রুগীকে রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠকগন রুগীকে রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লিখতে বসলাম। আজকের আর্টিকেলে আরো আলোচনা করা হবে রক্তদান করার পরে করণীয়। কখন রক্ত দান করা যাবে না। রক্তের দানের পর কি কি খেতে হয়। রক্তের গ্রুপ কয়টি ও কি কি।
আমাদের দেহে শ্বাসকার্য চালানোর জন্য রক্তের হিমোগ্লোবিন অত্যন্ত দরকার। এর মাধ্যমে আমাদের শরীর চলাচল করে। এইজন্য পরিমাণমতো লোহিত রক্তকণিকার সমৃদ্ধ রক্ত আমাদের দেহের নিয়ম অনুযায়ী থাকা প্রয়োজন। আজকের এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন

ভূমিকা

রক্ত মানব দেহের এমন একটি তরল যা কোষের অক্সিজেন প্রদানের মাধ্যমে বিপাকীয় রেচন পদার্থ বাইরে নিক্ষিপ্ত করে। এছাড়াও রক্ত সংবহনতন্ত্র কার্যকর রাখতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা থাকার জন্য রক্ত দেখতে লাল বর্ণের হয়।


সাধারণত কোন ব্যক্তির রক্তশূন্যতা অথবা সার্জারির কারণে রক্ত সংকট হলে অন্য একজন সুস্থ মানুষের কাছ থেকে একই ধরনের রক্ত আদান প্রদান করা যায়। আজকে আমাদের আর্টিকেলের বিষয় রোগীকে রুগীকে  রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা । এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

রক্ত দানের পর করনীয়

আজকের বিষয় রুগীকে  রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা । শরীর থেকে রক্ত দেওয়ার পরে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করা প্রয়োজন। রক্ত দেওয়ার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হয়। যার কারণে রক্ত দেওয়ার পরে কিছু নিয়ম কানুন পালন করার প্রয়োজন। রক্ত দেওয়ার পরে করণীয় গুলো জেনে নিন।

#রক্তদানের এক থেকে চার ঘন্টা আগে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সঙ্গে ৫০০ মিলি পানি পান করতে হবে। ক্ষুধার্ত অবস্থায় রক্তদান করলে ক্ষতি হয়।

#রক্তদানের পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩-৪ গ্লাস পানি বেশি খেতে হবে।

#রক্তদানের পরে ২০ থেকে ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে।

#রক্ত দেওয়ার পরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারী ও ঝুঁকি পূর্ণ কাজ অথবা ব্যায়াম করা যাবে না।

#রক্ত দেওয়ার পরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে রক্তদান কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।

#রক্ত দেওয়ার পরে স্ট্রিপ ব্যান্ডেজ কয়েক ঘন্টা রাখতে হবে।

#রক্ত দেওয়ার ক্ষতস্থান দিয়ে রক্তপাত হতে লাগলে উক্ত স্থানে হাত দিয়ে ধরে ক্ষতস্থান জাগিয়ে রাখতে হবে।

#রক্ত দেওয়ার পরে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা ধূমপান বন্ধ রাখুন।

রুগীকে  রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা

রক্তদানের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি স্থাপন হয়। এছাড়াও রোগীদের কঠিন মুহূর্তে রক্ত দান করা অত্যন্ত ভালো কাজ। যার কারণে নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত রক্তদানের অভ্যাস থাকা ভালো। আসুন জেনে নিই রুগীকে  রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা ।

#রক্তদান একটি সামাজিক কাজ। যে কাজের মাধ্যমে রক্তদাতার সম্মান বেড়ে যায়।

#অপরের জন্য রক্ত দেওয়ার কারণে বহু মানুষের সঙ্গে ভালোবাসা তৈরি হয়। এছাড়াও রক্তদানের মাধ্যমে নিজেদের মনে প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়।

#নিয়মিত রক্তদানের ফলে রক্তদাতার উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

#রক্ত দান করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ সহ রক্তে কোন অপ্রত্যাশিত রোগ আছে কিনা তা জানা যায়।

#কিছু কিছু রক্তদানের ক্ষেত্রে রক্তের প্লাটিনেট পরীক্ষা করতে হয়। যার কারনে রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে প্লাটিনেট কাউন্ট জানা যায়।

#আগে থেকে শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে রক্তদানের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণ হয়।

#রক্তদানের ফলে শরীরের বন ম্যারো নতুন রক্ত কণিকা তৈরির জন্য আরও শক্তিশালী হয়। বছরে তিনবার রক্ত দেওয়ার কারণে লোহিত রক্তকণিকা প্রাণবন্ত বৃদ্ধি হয়। যার কারণে লোহিত রক্ত কণিকা গুলো তৈরির হার আরো বেড়ে যায়।

#সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় জানাযায় নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়ার কারণে জটিল রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে না। এছাড়াও নিয়মিত রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস হয়।

#রক্ত দান করা অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ। কোন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেওয়ার ফলে উক্ত রোগী বেঁচে গেলে মনের প্রশান্তি বেড়ে যায়। এছাড়াও উক্ত বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি যতদিন বেঁচে থাকবে অত্যন্ত সম্মান করবে।

#স্থুল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্ত দেওয়ার ফলে শরীরের ওজন কমে। এছাড়াও শরীর অনেক সতেজ হয়।

এজন্য নিয়মিত রক্তদান করে মানবসমাজের উপকার করা প্রয়োজন। যদি কোন মুমূর্ষু ব্যক্তির রক্তের জন্য বিপদে পড়ে যাই তাহলে রক্ত দেওয়ার ফলে তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে রক্তদাতার সম্মান বেড়ে যায়। তাই আসুন নিয়মিত ও পরিমাণ মতো রক্তদান করি।

কখন রক্তদান করা যাবে না

প্রিয় পাঠকগণ আপনাদের জানার প্রয়োজন কখন রক্ত দান করা যাবে না। কিছু শারীরিক জটিলতা ও পারিপার্শ্বিক কারণের জন্য রক্ত দান করা যাবে না। আজকের বিষয় রুগীকে রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা । যেগুলো কারণে রক্ত দান করা যাবে না তা আলোচনা করা হলো।


#বয়স ১৮ বছরের নিচে অথবা ৬০ বছরের উপরে হলে রক্তদান করা যাবে না। এ অবস্থায় রক্তদানের কারণে শারীরিক ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

#শারীরিক ওজন ৫০ কেজি এর কম হলে রক্ত দেওয়া যাবে না।

#শারীরিক সুস্থ না হলে রক্ত দেওয়া যাবে না। যেমন সর্দি কাশি হাঁপানি গলা ব্যথা অথবা অন্য কোন রোগের সংক্রমণ হলে রক্তদান করা ঠিক নয়।

#দাঁতের কোন চিকিৎসা করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রক্ত দেওয়া যাবে না।

#শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ১২ গ্রাম/ ডি এল এর নিচে হলে রক্ত দেওয়া যাবে না।

#নাড়ীর গতি মিনিটে৬০ থেকে ১০০ এর কম বেশি হলে রক্ত দেওয়া যাবে না। হৃদস্পন্দন সমস্যা হলে রক্তদান করলে শারীরিক ঝুঁকি বেড়ে যায়।

#শরীরের অসুস্থতার মধ্যে হৃদরোগ, ক্যান্সার, কিডনি অসুস্থতা, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা থাকলে রক্তদান করা যাবে না।

#কোন প্রকার মানসিক অসুস্থতা থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে না। এই ক্ষেত্রে রক্তদান করলে মানসিক চাপ আরো বেড়ে যাবে এবং মানসিক অসুস্থতা ও বেড়ে যাবে।

#যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা আছে অথবা থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য রক্ত দেওয়া যাবে না।

#হেপাটাইটিস বি এর টিকা গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে রক্ত দান করা ঠিক নয়।

#গর্ভাবস্থায় রক্তদান করা যাবে না। গর্ভপাতের ৬ মাসের মধ্যে রক্তদান করা যাবে না।

#এইডস ও ব্লাড ক্যান্সারের রোগীরার রক্তদান করতে পারবে না। এ অবস্থায় রক্তদান করলে রক্তগ্রহীতার শরীরে এগুলো জীবাণু আক্রমণ করবে।

অতএব আমরা যখন রক্ত গ্রহণ করবো অথবা রক্তদান করবো এগুলো বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। কোন কিছুর লক্ষণ না দেখে শরীরের খারাপ রক্ত অন্যকে দেওয়ার ফলে উক্ত গ্রহিতা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আসুন রক্ত গ্রহণ ও রক্তদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করি।

রক্ত দানের পর কিকি খেতে হয়

রক্তদানের পরে হিমোগ্লোবিনের অভাব হয়। যার কারণে কয়েক দিন কিছু নিয়ম মেনে খাওয়া প্রয়োজন। খাবার খাওয়ার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি রক্তে লোহিত রক্তকণিকা পুরন হয়। আজকের বিষয় রুগীকে  রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা । আসুন জেনে নিই রক্তদানের পরে আমাদের কি কি খেতে হবে।

ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেট শিশুদের প্রিয় খাবার। ডার্ক চকলেট এ পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন থাকে। যার কারণে রক্তদানের পরে ডার্ক চকলেট খেলে রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা গুলো বৃদ্ধি পায়।

মাংস খাওয়াঃ মাংসে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও লাল মাংস যেমন গরু, মহিষ, ছাগল, ও মুরগি এবং কবুতরের মাংস ও কলিজায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন আছে। যার কারণে মাংস ও কলিজা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্তের লোহিত রক্তকণিকার ভারসাম্য বজায় হয়।

পর্যাপ্ত ফল খাওয়াঃ বিভিন্ন রকম ফল খাওয়ার কারণে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ফলগুলির মধ্যে আম, লেবু, কমলা, আঙ্গুর, আপেল, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি আছে।


ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়ার ফলে ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যার কারণে শরীরে দ্রুত লহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায়।

সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মাধ্যমেঃ সামুদ্রিক মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন সহ অন্যান্য খনিজ উপাদান বিদ্যমান। যার কারণে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ফলে শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পায়।

শস্য জাতীয় খাবারঃ চাল, গম, উটস, ভুট্টা, ইত্যাদি শস্য খাওয়ার ফলে পর্যাপ্ত আয়রন পাওয়া যায়। যার কারণে শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পায়।

সয়াবিন জাতীয় খাবারঃ সয়াবিন জাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন, ছোলা, বিন ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন পাওয়া যায় যাহা দেহের লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে।

শাকসবজি খাওয়াঃ তাজা শাকসবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন আছে। শরীরের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধির জন্য তাজা শাকসবজি খাওয়া যেতে পারে।

সব ধরনের ডিম খাওয়াঃ ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন আছে। যার কারণে ডিম খাওয়ার ফলে শরীরে আয়নের ঘাটতি পূরণ হয় ও লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি হয়।

শুকনো ফল খাওয়াঃ শুকনো ফল বলতে খেজুর, কিসমিস, বাদাম, ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন আছে। ফল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায়।

এইজন্য রক্ত দেওয়ার পরে শারীরিক সুস্থতার কারণে উপরের তালিকা অনুযায়ী খাবার খেয়ে সুস্থভাবে জীবন করা প্রয়োজন। আসুন রক্তদানের মাধ্যমে আমরা এগুলো নিয়ম পালন করি।

রক্তের গ্রুপ কয়টি ও কিকি

রক্তের উপাদান ও বৈশিষ্ট্য এর উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীগণ রক্তকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভাজন করেছেন। এই শ্রেণীবিন্যাস কে রক্তের গ্রুপ বলে। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার প্রথম মানুষের রক্তের শ্রেণীবিভাগ করেন। আর এই শ্রেণীবিভাগ কে এ বি ও ব্লাড গ্রুপ বলা হয়।

সাধারণত মানুষের শরীরেA+tv, A-tv, B+tv, B-tv, AB+tv, AB-tv, O+tv,O-tv পজেটিভ গ্রুপের রক্তের মানুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও নেগেটিভ গ্রুপের মানুষগুলোর সংখ্যা অনেক কম।

যার কারনে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত পাওয়া মানে কষ্টসাধ্য। এছাড়াও গোটা পৃথিবীতে সামান্য কিছু মানুষ যার সংখ্যা ৫০ এরও কম এমন কিছু রক্ত পাওয়া গেছে যাদেরকে বলা হয় গোল্ডেন ব্লাড।

আর এই গোল্ডেন ব্লাড রক্ত গ্রুপের মানুষের মধ্য থেকে ৯ জন মানুষ পাওয়া গেছে। যাহারা নিয়মিত রক্তদান করেন। বিশেষজ্ঞগনের মতে গোল্ডেন গ্রুপের ব্যক্তিরা যেকোনো গ্রুপের ব্যক্তিদেরকে রক্ত দিতে পারেন। এছাড়া যে কোন গ্রুপের রক্ত দাতার কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগন মানুষ সামাজিক প্রাণী। যার কারণে সামাজিকভাবেই আমাদের কারো রক্তের প্রয়োজন হলে পরস্পর রক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের বিষয় রুগীকে  রক্ত দানের ১০টি উপকারিতা । রক্তদানের মাধ্যমে সামাজিকভাবে সম্মান বৃদ্ধি পায়।

যার কারণে নিয়মিত রক্ত দান করার প্রয়োজন। আর রক্তদানের উপকারিতা সহ রক্তের গ্রুপ ও রক্ত সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url