কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়

সুপ্রিয় পাঠকগণ কোন ভিটামিনের অভাবে দাত ক্ষয় হয় এ বিষয়ে নিয়ে লিখতে বসলাম। আজকের বিষয়গুলোতে আরো আছে দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়। দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়। দাঁতের কালো দাগ দূর করার উপায়। দাঁতের পাথর দূর করার উপায়।
দাঁত পরিষ্কার রাখতে এগুলো বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত সকাল বিকাল খাওয়ার পরে ব্রাশ করার মাধ্যমে দাত পরিষ্কার করে রাখা যায়। এগুলো ব্যাপারে জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

দাঁত আমাদের অমূল্য সম্পদ। দাঁত মুখমন্ডলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এছাড়াও দাঁতের মাধ্যমে যেকোনো খাবার আমরা চিবিয়ে খেতে পারি। যার কারণে প্রতিদিন আমাদের দাঁতগুলো পরিষ্কার রাখার প্রয়োজন। সাধারণত খাদ্য কণাগুলো দাঁতের ফাক এর মধ্য যেয়ে খারাপ ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।
যা দাতে ইনফেকশন ক্ষয় ও পাথর তৈরি করে। নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে এগুলো সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এগুলো সমস্যার ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করা হল। আজকের আর্টিকেলের বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে দাত ক্ষয় হয়।

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

নানান কারণবশত দাঁতে পোকা লাগতে পারে। দাঁতে পোকা লাগলে মাড়ি ফুলে যাওয়া দাঁতে ব্যথা এর মত সমস্যা হতে পারে। ঘরোয়া নিয়ম পালন করলে দাঁতে পোকা লাগা দূর হয়ে যায়। আসুন জেনে নিই দাঁতে পোকা লাগা দূর করার উপায় গুলো।

চুন ও ফিটকিরিঃ কয়েক ফোঁটা পানির সঙ্গে এক চিমটি চুন ও সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অতঃপর এই পেস্ট দাঁতের যেখানে যেখানে পোকা লেগেছে সেখানে ব্যবহার করতে হবে। দু তিন মিনিট পরে দাঁতের পোকা কৃমি আকারে লালার সঙ্গে বাহির হইয়া আসবে।

লবঙ্গ ব্যবহারঃ লবঙ্গ দাঁতের সব রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। দাঁতে পোকা লাগলে চার পাঁচটি লবঙ্গ গুড়া করতে হবে। অতঃপর দাঁতের পোকা লাগা জায়গা গুড়ো ব্যবহার করতে হবে। এরপরে ২-৩ মিনিট মুখ বন্ধ করে রাখুন। দাঁতের পোকা কৃমি আকারে লালার সঙ্গে বাহির হইয়া আসবে ।

রসুন ব্যবহারঃ রসুন ব্যবহারের মাধ্যমে দাঁতের পোকা দূর করা যায়। দাঁতের যে জায়গায় পোকা লেগেছে অথবা ফুলে গেছে সেই জায়গাগুলোতে রসুন পেস্ট করে লাগিয়ে দিন। ৪-৫ মিনিট মুখ বন্ধ করে রাখুন। পোকাগুলো সব লালার সঙ্গে বাহির হয়ে আসবে।

হলুদ ব্যবহারঃ হলুদে অ্যান্টিভাইরাল ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। হলুদ সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই পেস্ট দাঁতের পোকা লাগার জায়গা গুলোতে ভালো করে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ মুখ বন্ধ করে থাকলে পোকাগুলো বাহিরে চলে আসবে।

পেয়ারা পাতাঃ দাঁতে পোকা লাগলে পেয়ারা পাতার মাধ্যমে ভালো করা যায়। এক গ্লাস পানিতে ৮-১০ টি পেয়ারা পাতা নিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। অতঃপর পানি ছেঁকে নিতে হবে। পানি কুসুম কুসুম গরম হলে মুখে গড়গড়া করে কুলি করতে হবে। এরপরে পানি মুখে দু তিন মিনিট রাখতে হবে। দাঁতের পোকাগুলো বাহির হয়ে আসবে।

নিমপাতাঃ নিম পাতার মাধ্যমে দাঁতের পোকা দূর করা যায়। কিছু নিমপাতা নিয়ে নিম পাতার রস বাহির করতে হবে। অতঃপর তুলা দিয়ে দাঁতের পোকা লাগা জায়গায় এ রস ব্যবহার করতে হবে। দু তিন মিনিট মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে। মুখের লালার সঙ্গে পোকাগুলো বাহির হয়ে আসবে।

দাঁত ভালো করে মজাঃ দাঁতে পোকা দূর করতে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশ করার সময় ফ্লরাইড জাতীয় পেস্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন।

পুষ্টিকর খাবারঃ দাঁতে পোকা দূর করতে ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত শাকসবজি সহ নারিকেল অ্যাভোকাটা ইত্যাদি চোর প্রজাতীয় খাবার ও তালিকা রাখতে হবে।

মিষ্টি দ্রব্যঃ মিষ্টি দ্রব্য খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। মিষ্টি দ্রব্য খাবারের কারণে দাঁতে পোকা লাগা শুরু হয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়

সুপ্রিয় পাঠকগণ কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয় বিষয়টি হতো আপনারা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। দাঁত শরীরের মূল্যবান অঙ্গগুলির মধ্যে একটি। কথায় আছে যার দাঁত নাই সেই মর্ম বুঝে দাঁতের। দাঁত কেবলই মুখমণ্ডলী সৌন্দর্য করে না দাঁত খাওয়ার সময় চিবিয়ে খাবার সহায়তা করে।
এছাড়া মাংসের মত শক্ত জিনিস খাওয়ার সহায়তা দান করে। তাই নিয়মিত দাঁতের যত্ন করা অনেক প্রয়োজন। সাধারণত ভিটামিন জাতীয় খাদ্য সহ কিছু মিনারেলসের কারণে দাত ও হাড় মজবুত থাকে। আসুন জেনে নিন কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়।

ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও ভিটামিন এ মুখের ভিতরে সকল অংশ স্বাস্থ্যবান রাখে। ভিটামিন এ এর অভাব হলে দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি হয়। ভিটামিন এ জাতীয় খাবার সবুজ শাকসবজি গাজর আম মাসের তেল মিষ্টি আলু ইত্যাদি।

ভিটামিন বিঃ মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভিটামিন বি প্রয়োজন। মুখের বিভিন্ন প্রদাহ দূর করতে ভিটামিন বি এর প্রয়োজন হয়। এর অভাবে মুখে ঘা সহ দাঁতের ক্ষয় ক্ষয়। ভিটামিন বি জাতীয় খাবার মাছ মাংস মটরশুঁটি সিম ও সবুজ শাকসবজি।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়িকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে দাঁতের ক্ষয় রক্তপাত ও মায়েদের প্রদাহের সৃষ্টি করে।

আমলকির লেবু পেয়ারা কাঁচা মরিচ কমলা ইত্যাদি। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করা যায়।

ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই ভিটামিন দাঁত ও হাড়কের শক্তিশালী করে। সাধারণত ভিটামিন ডি এর অভাবে দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ডি এর অভাবে দাঁতের পোকা দাঁত হয় ও দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন তৈরি হয়।

সূর্যের আলো থেকে আমরা প্রচুর ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। সময় দাঁতের যত্নে আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে। নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার দাঁতের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার মেনে চলা দরকার।

এছাড়াও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য পরিহার করা প্রয়োজন। মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। একমাত্র খাদ্য অভ্যাসই দাঁত ও আহার কে শক্তিশালী ও মজবুত করতে পারে।

দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক সুস্থ সবল দাঁত আমাদের একান্ত কাম্য। এরপরেও দাঁতের কিছু কিছু সমস্যা তৈরি হয়। দাঁতের যন্ত্রণা এমন একটি সমস্যা

দাঁতের যন্ত্রণা অত্যধিক কষ্টকর সমস্যা। আমরা সাধারণত ভেষজ উপায়ে দাঁতের যন্ত্রণা নিরাময় করতে পারি। আসুন জেনে নি উপায়গুলো।

আইস প্যাকঃ দাঁত অথবা বাড়িতে অসহ্য যন্ত্রণা হলে যন্ত্রণার জায়গাতে আইসপ্যাক রাখলে উক্ত জায়গা অবশ হয়ে যায় এবং যন্ত্রনা ভালো হয়ে যায়।

গরম পানি কুল কুচিঃ দাঁতের যন্ত্রণা হলে কুসুম কুসুম গরম লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে যন্ত্রণা নিরাময় হয়। এছাড়াও কুলিকুচি করার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্য কণা গুলো বাহির হয়ে যায়।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মাউথ ওয়াশঃ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মাউথওয়াশ ব্যবহারের ফলে দাঁতের যন্ত্রণা ও মাড়ি ফোলা সমস্যা ভালো হয়ে যায়। দাঁতে থাকা সকল ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। এই ক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম পানিতে তিন গ্রাম হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশিয়ে এই মিশ্রণটি মুখের মধ্যে ৩০ সেকেন্ড রাখতে হবে।

লবঙ্গ ব্যবহারঃ দাঁতের যন্ত্রণা হলে লবঙ্গ চিবিয়ে যন্ত্রণার জায়গায় রস দিতে হবে। তাহলে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যাবে। লবঙ্গ থেকে ক্লোভওয়েল পাওয়া যায় যার মধ্যে রয়েছে ইউজিনল। যা দাঁতের ব্যথায় ব্যবহৃত হয় ও অত্যন্ত কার্যকর।

টি ব্যাগঃ টি ব্যাগ দাঁতের যন্ত্রণার জায়গায় ব্যবহার করলে টি ব্যাগ থেকে ট্যানিন দাঁতের যন্ত্রণা ভালো করে।

রসুন ব্যবহারঃ দাঁতের যন্ত্রণা হলে রসুন চিবিয়ে দাঁতের যন্ত্রণার জায়গায় দিলে দাঁতের যন্ত্রনা ভালো হয়।

আদার ব্যবহারঃ দাঁতের যন্ত্রণা হলে আদা চিবিয়ে আদার রস জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। এ অবস্থায় দুই ঘন্টা রেখে দিলে দাঁতের যন্ত্রণা ভালো হয়ে যাবে।

হলুদঃ হলুদ কোন স্থান শুকানোর জন্য অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিছু হলুদ পানিতে পেস্ট করতে হবে। অতঃপর হলুদের পেস্ট রাতের যন্ত্রণার জায়গায় লাগাতে হবে।

লেবু ব্যবহারঃ দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হলে একটি লেবু ফাইল করে কেটে যন্ত্রণার জায়গায় দিয়ে ধরতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ রাখলে দাঁতের যন্ত্রণা নিরাময় হবে।

পেয়ারা পাতার ব্যবহারঃ দাঁতের যন্ত্রণা হলে পেয়ারার পাতা দুইভাবে ব্যবহার করতে পারেন। পেয়ারার পাতা চিবিয়ে পেয়ারার পাতার রস দাঁতের যন্ত্রণার জায়গায় ব্যবহার করলে নিরাময় হয়। অথবা পেয়ারার পাতার নাও ক্রস তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন।

এই ক্ষেত্রে কিছু পানিতে পেয়ারা পাতা নিয়ে ফুটাতে হবে। অতঃপর পানি ছেকে নিলে মাউথওয়াশ তৈরি হবে। মুখে দিয়ে এক মিনিট রেখে ফেলে দিতে হবে। তাহলে দাঁতের যন্ত্রণা নিরাময় হবে।

আশা করি হঠাৎ দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হলে আমরা এগুলো পদক্ষেপ নিয়ে দাঁতের যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। আজকের আর্টিকেলের বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে দাত ক্ষয় হয়।

দাঁতের কালো দাগ দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠকগণ দাঁতের কালো দাগ দূর করা প্রয়োজন। দাঁতের অযত্নে অথবা ধূমপানের কারণে দাগ কালো হয়। ধূমপানমুক্ত হয়ে দাঁতের যত্ন নিতে পারলে কালো দাগ হয় না। এরপরেও দাঁতে কালো দাগ হলে কিছু নিয়ম পালনের মাধ্যমে তা দূর করা সম্ভব। 
*মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের কারণে দাঁতের কালো দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়।
*গাজরের ফাইবার দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা যায়।
*লেবুতে এক চিমটি লবণ ব্যবহার করে লেবুতে দাগ ঘসলে দাঁতের কালো দাগ দূর হয়।
*তেজপাতার পাউডার কয়েক ফোটাল লেবুর সঙ্গে মিশ্রিত করে দাঁত মাজলে কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
*পান পাতায় সরিষার তেল মেখে গরম করার পরে উক্ত পান পাতা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
*এক চামচ বেকিং সোটাই অর্ধেক লেবুর রস মিশ্রিত করে পেস্ট করে দাঁতে ব্যবহার করুন। চার মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দাঁতের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
*বিট লবনের সরিষার তেল মিশ্রিত করে দাঁত মাজলে দাঁতের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
*তুলসী পাতার পাউডার পেস্টের সঙ্গে মিশ্রিত করে দাঁত মাজলে দাঁতের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।

এছাড়াও মাঝেমাঝে স্কেলিং করে দাঁত পরিষ্কার করা যায়। তবে খুব বেশি স্কেলিং না করাই ভালো।এ ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা খাবারের পরে নিয়মিত ব্রাশ করা প্রয়োজন। সাধারণত ভেষজ ও ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ পেস্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন। আজকের বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে দাত ক্ষয় হয়।

দাঁতের পাথর দূর করার উপায়

রাতে ময়লা জমতে জমতে দাতে পাথরের সৃষ্টি হয়। দাত কে ভালো রাখার জন্য দাঁতের পাথরই দূর করার প্রয়োজন। দাঁতের পাথরই দূর করার নিয়ম গুলো আলোচনা করা হলো

*এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে হাফ চামচ লবণ মিশ্রিত করতে হবে। ব্রাশ গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে এই মিশ্রণ দিয়ে পাঁচ মিনিট ব্রাশ করতে হবে। এভাবে আস্তে আস্তে তাতে পাথর দূর হয়ে যাবে।
*এক কাপ অক্সাইড এর সঙ্গে আধা কাপ পানি মিশ্রিত করুন। এই পানি এক মিনিট মুখে রাখুন। অতঃপর কুলকুচি করে পানি ফেলে দিন।
*ডেন্টাল পিক দিয়ে আস্তে আস্তে বাছুরি গুলো তুলে ফেলুন। পাথুরী তুলে ফেলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
*অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
*স্ট্রবেরি বা টমেটো ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করা যায়। স্ট্রবেরি অথবা টমেটো কেটে নিয়ে দাঁতে ঘুষতে হবে। আস্তে আস্তে দাঁতের পাথরগুলো দূর হয়ে যাবে।

তাই আসুন এগুলো পন্থা অবলম্বন করে দাঁতের পাথরকে নিরাময় করি অপসারণ করি।

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক দাঁতের যত্ন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আজকের বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়। সাধারণত ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাবে দাঁতের অনেক ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।

নিয়মিত সকাল এবং সন্ধ্যায় খাওয়ার পরে ব্রাশ করার মাধ্যমে দাগ পরিষ্কার রাখা যায়।তাই আসুন আমরা দাঁতের যত্নে সচেতন হই। আর দাঁত সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে আমাদের এই আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url