দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় পাঠকগণ দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় বিষয়ে লিখতে বসলাম। এছাড়া আরো আলোচনা করা হবে দাতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয়। দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়। দাতের ব্যথা কমানোর উপায়। দাত শক্ত করার উপায়। এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত খাবারের জন্য দাঁত অত্যন্ত প্রয়োজন।
দাঁতের মাধ্যমে আমরা মাংস বা মাংস জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি। তাই আসুন দাঁত ও মাড়ি সম্পর্কিত এগুলোর সমস্যার বিভিন্নভাবে সমাধান জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন
ভূমিকা
দাঁত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গ। দাঁতের মাধ্যমে আমরা মাংস সহ শক্ত জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি। যার কারনে দাঁতগুলো শক্তিশালী রাখতে দাঁতের যত্ন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিছু ঘরোয়া মাধ্যম এবং কিছু খাবারের ব্যবস্থা আছে যার মাধ্যমে দাত ও মাড়ি শক্তিশালী রাখা যায়।
আরও পড়ুনঃ বায়ু দূষণ রোধের ১০টি উপায়
এছাড়াও দাঁত ও মাড়ির গর্ত এবং ক্ষয় রোধ করার উপায় গুলো এই আর্টিকেলে ভালোভাবে জানতে পারবেন। আজ আমাদের বিষয় দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়। এগুলো বিষয় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয়
দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে দাঁতের গোড়া অত্যন্ত ব্যথা হয়। এছাড়াও দাঁতের গোড়া ফুলে যেতে পারে। আজকের বিষয় দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়। যার কারনে দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। দাঁতের ইনফেকশন হলে নিম্ন বর্ণিত পদক্ষেপ নেওয়া যায়। ইনফেকশনের পদক্ষেপ গুলো আলোচনা করা হলো।
*দাঁতের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
*নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাঁতে ব্রাশ করতে হবে। দাঁতের মাড়ি ইনফেকশন প্রতিরোধে ভালো করে ব্রাশ করতে হবে।
*চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। চিনি যুক্ত খাবার খেলে দাঁতের প্লাক তৈরির ঝুকি বাড়ে।
*ধূমপান বাদ দিতে হবে ধূমপানের কারণে দাঁতের গোড়ায় অনেক সময় ইনফেকশন হয়।
*স্কেলিং এবং পেলিসিংঃ অনেক সময় দাঁতে প্লাক তৈরি হতে পারে। দাঁত পরিষ্কার করার জন্য স্কেলিং এবং পেলিসিং করা প্রয়োজন।
*প্রতিদিন সকাল বিকাল ব্রাশ করুন এবং একবার ফ্লস করুন।
*মাঝে মাঝে খাবার সোডা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন।
*প্রতি সপ্তাহে তিন দিন লবণ পানি গড়গড়া করুন।
*প্রতি দু মাসে একবার করে ডাক্তারের কাছে দাঁত চেকআপ করতে পারেন।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হওয়া একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত আমরা বিভিন্ন প্রকার খাবার খায়। খাবারের মধ্যে কিছু খাবারের দ্বারা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো হয়।আবার কিছু খাবারের মাধ্যমে দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি হয়। আজকে আমাদের বিষয় দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়। মাড়ি ক্ষয় রোধ করার উপায় গুলো।
আরও পড়ুনঃ জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়
টুথপেস্টঃ বর্তমান আয়ুর্বেদিক ভেষজ বিভিন্ন টুথপেস্ট বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। দাঁতের ক্ষয় রোধে এগুলো টুথপেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
পুষ্টিকর খাবারঃ দাঁত ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যেগুলো পুষ্টি উপাদান দাঁত কে সুরক্ষিত করে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে সে দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
এক্ষেত্রে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের দিকে গুরুত্ব একটু বেশি দিতে হবে। ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবারের দিকে লক্ষ্য বেশি রাখতে হবে। তাহলে দাঁতের মাড়ি সুস্থ থাকবে।
মিষ্টি জাতীয় খাবারঃ মিষ্টি জাতীয় খাবার দাঁতের এনামেল নষ্ট করে। এছাড়াও দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। তাই যত সম্ভব মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। এরপরেও যদি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হয় তাহলে খাওয়ার পরে ব্রাশ করে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।
দাঁত পরিষ্কার রাখাঃ সাধারণত সকাল এবং বিকাল ব্রাশের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার করে রাখা ভালো। সবসময়ই নরম এবং উন্নত মানের ব্রাশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। ব্রাশের সঙ্গে পেস্টগুলো ভেষজ ও হারবাল জাতীয় হলে ভালো হয়।
লবণ ব্যবহারঃ মাঝে মাঝে পেস্ট এর সঙ্গে লবণ ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করা যেতে পারে। ব্রাশ এর সঙ্গে লবণ ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ভিতরে জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
লবণ পানিতে কুলি করাঃ মাঝে মাঝে ব্রাশ করার পরে কুসুম কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশ্রিত করে গড়গড়া গুলি করা প্রয়োজন। তাহলে দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
তেল ব্যবহারঃ এক চামচ নারিকেলের তেল অথবা তিলের তেল দাঁত ও মাড়িতে ব্যবহার করতে হবে এবং থুতু গুলো বাইরে ফেলে দিতে হবে। সাধারণত ১৫-২০ মিনিট এভাবে ব্যবহার করুন। তাহলে মাড়ির স্বাস্থ্য উন্নত হবে দাঁত ও মাড়ি পুষ্টি পাবে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ দাঁত ও মাড়ি প্রদাহের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সামান্য পরিমাণ এলোভেরা জেল নিয়ে দাঁত ও মাড়িতে ব্যবহার করুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বলতে কমলা মালটা স্ট্রবেরি কিউই ক্যাপসিকাম আমলকি পেয়ারা ইত্যাদি। এ সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে দাঁত শক্তিশালী হয়। ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের স্কার্ভি রোগ হয়।
হলুদের পেস্ট ব্যবহার করুনঃ হলুদ পানিতে দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দাঁত ও মাড়িতে ব্যবহার করুন। এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও এন্ট্রি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। হলুদের পেস্ট ব্যবহারের কারণে দাঁত ও মাড়ির প্রদাহ দূর হয়। এছাড়া দাঁত ও মাড়িতে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
দাঁত আমাদের অমূল্য সম্পদ। যার দাঁত নাই সেই বুঝে দাঁতের কদর। এইজন্য দাঁত সর্বদা ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। উপরোল্লেখিত নিয়ম পালন করে দাঁত বিভিন্ন জীবাণু হতে মুক্ত করে সুস্থ ও সবল রাখি।
দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়।
সুপ্রিয় পাঠকগণ আপনারা হয়তো জানার ইচ্ছা পোষণ করতেছেন যে দাঁতে গর্ত হলে কি করা যায়।দাতে গর্ত হলে দাঁত ব্যথা সহ অনেক সমস্যা হয়। ঠান্ডা পানি খেলে দাঁত শির শির করে। কোন কিছু খেতে লাগলে খাদা দাঁতে গেলে যন্ত্রণা শুরু হয়।
দাঁতের গর্ত হলে আর ফিলিং করতে হবে না। কিছু ভেসোজ ব্যবহার ও নিয়ম মানলে আস্তে আস্তে দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি দূর হয়ে যাবে। দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি দূর করার উপায় গুলো বর্ণনা করা হলো।
ডিমের খোসা ব্যবহারঃ ডিমের খোসায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বনেট রয়েছে। একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ ডিমের খোসা নিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। ফোটানোর পরে উক্ত ডিমের খোসা গুলো পানি থেকে ছেঁকে নিয়ে ভালো করে রোদে শুকাতে হবে। ডিমের খোসা গুলো শুকিয়ে গেলে মিহি করে পিষে নিতে হবে।
ডিমের খোসার সঙ্গে কিছু ব্রেকিং পাউডার যোগ করতে হবে। অতঃপর মিশ্রণ গুলি একটি কোটাতে রাখতে হবে। প্রতিদিন এখান থেকে পাউডার নিয়ে দাঁতে ভালো করে মালিশ করতে হবে। আস্তে আস্তে দাঁত পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং দাঁতের গর্তগুলোর ব্যথা কমে যাবে আস্তে আস্তে গর্ত বন্ধ হয়ে যাবে।
হারবাল পাউডার তৈরিঃ দাঁতের গর্তের সঙ্গে সেখান দিয়ে রক্ত পড়তে পারে অথবা পর্যাপ্ত ব্যথা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে হারবাল পাউডার দিয়ে দাঁতে ব্রাশ করলে গর্তের ব্যথা ও দাঁতের গর্ত ভালো হয়ে যাবে।
পাউডার তৈরির নিয়ম হলো এক চামচ নিম পাতা গুড়া নিতে হবে আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া আধা চা চামচ লবঙ্গ গুড়া। এগুলো একসঙ্গে মিশ্রিত করে পাউডার বানিয়ে রাখতে হবে। ব্রাশ করার সময় এই পাউডার দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
তিল অথবা নারিকেল তেলঃ নারিকেলের তেল অথবা তিলের তেল দাঁতে দিয়ে ভালো করে মালিশ করতে হবে। অতঃপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এই তেল ব্যবহার করলে দাঁতের প্লাক তৈরি হয় না। এছাড়া দাঁতের গর্তের ব্যথা ভালো হয়ে দাঁতের গর্ত নিরাময় হয়।
ফ্লরাইড জাতীয় পেস্ট ব্যবহারঃ দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি দূর ও দাঁতের এনামেল ভালো রাখতে ফ্লরাইড জাতীয় পেস্ট ব্যবহার করা অনেক ভালো। দাঁতে ব্রাশ করার সময় ফ্লুরাইড জাতীয় পেস্ট ব্যবহার করলে দাতে প্লাক তৈরি হয় না।
লবণ সহ কুসুম কুসুম গরম পানিঃ একটি গ্লাসে কিছু পানির সঙ্গে কিছু লবণ নিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। অতঃপর পানি কুসুম কুসুম গরম হয়ে গেলে উক্ত পানি দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে। লবণ পানিতে কুলি করার ফলে দাঁতে খারাপ ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে না। লবণ পানি দাঁতের এসিডকে দূর করে পিএইচ ভালো রাখে এবং দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি দূর করে।
লেবু ব্যবহারঃ নিয়মিত লেবু পানি খেতে হবে এবং সঙ্গে লেবুর খোসা সহ চিবিয়ে খেলে দাঁতে খারাপ ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে না। এছাড়াও দাতে প্লাক তৈরি হয় না। দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি দূর হয়ে যায়।
পেয়ারা পাতাঃ এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। কিছু পরিমাণ ফুটন্ত পানিতে কিছু পেয়ারা পাতা দিয়ে পানি ফুটান। অতঃপর ফুটন্ত পানি একটি পাত্রে রেখে মাউথ ওয়াশ বানিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে মাঝে মাঝে কুলি করলে দাঁতের গর্ত বা কাবিটি দূর হয়।
আসুন আমরা এগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করে দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি দূর করি। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো করে দাঁত সংক্রান্ত সকল অসুবিধা থেকে বেঁচে থাকি।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায়
প্রিয় পাঠকগণ দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর নিয়ে আপনারা হতো জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আসুন জেনে নিই দাঁতের মাড়ির ব্যথা দূর করার উপায় সমূহ।
লবণ পানিঃ পানির মধ্যে লবণ দিয়ে ফোটানোর পরে উক্ত পানি কুসুম কুসুম গরম হলে উক্ত পানি দিয়ে গড়গড়া সহ গুলি করতে হবে। লবণে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য আছে। এভাবে কুলি করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে এছাড়া দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।
অ্যালোভেরা জেলঃ একটি পাত্রে দুই তিন চামচ এলোভেরা জেল নিতে হবে। হালকা কয়েক ফোঁটা পানি দিয়ে উক্ত জেল ফেটিয়ে নিতে হবে। এজেল দাঁত ও মাড়ি ও ফোলা জায়গায় ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পরে কুলি করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে করলে দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমে যাবে।
লেমন গ্রাস তেলঃ দাঁতে ও মাড়িতে লেমন গ্রাস তেল ব্যবহার করলে দাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়। এছাড়াও মাড়ির গোড়ার ফোলা কমে যায়। এক কাপ পানিতে ২-৩ ফোঁটা লেমন গ্রাস তেল মিশ্রিত করতে হবে।
অতঃপর উক্ত পানি দিয়ে কুলি করতে হবে। কুলি করা অবস্থায় ১০ থেকে ১২ সেকেন্ড মুখের ভিতর পানি রাখতে হবে। এভাবে পরপর দুই তিনবার কুলি করতে হবে। তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে যাবেন।
হলুদ মধু জেলঃ হলুদ মধুর উভয়টি দাঁতের জন্য অনেক উপকারী। হলুদ মধুর জেল ব্যবহারের মাধ্যমে দাঁতের ব্যথা দূর হয়। হলুদ মধু জেল তৈরি করার নিয়ম হলো কিছু হলুদ গুঁড়ার সাথে পরিমাণ মতো মধু দিয়ে জেল তৈরি করে নেন।
অতঃপর এই জেল দাঁতের গোড়াতে ও দাঁতের গোড়ার ফোলা জায়গায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পরে কুলি করে ধুয়ে ফেলুন। আশা করা যায় কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইডঃ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহারের ফলে মাড়ির ব্যথা কমে যায়। একটি পাত্রে অর্ধেক পানি এবং অর্ধেক হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশ্রিত করে নেন। অতঃপর এই পানি দিয়ে কুল্লি করুন এবং কুলি করা পানি ২০ সেকেন্ড মুখে ধরে রাখুন।
২০ সেকেন্ড পরে পানিগুলো ফেলে দিন। এরপরে কুসুম কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দাঁতের মাড়ির ব্যথা ফোলা ভাব ও দাঁতের বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করে দাঁতকে ভালো রাখবে।
আসুন এগুলো উপাদান ব্যবহার করে দাঁতের ব্যথা দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে এগুলো ব্যথা দূর করলে শরীরের জন্য অনেক ভালো হয়।
দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো মনে ভাবনা পোষণ করতেছেন দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখার উপায় কি। এছাড়াও দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়সমূহ জানা দরকার। আসুন এগুলো বিষয় একে একে জেনে নিই। দাঁত হল জীবনের অমূল্য সম্পদ। যার দাঁত নাই সেই বুঝে দাঁতের মূল্য। দাঁত শক্তিশালী রাখতে সব সময় দাঁত পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন সি সিরাম এর উপকারিতা
নিয়ম মেনে দিনে দুইবার ব্রাশ করা প্রয়োজন। সকালে নাস্তার পরে একবার ব্রাশ করতে হবে এবং রাতে ঘুমানো আগে ব্রাশ করতে হবে। তাহলে দাঁতের ফাঁকে কোন ময়লার জমে থাকতে পারবে না। যার দ্বারা দাঁতের ক্ষয় অথবা দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি হতে পারেনা। দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখার জন্য কিছু নিয়ম পালন করা প্রয়োজন। জেনে নেই সেই নিয়মগুলো।
গড়গড়া করাঃ দাঁত শক্তিশালী রাখতে খাবারের পরে মুখে পানি দিয়ে গড়গড়া করা প্রয়োজন। গড়গড়া করার ফলে দাঁতে কোন খাবার লেগে থাকলে তা বাহির হয়ে যায়। এছাড়াও মিষ্টি দ্রব্য খাওয়ার পরে গড়গড়া করে ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন।
ফ্লসিং করাঃ কোন কিছু খাবারের পরে ভালো করে কুলি করার পরে ফ্লসিং করা প্রয়োজন। দাঁতের ভিতরে মাংস বা খাবার গেলে কোন সুতা নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে দাঁতের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে দাঁতের ফাক গুলো পরিষ্কার করার কে ফ্লসিং বলা হয়।
কচ কচে সবজি খাওয়াঃ ডাক্তার লয়েনবার্গ কচ কচে সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কস কচে সবজি যেমন গাজর ব্রকলি মরিচ ইত্যাদি খাবার খেলে দাঁত শক্তিশালী হয়।
দুধের তৈরি খাবারঃ দুধ ও দুধের তৈরি খাবার যেমন দই, পনির, খাওয়ার মাধ্যমে দাতের এনামেল মজবুত হয় ও দাত শক্তিশালী হয়।
বাদাম খাওয়াঃ নিয়মিত বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে দাঁত অত্যাধিক শক্তিশালী হয়। এছাড়াও বাদাম চিবানোর সময় এক ধরনের লালা তৈরি হয় যে লালা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
পাতা জাতীয় সবজিঃ পাতা জাতীয় সবজি খাওয়ার ফলে দাঁত শক্তিশালী হয়। সাধারণত লেটুস পালং শাক সবুজ শাক ইত্যাদিতে প্রচুর ফোলেট আছে যা দাঁতের এনামেল শক্ত করে মাড়ির রোগ ও প্রদাহ কমায়।
পেঁয়াজ রসুনঃ পেঁয়াজ রসুন শুধু সবজিতে ব্যবহার হয় না বরং এই দুই টি খাবার ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা যায়। পেঁয়াজ রসুন খাওয়ার মাধ্যমে মুখের ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়। দাঁতের ক্ষয় ক্যাভিটি ও দুর্গন্ধ দূর হয়।
স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি খাওয়ার মাধ্যমে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। স্ট্রবেরিতে প্রচুর ম্যালিক এসিড আছে যা খাওয়ার মাধ্যমে দাঁত সাদা হয় এবং খয়রোধ করে। অতএব আসুন এগুলো খাবার ও কিছু বস্তু আছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে দাঁতের মাড়ি অত্যন্ত শক্তিশালী করি।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। এছাড়া আরো লিখা হয়েছে দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয়। দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়। দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায়।
দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়। এগুলো বিষয়ে ভালোভাবে জানতে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url