গ্রাম রয়েছে। এই উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬১ টি কলেজ ১৪ টি মদ্রাসা ২৮ টি। শিক্ষার হার ৪৮.৮ ভাগ।

বাগমারা উপজেলাঃ বাগমারা উপজেলার উত্তরে মান্দা উপজেলা ও আত্রাই উপজেলা। দক্ষিনে দুর্গাপুর উপজেলা ও পুঠিয়া উপজেলা। পূর্বে নাটোর সদর উপজেলা ও আত্রাই উপজেলা। পশ্চিমে মোহনপুর উপজেলা ও মান্দা উপজেলা। এই উপজেলার আয়তন ৩৩৬.৩০ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলায় পৌরসভা ২ টি ও ইউনিয়ন ১৬ টি।
 
গ্রামের সংখ্যা ৩৩২ টি ও মহল্লা ৪০ টি। এই উপজেলায় জনসংখ্যা ৩,৫২,৯৬৯ জন ২০১১ সালের জরিপ। এই উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখা ২১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯৭ টি মাদ্রাসা ৪৭ টি কলেজ ২২ টি। শিক্ষার হার ৩৮. ৯৯ ভাগ। দর্শনীয় স্থান তাহেরপুর দুর্গা মন্দির হাজারদুয়ারি জমিদার বাড়ি ও গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি।

সুপ্রিয় পাঠকগন আসুন সময় থাকলে রাজশাহী জেলার থানা গুলো দেখে আসা যায়। আজকের বিষয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি।

লেখক এর মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি এ বিষয় বিভিন্ন তথ্য সহ আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য শহরের মধ্যে রাজশাহী শহর অন্যতম। রাজশাহীর শহরের সৌন্দর্যসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url